কোভিশিল্ডের পর ভারতের কোভ্যাক্সিন অনুমোদনের সুপারিশ
করোনা টিকানতুন বছরে ভারতের জনগণকে দুইটি করোনাভাইরাসের টিকা অনুমোদন দিল দেশটির সরকার। শুক্রবার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্র্যাজেনেকার ‘কোভিশিল্ড’ টিকার অনুমোদনের পর জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের প্রশ্নে ছাড়পত্র পেয়েছে ভারতীয় সংস্থা, হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক-এর তৈরি কোভ্যাক্সিন। শনিবার এক দীর্ঘ বৈঠকের পর কোভ্যাক্সিন ব্যবহারের সবুজ সঙ্কেত দেয় বিশেষজ্ঞ কমিটি।
এখন ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে টিকাটির প্রয়োগ শুরু হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বোরবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সাংবাদিক বৈঠক করে বিবৃতি দেবে ডিসিজিআই।
শনিবার দুপুরে বিশেষজ্ঞ কমিটি বৈঠকে বসার পর থেকেই কোভ্যাক্সিনের ছাড়পত্র পাওয়ার আশা উজ্জ্বল হয়ে উঠতে শুরু করে। শুক্রবার বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকে কোভিশিল্ডের সঙ্গেই কোভ্যাক্সিনের ছাড়পত্রের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। ওই বৈঠকে ভারত বায়োটেক সংস্থার প্রতিনিধিদের কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ সংস্থার পক্ষ থেকে অতিরিক্ত তথ্য জমা দেওয়ার পরে কার্যত এক সপ্তাহে আজ নিয়ে তৃতীয় বার বৈঠকে বসে ওই কমিটি। দিনভর বৈঠকের পরে সন্ধ্যায় কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেয় ওই কমিটি।
এদিকে করোনাভাইরাসের টিকা গণহারে প্রদান শুরুর আগে ড্রাই রান কর্মসূচি চালিয়েছে ভারত। শনিবারের এই ড্রাই রানের ২৫ স্বাস্থ্যকর্মী পরীক্ষামূলক টিকা গ্রহণ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেছেন, কোনও ধরনের বিঘ্ন ছাড়াই আসন্ন টিকাদান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস তৈরিতে ভূমিকা রাখবে এই মহড়া।
অক্সফোর্ডের টিকাটি ভারতে উৎপাদন করছে সিরাম ইন্সটিটিউট। এটি ছাড়াও ভারতের নিজস্ব টিকা কোভ্যাকসিন এবং ফাইজারের টিকাও জরুরি অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল।