পদত্যাগ করবেন না সাফ জানিয়ে দিলেন বরিস
পার্লামেন্টে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ে ‘নিয়মভঙ্গকারীদের পদ ছাড়া উচিত’বলে স্বীকার করলেও লকডাউনে পার্টির ইস্যুতে নিজে পদত্যাগ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। খবর রয়টার্সের।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ডাউনিং স্ট্রিট কার্যালয় এবং শীর্ষ সরকারি দপ্তরগুলোতে লকডাউনের সময় পার্টি করা নিয়ে তদন্ত শুরু করে লন্ডন পুলিশ।
তদন্তের কাজ শেষ এবং আজ বুধবারই তা প্রকাশ হতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। এতেই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ওপর চাপ বেড়েছে।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) পার্লামেন্টে বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কেয়ার স্টারমার বরিসকে প্রশ্ন করেন, কোনো মন্ত্রী জেনেশুনে পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করলে পদত্যাগ করতে হবে, এই নিয়ম তার জন্যও প্রযোজ্য কি না? জবাবে বরিস জনসন বলেন, অবশ্যই।
এমন নীতি স্বীকার করলেও নিজে আপাতত এমনটা করবেন না বলেও জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
তদন্তের ফল প্রকাশ ঘনিয়ে আসায় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রিত্বের ওপর হুমকি আরও গভীর হয়েছে। এ তদন্তের ফলের ওপর জনসনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেন, ‘ডাউনিং স্ট্রিটের বাসভবনে করা অনুষ্ঠানগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন বরিস জনসনের কাছে এখনও যায়নি। তদন্তের ফল প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত জনগণের অপেক্ষা করা উচিত।’
বরিস জনসনের মুখপাত্র তদন্তকাজে পুলিশকে পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বরিস জনসন ওই পানাহারের আয়োজন করেছিলেন ২০২০ সালের ২০ মে। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে আয়োজিত যুক্তরাজ্যের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের ওই আসরে বরিস জনসন ও তার স্ত্রী ক্যারি সিমন্ডস উপস্থিত ছিলেন। অতিথি ছিলেন শতাধিক। ওই সময় যুক্তরাজ্যে কোনো আয়োজনে একসঙ্গে এত মানুষের উপস্থিতি আইনত নিষিদ্ধ ছিল। বিষয়টি নিয়ে বরিস জনসন তার প্রধানমন্ত্রীত্বের মেয়াদে সবচেয়ে বড় সঙ্কটে পড়েছেন।