খাসোগি হত্যা: মার্কিন প্রতিবেদনে সালমান দায়ী হতে পারে!
সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যার মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করা হতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাসোগি হত্যায় বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্সকে দায়ী করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চারজন মার্কিন কর্মকর্তা।
কর্মকর্তারা বলেছেন, জামাল খাসোগিকে হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন মোহাম্মদ বিন সালমান।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি সাংবাদিকদের বলেছেন খাসোগি হত্যার প্রতিবেদন বিষয়ে সৌদি বাদশার সঙ্গে কথা বলবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রিপোর্ট শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানান।
এদিকে গতকাল সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, খাসোগি হত্যা মিশনে ব্যবহৃত দুটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজের মালিক এমন একটা কোম্পানি, যেটি তখনকার সময় থেকে প্রায় এক বছর আগে জব্দ করেন সৌদির যুবরাজ।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি তৈরি করতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে সিআইএ। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিবেদনটিতে এমন মূল্যায়ন রয়েছে যে খাসোগি হত্যার অনুমোদন ও সম্ভবত আদেশ যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দিয়েছেন।
সৌদি সাংবাদিক এবং ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট, ৫৯ বছর বয়সী খাসোগি ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন। সেখানে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তার লাশ কেটে টুকরা টুকরা করে গায়েব করে দেওয়া হয়। তার দেহাবশেষ আর পাওয়া যায়নি।
সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কট্টর সমালোচক ছিলেন সাংবাদিক জামাল খাসোগি। সৌদি আরব প্রথমে খাসোগি খুন হওয়ার কথা অস্বীকার করে। পরে তারা স্বীকার করতে বাধ্য হয়।
খাসোগি হত্যায় সৌদির আদালত দেশটির পাঁচজন নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে খাসোগির পরিবার হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিলে তাদের সাজা কমিয়ে ২০ বছর করে জেল দেওয়া হয়েছে।