ইরানে কিভাবে ইসরাইলের গোপন অভিযান চলে তা জানালেন মোসাদপ্রধান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলি গোয়েন্দারা কিভাবে ইরানে গোপন অভিযান চালায় তার বিশদ বিবরণ তুলে ধরেছেন দেশটির গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের সদ্য বিদায়ী প্রধান ইয়োসি কোহেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পরমাণু আর্কাইভে ঢুকে কীভাবে হাজার হাজার নথি বের করে নেওয়া হয়েছে, তার রোমহর্ষ বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।

ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস এবং একজন পরমাণুবিজ্ঞানী হত্যায় ইসরায়েলের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিতও দিয়েছেন ইয়োসি কোহেন।

শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েলের চ্যানেল ১২–এর ইউভডা ডকুমেন্টারি প্রোগ্রামে সাংবাদিক ইলান ডায়ানকে ওই সাক্ষাৎকার দেন কোহেন। ওই ডকুমেন্টারি ইসরায়েলি টেলিভিশনে গত বৃহস্পতিবার রাতে সম্প্রচার হয়। সাক্ষাৎকারে মোসাদের কার্যক্রমের গোপন অনেক বিষয় সামনে এসেছে। কোহেন পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে মোসাদকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর গত সপ্তাহে অবসরে যান।

২০১৮ সালে ইরানের ওয়্যারহাউসে হামলা চালিয়ে পরমাণু কর্মসূচিসংক্রান্ত হাজার হাজার নথি চুরি করে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। ২০১৮ সালে নেতানিয়াহু এক সংবাদ সম্মেলনে চুরি করা ওই সব নথি দেখিয়ে দাবি করেছিলেন, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। ইরান বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, সাক্ষাৎকারে কোহেন বলেছেন- ‘ওই অপারেশন পরিকল্পনা করতে দুই বছর সময় লেগেছিল। এর সঙ্গে ২০ জন মোসাদ এজেন্ট মাঠপর্যায়ে যুক্ত ছিলেন। তবে এসব এজেন্টের কেউই ইসরায়েলের নাগরিক ছিলেন না। তেল আবিবের কমান্ড সেন্টার থেকে গোয়েন্দাপ্রধান ওই অপারেশন দেখছিলেন। এজেন্টরা ওয়্যারহাউস ভেঙে ঢুকে পড়ে ৩০টি সিন্দুক ভাঙেন। স্ক্রিনে যখন ওই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো দেখানো হয়, তা ছিল আমাদের জন্য দারুণ রোমাঞ্চকর।’

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মোসাদের সাবেক প্রধান হিসেবে গণমাধ্যমের সামনে বিশেষ কিছু বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার ঘটনা একেবারে নতুন নয়। তবে ইয়োসি কোহেনের মন্তব্যে যে মাত্রায় বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে, তা অসাধারণ।

এদিকে টাইমস অব ইসরায়েল এই সাক্ষাৎকারকে ‘বিস্ময়জাগানিয়া’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কোনো রোমাঞ্চধর্মী গল্পের মতোই কোহেন তাড়ার মুখে এজেন্টদের সিন্দুক ভেঙে ইরানের পারমাণবিক তথ্য বের করে আনার এবং তা দেশের বাইরে পাঠানোর ঘটনা বর্ণনা করেন।

অন্য আরেক জায়গায় ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর বিষয়টি স্বীকার করার কাছাকাছি চলে আসেন। তবে ওই সাক্ষাৎকারটি যথেষ্ট হিসাব–নিকাশ করেই প্রচার করা হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সেন্সরও পার হয়েছে। এ ছাড়া সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের সময়টিও গুরুত্বপূর্ণ। পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের সমঝোতা চুক্তি যখন নতুন করে জীবন পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে, সে সময় সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হলো।

ইরান থেকে হাজার হাজার নথি হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি খোলাখুলিই বলে আসছে ইসরায়েল। তবে কোহেন ইরানে মোসাদের অন্য অপারেশন সম্পর্কেও ইঙ্গিত দিয়েছেন, যা এত দিন গুঞ্জন হিসেবেই দেখা হতো। সাক্ষাৎকারের শুরুতেই কোহেন ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনা নিয়ে কথা বলেন।

