ভারতে ‘কোভিশিল্ড’ টিকার জরুরি অনুমোদন চাইল সেরাম

  করোনা টিকা
  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে ‘কোভিশিল্ড’টিকার জরুরি অনুমোদন চায় সেরাম

ভারতে ‘কোভিশিল্ড’টিকার জরুরি অনুমোদন চায় সেরাম

মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজারের পর ভারতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়েছে দেশটির টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট (এসআইআই)। ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (ডিজিসিআই)  কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ভারতে অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে করোনা টিকা তৈরি করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট। সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়াল্লা এক টুইট বার্তা বিষয়টি জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, কোভিশিল্ড টিকা অগণিত মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে। এ সময় তিনি ভারত সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘তাদের মূল্যবান’ সহাযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।

এসআইআই আবেদনে জানিয়েছে, মহামারী রোধ ও জনগণের চিকিৎসার জন্য টিকাটির অনুমোদন জরুরিভাবে প্রয়োজন। এই টিকা অর্থাৎ কোভিশিল্ড করোনা সংক্রমণ রোধে দারুণভাবে কাজ করবে।

বিজ্ঞাপন

করোনার টিকার অনুমোদন চেয়ে ভারত সরকারের কাছে দ্বিতীয় কোনো প্রতিষ্ঠান আবেদন করলো।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর ভারতের কাছে জরুরি ভিত্তিতে করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে ফাইজার ও বায়োএনটেক। তবে ফাইজার ভারতে এখনও টিকার ট্রায়াল করেনি। তবে প্রয়োজনে ট্রায়াল ছাড়াও টিকা ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল। 

গত মাসে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছিল, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ক্নিনিকাল ট্রায়ালের ফলাফলের উপর নির্ভর করে জরুরি ভিত্তিতে কোভিশিল্ড ব্যবহারের আবেদন জানানো হবে। তাদের হিসেব অনুযায়ী, অনুমোদন পাওয়ার আগেই করোনা টিকার চার কোটি ডোজ তৈরি ফেলেছে সেরাম।  

টিকা ব্যবহারের আবেদনে চারটি ক্নিনিকাল ট্রায়ালের কথা উল্লেখ করেছে সেরাম। এর মধ্যে দু’টি ব্রিটেনের, অপর দুইটি ভারত ও ব্রাজিলে। এসব ট্রায়ালের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই করোনা সংক্রমণ রোধে অত্যন্ত কার্যকর কোভিশিল্ড। সেরাম জানিয়েছে, এই টিকা নিরাপদ। করোনা প্রতিরোধে ভারতে ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকাটির চূড়ান্ত ট্রায়ালে আলাদাভাবে দুই ডোজ প্রয়োগে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া যায়।