ভারতে ১ জুলাই থেকে সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভারতে ১ জলাই থেকে সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ

ভারতে ১ জলাই থেকে সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ১ জুলাই থেকে সিঙ্গল ইউজ বা এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বা তা দিয়ে তৈরি সামগ্রী নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার।

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রণালয়।

পাশাপাশি, ৫০ মাইক্রনের বদলে ১২০ মাইক্রন ঘনত্বযুক্ত পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে এক বার ব্যবহার করা যায় এমন প্লাস্টিক বা তা দিয়ে তৈরি কাপ-প্লেট, কাঁটা-চামচ, মিষ্টি বা সিগারেটের প্যাকেট ঘেরা অংশসহ পলিস্টাইরিন, এক্সপ্যান্ডেড পলিস্টাইরিনের আমদানি, মজুত, বিতরণ, বিক্রয় ও ব্যবহার- সমস্তই নিষিদ্ধ করা হলো।

এই মুহূর্তে ৫০ মাইক্রনের কম ঘনত্বযুক্ত পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার এ দেশে নিষিদ্ধ। তবে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৫০ মাইক্রন থেকে বাড়িয়ে পলিথিন ব্যাগের ঘনত্ব ৭৫ মাইক্রন করতে হবে। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে সেই মাপকাঠিতেও বদল ঘটছে। ওই দিন থেকে ১২০ মাইক্রন ঘনত্বযুক্ত পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।

যদিও ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে সমস্ত প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগ কোনও ভাবে পুনরায় ব্যবহার করা যায়, সেগুলির ক্ষেত্রে এই ঘনত্বের নিয়ম মান্য করার প্রয়োজন নেই। যদিও সে ধরনের প্লাস্টিকের উৎপাদন, বিপণন বা বিক্রির জন্য কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের শংসাপত্রের প্রয়োজন হবে।

যত্রতত্র প্লাস্টিক ব্যবহারের ফলে ভারত জুড়েই বাড়ছে দূষণ। প্লাস্টিক দূষণ রুখতে ভারত সরকার এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতে জুড়ে প্রায় ৪০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহই হয় না। ওই বর্জ্য পুড়িয়ে তা নষ্ট করতে গেলেও তাতে বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ে। আবার প্লাস্টিক বর্জ্য জমেও তা পরিবেশের ভয়াবহ ক্ষতি করছে। এমনকি, নদী বা সমুদ্র দূষণের জন্যও দায়ী প্লাস্টিক বর্জ্য।

   

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো রক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্রের অভাব রয়েছে ইউক্রেনের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন যে, দেশটির প্রতিরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র ফুরিয়ে যাওয়ায় কিয়েভের একটি প্রধান বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে রাশিয়া।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম পিবিএসের সঙ্গে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) কথা বলার সময় জেলেনস্কি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে তার মিত্রদের প্রতি বারবার সদয় হওয়ার পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, রাশিয়া তার দেশের অবকাঠামোগুলোতে হামলা বাড়ানোর কারণে মরিয়া হয়ে গোলাবারুদের আহ্বান জানাচ্ছে ইউক্রেন।

প্রসঙ্গত, ট্রিপিলস্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র (টিটিপিপি) কিয়েভ অঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কেন্দ্র, যেটি গত ১১ এপ্রিল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে রাশিয়া।

জেলেনস্কি পিবিএসকে বলেন, ‘ট্রিপিলস্কাতে ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলে পড়েছিল। আমরা প্রথম সাতটি ধ্বংস করেছি। কিন্তু, বাকি চারটি ট্রিপিলস্কাকে ধ্বংস করেছে। এর কারণ, সেখানে আমাদের প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ফুরিয়ে গিয়েছিল।’

আল জাজিরা জানিয়েেছে, আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠাতে রাজি করাতে যুদ্ধের শুরু থেকেই পশ্চিমা মিত্রদের আহ্বান জানিয়ে আসছে ইউক্রেন।

কিয়েভ আকাশ প্রতিরক্ষা বাড়াতে বাড়াতে চাইছে কারণ রাশিয়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তাদের বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলোতে তিনটি বড় হামলা চালিয়েছে।

কিয়েভ বলেছে, ইউক্রেনজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামোগুলোকে সঠিকভাবে সুরক্ষিত করতে তাদের ২৫টি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার প্রয়োজন।

এদিকে জার্মানি গত শনিবার বলেছে, তারা ইউক্রেনে তৃতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহ করবে। যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্ররা অবশ্য এর আগেই প্যাট্রিয়ট সিস্টেম এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে।

ইউক্রেনের ন্যাশনাল গ্রিড অপারেটর ইউক্রেনারগো চলতি মাসের শুরুতে সতর্ক করে বলেছিল যে, বারবার হামলার কারণে দেশের জ্বালানি ব্যবস্থার নিশ্চিত সুরক্ষা প্রয়োজন।

