প্রায় ২ বছর পর মার্চে সীমান্ত খুলছে মালয়েশিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় দুই বছর পর বিদেশি পর্যটকদের জন্য মার্চ থেকে সীমান্ত খুলে দিচ্ছে মালয়েশিয়া। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ন্যাশনাল রিকভারি কাউন্সিলের (এনআরসি) প্রধান মুহিউদ্দিন ইয়াসিন।

সীমান্ত খুলে দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যটকদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের পর কোয়ারেন্টিন আর বাধ্যতামূলক থাকছে না।

গত ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি ঠেকাতে বিদেশি পর্যটকদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটির সরকার।

গত দুই বছরে এশিয়ার যেসব দেশ মহামারীতে সবচেয়ে বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে গেছে, তাদের মধ্যে মালয়েশিয়া অন্যতম। সরকারি হিসেবেই মালয়েশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৯ লাখ ২৫ হাজার ২৫৪ জন এবং এই রোগে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩২ হাজার ৪৩ জনের। এর মধ্যে সোমবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৩৪ জন এবং মারা গেছেন ৯ জন।

তবে করোনা মহামারির বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে গেলেও জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে অত্যন্ত সফল মালয়েশিয়া। দেশটির মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৯৮ শতাংশই করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন, আর তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৫০ শতাংশেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক।

সূত্র- রয়টার্স

   

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান বাতিল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের জেরে স্নাতক সমাপনীর মূল অনুষ্ঠান বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। চলতি মাসের ১৫ তারিখে অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল।

মঙ্গলবার (৭ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এক বিজ্ঞপ্তি বলেছে, স্নাতক সমাপনীর মূল অনুষ্ঠান বাতিল করা হলো। এর পরিবর্তে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯টি কলেছে ছোট পরিসরে অনুষ্ঠান হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির মুখপাত্র বেন চ্যাং বলেন, ‘নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে আমাদের ক্যাম্পাসে বড় ধরনের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মতো আমরাও হতাশ। কিন্তু নিরাপত্তা উদ্বেগ তো উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বড় জায়গাও খোঁজা হয়েছে বলে জানান বেন চ্যাং। তবে উপযুক্ত জায়গা পাওয়া যায়নি।

গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ এবং ইসরায়েল বা ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি দাবি জানিয়ে গত ১৭ এপ্রিল প্রথম আন্দোলনে নামেন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউইয়র্ক ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা। এরপর দেশটির ৪৫টি অঙ্গরাজ্যের প্রায় ১৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের হটাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। গত শনিবার পর্যন্ত ২ হাজার ৩০০ জনের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতারের খবর জানা গেছে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের অস্থায়ী তাঁবু ভেঙে দিয়েছে। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রাণঘাতী নয়, এমন গ্রেনেড এমনকি গুলির ব্যবহার করা হয়েছে।

এদিকে সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের প্রধান অনুষ্ঠান বাতিল করেছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, কীভাবে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা করা হবে, তা নিয়ে তারা ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে।

;

লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়ে যা বললেন মোদি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তৃতীয় দফার লোকসভা নির্বাচনে আহমেদাবাদে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

এক স্কুলে ভোট দিয়ে বেরোনোর সময় মোদি বলেন, ‘দেশবাসীকে আর্জি করব-গণতন্ত্রে ভোটদান সামান্য বিষয় নয়। দানের একটা মাহাত্ম্য রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোট দিন। এ জায়গায় আমি প্রতিবার ভোট দিই। গতকাল রাতেই অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এখানে এসেছি।’

এর আগে ভোট দিতে কেন্দ্রটিতে পৌঁছান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেই বুথেই ভোট দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাদের দেখতে রাস্তার দুই পাশে উৎসাহী জনতা ভিড় করেন।

এর আগে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে মোদি তৃতীয় দফার নির্বাচনে ভোটারদের রেকর্ড সংখ্যায় ভোট দেওয়ার আবেদন জানান।

তিনি লেখেন, ‘আজকের এই পর্বের নির্বাচনে যারা ভোট দিচ্ছেন, তাদের সবার কাছে রেকর্ড সংখ্যক ভোটাধিকার প্রয়োগের আর্জি জানাচ্ছি। তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অবশ্যই নির্বাচনকে আরও বেশি প্রাণবন্ত করে তুলবে।’ বাংলাসহ সাত ভাষায় পোস্ট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল ৭টা থেকে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এই দফায় ভারতের ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে।

আজ যে ৯৩ আসনে ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে ৮০ আসনে গতবার বিজেপি ও তাদের শরিকরা জিতেছিল। কংগ্রেস জোট পেয়েছিল মাত্র ১১ আসন।

গুজরাটের ২৬ আসনের মধ্যে ২৫ আসনে ভোট হচ্ছে। রাজ্যের সুরাট আসনে বিজেপির প্রার্থী আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। গতবার রাজ্যের সব আসনে বিজেপি জিতেছিল।

;

পরমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে রাশিয়াকে জার্মানির সতর্কতা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে রাশিয়ার মহড়ার ঘোষণার পর দেশটিকে সতর্ক করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ। সোমবার (৬ মে) লাটভিয়ার রাজধানী রিগায় একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে শোলজ এ কথা বলেন।

