মডার্নার করোনা টিকা কেমন, ফাইজারের থেকে পার্থক্য কী?

  করোনা টিকা


মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনা টিকা চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন পায় এবং প্রথমবারের মতো প্রয়োগ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে মডার্নার করোনাভাইরাসের টিকা যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

ফাইজার ও মডার্নার তৈরি করোনা টিকার বৈশিষ্ট্য অনেকটাই একইরকম। তবে কয়েকটি মূল পার্থক্য রয়েছে। বিশেষ করে মডার্নার টিকাটির সংক্ষরণে অতিরিক্ত ঠান্ডার প্রয়োজন নেই। সাধারণ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যাবে। এটি স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য আরও সহজলভ্য বলে সংস্থাটি দাবি করেছে।

শুক্রবারের (১৮ ডিসেম্বর) মধ্যে মডার্নার টিকা জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)। এর জন্য বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) এফডিএ’র টিকা উপদেষ্টা কমিটি বৈঠকও করেছে।

এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক-মডার্নার করোনা টিকা সম্পর্কে এবং ফাইজারের টিকা থেকে এর আলাদা কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

ফাইজারকে যুক্তরাষ্ট্রের জায়ান্ট ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি হিসেবে ধরা হয়।  অন্যদিকে মডার্না যার সংক্ষিপ্ত রূপ আরএনএ। এটি ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের কেমব্রিজ ভিত্তিক একটি বায়োটেক সংস্থা।

গত ৩ মার্চ মডার্নার টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অনুমোদন দেয় এফডিএ। প্রথম ট্রায়াল হয় ২৭ মার্চ। মডার্না টিকাটিই যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সরকারি অর্থায়নে করোনা টিকা, যারা তিন ধাপে ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে। গত ৩০ নভেম্বর সংস্থাটি টিকাটির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে এফডিএ-তে আবেদন করেছে।

পরীক্ষামূলক ট্রায়ালে মডার্নার টিকা করোনা প্রতিরোধে কার্যকর এবং সুরক্ষিত বলে প্রমাণিত হয়েছে।

এফডিএ’র উপদেষ্টা কমিটির প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, মডার্নার টিকা করোনা থেকে সুরক্ষা দিতে ৯৪ দশমিক ১ শতাংশ কার্যকর। আর গুরুতর পর্যায়ের কোভিড আক্রান্ত হওয়া থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে এটি শতভাগ সুরক্ষা দেয়। টিকাটি বিভিন্ন গোষ্ঠী, লিঙ্গ ও জাতির করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর। এর গবেষণায় স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ এবং ২০ ভাগ হিস্পানিক জনগোষ্ঠী ছিলো।

কীভাবে এটি কাজ করবে

ফাইজারের টিকার মতো, মডার্নার টিকা আরএনএ বা এমআরএনএ সরবরাহ করে। যা জেনেটিক কোডের একটি ক্ষুদ্র অংশ নিয়ে শরীরকে শেখায় যে কিভাবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে হবে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে।  একবার ইনজেকশন দেওয়ার পরে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। যদি কোন ব্যক্তি টিকা নেওয়ার পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তাহলে অ্যান্টিবডি ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ শুরু করে।

বিশেষ করে মডার্নার এই টিকাটিতে কৃত্রিম এমআরএনএ রয়েছে যা ভাইরাসের ‘প্রিফিউশন স্ট্যাবিলাইজড স্পাইক গ্লাইকোপ্রোটিন’ তৈরি করে। এছাড়াও এই টিকায়  লিপিডস, ট্রমেটামাইন, ট্রমেটামাইন হাইড্রোক্লোরাইড, এসিটিক অ্যাসিড, সোডিয়াম অ্যাসিটেট এবং সুক্রোজ নামক ফ্যাটযুক্ত উপাদান রয়েছে।

মডার্নার টিকা কীভাবে ফাইজারের থেকে আলাদা?

