সৌদি আরবের জাতীয় দিবস আজ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা ২৪
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ ২৩ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের জাতীয় দিবস। দিবসটি মূলত সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠা দিবস। ১৯৩২ সালের এই দিনে বাদশাহ আবদুল আজিজ অধীকৃত গোটা অঞ্চল নিয়ে তাঁর সউদ গোষ্ঠীর নামকরণে সউদের আরব তথা সৌদি আরব নাম রাখেন। পাশাপাশি তিনি রাজতন্ত্র ঘোষণা করেন।

পবিত্র মক্কা ও পবিত্র মদিনার কারণে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্ব সৌদি আরবকে সম্মানের চোখে দেখে থাকে। বাংলাদেশি কর্মীরা তিন যুগ ধরে সৌদি আরবে জীবিকার তাগিদে বসবাস করে আসছেন। বর্তমানে প্রায় ২০ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক বিভিন্ন পেশায় দেশটিতে নিয়োজিত রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বাদশাহ আবদুল আজিজ ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে কুয়েত থেকে এসে রিয়াদ দখল করেন। নজদের কেন্দ্রস্থল রিয়াদ। এখানে আবদুল আজিজের পূর্বপুরুষরা শাসন ক্ষমতায় ছিলেন। তুর্কি সালতানাতের সহযোগিতায় আল রশিদ রিয়াদ দখল করেছিলেন। এতে বাদশাহ আবদুল আজিজের পিতারা কাতার, বাহরাইন হয়ে কুয়েতে এসে বসবাস করতে থাকেন। ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণকারী সাহসী যুবক বাদশাহ আবদুল আজিজ মতান্তরে ৬০ জন অতি আপন আত্মীয় সহযোদ্ধা নিয়ে কুয়েত থেকে এসে রিয়াদ দখল করেন। আমির শরিফ হোসাইন ব্রিটিশের সহযোগিতা নিয়ে জেদ্দা হয়ে সাগরপথে ফিলিস্তিনের দিকে চলে যান। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বিশাল হেজাজ অঞ্চলও বাদশাহ আবদুল আজিজের অন্তর্ভুক্ত হয়।

সে সময় থেকে দীর্ঘ ২১ বছর তিনি শক্ত হাতে তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিশাল দেশকে শাসন করে ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে আবদুল আজিজ ইন্তেকাল করেন। এতে স্বাভাবিক নিয়মে প্রথম পুত্র হিসেবে সউদ বাদশাহ হন। কিন্তু তিনি বারবার অযোগ্যতার প্রমাণ রাখতে থাকায় ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে ফয়সাল বাদশাহের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি সৌদি আরবের পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বের পক্ষে নেতৃত্ব তথা মুরব্বিয়ানার ভূমিকা রেখে গেছেন। কিন্তু ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে এসে ভ্রাতুষ্পুত্রের গুলিতে নিহত হন। বাদশাহ ফয়সাল নিহত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সত্ভাই বাদশাহ খালেদ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন নরম ও শান্ত প্রকৃতির। বাদশাহ খালেদ মাত্র সাত বছর দেশ শাসন করে ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। তাঁর আমলে সৌদি আরবের অগ্রগতির সূচনা বলা যাবে।

তাঁর ইন্তেকালের সঙ্গে সঙ্গে যুবরাজ ফাহাদ বাদশাহ হন। তাঁর আমলকে সৌদি আরবে নানা দিক থেকে স্বর্ণযুগ বলা চলে। বিশেষ করে হজ, ওমরাহ, জিয়ারতকারীদের কল্যাণে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি রিয়াদে প্রভাবশালী সুদাইরি বংশের কন্যা হাসসা আল সুদাইরির প্রথম পুত্র। ফাহাদ ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন। ফাহাদরা সাত ভাই, তাদের সুদাইরি সেভেন বলা হয়। বাদশাহ ফাহাদ জীবনের শেষদিকে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে যুবরাজ আবদুল্লাহ বাদশাহের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে ফাহাদ ইন্তেকাল করলে আবদুল্লাহ পুরোপুরি বাদশাহ হন।

