রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ বিদায় জানাল বিশ্ব নেতৃবৃন্দ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ বিদায় জানাল বিশ্ব নেতৃবৃন্দ

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ বিদায় জানাল বিশ্ব নেতৃবৃন্দ

  • Font increase
  • Font Decrease

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে যথাযোগ্য মর্যাদায় সমাহিত করা হয়েছে। সোমবার লন্ডনে জনাকীর্ণ রাস্তায় ঐতিহাসিক জমকালো রাষ্ট্রীয় অন্তেষ্টিক্রিয়ায় সারা বিশ্বের নেতারা অংশ নেন।

বৃটিশ ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় দেশ শাসনকারী রানি গত ৮ সেপ্টেম্বর বালমোরালে ৯৬ বছর বয়সে মারা যান

ব্রিটেনে শেষ রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬৫ সালে যুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল মারা যাওয়ার পর। টেমস নদী দিয়ে রানির কফিনটি বহন করার সময় তাকে সম্মান জানাতে ক্রেণগুলোকে নত করা হয়েছিল।

অনেক সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রীয় অন্তেষ্টিক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ করতে এবং তাদের শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। গত কয়েক দিন ধরে অপেক্ষা করেছে।

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরে, রাণীর পতাকাযুক্ত কফিন ইম্পেরিয়াল স্টেট ক্রাউন উইন্ডসর ক্যাসেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

তাকে তার বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জ, তার মা রানি এলিজাবেথ এবং বোন রাজকুমারী মার্গারেটের সমাধির পাশে বরাবর সমাহিত করা হয়েছে।

তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপের কফিন যিনি গত বছর ৯৯ বছর বয়সে মারা গেছেন সেটি তার সমাধির পাশে স্থানান্তর করা হবে।


সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জাপানের সম্রাট নারুহিতোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানসহ দুই হাজারের বেশি মানুষ ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে যোগ দেন।

রানির বড় ছেলে এবং উত্তরসূরি রাজা তৃতীয় চার্লস (৭৩) শোক যাত্রায় নেতৃত্ব দেন। তার তিন ভাইবোন এবং তার উত্তরাধিকারী প্রিন্স উইলিয়াম তাদের সাথে যোগ দেন।

রবিবার চার্লস বলেছেন, তিনি এবং তার স্ত্রী, কুইন কনসর্ট ক্যামিলা সমবেদনা এবং শোক বার্তা পেয়ে "গভীরভাবে অভিভূত।"

তিনি আরো বলেন, আমরা সবাই আমাদের শেষ বিদায় জানাতে প্রস্তুত। আমি কেবল সকলকে ধন্যবাদ দিতে চাই।

রানির মৃত্যুর পর রাজ পরিবারের দুই সদস্য রানির দ্বিতীয় ছেলে প্রিন্স অ্যান্ড্রু এবং চার্লসের ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি সাময়িকভাবে রাজকীয় আনুষ্ঠিকতায় ফিরে এসেছেন।

রাষ্ট্রীয় অন্তেষ্টিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসও থাকবেন, যাকে রানি তার মৃত্যুর মাত্র দুই দিন আগে ১৫ তম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

ট্রাসের পূর্বসূরিরা এবং তার সমকক্ষরা এবং ব্রিটেনের বাইরে ১৪টি কমনওয়েলথ দেশের প্রতিনিধিরা যেখানে যোগ দেন।

রানির মৃত্যুতে তার ৭০ বছরের রাজত্বকালে ব্রিটেনে তার রাজত্ব এবং অতীতের উত্তরাধিকার, এর বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যতে কী হতে পারে সেইসাথে আজীবন সেবা ও কর্তব্যের মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটেছে।

প্রায় ৬ হাজার সামরিক কর্মী এই গৌরবময় রাষ্ট্রীয় অন্তেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে প্রস্তুতি নিয়েছে।

ব্রিটেনের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার সামরিক কর্মকর্তা, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অ্যাডমিরাল টনি রাদাকিন, এটিকে "রানির জন্য আমাদের শেষ কর্তব্য" বলে অভিহিত করেছেন।

স্থানীয় সময় সকাল ১১ টায় শুরু হওয়া রাষ্ট্রীয় অন্তেষ্টিক্রিয়া লন্ডনের সর্বকালের সবচেয়ে কড়া পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার অধীনে সংঘটিত হয়েছে। 

দুই মিনিট নীরবতা পাল এবং জাতীয় সঙ্গীত "গড সেভ দ্য কিং" বাজানোর আগে প্রায় এক ঘণ্টা লাস্ট পোস্ট পরিবেশন করা হয়।

ইয়র্কের প্রাক্তন আর্চবিশপ জন সেন্টামু বলেন, ১৬ শতকে রাজা হেনরি অষ্টম দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ইংল্যান্ডের প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চের, প্রধান রানি সাদামাটা বিদায় চাননি।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের ওয়েস্টমিনস্টার হলের দরজাগুলো সকাল ৬:৩০ এর কিছু পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কফিনটি রয়্যাল নেভির সদস্যরা অ্যাবেতে নিয়ে যায়।

