নরওয়ের সাধারণ নির্বাচনে বামপন্থীদের জয়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরওয়ের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির নেতৃত্বাধীন পাঁচটি বাম দলের জোট জয় পেয়েছে। বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে লেবার নেতা জোনাস গহর স্টোরের নেতৃত্বে থাকা দলকে।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গকে পরাজিত করতে সমর্থ হয়েছে তারা। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব জানানো হয়েছে।

২০১৩ সাল থেকে নরওয়ের ক্ষমতায় রয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা এরনা। আট বছর পর তাকে হারিয়েছে বাম সমর্থিতরা।

আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ভোটের ফল ঘোষণা করা হয়নি। তবে পূর্বাভাস বলছে, ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট গণনা সম্পন্ন হলে লেবার পার্টির নেতৃত্বাধীন বাম জোট ১০০টির মতো আসনে বিজয়ী হতে পারে।

সরকার গঠনের জন্য ১৬৯ আসনের পার্লামেন্টে ৮৫টি আসনে জয়ের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাম জোট প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়েও বেশি আসন পাবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। জোটের নেতারা বলছেন, নরওয়ের মানুষ একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ চায়। এজন্য তারা বামদের বেছে নিয়েছে।

নিজের পরাজয় মেনে নিয়ে এরনা বলেন, 'আমি জোনাস গহর স্টোরকে অভিনন্দন জানাতে চাই। দৃশ্যত তার এখন সরকার পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।

নতুন সরকারের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী স্টোর বলেন, আমরা অপেক্ষা করছিলাম, আশা করছিলাম। কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং শেষ পর্যন্ত আমরা সফল হয়েছি।

তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় দল হিসেবে লেবার পার্টি নরওয়ের জন্য একটি নতুন সরকার ও একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

   

অবিশ্বাস্য বদলে বিশ্বসেরার পথে এয়ার ইন্ডিয়া



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েক দশক ধরে কম বিনিয়োগের পর ভারতের বেসরকারিকরণ করা ৯২ বছরের পতাকাবাহী এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীদের গড় বয়স ৫৪ বছর। এয়ারলাইন্সের ইমেইল সিস্টেম এত পুরাতন ছিল যে কর্মীরা জিমেইল ব্যবহার করতে শুরু করেন। এটিই এয়ার ইন্ডিয়া।

অথচ ৭০’র দশকে সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা শাসক লি কুয়ান ইউ এয়ার ইন্ডিয়ার সেবা দেখে বলেছিলেন, তিনি তার দেশে এই ধরনের একটি রাষ্ট্রায়ত্ব এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠা করতে চান। সেই সেবার মান নিয়ে সেরার তালিকায় থাকা এয়ার ইন্ডিয়ার মান কমে ক্ষয়িঞ্চু হতে হতে একটি রুগ্ন এয়ারলাইন্সে পরিণত হয়। হাজার হাজার কোটি রুপির লোকসান নিয়ে পরবর্তীতে লোকসানি প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করে দেয় ভারতীয় সরকার। ২০২১ সালের অক্টোবরে তা কিনে নেয় টাটা গ্রুপ। সম্পদশালী টাটা পরিবার পুনরায় এয়ার ইন্ডিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে টাটার চেয়ারম্যান নটরাজন চন্দ্রশেখরন স্পষ্ট করে বলেন, আমাদের লক্ষ্য প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্বসেরা এয়ারলাইন্স হিসেবে গড়ে তোলা।

এরপর টাটা এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও নিয়োগ দেয় ক্যাম্পবেল উইলসনকে। এখানে যোগদানের আগে ক্যাম্পবেল সিঙ্গাপুরের লো-কস্ট এয়ারলাইন স্কটে কাজ করেছেন। ৫ বছরের টার্ন অ্য্যারাউন্ড প্রকল্পের অধীনে এয়ার ইন্ডিয়ার সেই হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। এরই মধ্যে ৪৭০টি নতুন উড়োজাহাজ অর্ডার করেছে। নতুন করে ৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে, যাদের গড় বয়স ৫৪ থেকে ৩৫ এ নামিয়ে আনা হয়েছে।

এয়ার ইন্ডিয়াকে ঢেলে সাজাতে গত কয়েক বছরে টাটা গ্রুপ ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। ইতোমধ্যে ৪৭০টি নতুন উড়োজাহাজের কেনার অর্ডার ছাড়াও কেবিন আধুনিকায়ন, যাত্রী সেবার মানোন্নয়ন করা হয়েছে।

