ভারতে অনুমোদন পাচ্ছে অক্সফোর্ডের ‘কোভিশিল্ড’
করোনা টিকাঅক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা ‘কোভিশিল্ড’, যা বাংলাদেশে আসবে সেটা আজ-কালের মধ্যেই ভারতে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেতে পারে। একইভাবে যুক্তরাজ্যেও এই টিকার অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে।
জানা যায়, পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ভারত সরকার যুক্তরাজ্যের আগেই ‘কোভিশিল্ড’ অনুমোদন দেওয়ার পথে এগোচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই সর্বশেষ সোমবার (২১ ডিসেম্বর) ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ সেরামের কাছ থেকে কোভিশিল্ডের নতুন কিছু তথ্য-উপাত্ত চেয়ে নিয়েছে। সেরাম ইনস্টিটিউট ভারতে এই টিকা উৎপাদন করবে।
এদিকে যুক্তরাজ্যেও অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তারা দেশটির মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সির (এমএইচআরএ) কাছে এই আবেদন করেছে। আগামী ২৮-২৯ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা অনুমোদন পেলে তা ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে ভূমিকা নেবে। কারণ, ফাইজার-বায়োএনটেকের তুলনায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সংরক্ষণ, পরিবহন ও প্রদান অনেক বেশি সহজ হবে।
যুক্তরাজ্য সরকার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ১০০ মিলিয়ন ডোজের অর্ডার করে রেখেছে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি নিরাপদ ও কার্যকর বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য ২ ডিসেম্বর ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। ৮ ডিসেম্বর দেশটিতে এই টিকার প্রয়োগ শুরু হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কয়েকটি দেশ ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা অনুমোদন দিয়ে তার প্রয়োগ শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকার তিন কোটি ডোজ কেনার জন্য গত নভেম্বরে সমঝোতা চুক্তি করেছে সরকার। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে এনে সেটা সরকারকে সরবরাহ করবে দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।