জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি রাশিয়া, ক্ষুব্ধ ইউক্রেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়া আজ হতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে, যদিও ইউক্রেন এটি আটকে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য দেশ পর্যায়ক্রমে এক মাস করে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে। রাশিয়া সর্বশেষ এই দায়িত্ব পেয়েছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, যখন তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করেছিল।

এর মানে হচ্ছে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে আছে এখন এমন এক দেশ, যে দেশের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কথিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে একটি আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত মাসে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করে। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জাতিসংঘের কোন অঙ্গ প্রতিষ্ঠান নয়।

রাশিয়ার ব্যাপারে ইউক্রেনের অভিযোগ সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, তারা নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি পদে যেতে রাশিয়াকে আটকাতে পারবে না। রাশিয়া নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। পরিষদের অপর চারটি স্থায়ী সদস্য দেশ হচ্ছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং চীন।

নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির ভূমিকা মূলত পদ্ধতিগত দায়িত্ব পালনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে জাতিসংঘে রাশিয়ার দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া রুশ বার্তা সংস্থা তাস নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন, তিনি নিরাপত্তা পরিষদে কয়েকটি বিতর্ক পরিচালনা করবেন, এর মধ্যে একটি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত।

তিনি বলেন, বর্তমান একক-মেরু-ভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করবে যে নতুন বিশ্বব্যবস্থা, সেটি নিয়েও তিনি আলোচনা করবেন।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হিসেবে রাশিয়ার দায়িত্ব গ্রহণকে “এপ্রিল ফুল’স ডে’র” সবচেয়ে “বাজে রসিকতা” বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, আন্তজার্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার কাঠামো এখন যেভাবে কাজ করছে, তা যে কতটা গলদপূর্ণ, এটা তাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পডোলিয়াক বলেছেন, “এর মাধ্যমে আসলে আন্তর্জাতিক আইন আবারও ধর্ষিত হলো- যারা আরেকটি দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসী যুদ্ধ চালায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের সব নিয়ম-কানুন লঙ্ঘন করে, জাতিসংঘ সনদ ধ্বংস করে, পরমাণু নিরাপত্তাকে অবহেলা করে- তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সংস্থার নেতৃত্বে থাকতে পারে না।”

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত বছর নিরাপত্তা পরিষদকে সংস্কার করা অথবা পুরোপুরি বিলুপ্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এটি রাশিয়ার হামলা বন্ধে বা প্রতিরোধে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি নিরাপত্তার পরিষদ থেকে রাশিয়ার সদস্যপদ বাতিলেরও আহ্বান জানিয়েছিলেন।

তবে যুক্তরাষ্ট্র তখন বলেছিল, তাদের হাত বাঁধা, কারণ জাতিসংঘ সনদে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কোন স্থায়ী সদস্য দেশকে বাদ দেয়ার কোন সুযোগ নেই।

“দুর্ভাগ্যবশত, রাশিয়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ। এই বাস্তবতাকে পরিবর্তন করার কোন রকম সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক আইনি পথ নেই”- এ সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যাঁ-পিয়ের।

তিনি একথাও বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র আশংকা করে মস্কো “নিরাপত্তা পরিষদে তাদের আসনকে কাজে লাগিয়ে মিথ্যে তথ্য ছড়ানো অব্যাহত রাখবে এবং ইউক্রেনে তাদের চালানো কাজ-কর্মের পক্ষে সাফাই গেয়ে যাবে।”

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হচ্ছে বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা।

নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী আসনে আছে পাঁচটি দেশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বে যেসব দেশ ক্ষমতাধর ছিল, তাদের প্রাধান্য দিয়েই গঠন করা হয়েছে এই পরিষদ। স্থায়ী সদস্যদের পাশাপাশি পরিষদে আছে দশটি অস্থায়ী সদস্যপদ।

রাশিয়া যেহেতু নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য, তাই যে কোন প্রস্তাব তারা নাকচ করে দিতে পারে।