ইরানের ভাষ্য, গত বছরের জুলাই মাসে তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় হামলার ঘটনায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ বছরের এপ্রিল মাসে নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপনের পরদিনই ইরানের কর্মকর্তারা সেখানে আবার হামলা ও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কথা জানান। ওই ঘটনায় ইরানের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের প্রতি পারমাণবিক সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ করা হয়।

কোহেন তার সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, তিনি ইরানের ওই স্থাপনা সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানেন। এমনকি তিনি ওই স্থাপনার ঘূর্ণমান সেন্ট্রিফিউজের কাছ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘ইরান যে সেলার ব্যবহার করে সেটা ঘূর্ণমান। এখন অবশ্য এ ধরনের সেলার ব্যবহৃত হয় না।’

সাক্ষাৎকারে ইরানের পরমাণুবিজ্ঞানী মহসেন ফাখরিজাদেকে নিয়েও কথা বলেন কোহেন। গত বছরের নভেম্বরে তেহরানের বাইরে তার ওপর হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনার জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দোষারোপ করে ইরান।

ওই বিজ্ঞানীর মৃত্যুর ঘটনায় ইসরায়েলের যুক্ত থাকার কথা স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটাই করেননি কোহেন। তবে তিনি বলেন, ওই বিজ্ঞানী দীর্ঘদিন ধরেই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলন। কারণ, তার বৈজ্ঞানিক প্রজ্ঞা মোসাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

কোহেন বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ইসরায়েলের জনগণের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠেন, তবে তাকে বর্তমান কার্যক্রম থামাতে হবে। তবে কেউ যদি পেশা পরিবর্তন করে এবং আমাদের আর ক্ষতি না করেন, তবে তিনি বেঁচে যাবেন।’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২০১৫ সালে কোহেনকে মোসাদের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পর ১৯৮২ সালে মোসাদে যোগ দিয়েছিলেন কোহেন।

   

৩টি ইসরায়েলি ড্রোন ধ্বংস করলো ইরান, ভিডিও প্রকাশ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের ইসফাহান শহরে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে ইসরায়েলি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তবে ইরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কয়েকটি মিনি ড্রোন হামলা হয়েছে এবং সেগুলোকে প্রতিহত করতে সেখানে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। এর ফলেই দেশের কয়েকটি অঞ্চলে প্রচণ্ড শব্দ শোনা গেছে।

রাজধানী তেহরান থেকে ইসফাহান প্রদেশে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো অবস্থিত। দেশটির অন্যতম বড় সামরিক বিমান ঘাঁটিও রয়েছে এখানে। আর প্রদেশের নাতানজ্ শহরটিকে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দু বলা চলে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন নির্ভরযোগ্য সূত্রের কথা উল্লেখ করে দাবি করেছে সেখানকার পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুরোপুরি নিরাপদেই আছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইবি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কয়েকটি মিনি ড্রোনকে প্রতিহত করতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। এর ফলেই দেশের কয়েকটি অঞ্চলে প্রচণ্ড শব্দ শোনা গেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির বরাতে বিবিসি আরও জানিয়েছে, ইসফাহান শহরের আকাশে তিনটি ড্রোন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। আর রয়টার্সের বলছে, দেশের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার পরে ওই তিনটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়। পরে ড্রোন ধ্বংস করার একটি ভিডিও প্রকাশ করে বিবিসি। ভিডিওটি স্থানীয় এক বাসিন্দার কাছ থেকে পাওয়া বলে উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।

এদিকে সাময়িকভাবে ইরানের আকাশে বিমান চলাচল বন্ধ হওয়ার পর তেহরানের প্রধান বিমানবন্দর পুনরায়  ফ্লাইট চালু করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, তেহরানের ইমাম খামেনেয়ি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবার ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে কেন্দ্রীয় প্রদেশ ইসফাহানে বিস্ফোরণের পর ইরানের বেশিরভাগ অংশে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়।

;

