ফের করোনার নতুন প্রজাতি, সতর্ক ব্রিটেন



কনক জ্যোতি, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের উহানে দেড় বছর আগে উদ্ভূত করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারির যে তাণ্ডব তৈরি করেছে, তাতে বার বার রূপ বদল করেছে। এখন পর্যন্ত করোনার এক ডজন ভ্যারিয়্যান্ট বা প্রজাতির হাদিস পেয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, ব্রিটেনে ফের করোনার নয়া প্রজাতির দেখা মিলেছে। পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড (Public Health England) করোনাভাইরাসের একটি নতুন স্ট্রেন চিহ্নিত করেছে। ব্রিটেনে ১৬ জনের দেহে মিলেছে এই নয়া স্ট্রেন। গোটা ব্যাপারটা নিয়ে এখন খতিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সতর্ক রয়েছে পুরো ব্রিটেন।

ব্রিটেনের অনলাইন নিউজ পেপার ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, এই ভেরিয়েন্ট নিয়ে তদন্ত চলছে। এই নতুন প্রজাতির নাম B.1.621। জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত এই স্ট্রেন সম্পর্কে বেশি কিছু জানা যায়নি। এমন কোনও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি, যার ভিত্তিতে বলা যেতে পারে, এই ভেরিয়েন্টে ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা কম হবে, বা এর প্রভাবে কোনও ব্যক্তি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এমন কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। তাই এখনই আতঙ্কিত হবার মতো ব্যাপার ঘটেনি।

এই ভেরিয়েন্টটি ব্রিটেনে নতুন, তবে বিশ্বের নিরিখে এই ভেরিয়েন্টটি পুরনো। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কলোম্বিয়াতে প্রথম এই ভেরিয়েন্টটির খোঁজ মিলেছিল। ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, 'বেশিরভাগ সংক্রমণের ঘটনা বিদেশে ভ্রমণের সঙ্গে যুক্ত। এখনও দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণের কোনও প্রমাণ নেই।'

উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্রিটেনে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডেল্টা ভেরিয়েন্টের জেরেই পরিস্থিতি খারাপ হয়ে উঠেছে। তবে এর মধ্যেও ব্রিটেনে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হলেও দিনে গড়ে ৩১,৭৯৪টি করোনা কেসের ঘটনা সামনে এসেছে।

অন্যদিকে শীতকালে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্ট থাবা বসাতে পারে বলে গোটা বিশ্বকে সতর্ক করেছেন ফ্রান্সের গবেষক জ্যঁ-ফসোয়াঁ দেলফেসি। তদুপরি, করোনাভাইরাসের রূপ বদল নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার পর একাধিকবার ভোল বদলেছে করোনাভাইরাস। আলফা, বিটা, ডেল্টা, গামা ভ্যারিয়্যান্টগুলোর দাপটে গোটা বিশ্ব। বর্তমানে ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্ট দাপট দেখাচ্ছে গোটা বিশ্বে। যার ফলে তৃতীয় এবং কোথাও কোথাও করোনার চতুর্থ ঢেউ-এর পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে।

   

মুস্তফাকে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী করে ফিলিস্তিনের নতুন মন্ত্রিসভা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তফা বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) একটি নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন, যেখানে তিনি রিয়াদ আল-মালিকির স্থলাভিষিক্ত হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন।

ওয়াফা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ওই মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছেন।

এদিকে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলা থামছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ৭৬ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে।

এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৩২ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে এবং আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৭৫ হাজার জনে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) লাইভ আপডেটে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অক্টোবর মাস থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৪৯০ জনে।

এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া এই প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাত থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে।

এ প্রস্তাবে নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। কোনো পক্ষ যুদ্ধবিরতি ও এর শর্তগুলো বাস্তবায়নে যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে তা হবে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের শামিল।

;