নিরাপত্তা পরিষদে কোন প্রস্তাব পাশ হতে হলে প্রস্তাবের পক্ষে অন্তত নয়টি ভোট পড়তে হয়, তবে কোন স্থায়ী সদস্য দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিলে সেটি বাতিল হয়ে যাবে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্যে নিরাপত্তা পরিষদে যে প্রস্তাব আনা হয়েছিল, রাশিয়া সেটিতে ভিটো দেয়। অন্যদিকে চীন, ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত এই প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত থাকে।

সেপ্টেম্বরে আবার আরেকটি প্রস্তাব আনা হয়েছিল, যাতে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল অবৈধভাবে রাশিয়া নিজদেশের সীমানাভুক্ত করার যে পদক্ষেপ নেয়, সেটি বাতিলের আহ্বান জানানো হয়। এবারও রাশিয়া ভিটো দিয়ে এই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। এই প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ব্রাজিল, চীন, গ্যাবন এবং ভারত।

তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

রোববার (২৮ মে) দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। তবে, আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল এখনো ফলাফল নিশ্চিত করেনি।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট বা রানঅফের ৯৭ শতাংশ ভোট গণনা শেষে ৫২ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এরদোয়ান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট। এতে এরদোয়ান বেসরকারি প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।

এর আগে, স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে বিকাল ৫টার দিকে শেষ হলে শুরু হয় গণনা। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পর তুর্কি সংবাদমাধ্যম ফল প্রকাশ শুরু করে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চূড়ান্ত ফল পাওয়া যেতে পারে।

গত ১৪ মে নির্বাচনের প্রথম দফায় এরদোয়ান পেয়েছিলেন ৪৯ শতাংশ ভোট। কিলিচদারোগ্লু পেয়েছিলেন ৪৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ। দুজনের কেউই ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন গড়ায় দ্বিতীয় দফায়।

ইতিহাসের প্রথমবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন গড়াল দ্বিতীয় ধাপে। বিভিন্ন জরিপ বলছে, প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছেন এমন অনেকেরই দ্বিতীয় ধাপের ভোট দেওয়ায় আগ্রহ নেই। বিশ্লেষকদের মত, এমন পরিস্থিতিতে ভোটার উপস্থিতিও বড় প্রভাব ফেলতে পারে দুই প্রার্থীর ভোট ব্যাংকে।

;

তুরস্কে ভোট গণনা চলছে, এগিয়ে এরদোয়ান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তুরস্কের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রান অফ নির্বাচনে রোববার দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষে এখন গণনা চলছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট বা রানঅফে এগিয়ে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। ৯৫ দশমিক ২৪ শতাংশ ভোট গণনার পর এগিয়ে রয়েছেন তিনি। এর মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৫২ দশমিক ৩৪ শতাংশ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ ভোট।

স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে বিকাল ৫টার দিকে শেষ হলে শুরু হয় গণনা। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পর তুর্কি সংবাদমাধ্যম ফল প্রকাশ শুরু করে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চূড়ান্ত ফল পাওয়া যেতে পারে।

১৪ মে নির্বাচনের প্রথম দফায় এরদোয়ান পেয়েছিলেন ৪৯% ভোট। কিলিচদারোগ্লু পেয়েছিলেন ৪৪.৮৯ %। দুজনের কেউই ৫০% ভোট না পাওয়ায় সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন গড়ায় দ্বিতীয় দফায় (২৮ মে)।

ইতিহাসের প্রথমবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন গড়াল দ্বিতীয় ধাপে। বিভিন্ন জরিপ বলছে, প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছেন এমন অনেকেরই দ্বিতীয় ধাপের ভোট দেওয়ায় আগ্রহ নেই। বিশ্লেষকদের মত, এমন পরিস্থিতিতে ভোটার উপস্থিতিও বড় প্রভাব ফেলতে পারে দুই প্রার্থীর ভোট ব্যাংকে। তবে এরদোয়ানের জয়ের সম্ভবনা বাড়ছে এবং তিনি এগিয়েও রয়েছেন। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করছে দেশটির মানুষ।

;

