১৯৬১ সালের পর প্রথমবার জনসংখ্যা কমেছে চীনে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের জনবহুল দেশ চীনে ১৯৬১ সালের পর প্রথমবারের মতো জনসংখ্যা কমেছে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান সংস্থা ‘ন্যাশনাল ব্যুরো স্ট্যাটিসটিকস’ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে চীনের জনসংখ্যা গত ৬০ বছরে এই প্রথমবার এমন হারে কমেছে। এমনকি, ২০২২ সালে জন্মহারেও কমতি দেখা দিয়েছে।

পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০২১ সালে ১৪১ কোটির মধ্যে চীনের জনসংখ্যা ৮ লাখ ৫০ হাজার কমেছে। চীনে গত বছর জন্ম হয়েছে ৯৫ লাখ শিশুর। তবে, ২০২২ সালে চীনে মৃত্যু হয়েছে বেশি। গত বছর চীনে মৃতের সংখ্যা ১ কোটি ৪ লাখ।

২০২১ সালের শেষের দিকে চীনের জনসংখ্যার বৃদ্ধি দেখা দিয়েছিল। তবে ওই বছর জন্মহারে কমতি দেখা দিয়েছিল। ২০২১ সালে চীনে জন্মহার ১৩ শতাংশ কমে। চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬০ হাজার ব্যক্তি মারা গিয়েছেন।

এমন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চীনের জনসংখ্যা যদি ধীরে ধীরে কমতে থাকে, তাহলে তার উল্টো প্রভাব পড়বে। চীনের অর্থনীতির পাশাপাশি সারা বিশ্বের অর্থনীতিও ধাক্কা খাবে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী চীনে বৃদ্ধদের সংখ্যা অনেকটা বেশি হয়ে পড়েছে। তার উপর জন্মহার কমে আসার ফলে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য লোকবলের অভাব দেখা দিতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে, ১৯৬০ সালে চীনে জনসংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কমে গিয়েছিল। বর্তমানে আবার চীন একই রকম পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির এক অধ্যাপক ওয়ান ফেঙ্গ চীনের জনসংখ্যার গতিপ্রকৃতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। ওয়ানের মন্তব্য, ‘সারা বিশ্ব এক নতুন চীনকে দেখতে চলেছে। এই চীন জনবহুল নয়। বরং ধীরে ধীরে চীনের জনসংখ্যা আরও কমতে দেখা যাবে।

   

ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়ারহেডের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর কোরিয়া কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য তৈরি করা একটি সুবৃহৎ আকারের ওয়ারহেড পরীক্ষা করেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ ছাড়াও একটি নতুন ধরনের বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও সম্পন্ন করেছে উত্তর কোরিয়া।

দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) শনিবার (২০ এপ্রিল) জানিয়েছে, ‘হাওয়াসাল-১ আরএ-৩' কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ডিজাইন করা একটি সুপার-লার্জ ওয়ারহেডের শক্তি পরীক্ষা করেছে পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র প্রশাসন।

এ ছাড়াও, শুক্রবার বিকেলে একটি ‘পিওলজি-১-২’ এর একটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণও করেছে উত্তর কোরিয়া। কেসিএনএ জানিয়েছে, পিওলজি-১-২ একটি নতুন ধরণের বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র।

কেসিএনএ আরও বিশদ বিবরণ না দিয়ে জানিয়েছে, এই পরীক্ষার মাধ্যমে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।

কেসিএনএ জানিয়েছে, ‘এই অস্ত্র পরীক্ষা ছিল প্রশাসন এবং এর অধিভুক্ত প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ।’

বিশ্লেষকরা বলেছেন, বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার সঙ্গে তার গভীর সামরিক সহযোগিতা থেকে উপকৃত হতে পারে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করেছে যে ইউক্রেনে তাদের যুদ্ধের ক্ষমতা প্রসারিত করতে রাশিয়াকে আর্টিলারি শেল এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে উত্তর কোরিয়া।

;

তুরস্কের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন হামাস প্রধান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ানের সঙ্গে শনিবার (২০ এপ্রিল) সাক্ষাত করতে যাচ্ছেন হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াহ।

ইরান এবং গাজায় নতুন করে ইসরায়েলের হামলার প্রস্তুতির কথা জানানোর পর মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার মধ্যেই তিনি এ সাক্ষাত করছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিন সংঘাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন এরদোয়ান। তবে, তিনি হামাস প্রধানের সাথে তার বৈঠকের বিষয়ে আন্তরিক রয়েছেন বলে জানিয়েছে এএফপি।

শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা আমাদের এবং হানিয়ার মধ্যে আলোচ্যসূচি রাখব।’