এই দুইটি  টিকাই একই ধরণের। তবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানব সেবা বিভাগের সচিব আলেক্স অজার বলেছেন, ফাইজার ও মডার্নার টিকার মধ্যে কয়েকটি মূল পার্থক্য রয়েছে। যা মডার্নার টিকাকে ‘আরও নমনীয়’ করেছে।

কার্যকারিতা: মডার্না ও ফাইজারের উভয়ের টিকা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রায় ৯৫ শতাংশ কার্যকর।

মঙ্গলবার সিএনএন-এর ‘নিউ ডে’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এফডিএ’র টিকা উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. পল অফিট বলেন, দু’টি টিকা মোটামুটি এক বৈশিষ্ট্যের বলে আমার মনে হয়।

গঠন: মডার্না ও ফাইজারের প্রস্তুতকৃত টিকাগুলো হলো এমআরএনএ টিকা। যদিও কিছুটা ভিন্ন কাঠামো রয়েছে। আর এজন্য পরিবহন ও সংরক্ষণ করার পার্থক্য রয়েছে।

সংরক্ষণ: সংরক্ষণের জন্য মডার্নার টিকা অনেকটা স্বস্তিদায়ক। এই টিকাটি ফাইজারের টিকার মতো উচ্চ মাত্রার ঠান্ডায় রাখতে হবে না।

ফাইজার আবিষ্কৃত টিকা সংরক্ষণ করতে হয় মাইনাস ৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মাত্র পাঁচদিন এই ভ্যাকসিন ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যাবে।

অন্যদিকে মডার্নার টিকা সংরক্ষণ করতে হবে মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাড়ির ফ্রিজেও এই টিকা রাখা যাবে। ৩০ দিন পর্যন্ত ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যাবে। ফলে এই টিকা স্থানান্তর ও ম্যানেজ করা সহজ।

এই দুই ভ্যাকসিনের তুলনা করলে দেখা যায়, ফাইজারের ভ্যাকসিনগুলি হাসপাতালের মতো প্রতিষ্ঠিত অবকাঠামো ও বড় প্রতিষ্ঠানে বেশি ব্যবহৃত হবে। অন্যদিকে স্থানীয় চেইন বা ফার্মাসিস্টের মতো ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানেও মডার্নার টিকা ব্যবহার হবে।

ডোজ এবং সময়: মডার্নার ভ্যাকসিনটি ২৮ দিনের ব্যবধানে দু'বার ১০০ মাইক্রোগ্রাম করে ডোজ হিসাবে দেওয়া হয়। আর ফাইজারের ভ্যাকসিনের দুই ডোজ ২১ দিনের ব্যবধানে ৩০ মাইক্রোগ্রাম করে দেওয়া হয়।

বয়স: অনুমোদিত হলে মডার্না ভ্যাকসিনটি ১৮ এবং তার চেয়ে বেশি বয়সীদের মধ্যে ব্যবহার করা হবে। ফাইজারের ভ্যাকসিনটি ১৬ এবং তার বেশি বয়সীদের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মডার্নার টিকা কী নিরাপদ?

মডার্নার টিকার বিষয়ে এফডিএ বলেছে, এই টিকার ব্যবহারে নির্দিষ্ট কোনও সুরক্ষা উদ্বেগ নেই; যা টিকাটির জরুরি অনুমোদন পেতে বাধা দিতে পারে।

ভ্যাকসিনটি ব্যবহারে সাধারণ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন- ক্লান্তি, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা এবং সর্দি দেখা গেছে। সামগ্রিকভাবে গুরুতর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিলো না।

কবে পাওয়া যাবে মডার্নার টিকা

স্বাস্থ্য ও মানব সেবা বিভাগ জানিয়েছে, আমেরিকা প্রথমে মডার্নার ভ্যাকসিনের ১০০ মিলিয়ন ডোজ কিনেছিল। গত সপ্তাহে আরও ১০০ মিলিয়ন ডোজ কিনতে রাজি হয়েছে। ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলাকালীন সময়ই মডার্না প্রথম ১০০ মিলিয়ন ডোজ উৎপাদন শুরু করে।

'অপারেশন ওয়ার্প স্পিড'-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মনসেফ স্লাউই আশা করছেন শুক্রবারেই মডার্নার টিকাটির জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দেবে এফডিএ। যদি তা হয় তাহলে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টিকা সরবরাহ করা হবে। যাতে করে আগামী সোমবার থেকে প্রয়োগ করা যায়।

সূত্র: সিএনএন

   

ইসরাইলের হামলায় লেবাননে হিজবুল্লাহ নেতাসহ নিহত ৮



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলের হামলায় হিজবুল্লাহ বাহিনীর নেতাসহ অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন।