৫ বছরের পরিকল্পনায় এয়ার ইন্ডিয়া দেশের অভ্যন্তরীণ মার্কেটে ব্যাপক প্রবৃদ্ধির আশা করছে, যেখানে বছরে প্রায় ১৪৫ মিলিয়ন যাত্রী রয়েছে। টাটার প্রাথমিক অগ্রাধিকার হচ্ছে তাদের পুরাতন উড়োজাহাজগুলোকে বহর থেকে বিদায় করা। কারণ কয়েক দশক ধরে এসব উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণ উপেক্ষিত ছিল। মালিকানা নেওয়ার স্বল্প সময়ের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়া লিজের মাধ্যমে ৩৬টি উড়োজাহাজ বহরে যুক্ত করে, এর মধ্যে ১১টি বোয়িং ৭৭৭ ও ২৫টি এয়ারবাস এ৩২০ ছিল। এসব উড়োজাহাজের মাধ্যমে এয়ারলাইন্সটি নতুন ৬টি নতুন আন্তর্জাতিক রুট চালু করে। এছাড়া ২৪টি রুটে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
এয়ার ইন্ডিয়া সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ করেছে উড়োজাহজা কিনতে। ৪৭০টি উড়োজাহাজের জন্য এয়ারলাইন্সটি ৭০বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করছে। এসব উড়োজাহাজের মধ্যে থাকছে এ৩২০নিওস ১৪০টি, এ৩২১নিওস ৭০টি এবং ১৯০টি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স।

বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাটার মতো এত বিশাল সম্পদশালী একটি কোম্পানি এটি কিনে নিয়েছে বলেই এত বিপুল অংকের অর্থ বিনিয়োগ করা সম্ভব হয়েছে। আগামীতে এর ভবিষ্যৎ কি তা এখনই বলা কঠিন। তবে টাটা যেভাবে পরিকল্পনা মাফিক বিশাল অর্থ বিনিয়োগ করে এগিয়ে যাচ্ছে তার কোনো বিকল্প ছিল না। ডুবন্ত এই এয়ারলাইন্সকে টেনে তুলতে এটিই সেরা বিনিয়োগ।

এয়ার ইন্ডিয়ার সাবেক নির্বাহী পরিচালক জিতেন্দার ভার্গব বলছেন, টাটা এয়ার ইন্ডিয়া কেনার পর সত্যিকার অর্থে এর লক্ষ্যণীয় উন্নতি চোখে পড়বে ২০২৭ সালে। আর সত্যি বলতে এটি টি২০ ক্রিকেট নয়। ব্র্যান্ড ইমেজ পুনরুদ্ধার, প্রযুক্তি, সেবা এবং নতুন উড়োজাহাজ অধিগ্রহণ করতে সময় লাগবে।

হার্দি প্যাটেল নামে আরেক ট্রাভেল কিউরেটর বলছেন, ঋণ জর্জরিত, লোকসানি একটি এয়ারলাইন্সকে টেনে তুলতে সময় দিতে হবে। আর টাটা সমালোচনা ও কর্মীদের অস্থিরতা সত্বেও তাদের লক্ষ্যে অবিচল রয়েছে।

এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও বলেন, অধিগ্রহণের মাধ্যমে এয়ার ইন্ডিয়া ৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী দক্ষ উড়োজাহাজ পরিচালনা করতে সক্ষম হবে। এয়ারলাইন্সটি কেবিনের অভ্যন্তরীণ সংস্কার করে বিদ্যমান বহরের শ্রীবৃদ্ধি করতে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করছে। অনবোর্ড পরিষেবাও উন্নত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইটে প্রিমিয়াম ইকোনমি আসন চালু এবং নতুন ফুড মেনু প্রবর্তন।

এয়ার ইন্ডিয়ার লক্ষ্যমাত্রা

ভারতই একমাত্র দেশ যাদের জনসংখ্যা আগামীতে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে। আর এদেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণির দ্রুত প্রবৃদ্ধি ঘটছে। যে কারণে উচ্চবিত্তই শুধু নয়, মধ্যবিত্ত শ্রেণির আকাশপথে ভ্রমণের চাহিদা বাড়ছে। গেল দশকে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স এই চাহিদার সদ্ব্যব্যবহার করে দেশের বৃহৎ এয়ারলাইন্সে পরিণত হয়েছে। এমনকি আন্তর্জাতিক গন্তব্যেও তারা ভালো করছে। যখন টাটা এয়ার ইন্ডিয়াকে কিনে নেয় তখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের মার্কেট ২৫ শতাংশ মাত্র।

