সিরিয়ায় বাসে হামলা, নিহত ২৮
সিরিয়ায় একটি বাসে সন্ত্রাসী হামলায় কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির পূর্বাঞ্চলে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দেইর আল জোর প্রদেশে বাসটিতে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
তবে অন্য একটি সূত্র জানায়, বাসের যাত্রীরা সেনা সদস্য ছিলেন। নিহতের সংখ্যা আরো বেশি। তাৎক্ষণিকভাবে কোন গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি।
তবে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ওই হামলার জন্য জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) দায়ী করেছে। তাদের দাবি, হামলায় ৩৭ সেনা নিহত হয়েছেন।
সূত্রের বরাত দিয়ে এসওএইচআর বলেছে, আইএসের সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। সরকারপন্থী মিলিশিয়ান ও সেনা সদস্য বহনকারী তিনটি বাসকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স-এর সূত্র বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বাসগুলোতে সেনা সদস্যদের বহন করছিলো।
আইএস যোদ্ধা এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের প্রতি অনুগত সিরিয়ার বাহিনীর সাথে আইএস যোদ্ধাদের প্রাচীন শহর পালমিরার কাছে প্রায় সংঘর্ষ হয়।
এর আগে ২০১৪ সালে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয় আইএস। লাখ লাখ সিরিয়ার ওপর তারা নৃশংস অত্যাচার চালায় তারা। প্রায় ৫ বছর যুদ্ধ শেষে যুক্তরাষ্ট ও তাদের মিত্রদের সহায়তায় এ অঞ্চল আইএস থেকে পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয় সিরিয়া বাহিনী। ২০১৯ সালের মার্চে সিরিয়া ও ইরাকে আইএস পরাজয় মেনে নেয়।
তবে সিরিয়ার কিছু অঞ্চলে এখনও আইএসের অস্তিত্ব রয়েছে। মাঝে মাঝে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। সর্বশেষ হামলাটি এই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আক্রমণ বলে নিশ্চিত করেছে এসএমএইচআর।