উত্তর কোরিয়ার জেনারেলকে বরখাস্ত

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন সেনাবাহিনীর শীর্ষ জেনারেলকে বরখাস্ত করেছেন। সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতি, অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সামরিক মহড়া সম্প্রসারণের জন্য আরও প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায়।

সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের এক বৈঠকে কিম এই মন্তব্য করেছেন। যেখানে উত্তর কোরিয়ার শত্রুদের ঠেকাতে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে শত্রুদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

কেসিএনএ'র রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশটির শীর্ষ জেনারেল, চিফ অফ দ্য জেনারেল স্টাফ পাক সু ইলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় সাত মাস তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে জেনারেল রি ইয়ং গিলকে। যিনি পূর্বে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং সেইসাথে এর সেনাদের শীর্ষ কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। রি এর আগে সেনাপ্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৬ সালে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অনুপস্থিতির কারণে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার রব ওঠে। যদিও কয়েক মাস পরে তিনি আবার আবির্ভূত হন, তখন তাকে অন্য সিনিয়র পদে স্থলাভিষিক্ত করা হয়।

কেসিএনএ'র পোর্টে বলা হয়, কিম অস্ত্র উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্য স্থির করেছেন। গত সপ্তাহে অস্ত্র কারখানা পরিদর্শনকালে তিনি ক্ষেপণাস্ত্র, আর্টিলারি এবং অন্যান্য অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধির আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে কামান, রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য অস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগ করেছে। যদিও রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া এসব দাবি অস্বীকার করেছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, কিম তার বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রাখতে দেশটির সর্বাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম দিয়ে মহড়া চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

উত্তর কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা দিবসের ৭৫ তম বার্ষিকী উপলক্ষে ৯ সেপ্টেম্বর একটি সামরিক কুচকাওয়াজ করবে। উত্তর কোরিয়ার বেশ কয়েকটি আধাসামরিক গোষ্ঠীকে কিম তার সামরিক বাহিনী শক্তিশালী করতে ব্যবহার করেন।

প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া মিলিতভাবে ২১ থেকে ২৪ আগস্টের মধ্যে সামরিক মহড়া করার কথা রয়েছে। যেটিকে উত্তর কোরিয়া তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে।