ভারতে আজও আক্রান্ত ৩ লাখের বেশি
করোনা সংক্রমণে আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে ভারত। বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় কোভিড -১৯ আক্রান্ত দেশ ভারত, কেবল যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে দেশটি।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকালে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস (কোভিড -১৯) নতুন করে ৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৩০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং ২ হাজার ২৬৩ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানানো হয়, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি এবং গুজরাটসহ দশটি রাজ্যে নতুন আক্রান্ত সংখ্যা ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশটিতে মোট সংক্রমণের পরিমাণ ১ কোটি ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯৫ জন এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯২০।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত কোভিড -১৯ সংক্রমণ এবং মৃত্যুর রেকর্ড করছে যার ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, এই বিস্তার রোধে কেন্দ্রীয় সরকার আরও একটি দেশব্যাপী লকডাউন বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হতে পারে।
এদিকে শুধু ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৩০৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে দেশটিতে এখনো পর্যন্ত ১৩.৫৩ কোটি মানুষকে কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ লাখের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
দেশটিতে এখনো পর্যন্ত ২৭৪ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে যার মধ্যে বৃহস্পতিবারেই ১৭ লাখ ৪০ হাজার ৫৫০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ভারত বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় কোভিড -১৯ প্রভাবিত দেশ, কেবল যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কাল বৃহস্পতিবার ( ২২ এপ্রিল) দেশটিতে করোনাভাইরাসে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৮৩৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং ২ হাজার ১০৪ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
এর আগের দিন বুধবার ( ২১ এপ্রিল) দেশটিতে করোনাভাইরাসে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৪১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিলো এবং এ সময় মারা গিয়েছিলো ২ হাজার ২৩ জন।
এদিকে মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেন, 'ঝড়ের মতো করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। আপনারা যে পীড়া সহ্য করছেন, তা আমি জানি। যারা আপনজনদের হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। এই চ্যালেঞ্জ খুব বড়। কিন্তু আমাদের সবাইকে মিলে এই বিপদ মোকাবিলা করতে হবে।'
এ সময় তিনি রাজ্য সরকারগুলিকে কেবলমাত্র শেষ উপায় হিসাবে সম্পূর্ণ শট ডাউন বিবেচনা করতে বলেছে সাথে বলেছেন "আমাদের মাইক্রো কন্টেন্টমেন্ট জোনগুলিতে মনোনিবেশ করতে হবে এবং লকডাউন এড়াতে আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।"