ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় শীর্ষ করোনা আক্রান্ত দেশ ভারত



কনক জ্যোতি, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় শীর্ষ করোনা আক্রান্ত দেশ ভারত

ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় শীর্ষ করোনা আক্রান্ত দেশ ভারত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারি করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যানে দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ এখন ভারত। ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের তোড়ে সোমবার (১২ এপ্রিল) ভারতের পরিস্থিতির এমন অবনতি ঘটে। তার আগে বহুদিন ব্রাজিল ছিল বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ করোনা আক্রান্ত দেশ আর আক্রান্তের নিরিখে প্রথম শীর্ষ দেশ এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে সোমবার (১২ এপ্রিল) অনেকগুলো শীর্ষ আন্তর্জাতিক মিডিয়ার লিড শিরোনাম ছিল 'COVID: India overtakes Brazil as world's second worst-hit country.'

লাতিন আমেরিকা থেকে করোনার ধাবমান বিস্তার ভারতের সঞ্চারিত হওয়ার ঘটনা পুরো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর শত কোটি মানুষের বিপদের ঝুঁকি বাড়িয়েছে। পাশাপাশি এ অঞ্চলে অবস্থিত ভারতের প্রতিবেশী  দেশগুলোর চিন্তা আর উদ্বেগও বৃদ্ধি করেছে বহুগুণে।

করোনার নতুন ধরন বা স্টেইন-এর উপর্যুপরি হামলার ধারাবাহিকতায় বিশ্বে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় ঢেউয়ের পটভূমিতে ক্রমবর্ধিষ্ণু মৃত্যু ও আক্রান্ত বৃদ্ধির নিরিখে ভারতে সৃষ্টি হয়েছে বিপজ্জনক পরিস্থিতি। সেখানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের ধাক্কায় পরিস্থিতি ক্রমেই বেসামাল হচ্ছে ভারতে। গত ৬ দিন ধরে টানা এক লক্ষ ছাড়িয়েছে দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯১২ জন। এক দিনে আক্রান্তের নিরিখে যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ।

গত বছর থেকে এখনও অবধি ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৭১৭ জন। সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশের দৈনিক মৃত্যুও বেড়েছে গত কয়েক দিনে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৯০৪ জনের। গত বছর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের পর ফের এত জনের মৃত্যু হল এক দিনে। ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট ১ লক্ষ ৭০ হাজার ১৭৯ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনাভাইরাস, যার ফলে বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষ আক্রান্ত দেশে পরিণত হয়েছে ভারত।

সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাকে এক লাফে অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৯৩ হাজার। এই বৃদ্ধির জেরে ভারতে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১২ লক্ষ ১ হাজার ৯ জন। করোনার প্রথম পর্বেও এত সংখ্যক সক্রিয় রোগী ছিল না দেশে। পাশাপাশি গত কয়েক দিনে বেড়েছে সংক্রমণ হারও।

ভারতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ফের তৎপর হয়েছে  প্রশাসন। মধ্যপ্রদেশে ইতিমধ্যেই সপ্তাহান্তে লকডাউন শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্রেও সপ্তাহান্তে লকডাউনের পাশাপাশি রাত্রিকালীন কার্ফু চলছে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার কোনও লক্ষণ নেই। ১৪ এপ্রিলের পর সম্পূর্ণ লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে সে রাজ্যের প্রশাসন।

বিপজ্জনক এই পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতে চলছে টিকা উৎসব। ৪৫ বছরের বেশি বয়সি সকলে টিকা পাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে টিকা নিয়েছেন ২৯ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪১৮ জন। এ নিয়ে ভারতে মোট ১০ কোটি ৪৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৫৬৫ কোভিড টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। ভারত টিকাকরণের নিরিখেও বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ।

