ভারতে আজকেই অনুমোদন পেতে পারে করোনার টিকা!

  করোনা টিকা
  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভারত সরকার আজই করোনাভাইরাসের টিকার জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিতে পারে! কারণ শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সেরাম ইনস্টিটিউটের ‘‌কোভিশিল্ড’ এবং ভারত বায়োটেকের‌ ‘‌কোভ্যাক্সিন’‌-এর ব্যাপারে আবারও বৈঠকে বসছে দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি (এসইসি)। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

সম্প্রতি ব্রিটেনে শুরু হয়েছে ফাইজার-বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনা টিকার প্রয়োগ। এদিকে ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিন ভারতে বাজারজাত করতে সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছে সংস্থাটি।

বিজ্ঞাপন

এ খবর প্রকাশ্যে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার সম্ভাব্য টিকা বাজারে আনতে তৎপর হয় সেরাম ইনস্টিটিউট। প্রথম ভারতীয় সংস্থা হিসেবে জরুরি ভিত্তিতে করোনা রোগীদের ওপর ‘‌কোভিশিল্ড’‌ প্রয়োগের অনুমতি চেয়ে তারা ডিসিজিআইয়ের কাছে আবেদন জানায়। একই আবেদন জানায় ভারত বায়োটেকও। তাদের সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিন ‘‌কোভ্যাক্সিন’-এর জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের ‌ছাড়পত্র চায় সংস্থাটি।

গত বুধবার যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের পরে ওই দিনই প্রথম বৈঠক বসে এসইসি। আজকে তারা ভ্যাকসিনের তথ্য আরও পর্যালোচনার জন্য বৈঠকে বসছে।

বিজ্ঞাপন

দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি (এসইসি) সুপারিশ করেছিল যাতে উভয় সংস্থাই আরও কিছু তথ্য জমা দেয়।

গত বুধবারের বৈঠকে কিছু তথ্যের অভাব ছিল এবং সেরাম ইনস্টিটিউটের ‘‌কোভিশিল্ড’ এর আরও তথ্যের প্রয়োজন ছিল এবং ভারত বায়োটেকের‌ ‘‌কোভ্যাক্সিন’‌-এর কিছু অতিরিক্ত ডেটা চাওয়া হয়েছিল।

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও পরিবহন করা অনেক সহজ। ভ্যাকসিনটি গেম-চেঞ্জার হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে কারণ বায়োএনটেক-ফাইজারের ভ্যাকসিনটি মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। কিন্তু অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন রুমের সাধারণ তাপমাত্রায় রাখা যায়।

ফাইজারের মতোই অক্সফোর্ডের টিকার ক্ষেত্রেও দুটি করে ডোজ নিতে হবে। ফাইজারের ক্ষেত্রে দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান তিন সপ্তাহ। অক্সফোর্ডের ক্ষেত্রে এর ব্যবধান চার সপ্তাহ।

কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনটি ভারত সরকারের কাছে প্রতি ডোজ ২৫০ রুপিতে বিক্রি হবে। অনুমোদন পাওয়ার পরই টিকাটি গণহারে প্রয়োগের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ভারত।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা ভারতে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেলে তা বাংলাদেশের মানুষও পাবে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) ফাইজার–বায়োএনটেকের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এতে করে এই ভ্যাকসিনটি বিশ্বব্যাপী আমদানি ও বিতরণের পথ সুগম হলো।