রাজধানী সরিয়ে নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া, জাকার্তাকে বিশেষ মর্যাদা ঘোষণা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বায়ুদূষণসহ বেশ কিছু সমস্যার কারণে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে বোর্নিও দ্বীপে স্থানান্তর করা হচ্ছে। এর আগেই জাকার্তাকে দেশটির অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসবে মনোনীত করেছে ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্ট।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বোর্নিও দ্বীপের পূর্ব কালিমান্তান জঙ্গলের নুসানতারা অঞ্চলটিকে নতুন রাজধানী হিসেবে সাজানোর জন্য ৩২ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প হাতে নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া সরকার।

বর্তমান রাজধানী জাকার্তা অত্যন্ত জনবহুল আর যানজটপূর্ণ। এ ছাড়া ভূ-গর্ভস্থ পানির মাত্রাতিরিক্ত উত্তোলনের ফলে শহরটি দেবে যাচ্ছে। জাভা সাগরের এই বৃহত্তম দ্বীপটিতে বায়ুদূষণও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এখানে এক কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে। সামান্য বৃষ্টিতেই শহরটি তলিয়ে যায়। তাই রাজধানীকে বোর্নিও প্রদেশের ইস্ট কালিমানতানের নুসানতারায় সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

শহরটি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর বৃহত্তম একটি প্রকল্প। উইদোদো জাভা দ্বীপপুঞ্জজুড়ে কেন্দ্রীভূত সম্পদ পুনর্বণ্টন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

১৮ মার্চ পাস হওয়া আইন অনুযায়ী জাকার্তা এবং নতুন রাজধানীর উন্নয়ন কার্যক্রম সমন্বয় করার জন্য একটি একীভূতকরণ কাউন্সিল গঠন করা হবে।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টিটো কারনাভিয়ান জানান, নুসানতারায় রাজধানী স্থানান্তরের পর জাকার্তা যাতে বিশ্বের অন্যান্য শহরের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে, যাতে করে এই শহরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয় এবং দেশের জিডিপিতে অবদান বৃদ্ধি পায়।

আইন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ডিক্রি জারির আগ পর্যন্ত জাকার্তাই ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী থাকবে।

আগামী ১৭ আগস্ট ইন্দোনেশিয়া সরকার নুসানতারায় তাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে। আর চলতি বছরের শেষ নাগাদ কয়েক হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে নতুন রাজধানীতে স্থানান্তর করা হবে।

;

রাফাহর রাস্তায় মুখোশধারীদের টহল, আত্মগোপনে হামাস!



ডেস্ক রিপোর্ট, আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার জনবহুল শহর রাফাহয় মুখোশধারী সশস্ত্র ব্যক্তিরা টহল দিতে শুরু করেছেন। তারা শহরের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছেন বলে জানা গেছে। তাদের হাতে অস্ত্র ও লাঠি দেখা গেছে।

এঘটনার পর থেকে ওই এলাকার হামাসের সদস্যরা পালিয়ে গেছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম আইনিউজ এ খবর জানিয়ে বলেছে, মূলত এলাকার একটি উপজাতীয় গোষ্ঠীর সদস্যরা এ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে।

তারা নিজেদের ‘দ্য পপুলার কমিটি ফর প্রটেকশন’-এর সদস্য বলে দাবি করেছেন।

তারা জানিয়েছেন, রাফাহয় যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থার মধ্যে ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ ঘটছে। সেসব প্রতিরোধে রাস্তায় নেমেছেন তারা।

জানা গেছে, হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় হামাসের সদস্যরা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ লিপ্ত থাকায় এলাকায় রসদের ঘাটতি পড়েছে। এতে করে শহরের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উপজাতীয় গোষ্ঠীর নেতৃত্বে এই সশস্ত্র ব্যক্তিরা রাফাহর দখল নিয়ে রাস্তাঘাট ও বাজারে টহল দিতে শুরু করেছেন।

এ বিষয়ে গাজায় বসবাসীকারী ফিলিস্তিনিরা আইনিউজকে জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে মুখোশধারী ব্যক্তিরা অস্ত্র ও লাঠি হাতে করে গাজার দক্ষিণ শহর রাফাহর রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছেন। তারা এলাকার নিরাপত্তার রক্ষায় কাজ করছেন।

‘দ্য পপুলার কমিটি ফর প্রটেকশন’-এর একজন মুখপাত্র ফ্রান্স নিউজ এজেন্সি এএফপি’কে জানিয়েছেন, মার্চ মাসের শুরু থেকে এলাকার নিরাপত্তা রক্ষা ও অসাধু ব্যবসায়ীদের নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে বাজার ও পরিবহন খাত নিরাপদ রাখতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।

কারা এ নির্দেশ দিয়েছেন জানতে চাইলে সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি তিনি। এর জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমরা জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি’!

