যেভাবে অনাস্থা ভোটের মুখে পড়েন ইমরান খান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইমরান খান

ইমরান খান

  • Font increase
  • Font Decrease

অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।পার্লামেন্টের ৩৪২ আসনের মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৭৪টি। ইমরান খানকে পরাজিত করতে বিরোধীদের প্রয়োজন ছিল ১৭২ ভোটের। পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম কোন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হলেন তিনি। ইতিমধ্যে ইমরান খান ইসলামাবাদ ত্যাগ করেছেন।

২০১৮ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় বসেন ইমরান খান। বিভিন্ন মহলের দাবি, দেশটির সেনাবাহিনীর ভূমিকা তার বিজয়ের পথ তৈরি করে দেয়।পাকিস্তানকে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট জয়ে নেতৃত্ব দেয়া ইমরান খান  দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই আর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে।

কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটের কারণেই ধীরে ধীরে বিপাকে পড়তে শুরু করে তার সরকার। এক পর্যায়ে গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগ নিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গেও দ্বন্দ্বে জড়ান তিনি।

এদিকে রাশিয়া যখন ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করলে এর মধ্যে ইমরান খান মস্কো সফর করেন।যা পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ভালো ভাবে নেয়নি।

এর মধ্যেই তার ক্ষমতাসীন জোটের বড় অংশ এমকিউএম তাকে ছেড়ে বিরোধী জোটে যোগ দিলে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন হারায় তার সরকার।

এ-ঘটনার কয়েকদিন আগে থেকেই ইমরান খান বিরোধী দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছিলেন, এরা 'বিদেশি রাষ্ট্রের' সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি আরও অভিযোগ করেছিলেন, এই ষড়যন্ত্রের পেছনে আছে যুক্তরাষ্ট্র, কারণ তিনি রাশিয়া এবং এবং চীনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। এজন্যেই তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলে তিনি দাবি করেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই।

বিরোধী দলীয় নেতারা রাতারাতি এই অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেননি। ইমরান খানের বিরুদ্ধে প্রস্তাবটি দেওয়ার পরিকল্পনার লেগে গেছে কয়েক মাস। এই ঘটনার বীজ বপন করা হয়েছিল আরও অনেক আগে। ২০২১ সালের শেষ নাগাদ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করার জন্য পিএমএল-এন সুপ্রিমো নওয়াজ শরিফকে সমর্থন করা শুরু করে।

তবে চূড়ান্তভাবে ২০২২ সালের ২৮ মার্চ জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলের নেতা শাহবাজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন। কিন্তু ডেপুটি স্পিকার কাসেম সুরি রুল জারি করেন যে, এই অনাস্থা প্রস্তাব পাকিস্তানের সংবিধানের পঞ্চম অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছে, যেটিতে রাষ্ট্র এবং সংবিধানের প্রতি আনুগত্যের কথা আছে।

এরপর ইমরান খান পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে ৯০ দিনের মধ্যে পাকিস্তানের পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা।

কিন্তু এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান বিরোধী নেতারা। তারা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবিধানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ আনেন। এরপরই তারা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে যান এই বলে যে, অনাস্থা ভোট আটকে দিয়ে সরকার তার সাংবিধানিক ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করেছে।

এর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ বিরোধী দলগুলো সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় এবং তাদের আবেদনে বলা হয় যেভাবে অনাস্থা প্রস্তাবটি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে আটকে দেয়া হয় তা ছিল বেআইনি ও অসাংবিধানিক। একই সঙ্গে স্পিকার আসাদ কায়সারকে শনিবার জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডাকার ঘোষণা দেন। সেই অধিবেশনেই ইমরান খানের অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে।

ভারতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৩৩



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রাতভর উদ্ধার অভিযান চলার পর একাধিক কামরা থেকে উদ্ধার হয়েছে মৃতদেহ। অনেককেই উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই আবহে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনার তীব্রতা এতই ছিল যে যাত্রীবাহী ট্রেনটির ইঞ্জিন উঠে যায় এক মালগাড়ির ওপর। ট্রেনের অধিকাংশ বগি ছিটকে পড়ে পাশের লাইনে। এই সময় উলটো দিক থেকে আসা যশবন্তপুর-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে করমণ্ডলের লাইনচ্যুত বগিগুলিকে। তিনটি ট্রেনের এই সংঘর্ষে মৃত্যু মিছিল জারি রয়েছ।

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩ হয়েছে। এদিকে হাসপাতালে ভরতি অনেক যাত্রীর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। এই আবহে তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

এদিকে এই দুর্ঘটনার পর স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং পরিকাঠামো নিয়ে। এই আবহে ঠিক কী কারণে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে ১২৮৪১ আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এর জেরে সেই ট্রেনের বি২, বি৩, বি৪, বি৫, বি৬, বি৭, বি৮, বি৯, এ১ এবং এ২ কোচ উলটে যায়। এছাড়া ট্রেনের ইঞ্জিন এবং বি১ কোচটি লাইন থেকে ছিটকে যায়। এই দুর্ঘটনার জেরে যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেসেরও বেশ কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে।

সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, এক রেল কর্মকর্তা জানান, প্রথমে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সেই সময় অন্য লাইনে ছিল ডাউন যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস। আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কোচের সঙ্গে এই আবহে ধাক্কা লাগে বেঙ্গালুরু থেকে আসা ট্রেনটির। এদিকে এই দুর্ঘটনার পর সারা রাত কেটে গেলও এখনও দুর্ঘটনাস্থলে চলছে উদ্ধারকাজ।

জানা গেছে, আহতদের অনেককেই বালাসোরের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এদিকে যাদের পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক, তাদের কটকের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। আজ দুর্ঘটনাস্থলে যাবেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দুর্ঘটনাস্থলে যেতে পারেন বলে জানা গেছে।

;

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২০৭, আহত ৯০০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ওডিশা রাজ্যে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছেন ৯০০ জনের বেশি। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (২ জুন) ওডিশার বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের শালিমার থেকে চেন্নাই যাচ্ছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পথে ওডিশার বাহানাগা বাজার এলাকা অতিক্রম করার সময় একটি মালবাহী ট্রেনকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী ট্রেনটি। এতে ৩টি বগি বাদে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সব বগি লাইনচ্যুত হয়।

স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছটায় এই ঘটনার পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হতে পেরিয়ে যায় প্রায় ঘণ্টাখানেক। এতে হতাহতের ঘটনা আরও বাড়ে।

ওডিশার মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা বলেছেন, ঘটনাস্থল বালেশ্বরে ২০০টিরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে।

এই শতাব্দীতে এটি ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। কর্মকর্তারা বলছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ওড়িশা রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত গুরুতর আহত ২০০ জনকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ‌ লাইনচ্যুত হয়ে যাওয়া ১৫টি বগির মধ্যে এখনও তিনটি এসি কামরা থেকে হতাহতদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে ওডিশার ত্রাণবিষয়ক বিশেষ কমিশনার সত্যব্রত সাহু জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৪৭ জনকে বালেশ্বর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরও ১৩২ জনকে আশপাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওডিশার মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা।

ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার খবরে দুঃখ প্রকাশ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটবার্তায় বলেন, ওডিশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় আমি মর্মাহত। এই দুঃসময়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহত ব্যক্তিরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক।

দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ রুপি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মোদি। এ ছাড়া আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে সহায়তা দেওয়া হবে।

;

ওড়িশায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ৩০, আহত ১৭৯



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের ওড়িশায় একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছেন।

শনিবার (২ জুন) সন্ধ্যায় ওড়িশার বালাসোরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত ১৭৯ জনকে বালেশ্বরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, শনিবার দুপুর ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ে ১২৮৪১ আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর স্টেশন ছাড়ে বিকেল সোয়া ৫টায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছায় বালেশ্বরে। কাছেই বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ কামরার ট্রেনটি।

ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা এনডিটিভিকে বলেন, করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাহানগা বাজারে বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতাগামী একটি ট্রেনের লাইনচ্যুত বগিতে ধাক্কা দেয়।

ওড়িশা ফায়ার সার্ভিসের প্রধান সুধাংশু সারঙ্গি উদ্ধারকাজ তদারকি করছেন। বালেশ্বর ও আশপাশের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের দুর্যোগ বাহিনী এনডিআরএফ শতাধিক কর্মী আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করছেন।

;

কাশ্মিরে পর্যটকবাহী বাস খাদে, নিহত ১০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে একটি পর্যটকবাহী বাস। এতে নিহত অন্তত ১০ জন এবং আহত হয়েছেন ১২ জন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাসে মোট ৭৫ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের কাছে একটি খাদে উলটে পড়ে পর্যটকদের একটি বাস। ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর এএনআইয়ের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের অমৃতসর থেকে পর্যটকবাহী দূরপাল্লার বাসটি কাটরার দিকে যাচ্ছিল। ওই বাসে চড়ে কাটরায় বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাচ্ছিলেন পুণ্যার্থীরা। অনেকেরই আঘাত গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জম্মুর ডেপুটি কমিশনার অভনি লাভাসা জানিয়েছেন, কাটরা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ঝাজ্জার কোটলি নামের এলাকায় জাতীয় সড়কের কাছে গভীর খাদে পড়ে যায় যাত্রীবাহী বাসটি। জোর কদমে চলছে উদ্ধারকাজ।

সিআরপিএফ কমান্ডান্ট অশোক চৌধুরী জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজ চলছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে জম্মু ও কাশ্মিরে। পাহাড়ি রাস্তা ও খাড়া বাঁকের জন্য কাশ্মিরের পথে গাড়ি চালানো সমতলের তুলনায় অনেক কঠিন। সেখানে মুহূর্তের অসাবধানতা ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

;