১৯২৪ খ্রিস্টাব্দের ১ আগস্ট রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন বাদশাহ আবদুল্লাহ। বাদশাহ আবদুল্লাহর আছে দীর্ঘ ৯০ বছরের বর্ণাঢ্য জীবন। তিনি মায়ের দিক দিয়ে বাদশাহ আবদুল আজিজের একমাত্র পুত্র। তাঁর আমলে বাদশাহ ফাহাদের সহোদর ছোট ভাই সুলতান ও নায়েফ যুবরাজ থাকা অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। বাদশাহ আবদুল্লাহ বাদশাহ ফাহাদের মতো খাদেমুল হারামাইনিশ শরিফাইন টাইটেল বা লকব ধারণ করে নিয়েছিলেন। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি বাদশাহ আবদুল্লাহ ইন্তেকাল করলে সৌদি রাজ পরিবারে প্রভাবশালী সুদাইরি পরিবারের কন্যার কনিষ্ঠ ও সপ্তম পুত্র বর্তমান বাদশাহ সালমান বাদশাহি পদ লাভ করেন।

এদিকে বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ রয়েছে উল্লেখ করে সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী বাংলাদেশে আরও বেশি সৌদি বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ সৌদি সফররত প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠককালে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিনিধিদল বিনিময়ের গুরুত্ব তুলে ধরে সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রীকে আগামী নভেম্বরের ২৮ ও ২৯ তারিখে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের অনুরোধ জানালে মন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ তা সাদরে গ্রহণ করেন।

   

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘণ করে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের ফলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ তালিকায় রয়েছে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বেশ কয়েক জন জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা নামও।

আইসিসির সম্ভাব্য এই পদক্ষেপ ঠেকাতে তাই সম্প্রতি নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলের বর্তমান যুদ্ধকালীন বিশেষ মন্ত্রিসভার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন, স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এবং সরকারপন্থী বেশ কয়েকজন আইনজীবও আইন বিশেষজ্ঞ উপস্থিতি ছিলেন।

গত মঙ্গলবার রাতে এ বৈঠক হয়েছিল বলে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে নিশ্চিত করেছে রাষ্ট্রটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর।

বুধবার জেরুজালেম সফরে গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালিনা বেয়ারবক। তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোনার প্রসঙ্গটি নেতানিয়াহু তুলেছিলেন বলে জানা গেছে। পরোয়ানা ঠেকাতে তিনি এই দুই দেশের সরকারের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।

২০১৪ সালে হামাস এবং আইডিএফের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত হয়েছিল। সেই যুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো নিয়ে ২০১৯ সালে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেয় আইসিসি। পরে করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর এই কাজ স্থগিত থাকার পর ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ফের তদন্ত শুরু করে আইসিসি।

সেই তদন্তের অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বরে ইসরায়েল সফরে এসেছিলেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান। ইসরায়েলি প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর আপত্তির কারণে গাজা সফরে যেতে পারেননি তিনি তবে সেই সফর শেষে ফিরে যাওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা এবং তার জবাবে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান কোনো স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা নয় এবং যেসব সহিংসতা পূর্বে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে, সেসব হামাস এবং আইডিএফের পূর্ব পরিকল্পিত বলে তিনি মনে করছেন। এ সংক্রান্ত কিছু সাক্ষ্যপ্রমাণও তার হাতে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

করিম খানের সফরের তিন মাস পর এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রক্রিয়া আইসিসি শুরু করেছে বলে জানা গেছে, যা নিয়ে উদ্বেগে পড়েছে ইসরায়েরের সরকার।

;

টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের নতুন তালিকা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাইম ম্যাগাজিন সদ্য প্রকাশ করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের তালিকা। সেখানে বিশ্বব্যাংকের প্রধান অজয় বাঙ্গা, মাইক্রোসফ্টের সিইও সত্য নাদেলা, অলিম্পিয়ান সাক্ষী মালিকরা।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা বিজ্ঞানী প্রিয়ম্বদা নটরাজন, লন্ডনের বৃহৎ রোস্তোরাঁর মালকিন আসমা খানও। দেখে নেওয়া যাক, টাইম তালিকার উল্লেখযোগ্য কিছু নাম :

