কলকাতায় ফাঁকা হচ্ছে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়
বিধানসভা নির্বাচনে জিতে যাবে এ ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত ছিল পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি। তবে ২০২১ সালের এই নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এই খবর ছড়িয়ে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপির মিডিয়া সেন্টার ফাঁকা হয়ে গেছে।
রোববার (২মে) বেসরকারি ফলাফলে ২৯২ আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ২০৩ আসন। আর ৮৮টি আসনে বিজেপি জয় লাভ করেছে।
কলকাতার ৬, মুরলীধর সেন লেনের সদর দফতরের উপরে শুধু ভরসা না রেখে শহরের হেস্টিংস এলাকার কাছে আলাদা নির্বাচনী কার্যালয় বানায় বিজেপি। মূলত কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উদ্যোগেই ১০ তলা বাড়ির ৪টি তলা নিয়ে তৈরি হয় সেই কার্যালয়। সেখানে সব রাজ্য নেতার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের আলাদা আলাদা কক্ষ তৈরি হয়। অত্যাধুনিক ‘কল সেন্টার’ তৈরি করে পেশাদার কর্মীও নিয়োগ করে দলটি। সেই কার্যালয়ে গত কয়েক মাস সব সময় ভিড় লেগে থাকত। শুধু বিজেপি কর্মীদের নয়, সংবাদমাধ্যমের ভিড়ও লেগে থাকত। কিন্তু নির্বাচনে পরাজয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় সেই কার্যালয় রোববার (২মে) প্রায় ফাঁকা হয়ে রয়েছে।
নির্বাচন ঘিরে আয়োজন কম ছিল না। করোনাবিধি মানার জন্য এই বাড়ির পঞ্চম তলায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের জন্য আলাদা আলাদা কেবিন তৈরি করা হয়। প্রতিটি কেবিনে আলাদা করে সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য রাজ্য নেতাদের কয়েকজনকে দায়িত্বও দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সব আয়োজন কার্যত বৃথা হয়ে যায়। রাজ্য নেতারা কেউ কেউ উপস্থিত থাকলেও তারা নিজের নিজের কক্ষেই রয়েছেন।
রাজ্যের এক শীর্ষ নেতার ভাষ্য, ‘সেনাপতি হয়েছিলেন যারা, জিতলে তারা কৃতিত্ব নিতেন। এখন হারের দায়ও নিতে হবে।’
বিজেপির ওই নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহদের নাম উল্লেখ না করলেও তাদের দিকেই যে আঙুল তুলেছেন তার ইঙ্গিত স্পষ্ট।