মানব মস্তিষ্কে চিপ বসানোর অনুমতি পেল মাস্কের কোম্পানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউরালিংক ইমপ্লান্ট কোম্পানি কম্পিউটারের সঙ্গে মস্তিষ্ককে সংযুক্ত করে মানুষের দৃষ্টি ও গতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করতে চায়। এতদিন সেটি প্রত্যাখ্যান হয়ে এসেছে। কিন্তু, এবার ইলন মাস্কের ব্রেইন-চিপ ফার্ম জানিয়েছে, তারা মানুষের ওপর প্রথম পরীক্ষা চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে। খবর বিবিসি।

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, ইলনের ফার্মের বক্তব্য অনুযায়ী অংশগ্রহণকারীদের নিয়োগ শুরুর তাৎক্ষণিক কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। আর এফডিএ জানিয়েছে, তারা নিউরালিংকের ঘোষণাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

গত মার্চে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এফডিএর অনুমোদন পাওয়ার জন্য নিউরালিংকের একটি প্রস্তাব নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। আর গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, নিউরালিংক পক্ষাঘাত ও অন্ধত্বের মতো অবস্থার চিকিৎসার জন্য এবং কিছু প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কম্পিউটার ও মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সহায়তা করার জন্য মাইক্রো চিপগুলো ব্যবহারের আশা করে। বিবিসি তাদের এই প্রতিবেদনে রয়টার্সের তথ্যও তুলে ধরে।

বানরের ওপর পরীক্ষা করা চিপগুলো মস্তিষ্কে উৎপাদিত সংকেত ব্যাখ্যা করতে এবং ব্লুটুথের মাধ্যমে ডিভাইসে তথ্য পাঠাতে ডিজাইন করা হয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে নিউরালিংকের মস্তিষ্কের ইমপ্লান্ট ব্যাপকভাবে উপলব্ধ হতে হলে প্রযুক্তিগত ও নৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে ব্যাপক পরীক্ষার প্রয়োজন হবে।

;

ভারতে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন আজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন আজ রোববার। আর সেই উপলক্ষে ঢেলে সাজানো হচ্ছে পুরো চত্বর। সাজানো হয়েছে সংসদ ভবনের অন্দরও। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বিখ্যাত উপকরণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন সংসদ ভবন। নাগপুরের সেগুনকাঠ থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর থেকে আনা কার্পেট! কী নেই সেখানে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সংসদ ভবনের উদ্বোধন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। এরই মধ্যে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংসদ ভবন উদ্বোধনের জন্য তারা ৭৫ রুপি মূল্যের একটি বিশেষ মুদ্রা চালু করতে যাচ্ছে। এই বিশেষ মুদ্রার ওজন ৩৫ গ্রাম।

এই মুদ্রাটি ৫০ শতাংশ রূপা, ৪০ শতাংশ তামা, ৫ শতাংশ নিকেল এবং ৫ শতাংশ জিঙ্ক দিয়ে তৈরি। ৪৪ মিমি ব্যাসের মুদ্রার একপাশে অশোক স্তম্ভ চিহ্ন থাকবে। নীচে লেখা হবে 'সত্যমেব জয়তে'। অশোক স্তম্ভের বাম দিকে দেবনাগরী লিপিতে 'ভারত' এবং ডানদিকে ইংরেজিতে 'ইন্ডিয়া' থাকবে।

নতুন ৭৫ রুপির কয়েনে 'রুপি' চিহ্নও থাকবে, যা ভারতীয় মুদ্রার প্রতীক। মুদ্রার অপর পাশে থাকবে নতুন সংসদ ভবনের ছবি। দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেবনাগরিতে ছবির উপরে 'সংসদ সংকুল' এবং নীচে ইংরেজিতে 'পার্লামেন্ট কমপ্লেক্স' লেখা হবে।

প্রায় ৬০ হাজার শ্রমিক সম্প্রতি ভারতের নতুন সংসদ ভবন নির্মাণের জন্য দুই বছরের কঠোর পরিশ্রম সম্পন্ন করেছেন, যা এখন ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু তার আগেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে দেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

তৃণমূল, আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস, বাম, সমাজবাদী পার্টিসহ ২০টি বিরোধী দল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দিয়েছে। ক্ষমতাসীন দলটিও বিরোধী দলের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি উদ্বোধন বয়কটের সিদ্ধান্তকে ‘দেশের গণতান্ত্রিক নীতি এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধের অপমান’ বলে অভিহিত করেছে।

;