ফিনল্যান্ডে রুশ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করছে রাশিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফিনল্যান্ডে রুশ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করছে রাশিয়া

ফিনল্যান্ডে রুশ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করছে রাশিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিনল্যান্ডে রুশ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে তাদের জানিয়েছে রাশিয়ার জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রম।

ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রমালিকানাধীন জ্বালানি প্রতিষ্ঠান গাসুম জানিয়েছে, শনিবার (২১ মে) স্থানীয় সময় সকাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করবে রাশিয়া।

শুক্রবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, ফিনল্যান্ড রুশ মুদ্রা রুবলে গ্যাসের অর্থ পরিশোধ করতে রাজি না হওয়ায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তবে এ ঘোষণা এমন সময় এল, যখন ন্যাটো জোটের সদস্যপদের জন্য আবেদন করে রাশিয়ার তোপের মুখে আছে ফিনল্যান্ড। ফিনল্যান্ডে ব্যবহৃত বেশিরভাগ গ্যাস রাশিয়া থেকে আসে। 

গাসুমের প্রধান নির্বাহী মিকা উইলজানেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আমাদের সরবরাহ চুক্তির অধীনে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হবে। তবে, আমরা এই পরিস্থিতির জন্য সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম এবং গ্যাস ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। আমরা সামনের মাসগুলোতে আমাদের সব গ্রাহককে গ্যাস সরবরাহ করতে পারব।

   

অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে কিউবাজুড়ে বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: আল জাজিরা

ছবি: আল জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বীপরাষ্ট্রের কিউবায় অর্থনৈতিক সংকট অব্যাহত থাকায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) দেশটির রাষ্ট্রপতি মিগুয়েল ডিয়াজ-ক্যানেল বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। আগের দিন শত শত মানুষ বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং খাদ্য সংকটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জন্য সান্তিয়াগো শহরে জড়ো হয়ে বিক্ষাভ করেন।

সোশ্যাল মাধ্যমের ভিডিওতে দেখা যায়, কমিউনিস্ট-শাসিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে জনতা "শক্তি এবং খাদ্য" স্লোগান দিচ্ছে।

দেশটিতে সম্প্রতি এক দিনে ১৮ ঘণ্টা বা তার বেশি সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। এতে দেশে খাদ্য সরবরাহ এবং অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপকে বিপন্ন হয়।

মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা এবং সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতির সময় আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলির দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় কিউবা কয়েক দশকের মধ্যে তার সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের সাথে লড়াই করছে। করোনা মহামারী এ সংকটকে আরও প্রকট করে তুলেচে।

ডায়াজ-ক্যানেল সংলাপ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে এক্সে লিখেছেন, বেশ কিছু মানুষ বৈদ্যুতিক পরিষেবা এবং খাদ্য বিতরণের পরিস্থিতি নিয়ে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, দল, রাষ্ট্র এবং সরকারের কর্তৃপক্ষের স্বভাব হল আমাদের জনগণের অভিযোগের প্রতি মনোযোগ দেওয়া, শোনা, সংলাপ করা, পরিস্থিতির উন্নতির জন্য যে সমস্ত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে তা ব্যাখ্যা করা, সর্বদা প্রশান্তি এবং পরিবেশে।


হাভানায় মার্কিন দূতাবাস এক্স-এর একটি পোস্টে বলেছে, বায়ামো, গ্রানমা এবং অন্যান্য স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। সরকারকে "বিক্ষোভকারীদের মানবাধিকারকে সম্মান করতে এবং কিউবার জনগণের ন্যায্য চাহিদা মেটাতে" আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সান্তিয়াগোতে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল। এ সময় বিক্ষোভকারীরা চিৎকার করে বলেন, “কমিউনিজম চলে যাও, দিয়াজ-খাল চলে যাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওগুলিতে কোথাও সংঘর্ষ বা কাউকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি। বিক্ষোভগুলো বিপুল সংখ্যক রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা বাহিনী দ্বারা বেষ্টিত ছিলো।

;

ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আল জাজিরার সাংবাদিক গ্রেফতার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: আল জাজিরা

ছবি: আল জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তনের গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতাল থেকে আল জাজিরার আরবি সংবাদদাতা ইসমাইল আল-ঘৌলকে গ্রেফতার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গ্রেফতারের পর ওই সাংবাদিককে গুরুতরভাবে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে আল-ঘৌল তার সহযোগী এবং অন্যান্য সাংবাদিকদের সাথে হাসপাতালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চতুর্থ অভিযান কভার করতে সেখানে ছিলেন, যেখানে চিকিৎসা কর্মী, রোগী এবং বাস্তুচ্যুত পরিবারসহ হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক আটকা পড়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, আল জাজিরার প্রতিবেদককে ইসরায়েলি বাহিনী টেনে নিয়ে গেছে। চিকিৎসা কেন্দ্রের সংবাদ সম্প্রচারের যানবাহনও ধ্বংস করেছে তারা।

আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ রাফাহ থেকে এক প্রতিবেদনে জানায়, আল-ঘৌলকে "মাটিতে ফেলে তার সহযোগীসহ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নির্যাতন, মারধর এবং আটক করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে মাহমুদ বলেছেন, অনেক ফিলিস্তিনিকে মারধর করা হয়েছে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে, কারও কারও চোখ বেঁধে রাখা হয়েছে এবং তাদের হাত পিঠের পিছনে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এরপর তাদের একটি ইসরায়েলি সামরিক ট্রাকের ভেতরে রেখে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এবং হাসপাতালের একটি ভবনে গুলি চালায়, ফিলিস্তিনিদের হত্যা ও আহত করে এবং হাসপাতালের উঠানের একটি অংশ বুলডোজ দিয়ে ধ্বংস করে।

মাহমুদের মতে, এদিন ইসরায়েলি বাহিনী মহিলা চিকিৎসা কর্মী এবং সাংবাদিকসহ ৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে।

;

এমভি আব্দুল্লাহতে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ উদ্ধারে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালি পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী বলে জানিয়েছে দেশটির পান্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশ।

সোমবার (১৮ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দুই দিন আগে ভারতীয় কমান্ডোরা জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েনে অভিযান চালিয়ে ১৭ ক্রুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের পর এমভি আবদুল্লাহয় অভিযানের এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।

মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৩ নাবিকের সবাইকে জিম্মি করে। নাবিকরা সবাই বাংলাদেশি।

পান্টল্যান্ড সোমালিয়ার একটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, যেখানে অনেকগুলো জলদস্যু দলের ঘাঁটি রয়েছে। ওই এলাকার পুলিশ বাহিনী বলেছে, এমভি আবদুল্লাহকে দখল করে থাকা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর অভিযানের একটি পরিকল্পনা তারা জানতে পেরেছে। সে কারণে তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং অভিযানে অংশ নিতেও প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি থাকা ২৩ নাবিকের খাবার ও পানি নিয়ে সংকট দেখা দিতে পারে। কেননা জিম্মি নাবিকদের পাশাপাশি জলদস্যুরা খাবার খাওয়ায় জাহাজে থাকা খাবার ও পানির চাহিদা বেড়েছে।

বাণিজ্যিক জাহাজে কর্মরত একজন নাবিক জানান, এক বন্দর থেকে আরেক বন্দরে যেতে যত দিন সময় লাগে, তার চেয়ে এক থেকে দুই সপ্তাহের বেশি খাবার মজুত রাখা হয় জাহাজে। তবে কোনো কারণে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হতে পারে—এমন আশঙ্কায় শুকনো খাবার বেশি দিনের জন্য মজুত রাখা হয়। এমভি আবদুল্লাহ-তে ২৫ দিনের খাবারের মজুদ ছিল। পাশাপাশি ২০০ টন সুপেয় পানি ছিল। কিন্তু জলদস্যুরাও খাবারে ভাগ বসায় সেটি এখন দ্রুতই কমে আসবে।

এমন পরিস্থিতিতে খাবার ও পানির বিষয়ে জিম্মি জাহাজের মালিক কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে খাবারের বিষয়টি শুরুতে আলোচনা করা হবে। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জাহাজে খাবার ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েও পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা। এখন যত দ্রুত দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হবে, ততই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যাবে।

;

ঈদ কবে, সম্ভাব্য তারিখ জানাল আরব আমিরাত



তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, বার্তা২৪.কম, সংযুক্ত আরব আমিরাত
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদুল ফিতর মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। আনন্দ ও খুশির দিন। শুধু নেক বান্দাদের জন্যই খুশির দিন। যারা এক মাস ধরে সিয়াম সাধনা করেছেন, তাদের জন্যই আনন্দ ও উৎসবের দিন হচ্ছে ঈদুল ফিতর। পবিত্র রমজান শেষে পালিত হবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।

এবার ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত।

মহাকাশ গবেষণা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘আমিরাত জ্যোতির্বিদ্যা সংস্থা’র বরাতে গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ১০ এপ্রিল দেশটিতে ঈদুল ফিতর পালিত হতে পারে।

আরব আমিরাতে জ্যোর্তিবিদ্যা সোসাইটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হিজরি সন অনুযায়ী আগামী ১০ এপ্রিল বুধবার শাওয়াল মাস শুরু হতে পারে। যদি এদিন শাওয়াল মাস শুরু হয় তাহলে রোজা ৩০টি হবে।

গালফ নিউজের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, কাকতালীয়ভাবে শাওয়াল মাসের চাঁদের জন্ম আগামী ৮ এপ্রিল পূর্ণ সূর্যগ্রহণের ঘটনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। ফলে এটি পরের দিন ৯ এপ্রিল অধিকাংশ মুসলিম বিশ্ব থেকে দেখা যাবে।

প্রসঙ্গত, মুসলমানদের জন্য ঈদুল ফিতর ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক তাৎপর্য বহন করে। রমজানের মাসব্যাপী রোজা পালনের পর ঈদুল ফিতরের দিন উৎসব হিসেবে পালন করে মুসলিমরা।

;