টিকার মাধ্যমে ৯৯ শতাংশ করোনা রোগীর মৃত্যু এড়ানো সম্ভব!
করোনা টিকাটিকার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের ৯৯ শতাংশের মৃত্যু এড়ানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার প্রফেসর জোনাথন ভ্যান-ট্যাম।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, প্রথম অগ্রাধিকার তালিকার প্রত্যেকে যদি ভ্যাকসিন গ্রহণ করে এবং তা যদি কার্যকর হয় তবে সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এবং সর্বোচ্চ আয়তনে যতটা সম্ভব হয় টিকা প্রদান করা হবে।
তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে তালিকায় কিছুটা নমনীয়তা থাকতে হবে।
গত বুধবার যুক্তরাজ্য ফাইজার ও বায়োএনটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। তারাই বিশ্বের প্রথম দেশ, যারা এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিল।
বিবিসি জানিয়েছে ফাইজারের প্রথম চালানের ভ্যাকসিন বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করছে।
প্রফেসর জোনাথন ভ্যান-ট্যাম জানিয়েছে, ফাইজারের টিকা তৈরিতে এমআরএনএ–এর মতো যে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, তা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিরোধী শক্তিকে সক্রিয় করে। টিকাটি সংরক্ষণে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (মাইনাস ৯৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রার প্রয়োজন পড়ে। তাই ভ্যাকসিন গ্রহণ করা কঠিন হবে যারা বাড়িতে টিকা নিতে চাইবে।
করোনা টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য কেয়ার হোমস এবং কেয়ার হোম স্টাফের প্রবীণ ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে রাখা হয়েছে, তারপরে ৮০ এরও বেশি বয়সী এবং স্বাস্থ্য ও যত্ন কর্মীরা রয়েছেন।
তবে যেহেতু হাসপাতালগুলোতে টিকাটি সংরক্ষণে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (মাইনাস ৯৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রার সুবিধা রয়েছে, তাই ভ্যাকসিনগুলো সেখানে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি নেই।
যুক্তরাজ্যের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার বিবিসিকে বলেছেন, আমরা যদি প্রথম পর্যায়ের (অগ্রাধিকার তালিকার) মাধ্যমে যেতে পারি এবং এটি যদি অত্যন্ত কার্যকর ভ্যাকসিন হয় তাহলে ৯৯ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হবে।