এ বিষয়ে দক্ষিণ গাজায় বসবাসীকারী ফিলিস্তিনি এক ব্যক্তি নিরাপত্তার স্বার্থে নিজের নাম না করার শর্তে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত থাকায় হামাস দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই ফাঁকে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ, চুরি এমনকী খুনের মতো ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, হামাস এখন গাজায় এখন নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছে। এতে করে এলাকায় নিরাপত্তার ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে’।

তিনি বলেন, তারা (হামাস) যদি গাজা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতো, তাহলে এত চুরি, তারপরে একজন আরেকজনকে খুন করছে, এগুলো দেখতে পেতাম না। এছাড়া যখন এলাকায় ত্রাণ এসে পৌঁছাচ্ছে, তখন তা নিয়ে সবাই সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে।

আইনিউজ জানাচ্ছে, সশস্ত্র গোষ্ঠীর এসব সদস্যরা অরাজকতা ঠেকাতে রীতিমতে হিমশিম খাচ্ছেন। কারণ, স্থানীয়দের কেউ কেউ অপরাধী চক্র গড়ে তুলেছে নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী ও ত্রাণ সহায়তা সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এই অরাজক পরিস্থিতির মধ্যেও গাজায় ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে বলে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একজন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সংস্থার উপপরিচালক স্কট অ্যান্ডরসন ‘দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস’-কে বলেছেন, ‘ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে আমাদের ত্রাণ পৌঁছানোর আগেই অপরাধী চক্র নিয়ে নিতে চাইছে। এটা ঠিক যেন হলিউডের সিনেমার মতো স্টাইলে ঘটছে’।

এদিকে, আইনিউজ জানাচ্ছে, হামাস এবং ইউএনআরডব্লিউএ-কে এড়িয়ে ইসরায়েল গাজার স্থানীয় পরিবারদের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করতে শুরু করেছে।

অপরদিকে, যুদ্ধোত্তর গাজায় পশ্চিম তীরে স্থানীয় প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলো যাতে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে পারে, সে বিষয়ে তাদের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে ইসরায়েল।

রাফাহ শহরের নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়ে, ‘দ্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি অব প্যালেস্টিনিয়ান ট্রাইবস’ গত সপ্তাহে একট বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, রাফাহয় সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ‘প্রটেকশন কমিটিগুলো’ কাজ শুরু করেছে।

বিবৃতিতে তারা জানায়, নিরাপত্তা রক্ষায় হামাসের যে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করতেন, ইসরায়েল তাদের হত্যা করেছে। তাদের স্থলাষিভিক্ত হিসেবে ‘প্রটেকশন কমিটিগুলি’ নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছে।

উপজাতীয় নেতারা বলেছেন, ইসরায়েলের প্রস্তাবনা অনুযায়ী হামাসকে সরিয়ে দিয়ে তারা এলাকা দখলে রাখতে চাইছেন না।

এ বিষয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় উপজাতি গোষ্ঠীর প্রধান আকেফ আল-মাস্রি বলেছেন, গাজা উপত্যকার প্রশাসন ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে তেমন একটা মাথা ঘামায় না।
তিনি বলেন, উপজাতীয় নেতারা শুধুমাত্র জরুরি ত্রাণ বিতরণ কাজের মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ রেখেছেন।

‘ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটর গ্রুপ’-এর চেয়ারম্যান রামি আবদু বলেছেন, উপজাতীয় নেতারা হামাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। তাদের মধ্যকার চরমপন্থি নেতাদের কারণে হামাসকে সরিয়ে ইসরায়েলের প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