পার্লামেন্টের হাউসের প্রান্তে এলিজাবেথ টাওয়ারের শীর্ষে বিগ বেন ঘণ্টা বাজায় এবং তোপধ্বনি করা হয়। টেলিভিশনে বিপুল সংখক দর্শক বিশ্বব্যাপী শেষকৃত্য অনুষ্ঠান দেখেছে।

   

যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলের হামলা, গাজায় নিহত ১৮৪



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি স্থল ও বিমান বাহিনী আবারও অভিযান শুরু করেছে। যুদ্ধবিরতি শেষে প্রথম দিনে সেখানে মোট ১৮৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আল-জাজিরার খবরে গাজার স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হিলোটের বাসিন্দারা সাইরেনের শব্দে জেগে ওঠেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, গাজা থেকে রকেট ছোড়া হয়েছিল এবং ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সেই রকেট আঘাত হানার আগেই তা ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।

এই ঘটনার পর এক তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে গাজায় ফের অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয় আইডিএফ।

গাজার স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন ৫৮৯ জন। কমপক্ষে ২০টি ঘরবাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি হামলার জবাবে হামাস ও ইসলামিক জিহাদসহ গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলো ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী এলাকা লক্ষ্য করে রকেট ও মর্টার হামলা চালিয়েছে। এ সময় ইসরায়েলের পাঁচ সেনা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

যুদ্ধবিরতির আগে গাজায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছিল। এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই সংখ্যা আরও বাড়তে থাকবে। 

;

খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৫০ জনেরও বেশি নারী সন্ত্রাসীর তালিকা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
খাইবার পাখতুনখোয়ার সেনানিবাসের প্রবেশ মুখ । ছবি : সংগৃহীত

খাইবার পাখতুনখোয়ার সেনানিবাসের প্রবেশ মুখ । ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের কাউন্টার-টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের নারী সন্ত্রাসীদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।

জিও নিউজ জানিয়েছে, ওই নারী সন্ত্রাসীরা প্রদেশটিতে ২০১৪ সাল থেকে বিভিন্ন ধরনের বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত ছিল।

ওই তালিকা অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদের ঘটনায় ৩০ জন, অপহরণে ১৩, চাঁদাবাজিতে দুজন এবং টার্গেট কিলিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নে তিনজন নারী জড়িত ছিল।

সিটিডি’র ডিআইজি ইমরান শহীদ বলেছেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের কারণে ওই নারী অপরাধী বা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘এসব নারী সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে এবং কয়েকটি মামলা বিভিন্ন আদালতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

ওই নথি সূত্রে জানা গেছে যে, পেশোয়ারের বিভিন্ন থানায় ১৮ জন নারীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নথিতে আরও জানানো হয়েছে যে, নয়জন নারী মামলায় খালাস পেয়েছেন এবং অন্যদের মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।

;

আফগানিস্তানে আলেমদের ওপর হামলায় নিহত ৭



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
আফগানিস্তানের এক নিরাপত্তারক্ষী। ছবি : সংগৃহীত

আফগানিস্তানের এক নিরাপত্তারক্ষী। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুই শিয়া আলেমকে বহনকারী একটি রিকশায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গুলি চালালে অন্তত সাতজন নিহত এবং একজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

স্থানীয় বাসিন্দারা ও একজন কর্মকর্তা খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

হেরাতের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘হামলাটি শহরের কোরা মিলি এলাকায় হয়েছে। এতে সাতজন নিহত ও একজন আহত হয়েছে।’

স্থানীয়রা জানান, নিহতদের মধ্যে চারজন নারী রয়েছেন এবং উভয় আলেমই নিহত হয়েছেন।

একজন বাসিন্দা এএফপিকে বলেছেন, ‘আলেমদ্বয় একটি থ্রি-হুইলারে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই গুলি চালানোর লক্ষ্য ছিল সম্ভবত ওই দুই আলেমকে হত্যা করা।’

উল্লেখ্য, শিয়ারা আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু এবং তারা বেশিরভাগই হাজারা সম্প্রদায়ের। তারা ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপের জঙ্গিদের আক্রমণের প্রায়ই লক্ষ্যবস্তু হয়। কারণ, আইএস তাদের ধর্মদ্রোহী বলে মনে করে।

২০২১ সালের আগস্টে তালেবানরা ক্ষমতা দখলের পর তাদের বিদ্রোহ শেষ করার পর থেকে সহিংসতা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তবে আইএসের আঞ্চলিক মিত্রসহ বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী এখনও দেশটির জন্য হুমকি হিসাবে রয়ে গেছে।

;

গাজায় একদিনে ১০৯ জনের মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফাহতে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১ দিনেই অন্তত ১০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। 

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাথে  ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সময় শেষ হওয়ার পরপরই গাজায় এই ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য,  শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) হামাসের সঙ্গে প্রথমে চারদিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল ইসরায়েল। এরপর দুই দফায় এটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। তবে গতকাল যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি হামাস-ইসরায়েল। এরপর শুক্রবার সকাল থেকেই নির্বিচারে ছোট্ট এ উপত্যকায় হামলা চালানো শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। এতে একদিনে একশরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

যুদ্ধবিরতির আগে গাজায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছিল। এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই সংখ্যা আরও বাড়তে থাকবে।

;