বুধবার (২৭ মার্চ) দেশটির নিরাপত্তা সূত্র সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সকে এ তথ্য জানায়।

নিরাপত্তা সূত্র এবং লেবাননের সরকারি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, সীমান্তবর্তী গ্রাম তাইর হারফায় হামলায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পরেই সীমান্ত শহর নাকুরায় একটি রেস্তোরাঁয় হামলায় অন্তত আরও তিনজন নিহত হন।

ইরানসমর্থিত হিজবুল্লাহ বলেছে, একদিন আগে দক্ষিণ লেবাননের হেব্বারিয়েহ গ্রামে ইসরাইলি আকাশ পথের হামলার পাল্টা হামলা হিসেবে বুধবার ভোরে উত্তর ইসরাইলের কিরিয়াত শমোনা সীমান্তে তারা কয়েক ডজন রকেট ছুড়েছে।

ইসরাইলের জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, কিরিয়াত শমোনায় হিজবুল্লাহর রকেটের আঘাতে কারখানার এক কর্মী নিহত হয়েছেন। রকেট হামলার আগে এলাকাটিতে সতর্ক করে সাইরেন বাজানো হলেও প্রাণহানি এড়ানো যায়নি।

কিরিয়াত শমোনায় হিজবুল্লাহর হামলার পর ইসরাইল ফের দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর কথিত লক্ষ্যস্থলগুলোতে হামলা চালায়।

গত বছরের অক্টোবরে গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহ পরস্পরের দিকে গোলাবর্ষণ করে আসছে।

 

  করোনা টিকা

;

গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে: জাতিসংঘের সতর্কতা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েল হামাস যুদ্ধে কয়েক মাস সতর্কতার পর সম্প্রতি পরিসংখ্যানগত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় মানবিক বিপর্যয় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে পরিণত হচ্ছে।

এ প্রতিবেদন ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য তাদের প্রতি আইনী দায়িত্ব পালনের জন্য ইসরায়েলের উপর চাপ আরও বাড়িয়েছে। এটি গাজায় যাদের প্রয়োজন মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন তাদের জন্য পর্যাপ্ত সরবরাহের জন্য অনুমতি দিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বিবিসি-র এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ইসরায়েল উল্লেখযোগ্য দোষ করেছে। এর একটা প্রমাণযোগ্য ঘটনা হলো ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে অনাহারকে ব্যবহার।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের এ অভিপ্রায় প্রমাণিত হলে তা হবে যুদ্ধাপরাধ।

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির একজন  জেষ্ঠ্য রাজনীতিবিদ ও ইসরায়েলের অর্থনীতি মন্ত্রী নির বারকাত জাতিসংঘের এ সতর্কবার্তাকে ‘অর্থহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন জিনিস’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

বারকাত জোর দিয়ে বলেন, গাজায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকি বিশ্বের সমস্ত সহায়তা দিতে দিচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের দাবি হামাস সহায়তা না করায় ত্রাণ বিতরণে জাতিসংঘকে করতে ব্যর্থ হয়েছে।

তবে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়ম, গাজা উপত্যকায় পাঠানো প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী বোঝাই লরিগুলোর দীর্ঘ লাইন রাফাহ সীমান্তের মিশরীয় দিকে নিদারুণভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জটিল ও আমলাতান্ত্রিক ধারাবাহিক তল্লাশির পরই তারা কেবল ইসরায়েলের মধ্য দিয়ে গাজায় প্রবেশ করতে পারে।

স্থলপথে পর্যাপ্ত সরবরাহ না করতে পেরে জর্ডান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য সহায়তাকারী দেশগুলোকে আকাশপথে ত্রাণ সহায়তা পাঠাচ্ছে।

বিমান থেকে প্যারাসুটে পাঠানো ত্রাণসহায়তা নিতে স্থলভাগে থাকা ফিলিস্তিনিরা ভিড় করছেন। এমনকি সাগরে পড়া খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেকে মারাও যাচ্ছেন।

মার্কিন নৌবাহিনী সমুদ্রপথে স্থল সাহায্যের জন্য একটি অস্থায়ী পিয়ার তৈরি করতে আটলান্টিক জুড়ে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্লোটিলাও পাঠাচ্ছে।