ভারতের নানা আচার-উৎসব এবং পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, কেরালা ও পণ্ডিচেরি, এই চার রাজ্যে নির্বাচন করোনা পরিস্থিতিকে নাজুক করেছে। কোটি কোটি মানুষ নির্বাচনের প্রচারণা ও ভোটের কারণে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অগ্রাহ্য করেছে। মানুষের বেপরোয়া চলাচলের ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া হয়েছে করোনার ব্যাপক বিস্তার ও সংক্রমণের মাধ্যমে। এমনকি, সমাজের সাধারণ স্তর থেকে সর্বোচ্চ বিচারালয়ের হানা দিয়েছে করোনার থাবা।

ভারতেট শীর্ষ আদালতেও করোনার থাবায় বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত তথ্যের বরাতে জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী কোভিড পজিটিভ। যার ফলে আপাতত বাড়ি থেকেই শুনানি হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত শনিবারই (১০ এপ্রিল) আদালতের প্রায় ৪৪ জন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হন। এরপরই অন্যান্য কর্মীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দেয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে। আদালতের কাজকর্ম নিয়েও সমস্যা দেখা দেয়। ফলে বাড়িতে বসেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারপতিরা।

ইতিমধ্যেই আদালত চত্বর-সহ প্রায় সবকটি ঘরই স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এবার নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পরে আদালতের সিঙ্গল বা ডিভিশন বেঞ্চগুলো বসবে। গত বছরও সংক্রমণ শুরু হতেই সুপ্রিম কোর্টে একাধিক বিচারপতি, কর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখন বাড়িতে বসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই শুনানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরের শুরুতে দেশজুড়ে টিকাকরণ শুরু হতেই সেই সিদ্ধান্ত কিছুটা শিথিল করা হয়।

আইনজীবীদের জানানো হয়েছিল শুনানিতে প্রয়োজনে তারা আদালতে উপস্থিত থাকতে পারেন। না চাইলে বাড়িতে বসেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে অংশগ্রহণ করা যাবে। কী করবেন সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ তাদের নিজেদের। এবার কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হতেই ভারতের রাজধানী দিল্লি সহ দেশের একাধিক রাজ্যে আক্রান্তের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। সেই আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরেও।

ফলে সোমবার (১২ এপ্রিল) শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবার বিচারপতিরা বাড়িতে বসে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া পরিচালনা করবেন। যেমন আগেরবার করা হচ্ছিল। সেকেন্ড ওয়েভের বাড়বাড়ন্ত শুরু হতেই ফের পুরোনো সেই পদ্ধতি অনুসরণ করা হল। সংক্রমণ না কমা পর্যন্ত বিচার প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। 

এদিকে, ক্রমবর্ধিষ্ণু সংক্রমণের নিরিখে ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে সবথেকে ভয়াবহ অবস্থা মহারাষ্ট্রের। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ২৯৪ জন। যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ। একদিনে সে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৪৯ জনের। উত্তরপ্রদেশে দৈনিক আক্রান্ত ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। কর্নাটক, দিল্লি এবং ছত্তীসগঢ়েও সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। তামিলনাড়ু এবং কেরালায় আক্রান্ত সাড়ে ৬ হাজারের বেশি। গুজরাত এবং মধ্যপ্রদেশে আক্রান্ত সাড়ে পাঁচ থেকে ছ’হাজারের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। রাজস্থানে তা পাঁচ হাজারের আশপাশে। পশ্চিমবঙ্গেও গত ক’দিনে দৈনিক আক্রান্ত বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজারেরও বেশি। অন্ধ্রপ্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার, পাঞ্জাবে দৈনিক আক্রান্ত তিন থেকে সাড়ে তিন হাজারের আশপাশে। ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড এবং ওড়িশাতেও দৈনিক আক্রান্ত গত কয়েকদিনে বেড়েছে। হিমাচল প্রদেশ, গোয়াতেও ৫০০-র আশপাশে রয়েছে দৈনিক সংক্রমণ। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের রেশ তেমন নেই। সিকিমেও সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত ক’দিনে সেখানে ২০-২৫ জন করে আক্রান্ত হচ্ছিল। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ জন। করোনার এহেন সামগ্রিক পরিস্থিতি ভারতকে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ আক্রান্ত দেশে পরিণত করেছে।

   