হামলার পর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করল ইরান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু তেহরানের দাবি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নয়, বেশ কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ইরানের ইসফাহান শহরের বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে ইরানি বার্তাসংস্থা ফার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এ হামলার পরপরই ইরানের কয়েকটি শহরে আকাশ প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে। ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আইআরএনএর খবরে বলা হয়, ইরানের বেশ কয়েকটি প্রদেশের আকাশে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ইসরায়েলকে ইরানে পাল্টা হামলা না চালানোর আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েল সেসব আহ্বান উপেক্ষা করে ইরান, সিরিয়া ও ইরাকে সিরিজ হামলা চালিয়েছে।

উল্লেখ্য, গেল ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানের কূটনৈতিক কম্পাউন্ডে সন্দেহভাজন ইসরাইলি হামলার ‘প্রতিশোধ’ হিসেবে ইরান গত সপ্তাহান্তে ইসরাইলের ওপর প্রথমবারের মতো সরাসরি হামলা চালায়। এরপর থেকেই চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে দুপক্ষের মধ্যে। নতুন করে ইসরাইলের হামলা আগুনে ঘি ঢাললো বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

 

;

ইরানের পর সিরিয়া-ইরাকে ইসরায়েলের সিরিজ হামলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনার মধ্যেই সিরিয়া ও ইরাকে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।সিরিয়ায় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের সরকারি বার্তাসংস্থা ইরনার বরাত দিয়ে আল জাজিরা ও এবিসি নিউজ।

ইরনা বলছে, আদ্রা এবং আল-থালা সামরিক বিমানবন্দর এবং দক্ষিণ সিরিয়ার আদ্রা শহর ও কারফা গ্রামের মধ্যে অবস্থিত একটি রাডার ব্যাটালিয়নে হামলা হয়েছে। এদিকে, ইরাকের আল-ইমাম এলাকায়ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

এর আগে, মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি নিউজের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, ইরানের একটি স্থানে ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। ইসরাইলের স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে এ হামলা চালানো হয় বলে এবিসি নিউজকে জানিয়েছেন সিনিয়র একজন মার্কিন কর্মকর্তা। 

প্রতিবেদনে ইরানের ইসফাহান শহরে বিস্ফোরণের খবরও দেয়া হয়। তবে স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ইসফাহান শহরে নয়, শহরটির কাছে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে এ হামলায় কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

অন্যদিকে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইরানের অন্তত তিনটি শহরে বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এবিসি নিউজ। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, কাহজাভারিস্তান শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর তেহরান, ইসফাহান এবং শিরাজের ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। কাহজাভারিস্তান শহরটি ইসফাহান বিমানবন্দর এবং ইসফাহানের উত্তর-পশ্চিমে সেনা বিমান বাহিনীর অষ্টম শেখারি ঘাঁটির কাছে অবস্থিত বলে জানা গেছে। 

উল্লেখ্য, গেল ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানের কূটনৈতিক কম্পাউন্ডে সন্দেহভাজন ইসরাইলি হামলার ‘প্রতিশোধ’ হিসেবে ইরান গত সপ্তাহান্তে ইসরাইলের ওপর প্রথমবারের মতো সরাসরি হামলা চালায়। এরপর থেকেই চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে দুপক্ষের মধ্যে। নতুন করে ইসরাইলের হামলা আগুনে ঘি ঢাললো বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

;

ক্ষেপণাস্ত্র নয়, ড্রোন ভূপাতিত হয়েছে: ইরান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে খবর দিয়েছে আল জাজিরা, এবিসি নিউজসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম।

কিন্তু সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান বলেছেন, তারা বেশ কয়েকটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে এবং দেশটিতে এখনও কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।

শুক্রবার পৃথক পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া ও টাইমস অব ইসরাইল। 

তবে এর আগে, বার্তাসংস্থা ফারস জানিয়েছে, ইরানের ইসফাহান শহরের কাছে অবস্থিত শেখারি সেনা বিমান ঘাঁটির কাছে ‘তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ’ শোনা গেছে। 

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এবিসি এবং সিবিএস নিউজ জানায়, ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর বিষয়ে হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছে, ‘এই মুহূর্তে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।’

 

;