ব্রিটেনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসাবে পরিচিতি রয়েছে আসমার। লন্ডনের সোহোতে রয়েছে তার বিখ্যাত রেস্তোরাঁ ‘দার্জিলিং এক্সপ্রেস।’ আসমার এই রেস্তোরাঁয় সব কর্মীই নারী। সকলের যে ফরমাল ট্রেনিং রয়েছে এমনও নয়। আর তাদের নিয়েই শেফ আসমা লন্ডনের বুকে দাপটে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তার রেস্তোরাঁর ব্যবসা।

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রো ফিজিক্সের অধ্যাপক প্রিয়ম্বদা। তার বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা ঘোরাফেরা করে ডার্ক ম্যাটার ও কসমোলজি নিয়ে। নটরাজন ২০০৮ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাডক্লিফ ইনস্টিটিউটে এমলিন কনল্যান্ড বিগেলো ফেলোশিপ লাভ করেন। এমআইটি, কেমব্রিজের এই প্রাক্তনীও রয়েছেন তালিকায়।

যুগ যখন এআই-এর তখন সত্য নাডেলার নাম আলোচনায় আসবেই। মাইক্রোসফ্টের এই সিইও সদ্য ওপেন এআইতে বিনিয়োগ করেছেন। তার পার্টনারশিপ রয়েছে মিস্ট্রাল এআইতে।

বিশ্বব্যাঙ্কের সিইও এবং মাস্টার কার্ডের প্রাক্তন সিইও অজয় বাঙ্গাও রয়েছেন বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের তালিকায়। বিশ্বের বহু মানুষ যারা ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মধ্যে ছিলেন না, তাদের ডিজিটাল অর্থনীতিমুখী করতে অবদান রয়েছে বাঙ্গার।

ভারতীয় অলিম্পিক মেডেল জয়ী সাক্ষী মালিক দেশের এক তাবড় অ্যাথলিট। তিনি জায়গা পেয়েছেন বিশ্বের সেরা প্রভাবশালীর তালিকায়। যৌন হেনস্থা ঘিরে রেসলিং ফেডারেশনে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে লড়াকু প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সাক্ষীসহ অনেকে। সেই সাক্ষী মালিকও এবার এই তালিকায়।

টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় রয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাটও। পরিচালক টম হারপার বলছেন, তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রকেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় অবদান রাখেন।

‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’ খ্যাত দেব প্যাটেলও এবার টাইম ম্যাগাজিনের সেরা ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের তালিকায়। তার অভিনয় দক্ষতাই তাঁকে এই সম্মান এনে দিয়েছে।

;

জেলেনস্কিকে হত্যার পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পোল্যান্ড



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে হত্যার কথিত ষড়যন্ত্রে রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দাদের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্য প্রস্তুত থাকার অভিযোগে পোল্যান্ডে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পোলিশ প্রসিকিউটরদের বরাতে খবরটি জানিয়েছে আল জাজিরা।

এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পোলিশ প্রসিকিউটররা বলেছেন, পোলিশ নাগরিক পাওয়েলকে রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য সরবরাহ করার এবং জেলেনস্কির বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিশেষ বাহিনীকে সম্ভাব্য হত্যা প্রচেষ্টার পরিকল্পনা করতে সহায়তা করার বিষয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন বলেছেন যে, সে রাশিয়া ফেডারেশনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষে কাজ করতে প্রস্তুত এবং তিনি ইউক্রেনের যুদ্ধে সরাসরি জড়িত রাশিয়ার নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পাওয়েল দোষী সাব্যস্ত হলে তার আট বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

ইউক্রেনের প্রসিকিউটররা সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিলেন বলে ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রসিকিউটর-জেনারেল অ্যান্ড্রি কোস্টিন বলেছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রজেসজো-জাসিওনকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সম্পর্কে আগ্রাসী রাষ্ট্রের তথ্য সংগ্রহ ও প্রেরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