তবে কাতার বলেছে, তারা হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে তাদের ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করবে।

এদিকে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে চেয়ে নতুন ইঙ্গিত দিয়ে বুধবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানকে দোহায় পাঠান এরদোয়ান।

২০১১ সাল থেকে হামাসের একটি কার্যালয় রয়েছে তুরস্কে। ওই সময় ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতকে মুক্ত করার জন্য হামাস গ্রুপের জন্য চুক্তিটি নিশ্চিত করতে সহায়তা করেছিল আঙ্কারা।

;

‘ইরাকে বিমান হামলা চালায়নি যুক্তরাষ্ট্র’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন সামরিক বাহিনী শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বলেছে, ইরাকের একটি সামরিক ঘাঁটিতে কথিত হামলার পেছনে তাদের বাহিনীর কোনো হাত নেই।

রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করা এক বার্তায় জানিয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে বিমান হামলা চালায়নি।’ এতে আরো বলা হয়, ‘দেশটিতে মার্কিন বাহিনী হামলা চালিয়েছে এমন কথা সত্য নয়।’

এর আগে ইরাকের মধ্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী এবং ইরানপন্থী আধাসামরিক বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটিতে শুক্রবার রাতে বোমা হামলা চালানোর খবর পাওয়া যায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এবং একজন সামরিক কর্মকর্তা শুক্রবার জানান, ক্যালসো ঘাঁটিতে ওই হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে সাবেক ইরানপন্থী আধাসামরিক গোষ্ঠী, বর্তমানে নিয়মিত সেনাবাহিনীতে একীভূত হাশেদ আল-শাবি’র অবস্থান।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই হামলায় একজন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছে। তবে দেশটির সামরিক সূত্র জানিয়েছে, হামলায় ইরাকের তিনজন সামরিক কর্মী আহত হয়েছে।

হামলায় আহতের সংখ্যা উল্লেখ না করে এক বিবৃতিতে হাশেদ আল-শাবি নিশ্চিত করেছেন যে, হামলায় অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

এএফপি’র প্রশ্নের জবাবে, সূত্রগুলো এই হামলার জন্য কে দায়ী বা এটি একটি ড্রোন হামলা ছিল কিনা তা শনাক্ত করতে পারেনি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি সরঞ্জাম, অস্ত্র এবং যানবাহনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ওই হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পক্ষ দায় স্বীকার করেনি।

বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই সামরিক কর্মকর্তা বলেন, ‘এগুলো ছিল সরঞ্জাম সংরক্ষণের গুদামে বিস্ফোরণ।এখনও আগুন জ্বলছে এবং আহতদের সন্ধান অব্যাহত রয়েছে।’

ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য গঠিত প্রধানত শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট এই হাশেদ আল-শাবি এখন ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি অংশ।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল এবং তেহরানের সমর্থিত ফিলিস্তিনি যোদ্ধা হামাসের মধ্যে যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে ইরানপন্থী আধাসামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে এই হামলার ঘটনা ঘটলো।

এদিকে, ইরানের ইসফাহানের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে শুক্রবারের হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে তেহরান।

;

যুক্তরাষ্ট্রে আদালতের বাইরে নিজেকে দগ্ধ করা ব্যক্তির মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালতের বাইরে নিজের গায়ে আগুন দেওয়া ম্যাক্সওয়েল অ্যাজারেলো মারা গেছেন।

ম্যানহাটনের ওই আদালতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিচারকাজ চলছিল।

এ সময় আদালতের বাইরে নিজের শরীরে আগুন দেন ৩৭ বছর বয়সি ম্যাক্সওয়েল।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ঘটনাটি ঘটে। এ সময় ট্রাম্প আদালতকক্ষে ছিলেন। ঘটনার পরপর ট্রাম্প আদালত ত্যাগ করেন।

ম্যাক্সওয়েল প্রথমে বাতাসে ‘ষড়যন্ত্র-তত্ত্বের’ প্রচারপত্র ছুড়ে দেন। এরপর নিজের শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।

গুরুতর অবস্থায় ম্যাক্সওয়েলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তিনি মারা যান।

তদন্তকারীরা বলছেন, পরিবারের সঙ্গে ফ্লোরিডায় থাকতেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি গত সপ্তাহে ফ্লোরিডার থেকে নিউইয়র্কে এসেছিলেন।

ম্যাক্সওয়েলের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার কোনো তথ্য নিউইয়র্ক পুলিশের কাছে নেই।

ম্যাক্সওয়েল যে ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্কে এসেছিলেন, তা তার পরিবারের সদস্যরা জানতেন না।

;