আনদালু এজেন্সির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময় তিনটি বাল্টিক রাষ্ট্র তথা লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া এবং এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। ইউক্রেন যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের বিরুদ্ধে মস্কোকে সতর্ক করেন শোলজ।

তিনি বলেন, এটি সর্বদা জোর দিয়ে বলা গুরুত্বপূর্ণ যে, এই যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা উচিত নয়। সুইজারল্যান্ডে একটি শান্তি সম্মেলন আয়োজনের কাজ চলছে, যা অবশ্যই রাশিয়ার কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা হবে।

জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সোমবার প্রথম সরকারি সফরে লাটভিয়ায় পৌঁছেন তিনি। তিনটি বাল্টিক রাষ্ট্রই সফর করবেন শোলজ। তিনটি দেশই আবার সামরিক জোট ন্যাটোর অংশীদার।

জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসন একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল এবং এটি ইউরোপকে বিভক্ত করে ন্যাটোকে দুর্বল করার পরিবর্তে তাদের ঐক্যকে শক্তিশালী করেছে।

এর আগে রাশিয়া ঘোষণা করেছে যে, তারা কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বিষয়ে মহড়া পরিচালনা করবে। অবশ্য শীর্ষ ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের প্রতি শক্তিশালী সামরিক সমর্থন প্রকাশের পরই তার প্রতিক্রিয়ায় এমন ঘোষণা দেয় মস্কো।

ক্রেমলিনের মতে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে পশ্চিমা ও ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সামরিক মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে শোলজ বাল্টিক সাগর অঞ্চলে ন্যাটো অংশীদারদের আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, জার্মানি নির্ভরযোগ্য সামরিক সহায়তা প্রদান করবে।

;

ফের রাফাহ হামলায় নেতানিয়াহুকে বাইডেনের হুঁশিয়ারি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুদ্ধবিরতির খসড়া চুক্তি মেনে নেয়ার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ইসরায়েলের শর্ত মানা হয়নি দাবি করে আবারও রাফাহতে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে রাফাহ অভিযানের বিরোধিতা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) এই তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।

হোয়াইট হাউজের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাইডেন ফোনকলে 'রাফাহ অভিযান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার বিষয়টি আবারও পরিষ্কার করেছেন।'

রাফাহতে হামলা শুরুর আগে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নেওয়ার একটি গ্রহণযোগ্য পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বারবার ইসরায়েলকে তাগাদা দিলেও এখনো দেশটি এই অনুরোধ রাখেনি।

সোমবার (৬ মে) হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কার্বি জানান, রাফার বেসামরিক মানুষ ঝুঁকিতে থাকবে এরকম কোনো স্থল অভিযানকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না। এর আগে পর্যন্ত হোয়াইট হাউজ বলছিল, রাফায় 'বড় ধরনের' অভিযানের বিরোধিতা করছে ওয়াশিংটন। বিশ্লেষকদের মতে, এবার আরও কড়া ভাষায় ইসরাইলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন।

বাইডেন প্রশাসন রাফা অভিযানের বিকল্প হিসেবে মিশর-গাজা সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও সুনির্দিষ্টভাবে হামাসের নেতাদের বিরুদ্ধে হামলার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু নেতানিয়াহু রাফা অভিযানকে অত্যাবশ্যক বলে দাবি করেছেন।

নেতানিয়াহুর মতে, হামাসকে নির্মূল করতে এই অভিযান জরুরি, কারণ রাফাহ এলাকায় হামাসের অনেক যোদ্ধা লুকিয়ে আছেন। রাফাহ শহরে হামাসের চারটি ব্যাটেলিয়ন রয়েছে, যাদেরকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত বিজয় অর্জন হবে না।

জন কার্বি আরও জানান, ফোনকলে বাইডেন রাফাহ অভিযান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, গাজায় আটকে থাকা ইসরাইলি জিম্মিদের জীবনকে সুরক্ষিত করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মতি দেওয়া।

তিনি বাইডেনের বরাত দিয়ে বলেন, 'আমরা জিম্মিদের মুক্ত করতে চাই। আমরা ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চাই এবং মানবিক সহায়তা বাড়াতে চাই। চুক্তিতে সব পক্ষ সম্মত হলে তা হবে সবচেয়ে ভালো ফলাফল'।

সোমবার হামাস চুক্তিতে সম্মতি দেওয়ার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) রাফাহ পূর্ব মহল্লাগুলো থেকে সবাইকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর বেশ কয়েক দফা বিমানহামলা চালায় আইডিএফ।

কার্বি জানান, সোমবার নেতানিয়াহুকে কল করার মূল কারণ হল সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি, রাফাহ অভিযান ও গাজায় প্রবেশের কেরেম শালোম ক্রসিং বন্ধ নিয়ে আলোচনা করা।

উল্লেখ্য, উত্তর গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে বলার পর সেখানকার হাজারো বাসিন্দা দক্ষিণের রাফায় আশ্রয় নেন। সেখানে এ মুহূর্তে ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি অবস্থান করছেন, যাদের বেশিরভাগই খোলা আকাশের নিচে তাঁবু খাটিয়ে বাস করছেন।

;