বিমানবন্দরটি মার্কিন সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জেলেনস্কি তার বিদেশ ভ্রমণে প্রায়শই বিমানবন্দর ব্যবহার করেন। এটি বিদেশী কর্মকর্তারা এবং ইউক্রেনের দিকে যাওয়া ত্রাণবাহী গাড়িবহর দ্বারাও ব্যবহার করা হয়।

অ্যান্ড্রি কোস্টিন এক্স-এ লিখেছেন, ‘এই কেসটি রাশিয়ার ক্রমাগত হুমকিকে বোঝায় যা শুধুমাত্র ইউক্রেন এবং ইউক্রেনীয়দের জন্য নয়, বরং সমগ্র মুক্ত বিশ্বের জন্য।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘ক্রেমলিনের অপরাধী শাসন অন্যান্য সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত করে এবং পরিচালনা করে।’

পোলিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাডোস্লা সিকোরস্কি অপারেশনে তার দেশের বিশেষ পরিষেবা এবং প্রসিকিউটরদের কাজের পাশাপাশি প্রতিবেশী ইউক্রেনের সঙ্গে সহযোগিতার প্রশংসা করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ান আগ্রাসনের পর থেকে ওয়ারশ কিয়েভের অন্যতম কট্টর সমর্থনকারী, যদিও সম্প্রতি কৃষি আমদানি নিয়ে বিরোধে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

;

‘ইউক্রেন হেরে গেলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পুরো যুদ্ধ পর্বে পশ্চিমা শক্তিগুলোর কাছে অর্থ ও অস্ত্র সাহায্য চেয়ে এসেছে ইউক্রেন। তাদের সাহায্য করেছেও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। কিন্তু, সম্প্রতি সেই সাহায্যে ভাটা পড়েছে। কারণ, যুদ্ধ-বাবদ খরচ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস।

সেখানে আটকে রয়েছে বৈদেশিক সাহায্য সংক্রান্ত বিল। সামনে এ নিয়ে ভোটাভুটি হবে। এ অবস্থায় আমেরিকান কংগ্রেসের সামনে তোপ দাগলেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্মিহাল।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, তিনি বলেছেন, ‘রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেন যদি জিততে না পারে, তা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে।’’

ডেনিস আশাবাদী, কংগ্রেসের ভোটাভুটিতে শেষমেশ ইউক্রেনই জয়ী হবে। কমপক্ষে ৬১০০ কোটি ডলার সাহায্য দেওয়া হবে কিয়েভকে।

কিন্তু কোথাও যে সংশয় রয়েছে, সেটাও ডেনিসের কথায় স্পষ্ট। শনিবার বিপর্যস্ত দেশগুলোকে সাহায্য করা নিয়ে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ভোট। এর মধ্যে ইউক্রেন ছাড়াও রয়েছে ইসরায়েল এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অংশ।

এদিকে, চুপ নেই রাশিয়াও। তাদের হুঙ্কার, আমেরিকা নতুন করে সাহায্য করলেও কোনও লাভ হবে না। কারণ যুদ্ধক্ষেত্রে কোনও পরিস্থিতিই ইউক্রেনের জন্য আর অনুকূলে নেই।

এক ব্রিটিশ দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী ডেনিস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আজ কিংবা আগামীকাল নয়, গতকালই আমাদের এই অর্থের প্রয়োজন ছিল। আমরা রক্ষা না করলে ইউক্রেন ভেঙে যাবে। এই বিশ্বে ভাঙন ধরবে। বিশ্বের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ভাঙন ধরবে। গোটা দুনিয়া তখন দেখতে পাবে নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থার দশা।’

তার ভাষ্যমতে, ‘তখন আরও দ্বন্দ্ব দানা বাঁধবে, আরও যুদ্ধ শুরু হবে। আর দিনের শেষে সেটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ডেকে আনবে।’

এবারই প্রথম নয়, যুদ্ধে হার কিংবা বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কার কথা আগেও শোনা গিয়েছে ইউক্রেনের মুখে।

গতবছর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, রাশিয়া যদি এই যুদ্ধে জিতে যায়, তাহলে এর পরে মস্কোর নিশানা হবে পোল্যান্ড। তখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবেই। ক্রেমলিন অবশ্য ইউক্রেনের দাবি হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছে বরাবরই।

;