 ৯৯ টি  রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করার দাবি ইউক্রেনের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রুশ বাহিনী ইউক্রেনে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে ৯৯টি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৫৮টি ড্রোন এবং দুই ডজনেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছে।


শুক্রবার বিমান বাহিনীর এক বিবৃতিতে কিয়েভ বলেছে, ৮৪টি বিমান লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে  ৫৮টি শাহেদ ড্রোন এবং ২৬টি ক্ষেপণাস্ত্র।

এই ড্রোনগুলো দিয়ে ওডেসা, খারকিভ, নিপ্রোপেট্রোভস্ক, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে হামলা করে রাশিয়া। জাপোরিঝিয়ার গভর্নর জানিয়েছেন, এই ড্রোন হামলায় দুই নারী আহত হয়েছেন। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করেছে।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুলেবা দুই দিনের সফরে ভারতে এসেছেন। শুক্রবার তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি ভারতের উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গেও কথা বলবেন। রাজঘাটে গিয়ে মহত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধাও জানাবেন।

গত সপ্তাহেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট  পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।

রাশিার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ‘পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্রসহ কোনো ন্যাটো দেশকে আক্রমণ করার কোনো পরিকল্পনা রাশিয়ার নেই।  তবে তারা যদি ইউক্রেনকে এফ ১৬ বিমান দেয়, তাহলে রাশিয়া তা ধ্বংস করে দেবে।’

পুতিন বলেছেন, ‘ওরা এফ১৬ পাবে বলে পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। কিন্তু এফ১৬ পেলেও যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি বদলাবে না।’

;

হিজবুল্লাহর রকেট ইউনিটের উপপ্রধানকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লেবাননে শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর রকেট ইউনিটের উপপ্রধানকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের বাজুরিয়েহতে তাদের বিমান বাহিনীর হামলায় আলী আবদেল হাসান নাইম নামের হামাসের ওই কমান্ডার নিহত হয়েছেন।

আইডিএফ জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর রকেট ফায়ারের অন্যতম নেতা এই নাইম ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে হামলা পরিচালনা ও পরিকল্পনার জন্য দায়ী।

এদিকে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে ইসরায়েলকে প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক আদালত সর্বসম্মতভাবে ইসরায়েলকে এই নির্দেশ দিয়েছে। তবে হামাস নেতারা বলেছেন, মানবিক সংকট ঠেকাতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

গাজায় রাষ্ট্র পরিচালিত গণহত্যার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করা মামলার অংশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন ব্যবস্থার অনুরোধ করেছিল আদালতকে। পরে আদালত এই নির্দেশ দেয়।

বার্তা সংস্থা রয়র্টাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। গাজার আল শিফা হাসপাতালের চারপাশে ইসরায়েলি বাহিনী এবং ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা লড়াই করার সময় এই আদেশটি এলো।

আদালতের বিচারকরা বলেছেন, গাজার মানুষরা আরও খারাপ অবস্থার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। বিচারকরা আদেশে বলেছেন, আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে গাজার মানুষেরা শুধুমাত্র দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে না বরং সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।

;

বিয়ে করলেন জোড়া মাথার অ্যাবি-ব্রিটানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত জোড়া লাগা দুই বোন অ্যাবি ও ব্রিটানি হেনসেল তিন বছর আগে বিয়ে করেছেন মার্কিন সেনা সদস্য জোশ বোলিংকে। তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, চিন্তাভাবনাও ভিন্ন হলেও স্বামী একজনই। তারা মূলত মিনেসোটার বাসিন্দা।

মার্কিন গণমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত অ্যাবি ও ব্রিটানির শরীর এক হলেও মাথা সম্পূর্ণ আলাদা। তাই তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, চিন্তাভাবনাও ভিন্ন। এমনকি খাবারের প্রতি ভালোবাসাতেও আসে পার্থক্য। কারণ তাদের হৃৎপিণ্ড, পিত্তাশয় ও পাকস্থলী আলাদা। তাই ক্ষুধাও আলাদা সময়ে পায়।