রাফাহর রাস্তায় টহল দিচ্ছে মুখোশধারী ব্যক্তিরা
গাজার জনবহুল এলাকা রাফাহয় মুখোশধারী ব্যক্তিরা পাহার দিচ্ছেন

তিনি বলেন, ধরুন, আমি যদি ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই, তাহলে প্রথমেই আমাকে গুলি করে হত্যা করা হবে।

কয়েক দশক ধরে প্যালেস্টাইন ও ইসরায়েলের একটি অংশ থেকে শরণার্থীদের গাজায় আসার কারণে এলাকার প্রভাবশালী পরিবারগুলির আধিপত্য খর্ব হয়েছে বলে জানান রামি আবদু।

যুদ্ধ শুরুর পর গাজা থেকে মিশরে আশ্রয় নেওয়া লেখক ও অনুবাদক জেসন শাওয়া জানান, উপজাতীয় গোষ্ঠীগুলো যদি গাজা নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে, তাহলেও তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।

তিনি বলেন, গাজাবাসী কোনোমতেই এটা হতে দেবে না। ২০ বছর আগে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে যে অরাজকতা বিরাজ করতো, সেই অবস্থায় দাঁড়াবে গাজা।

তিনি আরো বলেন, যুদ্ধের এই সময়ে কোনো কোনো গোষ্ঠী শরণার্থীদের ত্রাণ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।

লন্ডনের কিংস কলেজের প্রভাষক ও মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশ্লেষক ডা. অ্যাড্রিয়াস ক্রিগ বলেন, গাজা উপত্যকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা গোষ্ঠীরগুলোর বিষয়ে তেমন একটা আগ্রহবোধ করবে না ইসরায়েল।

তিনি বলেন, এর আগে এই উপজাতীয় গোষ্ঠীগুলো অতীতে হামাসের সঙ্গে পাল্লা দিতে চোরাচালান এবং অপধারী চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাস হামলার পরিকল্পনা করলেও এই গোষ্ঠীগুলো তখন বেশিরকমভাবে বাড়াবাড়ি করেছিল।

এ বিষয়ে ইনো বেন মেনাচেম নামে এক ইসরায়েলি নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, গাজায় নিরাপত্তার রক্ষায় গোষ্ঠীগুলোর পেছনে ‘সাদা পোশাকে থাকা’ হামাস কর্মীরা যুক্ত রয়েছেন।

তবে তিনি এটাও বলেন, গাজা যুদ্ধে ইসরায়েল জয়লাভ করলে এ সব উপজাতীয় গোষ্ঠীর কোনো কোনোটি তাদের অবস্থান পাল্টে ফেলতে পারে।

;

পৃথিবীর বৃহত্তম দুর্নীতিতে বিজেপি: অর্থনীতিবিদ পরাকলা প্রভাকর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনী বন্ড শুধু ভারতের নয়, সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। এর জন্য নরেন্দ্র মোদির সরকারকে ভুগতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের স্বামী ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ পরাকলা প্রভাকর। তিনি বলেন, এই দুর্নীতির কারণে কেন্দ্রের বর্তমান সরকারকে ভোটাররা শাস্তি দেবেন।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংবাদমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।

অর্থনীতিবিদ পরাকলা প্রভাকর বলেন, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা সবাই দেখতে পেয়েছেন। এটাও বুঝতে পেরেছেন, এটি শুধু ভারত নয়, সারা পৃথিবীর সবচেয়ে ব়ড় দুর্নীতি। এটা বিজেপিকে ভোগাবে বলেই মনে হয়। এই নির্বাচনী বন্ড আগামী দিনে আরও বেশি করে প্রচারিত হবে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচনী বন্ডের যে তথ্য প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন, তাতে দেখা যায়- নির্বাচনী বন্ড থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে বিজেপি।

উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিজেপি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ৬ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা পেয়েছে। তালিকায় তাদের পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল। তারা ওই সময়ের মধ্যে পেয়েছে ১ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা। কংগ্রেস পেয়েছে ১ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা।

;