ইসরায়েল যদি গাজায় সম্পূর্ণ রাস্তার প্রবেশাধিকার দেয় এবং গাজা স্ট্রিপের উত্তরে প্রায় আধা ঘণ্টার পথের দূরত্বে আশদোদের আধুনিক কনটেইনার বন্দরের মাধ্যমে ত্রাণ সরবরাহ ত্বরান্বিত করে তবে আকাশপথ ও জলপথে সহায়তা পাঠানোর প্রয়োজন হবে না।

জেনেভায় এক সাক্ষাত্কারে তুর্ক বলেছেন, ইসরায়েল সাহায্য সরবরাহের গতি কমিয়ে দিচ্ছে বা আটকে রেখেছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বেসামরিক ও সৈন্যদের ওপর হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়ে তুর্ক বলেন, যুদ্ধে কোনও পক্ষই গাজায় প্রয়োজন এমন লোকদের কাছ থেকে সাহায্য সরবরাহ বন্ধ করার যে কোনও প্রচেষ্টা সহ তার ক্রিয়াকলাপের জন্য জবাবদিহিতা এড়াবে না।

তিনি বলেন, আমার সমস্ত মানবিক সহকর্মীরা বলেছেন গাজা সহায়তায় অনেক বাধা রয়েছে। যা ইসরায়েলকে উল্লেখযোগ্য উপায়ে দোষ দেওয়া হচ্ছে।
গাজা উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে গত সপ্তাহে মানচিত্র, চার্ট এবং পরিসংখ্যানের পাশাপাশি স্বচ্ছ লিখিত মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ইসরায়েলের মিত্ররা আরও সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, এটি উচ্চ বিস্ফোরক বা ক্ষুধা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পদ্ধতি পরিবর্তন করা উচিত।

অধ্যয়নটি একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক, ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ শ্রেনি বিভাগের সর্বশেষ প্রতিবেদন, যা আইপিসি নামে পরিচিত। এটি সরকার, জাতিসংঘ এবং সাহায্য সংস্থাগুলিকে ক্ষুধার মাত্রা পরিমাপের জন্য অরাজনৈতিক তথ্য সরবরাহ করে। প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল - ‘গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন। ১.১ মিলিয়ন মানুষ বিপর্যয়কর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছে।’

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি না হলে এবং ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছালে আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে যে কোনো সময় দুর্ভিক্ষ কীভাবে আসতে পারে তা এর তথ্য ব্যাখ্যা করেছে।

বিবিসির সাংবাদিক গাজার একটি হাসপাতালে এক তরুনীকে বিছানায় অর্ধ-সচেতন অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখে। নুরা মোহাম্মদ নামের মেয়েটির ফুসফুস এবং লিভারের ফাইব্রোসিস রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কয়েক মাস অনাহারে থাকা এবং সঠিক চিকিৎসা সেবা না পেয়ে তার অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে।

নুরা মোহাম্মদ গাজার একটি হাসপাতালে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারছেন না

নুরা মোহাম্মদের মা বলেন, আমার মেয়ে নড়াচড়া করতে পারে না। সে অ্যানিমিক, সবসময় ঘুমায় এবং তাকে খাওনোর মতো পুষ্টিকর কিছুই নেই। নুরা হাসপাতালে পৌঁছাতে পারলেও এক মিলিয়নেরও বেশি গাজাবাসীর বেশিরভাগেরই কোনো বিকল্প নেই।

বিবিসি জানায়, গাজার মানবিক বিপর্যয়ের প্রমাণ অপ্রতিরোধ্য। হাসপাতাল থেকে তোলা ছবিগুলোতে ফোলা জয়েন্ট, ক্ষয়প্রাপ্ত অঙ্গ এবং ডার্মাটাইটিসসহ শিশুদের তীব্র অপুষ্টির সমস্ত ক্লাসিক লক্ষণ দেখা গেছে।