প্যাটি-মাইক দম্পতির ঘরে ১৯৯০ সালে জন্ম নেন এই যমজ দুই বোন। জন্মের সময় যমজ সন্তানদের আলাদা করলে তাদের বাঁচানো সম্ভব হতো না। তাই অপারেশন করে আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেয়নি পরিবার। ১৯৯৬ সালে দ্য অপরাহ উইনফ্রে শো এবং লাইফ ম্যাগাজিনের কভারে উপস্থিতির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসেন অ্যাবি ও ব্রিটানি।

জোশ বোলিং-এর ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ২০ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বিয়ের রিসেপশনে দম্পতি নাচ ও চুম্বন করছেন। সেখানে একটি সাদা, স্লিভলেস ব্রাইডাল গাউন এবং লেস-ব্যাক পোশাক পরেছিলেন অ্যাবি ও ব্রিটানি।

;

মস্কোতে সন্ত্রাসী হামলায় এখনও নিঁখোজ প্রায় ১০০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসী হামলায় সর্বশেষ নিহতের সংখ্যা ১৪০ জন বলে জানিয়েছে রাশিয়া। তারা জানিয়েছে ওই হামলায় আহতের সংখ্যা ১৮২ জন। হামলার পর ৯৫ জনের মতো এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

বাজা নিউজ সার্ভিসের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এই তালিকায় এমন লোকও রয়েছেন যাদের সঙ্গে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে আত্মীয়রা যোগাযোগ করতে পারেননি। এর মধ্যে যারা মারা গেছেন, তবে এখনও তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

গত ২২ মার্চ রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছিল। হামলার সময় সামরিক ইউনিফর্ম পরা চার সন্ত্রাসী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে, বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এর আগে সন্ত্রাসীর সংখ্যা পাঁচ বলে জানানো হয়েছিল।

ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গেছে পাঁচ শতাধিক রাউন্ড গুলি। রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারপারসন দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ‘রাশিয়া রক্ত ​​দিয়ে এর প্রতিশোধ নেবে। সন্ত্রাসীরা বোঝে শুধু সন্ত্রাসের ভাষা। বলপ্রয়োগ না করলে এবং সন্ত্রাসীদের পরিবারসহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তদন্ত করে কোনও লাভ নেই।’

আরটি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তকারী সংস্থার দাবি, পরিকল্পনা করেই ওই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। আক্রমণকারীদের জন্য ক্রোকাস সিটি হলে অস্ত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

মস্কোর দাবি, একজন অভিযুক্ত হামলাকারী অপরাধ স্বীকার করে পুরো পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। প্ল্যান ছিল, হামলাকারীরা আক্রমণ করার ইউক্রেনের দিকে চলে যাবে। এক্ষেত্রে তিন হামলাকারীর ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। রাশিয়া বলেছে, সন্ত্রাসীরা পুরো হল পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তদন্তের সময় হলটিতে রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া গেছে।

এদিকে, ওই হামলার পর থেকে ভিকটিমদের খুঁজে পেতে সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছে রাশিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলো। ‘ক্রোকাস হেল্প সেন্টার’ নামক একটি টেলিগ্রাম চ্যাটে জড়ো হওয়া ভিকটিমদের বন্ধু এবং আত্মীয়রাও নিজেদের মতো করে খোঁজ চালাচ্ছেন।

এদিকে, বেশ কয়েকজন নিখোঁজ ব্যক্তিকে মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে, যেমন ১৫ বছর বয়সি আর্সেনি, যিনি তার মা ইরিনা ভেদেনেইভার সঙ্গে কনসার্টে গিয়েছিলেন। রবিবার শট টেলিগ্রাম চ্যানেল আর্সেনির একটি ছবি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, তিনি কনসার্ট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে দাদিকে এই ছবি পাঠিয়েছিলেন এবং তাঁর লাশ পাওয়া গেছে।

তার মাকে ইতিমধ্যেই মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত নিশ্চিত মৃতদের তালিকায় মা ও ছেলে উভয়ের নাম রয়েছে।

;