মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান: কোথায় আছেন অং সান সু চি?



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারে গত সোমবার সেনা অভ্যুত্থানের পর সবার মনে প্রশ্ন জেগেছে দেশটির ন্যাশনাল লীগ ফল ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের নেতা অং সান সু চি এখন কোথায় আছেন? যদিও জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে ধরণা করা হচ্ছে তাকে নিজ বাড়িতেই গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। এমনকি সু চির একজন প্রতিবেশী তাকে নিজ ডরমিটরি প্রাঙ্গণে হাঁটতে দেখেছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৪৯ বছরের জান্তা শাসনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনা এই অভ্যুত্থান কেন হলো সে প্রশ্ন ঘুরছে দেশটির নানা মহলে।

এদিকে, অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের রাস্তায় রাইফেল কাঁধে টহল দিচ্ছে সৈন্যরা। ইয়াঙ্গুনে দেশটির প্রধান বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আগামী পহেলা জুন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক এ বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে এবং বাতিল করা হয়েছে সব ধরনের ফ্লাইট উঠা নামা।

দেশটির সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যচ্ছে, অং সান সু চিসহ এনএলডি নেতাদের আটকে রাখা হলেও বেশিরভাগ স্টেট মিনিস্টারকে মুক্তি দিয়ে বাসায় গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। এমনকি তাদের ডরমিটরির সামনে সেনা প্রহরা বসানো হয়েছে।

একজন এমপি ফোনে এএফপিকে জানিয়েছেন, তাদের বাইরে যেতে দেয়া হচ্ছে না।

তবে গত মঙ্গলবার এনএলডির ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় দেয়া বিবৃতিতে সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ অন্য নেতাদের মুক্তি দাবি করা হয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এ অভ্যুত্থান রাষ্ট্র ও সেনাবাহিনীর ইতিহাসে একটি কালো দাগ হিসেবে দেখছেন তারা। একই সাথে নভেম্বরের নির্বাচনের ফলকে স্বীকার করে নেয়ার আহবান জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।

এনএলডি’র একজন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, দলীয় কর্মকর্তাদের সাথে সু চির এখনও কোনও যোগাযোগ হয়নি। তবে সু চির একজন প্রতিবেশী জানিয়েছেন তিনি (সু চি) ভালো আছেন জানাতে নিজ বাসার কম্পাউন্ডে হাঁটাহাঁটি করেছেন।

পরাশক্তি দেশগুলোর অবস্থান:

মিয়ানমারের অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সরব আছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আহবান জানিয়েছেন। সেটা না করা হলে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকিও দিয়েছেন।

তবে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের স্থিতিশীলতাকে খাটো না করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। দেশটি আশা প্রকাশ করেছে, মিয়ানমারের সব পক্ষ সংবিধান, আইনি কাঠামো ও রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার ভিত্তিতে সব পার্থক্য ঘুচিয়ে উঠবে।

মিয়ানমারের বর্তমান অবস্থা:

অভ্যুত্থানের একদিন পর মিয়ানমারের আজকের অবস্থা হলো অনেকটা 'স্বস্তিহীন শান্তি'র মতো। বড় শহরগুলোতে সৈন্যরা টহল দিচ্ছে এবং রাস্তাঘাটগুলো নিরব হয়ে পড়েছে। তার সাথে আছে রাত্রিকালীন কারফিউ।

তবে ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ আবার চালু করা হয়েছে। যদিও ইয়াঙ্গুনে অনেকেই মনে করছেন যে গণতন্ত্রের জন্য তাদের দীর্ঘ লড়াই হেরে গেছে।

আবার কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে। যেমন সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকরা অং সান সু চির মুক্তির দাবিতে বুধবার থেকে কাজ বন্ধের হুমকি দিয়েছে। সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে তারা কালো ব্যাজ ধারণ করেছেন।

ডা. নাইং তু অং বিবিসি বার্মিজকে জানিয়েছেন, এ ধরনের অভ্যুত্থান সহ্য করা যায় না। দেশ ও জনগণকে পরোয়া করে না এমন সামরিক শাসকের অধীনে কাজ করতে পারেন না বলে তিনি পদত্যাগ করেছেন।

বুধবার সকালে মিয়ানমারের রাস্তাগুলো ছিলো স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেকটাই নীরব।  একদিন বন্ধ থাকার পর বেসরকারি ব্যাংকগুলো তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।

তবে রাজধানী নেপিডোতে পার্লামেন্ট ভবনের চারপাশে সৈন্যরা ট্যাংক নিয়ে টহল দিচ্ছে। এবারের অভ্যুত্থান রক্তপাতহীন হলেও করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অর্থনীতির ওপর এর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে বিদেশী বিনিয়োগ অনিশ্চিত হয়ে পড়ার ভয় অনেককে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করে তুলেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে একজন এমপি জানিয়েছেন, ‘আমাদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যদিও আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা যদি তাদের ছবি দেখতে পেতাম তাহলেও স্বস্তি বোধ করতাম।

আর আটক এমপিদের রাখা হয়েছে তাদের সরকারি ভবনেই যাকে একজন এমপি আখ্যায়িত করেছেন 'ওপেন এয়ার ডিটেনশন সেন্টার' হিসেবে।

অং সান সু চি ১৯৮৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত আটক অবস্থায় ছিলেন।

এবার আটকের আগ মূহুর্তে দেয়া বিবৃতিতে তিনি জনগণকে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন।

   

ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ইরানের ইসফাহান শহরের বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে ইরানি বার্তাসংস্থা ফার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের বরাতে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। এই শহরে ইরানের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক কেন্দ্র রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের আকাশসীমায় বেশ কয়েকটি ফ্লাইট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইরান ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর এর কড়া জবাব দেয়ার হুঁশিয়ার দিয়েছিল ইসরায়েল প্রশাসন। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরানে পাল্টা হামলার কথা বলেছিল ইসরায়েল। আর এরই মধ্যে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল।

এর আগে, ১ এপ্রিলে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবেই শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। 

এ ঘটনায় অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ইসরায়েলকে ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। তবে সেই আহ্বান কর্ণপাত না করেই ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েলি বাহিনী। 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ইরান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানায়, ইসরায়েলকে তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে সামরিক দুঃসাহসিকতা বন্ধ করতে বাধ্য করতে হবে। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালালে পরিণতি ভালো হবে না, কঠিন জবাব দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সেনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেন, ইরানের মাটিতে ইহুদিবাদী শাসকদের (ইসরায়েল) যেকোনো ধরনের আক্রমণের কড়া জবাব দেয়া হবে।

একই অনুষ্ঠানে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান এয়ার ফোর্সের কমান্ডার বলেন, ‘ইসরায়েলি হামলা মোকাবিলা করতে রাশিয়ার তৈরি সুখোই-২৪ এবং আমাদের অন্যান্য যুদ্ধবিমানগুলো সর্বোচ্চ প্রস্তুতিমূলক অবস্থায় রয়েছে। আমরা সবসময় প্রস্তুত।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ এখন পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। 

;

আজ থেকে ভারতে শুরু লোকসভা নির্বাচন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ভোট নেওয়া শুরু হচ্ছে আজ শুক্রবার থেকে। সাত দফায় দেশটির প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পছন্দের জনপ্রতিনিধিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। প্রথম দফায় দেশটির ২১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মোট ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে আজ। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি কেন্দ্র রয়েছে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির আসন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে, চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাচনের নিরাপত্তার জন্য রাজ্য পুলিশের উপরেও আস্থা রেখেছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনে মূল লড়াই হতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইনডিয়া’ জোটের মধ্যে। ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের মূল দল ভারতীয় জনতা পার্টি এককভাবে এবার ৩৭০ আসনের টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে। আর জোটগতভাবে তাদের লক্ষ্য ৪০০ আসন।

শুক্রবার ভোটকে কেন্দ্র করে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করে এনেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল ১০২টি আসনে ভোট হবে। ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

;

যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে আটকে গেল জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘে রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার পথ আটকে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নিরাপত্তা পরিষদে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে ভেটো দিয়েছে দেশটি।

খসড়া প্রস্তাবটিতে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণসদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রতি সুপারিশ করা হয়েছিল।নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের ১২টি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড ভোটদানে বিরত ছিল। ভেটো প্রদান করে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

ভেটো দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দুই-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করে চলেছে।এই ভোটটি ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রত্বের বিরোধিতাকে প্রতিফলিত করে না। আমরা চাই তারা সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসুক।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মার্কিন ভেটোকে অন্যায়, অনৈতিক এবং অযৌক্তিক বলে নিন্দা করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মার্কিন ভেটো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইচ্ছাকে চ্যালেঞ্জ করেছে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ভেটো দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা করে বলেছেন, লজ্জাজনক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা হবে না।

ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘ সদস্য না হলেও ২০১২ সালে তারা জাতিসংঘে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পেয়েছে। জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য ফিলিস্তিন বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়ে আসছে।

তবে তাদের এই আর্জি প্রথমে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন পেতে হবে এবং তারপর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এর পক্ষে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন লাগবে।

২০১১ সালে পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার জন্য প্রথমবারের মতো আবেদন করেছিল ফিলিস্তিন। এরপর গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মধ্যে ফিলিস্তিন এ মাসের শুরুতে আবারও সদস্যপদের জন্য আবেদন করে।

;

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ৯



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল ফ্রান্সিস ওমন্ডি ওগোল্লাসহ শীর্ষস্থানীয় ৯ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে এই খবর জানিয়েছে বিবিসি, এএফপিসহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।

কেনিয়ার একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার এএফপিকে জানিয়েছেন, উড্ডয়নের পরপরই হেলিকপ্টারটিতে আগুন ধরে যায় এবং এতে জেনারেল ওগোল্লাসহ ৯ জন সিনিয়র কমান্ডার নিহত হয়েছেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। তার মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, হেলিকপ্টারে অবস্থান করা সবাই ছিলেন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে জেনারেল ফ্রান্সিস ওগোল্লা, রাষ্ট্রপতির প্রধান সামরিক উপদেষ্টাও ছিলেন। তবে বিবিসি এসব প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

খবরে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি কেনিয়ার রিফট ভ্যালিতে নেমে এসেছিল এবং আগুনে ফেটে পড়েছিল। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।

কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বলেন, হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধানে ঘটনাস্থলে তদন্ত দল পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের মাতৃভূমি তার সবচেয়ে বীর জেনারেলদের একজনকে হারিয়েছে। জেনারেল ওগোল্লার মৃত্যু আমাদের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি।

ওগোল্লা ১৯৮৪ সালে কেনিয়া প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর সঙ্গে একজন ফাইটার পাইলট এবং কেনিয়া এয়ার ফোর্সে (কেএএফ) একজন প্রশিক্ষক পাইলট হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন। ডেপুটি মিলিটারি চিফ হওয়ার আগে ওগোল্লা কেনিয়ার বিমান বাহিনীর প্রধান ছিলেন। গত বছর দেশটির প্রেসিডেন্ট তাকে পদোন্নতি দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান করেন।

;