এদিকে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উপেক্ষা করেছে ইসরাইল। ইসরায়েলের অর্থনীতি মন্ত্রী নীর বারকাত বলেছেন, ইসরায়েলের যুদ্ধের লক্ষ্য হামাসকে ধ্বংস করা এবং ৭ অক্টোবর জিম্মিদের মুক্ত করার পথে কোনো কিছুই বাধাগ্রস্ত হতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বের মিত্ররা ইসরায়েলের কৌশলগত লক্ষ্যকে সমর্থন করেছে। আমরা মন্দের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, এবং আমরা হামাসকে মানচিত্র থেকে শেষ না করা পর্যন্ত বিশ্ব আমাদের মন্দের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে বলে আশা করছি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার তুর্ক ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনার একটি সংক্ষিপ্ত জবাব দিয়েছেন।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র আমি তাদের বলতে পারি যে একটি উদীয়মান আন্তর্জাতিক ঐকমত্য রয়েছে। মানবিক পরিস্থিতির বিষয়ে এই সপ্তাহের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে এটি এখন স্পষ্ট হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গাজায় মানবাধিকার পরিস্থিতি এতটাই মর্মান্তিক যে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। এটাই আমার প্রতিক্রিয়া।

  করোনা টিকা

;

লোহিত সাগরে ইয়েমেনের চারটি ড্রোন ধ্বংস: যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লোহিত সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্য করে ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুতি বাহিনীর পাঠানো চারটি ড্রোন ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।

বুধবার (২৭ মার্চ) ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড এক্স-এ এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের বাহিনী সানা সময় রাত ২টার (২৩০০জিএমটি) দিকে চারটি দূরপাল্লার ড্রোন ধ্বংস করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বা জোট বাহিনীর জাহাজে কোনো আঘাত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, অস্ত্রগুলো এই অঞ্চলে বাণিজ্য জাহাজ এবং মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজগুলোর জন্য একটি আসন্ন হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, এই পদক্ষেপগুলো নেভিগেশনের স্বাধীনতা রক্ষা করতে এবং মার্কিন নৌবাহিনী এবং বাণিজ্য জাহাজগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক জলসীমাকে আরও নিরাপদ এবং আরও সুরক্ষিত করার জন্য নেওয়া হয়।

 

  করোনা টিকা

;

রাজহাঁসের নৌকায় ভালুকের দল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলের দক্ষিণ-পশ্চিমে বেডফোর্ডশায়ার কাউন্টিতে ওবার্ন সাফারি সম্প্রতি প্রবল বৃষ্টিতে ১৩ একর জমিতে পানি জমে সাফারি পার্কে ছোট্ট একটি হ্রদের মতো সৃষ্টি হয়েছে। এটি দেখে ওবার্ন সাফারি পার্কের তত্ত্বাবধায়কেরা ভালুকের বিচরণ এলাকায় জলের উপর একটি রাজহাঁস প্যাডালো নৌকা ভাসানোর সিদ্ধান্ত নেন। আর সেই নৌকায় চড়ে বসে একদল কালো ভালুক।

পার্কের মাংসাশী প্রাণী বিভাগের উপপ্রধান টমি বাবিংটন বলেন, নিজেদের এলাকায় হ্রদের মধ্যে এমন রাজহাঁসের মতো নৌকা ভাসতে দেখে কৌতূহলী হয়ে মনে হয় এতে চড়ে বসেছে ভালুকের দল। এই জিনিস কী, তা জানতে এতটুকুও সময় নষ্ট করেনি তারা।

রাজহাঁসের নৌকায় কৌতূহলী ভালুক

টমি আরও বলেন, ‘এ বছর এত বেশি বৃষ্টি ছিল যে কালো ভালুকের বিচরণ এলাকায় একটি নতুন ছোট হ্রদের সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমরা এটিকে তাদের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করেছি।’

ভালুক স্বভাবজাতভাবেই বেশ উৎসুক প্রকৃতির। আর এরা যেন সেটি বজায় রাখতে পারে, সে ধরনের সব চেষ্টা করে যাবেন সাফারি কর্মীরা। সেই বোটে ওঠা চার ভালুকের মধ্যে দুটি ভাই ও দুটি বোন। এদের নাম হার্ভার্ড, ম্যাপল, কলোরাডো ও আসপেন।

উত্তর আমেরিকার বনে সচরাচর কালো ভালুক দেখা যায়। এরা দৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ ছয় ফুট তিন ইঞ্চি ও ওজনে ৩০০ কিলোগ্রাম হয়ে থাকে।

  করোনা টিকা

;