এরই মধ্যে টাটা শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে প্রযুক্তি খাতে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এয়ারবাস এ৩৫০-৯০০ উড়োজাহাজ দিয়ে ঢাকা-মুম্বাই রুটে নতুন করে সূচি তৈরি করছে। একই সাথে ভিস্তারাকে এয়ার ইন্ডিয়ার সাথে একত্রীকরণ আরেকটি মাইলফলক হবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর ফলে এয়ার ইন্ডিয়া সত্যিকার অর্থে ওয়ার্ল্ড ক্লাস এয়ারলাইনে পরিণত হবে। আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার লক্ষ্য ৩০ শতাংশ মার্কেট দখল করার (অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক)।

এয়ার ইন্ডিয়া প্রতি ৬ দিনে একটি করে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত হচ্ছে বহরে। সুতরাং এটি দেখেই যে কেউ বুঝতে পারবেন কত দ্রুততার সাথে এয়ারলাইন্সটির প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।

তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের নতুন হাব নইডা বিমানবন্দর

ভারত যে শুধু বিশ্বমানের এয়ারলাইন্সের দিকে নজর দিচ্ছে তা-ই নয়। এর সাথে তাল মেলাতে প্রয়োজন বিশ্বমানের বিমানবন্দর। আর সেই লক্ষ্যে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিকল্প আরেকটি হাব তৈরি করা হচ্ছে। নইডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমে ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দর থেকে তিন গুণের বেশি যাত্রী পরিচালনা করতে সক্ষম হবে। এর নির্মাণ কাজ শেষ হলে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরের বিকল্প হিসেবে আভির্ভূত হবে। এটি উত্তর প্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগর জেলায় অবস্থিত। এটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেলে তৈরি হচ্ছে। ২০১৯ সালে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ বিমানবন্দরের পরিচালনায় যুক্ত ফ্লুগফেন নইডা নির্মাণের কাজ জিতে নেয়। তারা ৪০ বছর বিমানবন্দরটি পরিচালনা করবে। নতুন এই বিমানবন্দর নির্মাণ ও ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করতে ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ খরচ হচ্ছে।

বিমানবন্দরটিতে যেতে ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ গ্রিনফিল্ড হাইওয়ে নির্মাণ করছে। শুরুতে বিমানবন্দরে দুটি রানওয়ে হবে এবং এটি ৮টি রানওয়েতে উন্নীত করার মতো জায়গা রাখা হয়েছে। শুরুতে নইডাতে বছরে এক কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে এবং তা ১২ কোটি যাত্রী সেবা পর্যন্ত উন্নীত করা হবে।

শঙ্কা যেখানে

তবে এতকিছুর পরেও এয়ার ইন্ডিয়া নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। এতসব সুখবরের পরেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এয়ার ইন্ডিয়াকে সফল করতে এসব বিনিয়োগ একটি ভিত্তি হিসেবে সাহায্য করবে, তবে এয়ারলাইন্সটি যাত্রীদের কাছে নির্ভরযোগ্য এবং সময়নিষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হতে না পারলে পরিবর্তনগুলো খুব বেশি কাজে আসবে না। সর্বোপরি এয়ারলাইন্সটিকে অন টাইম ফ্লাইটের বিষয়ে সর্বোচ্চ সজাগ থাকতে হবে, নতুবা একবার যদি যাত্রীরা মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে আস্থা ফিরিয়ে আনা খুবই কঠিন ও দুরূহ হবে।

;

কিমের প্রশংসা করা গান নিষিদ্ধ করলো দক্ষিণ কোরিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ পিতা’ এবং ‘মহান নেতা’ বলে প্রশংসা করে উত্তর কোরিয়ার প্রচারিত একটি মিউজিক ভিডিও নিষিদ্ধ করছে দক্ষিণ কোরিয়া।

বিবিসি জানিয়েছে, ওই গানের ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে এবং গত এপ্রিলে গানটি প্রকাশের পর থেকে টিকটকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

‘ফ্রেন্ডলি ফাদার’ শিরোনামের গানটি দারুণ সুরের একটি পপ গান বলে জানা গেছে। এই গানের কথার লাইনগুলো হলো, ‘চলো আমরা কিম জং উনের গান করি, তিনি মহান নেতা, আসুন আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ পিতা কিম জং উনকে নিয়ে বড়াই করি।’