অন্যদিকে মস্কো বলেছে, তাদের হামলার লক্ষ্য ইউক্রেনের যুদ্ধ করার ক্ষমতা হ্রাস করা এবং রাশিয়ার অভ্যন্তরে সাম্প্রতিক হামলার প্রতিশোধ নেওয়া।

;

জাপানের কূটনীতিককে তলব করেছে দক্ষিণ কোরিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাপানের ‘ব্লুবুক’ শীর্ষক বার্ষিক কূটনৈতিক নীতি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ দিনের আঞ্চলিক বিরোধের কেন্দ্রস্থলের দ্বীপগুলোকে নিজেদের বলে দাবির প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপের বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

ব্লুবুক নামের জাপানের ওই কূটনৈতিক নীতির প্রতি অসম্মতি জানাতে সিউলে জাপানি দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন তাইসুকে মিবাইকে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করেছ বলে জানা গেছে।

এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রক ঘোষণা করেছিল যে, তারা কূটনৈতিক ব্লুবুকে জাপানের দাবির কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কারণ, ওই ডোকডো দ্বীপগুলো ঐতিহাসিকভাবে এবং ভৌগলিকভাবে সিউলের সার্বভৌম ভূখণ্ডের অংশ।

উল্লেখ্য, ওই ডোকডো দ্বীপগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর চলমান অবস্থানের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার কার্যকর কর্তৃত্ব রয়েছে।

কিন্তু, ডোকডো দ্বীপগুলো ২০২৪ সালের কূটনৈতিক ব্লুবুকে অন্তর্ভুক্ত করে মন্ত্রিসভায় জমা দিয়েছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া।

জাপান এই বছরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, দক্ষিণ কোরিয়া ডোকডোতে তার অবৈধ দখল ধরে রেখেছে এবং এলাকাটি ঐতিহাসিক ও আইনগতভাবে জাপানি এলাকা।

;

ইউক্রেনের চিড়িয়াখানায় মর্মান্তিক আগুন, ২০০ প্রাণী নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিমিয়ার সমুদ্রতীরবর্তী শহর ইয়েভপাটোরিয়াতে ট্রপিক পার্ক চিড়িয়াখানায় মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২০০টিরও বেশি প্রাণী মারা গেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম নোভিনাইট ডট কমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

চিড়িয়াখানার একজন মুখপাত্র বলেছেন, এটি একটি ভয়াবহ ট্র্যাজেডি এবং হৃদয়বিদারক ঘটনা। এ ট্র্যাজেডিতে চিড়িয়াখানার প্রায় সমস্ত প্রাণী মারা গেছে। এখানে ২০০ টিরও বেশি প্রাণী ছিল। আমি এতোটাই মর্মাহত যে, এরচেয়ে আর বিশদভাবে বর্ণনা করতে পারবো না।

এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে আশার বাণী হলো- চিড়িয়াখানার কর্মীদের সাহসী প্রচেষ্টায় ধোঁয়ায় ভরা এলাকা থেকে দুটি ভালুককে অলৌকিকভাবে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল।

প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে- শর্ট সার্কিটের ফলে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

বৈচিত্র্যময় এ চিড়িয়াখানায় লেমুর, তোতা, কচ্ছপ, সাপ, বানর এবং অন্যান্য অসংখ্য প্রজাতির পশুপাখি ছিল।

;

ইরান তার আত্মরক্ষায় কাজ করছে : রাইসি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, তার দেশের নজিরবিহীন ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে যদি তেল আবিব সামান্য পদক্ষেপও নেয়, তবে তারা বেদনাদায়ক প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, গত ১ এপ্রিল ইসরায়েলে প্রথম সরাসরি আক্রমণ চালিয়েছে তেহরান।

হামলাটি সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে হামলা চালিয়ে ৭ জন বিপ্লবী গার্ড কমান্ডারকে হত্যার প্রতিক্রিয়া বলে দাবি করেছে ইরান।

রাইসি সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে ফোন কলে বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করছি যে, ইরানের বিরুদ্ধে সামান্যতম পদক্ষেপ অবশ্যই কঠোর, ব্যাপক এবং বেদনাদায়ক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেবে।’

রাইসির অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ সময় তিনি থানিকে পুনর্ব্যক্ত করেন যে, ‘ইরান তার আত্মরক্ষায় কাজ করছে।’

তিনি ইসরায়েলকে সমর্থনের জন্য কিছু পশ্চিমা দেশের সমালোচনা করেন।

এদিকে, ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি সোমবার (১৫ এপ্রিল) নজিরবিহীন হামলার জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

হ্যালেভি ইরানের গত শনিবার রাতের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে সেনাদের বলেছেন, ‘ইসরায়েলের ভূখণ্ডে এতগুলো ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া জানাবে তেল আবিব।’

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্রদের সহায়তায় বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন গুলি ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে ওই আক্রমণে সামান্য ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

;