দিদির সময় শেষ, বাংলায় সরকার গড়বে বিজেপি: মোদি
দিদির (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের) সময় শেষ। আগামী ২ মে দিদি বিদায় নেবেন এই বাংলা থেকে। সোনার বাংলা গড়তে বিজেপি সরকার আসবে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে দিদির।’
সোমবার (১২ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গে এসে বিজেপি আয়োজিত তিনটি নির্বাচনি জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। মোদি তিন জনসভা করেছেন পূর্ব বর্ধমানের তালিত, নদীয়ার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় ময়দান এবং উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসাতের কাছারি ময়দানে।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচনে ইতোমধ্যে চার দফা ভোট গ্রহণ হয়ে গেছে। আরও চার দফা বাকি আছে। তবে বর্ধমানে মোদি বলেন, ‘চার দফা নির্বাচনেই তৃণমূল সাফ হয়ে গেছে। চার দফাতেই সেঞ্চুরি করেছে বিজেপি। আর নন্দীগ্রামে তো দিদি ক্লিন বোল্ড হয়ে গেছেন। দিদির খেলা এবার শেষ হয়ে গেছে। ওরা মাঠের বাইরে চলে গেছে।’
মোদি আরও বলেন, ‘এই বাংলা থেকে কংগ্রেস, বাম দল চলে গেছে। আর ফেরেনি। তৃণমূল এবার চলে গেলে আর ফিরবে না। আর দিদির গড়া টিএমসি কোম্পানি এবার তুলে দেওয়া হবে ভাইপোর হাতে। এই বাংলা আর চায় না তৃণমূলের দুঃশাসন। বাংলা চায় না দিদির ভাইপোর হিংসার খেলা। বাংলা চায় এই বাংলার উন্নয়ন, শিক্ষা, শিল্প, কর্মসংস্থান আর নারীশিক্ষার উন্নয়ন। বাংলা চায় এই বাংলায় আসুক বিজেপি সরকার। বাংলা চায় না ভোগের সরকার। চায় ত্যাগের সরকার, সেবার সরকার।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার মানুষদের ত্যাগের সরকার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিজেপি। বাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানি দিয়ে দিদি রাজ্যে অশান্তি সৃস্টি করেছেন। বাংলার মানুষ শান্তি চায়। তোষণের রাজনীতি চায় না। হিংসার রাজনীতি চায় না।’
নদীয়ার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় ময়দানে আয়োজিত জনসভায় মোদি বলেন, ‘এই বাংলায় এবার নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি হতে চলেছে। দিদির কুশাসন থেকে মুক্ত হচ্ছে বাংলা। আগামী দুদিন পর বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন থেকে দিদির পতনের কাউন্টডাউন শুরু হবে।’
মোদি বলেন, ‘এই বাংলার মতুয়া সম্প্রদায় থেকে শুরু করে সব পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য সব ধরনের সুযোগ–সুবিধা দেওয়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। দিদির জন্যই এত দিন এই বাংলার নানা উন্নয়ন প্রকল্পে ব্রেক কষে দিতেন দিদি। দিদির সেই সুযোগ এবার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। দিদি বিদায় নিচ্ছেন। ছাড়ছেন মুখ্যমন্ত্রীর পদ।’