এই কথাগুলোতেই আপত্তি দক্ষিণ কোরিয়ার। যে কারণে ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অধীরে উত্তর কোরিয়ার মিডিয়া এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইটগুলোতে প্রবেশাধিকার ব্লক করেছে দেশটি।

আইন অনুযায়ী, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট লঙ্ঘন করলে সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

সিউলের কোরিয়া কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড কমিশন একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘মিউজিক ভিডিওটি দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত। এটি একটি চ্যানেলে পোস্ট করা হয়েছে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য।’

কমিশনটি আরও বলেছে, ‘ফ্রেন্ডলি ফাদার মিউজিক ভিডিওটির ২৯টি ভিন্ন সংস্করণ রয়েছে। সেগুলোও ব্লক করা হবে। ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের অনুরোধের আমরা ব্লক করার কাজ হাতে নিয়েছি।’

অন্যদিকে, সিউলের নিষেধাজ্ঞার ফলে ভিডিওটির প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ানদের আগ্রহ বেড়েছে। নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর থেকে অনেকেই ভিডিওটি দেখেছেন লুকিয়ে।

;

মহাকাশে অস্ত্র স্থাপন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র : রাশিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্র মহাকাশে অস্ত্র স্থাপনের চেষ্টা করছে বলে মঙ্গলবার (২১ মে) অভিযোগ করেছে রাশিয়া।

মহাকাশে অস্ত্রের বিস্তারে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে জাতিসংঘে মস্কোর আনীত প্রস্তাবে ওয়াশিংটন ভেটো দেওয়ার পরে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এই অভিযোগ করেন।

মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আবারও প্রমাণ করেছে যে, মহাকাশের ক্ষেত্রে তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য মহাকাশকে অস্ত্র মুক্ত রাখা নয়, বরং মহাকাশে অস্ত্র স্থাপন করা এবং এটিকে সামরিক সংঘর্ষের আখড়ায় পরিণত করা।’

এনডিটিভি জানিয়েছে, এই দুই পরাশক্তি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মহাকাশে অস্ত্র স্থাপনের জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার অভিযোগ করেছে।

গত ফেব্রুয়ারীতে ওয়াশিংটন বলেছিল যে, তারা রাশিয়ার তৈরি করা একটি স্যাটেলাইট-বিরোধী ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তখন মার্কিন মিডিয়াগুলো জানিয়েছিল যে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের মিত্রদের সতর্ক করেছে যে, রাশিয়া মহাকাশের কক্ষপথে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করতে পারে।

জবাবে মস্কো এই অভিযোগগুলোকে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করে বলেছিল যে, তাদের কেনো স্যাটেলাইটে এই ধরনের কোনো সিস্টেম নেই।

এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনলো রাশিয়া। মস্কো বলেছে, ওয়াশিংটন মহাকাশে অস্ত্রের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে আগ্রহী নয়।

এদিকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেছেন, ‘রাশিয়ার প্রস্তাব, যা সমস্ত দেশকে বাহ্যিক দৃষ্টিতে মহাকাশে সর্বদা অস্ত্র স্থাপন রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানায়, সেটি আসলে একটি বিভ্রান্তি।’

জাখারোভা মঙ্গলবার বলেন, ‘বাহ্যিক মহাকাশকে যেকোনো ধরণের অস্ত্র মুক্ত রাখতে এবং এটিকে উত্তেজনা ও সশস্ত্র সংঘর্ষের আরেকটি ক্ষেত্র হয়ে উঠতে বাধা দেওয়ার জন্য চলমান প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে রাশিয়া।’

উল্লেখ্য, মহাকাশই হলো একমাত্র স্থান যেখানে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণের মধ্যে মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে এখনও সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে।

উভয় দেশ একে অপরের ক্রু সদস্যদেরকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাদের মহাকাশচারীরা যৌথভাবে অবস্থান করে।

;

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’, নিহত ১



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’র কারণে জরুরি অবতরণ করতে গিয়ে এক যাত্রী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, সিঙ্গাপুরগামী বোয়িং ৭৭৭ এর একটি ফ্লাইট ‘যান্ত্রিক ত্রুটির’ কারণে ব্যাংককে জরুরি অবতরণ করে। এসময় একজন যাত্রী প্রাণ হারান, আহত হন আরও ৩০ জন। ফ্লাইটটিতে ২১১ জন যাত্রী এবং ১৮ জন কেবিন ক্রু ছিল।

এ ঘটনায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।

;