ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্দী বিনিময় সম্পন্ন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
কাতারে নামছেন সিয়ামক নামাজি, এমাদ শারকি ও মোরাদ তাহবাজ। ছবি : সংগৃহীত

কাতারে নামছেন সিয়ামক নামাজি, এমাদ শারকি ও মোরাদ তাহবাজ। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাতারের মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের বন্দী বিনিময়ের অংশ হিসাবে পাঁচ মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে ইরান। একইভাবে পাঁচজন ইরানীকেও মুক্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পাঁচ মার্কিন নাগরিক এবং দুইজন ইরানি তাদের নিজ নিজ দেশে যাওয়ার উদ্দেশে ইতিমধ্যেই কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছেছেন।

তবে, মুক্তি পাওয়া পাঁচ ইরানির মধ্যে তিনজন ইরানে ফিরছেন না। তাদের দুজন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করবেন এবং বাকি একজন তৃতীয় দেশে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।

এর আগে, ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্দী বিনিময় চুক্তির ক্ষেত্রে তেহরানের শর্ত অনুযায়ী এই সপ্তাহের প্রথম দিকে কাতারের ব্যাংকগুলোতে তেহরানের তহবিলে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জমা করার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের।

এনডিটিভি জানিয়েছে, তেহরানের ওই শর্ত পূরণ করার পরই সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ওই বন্দী বিনিময়ের ঘটনা ঘটলো।

ওই অর্থের বিনিময়ে ইরানে আটক পাঁচজন মার্কিন দ্বৈত নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে তেহরান এবং একই সংখ্যক ইরানী বন্দীকে মুক্তি দিলো ওয়াশিংটন।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্দী বিনিময় আলোচনার সঙ্গে জড়িত আট ব্যক্তি এবং অন্যান্য সূত্র রয়টার্সকে ওই খবর নিশ্চিত করেছে।

বন্দী বিনিময়ের প্রথম ধাপ হিসাবে ইরান গত ১০ আগস্ট তেহরানের এভিন কারাগার থেকে পাঁচ মার্কিন নাগরিককে বের করে গৃহবন্দি অবস্থায় রেখেছিল।

সেই দিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ওই পদক্ষেপকে বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ বলে অভিহিত করেছিলেন।

ইরানে গৃহবন্দী অবস্থায় ছিলেন ব্যবসায়ী সিয়ামক নামাজি, এমাদ শারকি এবং পরিবেশবাদী মোরাদ তাহবাজ। গৃহবন্দী চতুর্থ এবং পঞ্চম জনের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিশ্বস্ত দুটি সূত্র জানিয়েছে, ওই দুজনের একজন নারী।

দোহা দুই দেশের মধ্যে অন্তত আট দফা আলোচনার আয়োজন করেছিল, যাতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচকরা কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যাটির সমাধান করতে পারে।

পূর্ববর্তী আলোচনাগুলো প্রধানত পারমাণবিক ইস্যুতে হলেও পরে এটি বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে কেন্দ্রীভূত হয়।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অর্থ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অধীনে প্রকল্পগুলোতে ইরান ব্যয় করতে পারবে না। আর এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে ইরানকে পর্যবেক্ষণ করবে কাতার।

দোহাভিত্তিক তিনটি সূত্র জানিয়েছে, বন্দীরা নিজ দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে কাতারকে ট্রানজিট হিসাবে ব্যবহার করছে।

এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, ‘ইরান প্রথমে তহবিলে সরাসরি প্রবেশাধিকার চেয়েছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তারা কাতারের মাধ্যমে প্রবেশাধিকারে রাজি হয়েছে। ওই অর্থ দিয়ে ইরান খাদ্য ও ওষুধ কিনবে এবং কাতার সেক্ষেত্রে সরাসরি অর্থ প্রদান করবে।’

এর আগে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আলোচনার বিশদ বিবরণ, আলোচনায় কাতারের ভূমিকা বা চূড়ান্ত চুক্তির শর্তাবলী সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তার জাতিসংঘ মিশন এ বিষয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তর দেয়নি।

   

সিনেটর বব মেনেনডেজের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
বব মেনেনডেজ। ছবি : সংগৃহীত

বব মেনেনডেজ। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় সিনেটর বব মেনেনডেজ এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।

ওই দুজনের বিরুদ্ধে মিশরকে সুবিধা পাইয়ে দিতে বৈদেশিক নীতিকে প্রভাবিত করাসহ বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কাজের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তুলেছেন প্রসিকিউটররা।

ম্যানহাটনের অ্যাটর্নি অফিস শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মেনেনডেজ এবং তার স্ত্রী নাদিনের বিরুদ্ধে নিউ জার্সির তিন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ করেছে।

ম্যানহাটনের অ্যাটর্নি অফিস তাদের অভিযোগে বলেছে, ‘ওই ঘুষের মধ্যে নগদ অর্থ, স্বর্ণ, একটি বাড়ির বন্ধকের জন্য অর্থপ্রদান, একটি কাজের জন্য ক্ষতিপূরণ, একটি বিলাসবহুল যানবাহন এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিস অন্তর্ভুক্ত ছিল।’

প্রসিকিউটররা বলেন, ওই সিনেটর দম্পতির বাড়িতে তল্লাশি করে সোনার বার এবং লুকানো নগদ ৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার পাওয়া গেছে।

ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেনেনডেজ এবং তার স্ত্রী তিনটি ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। সেগুলো হলো, ঘুষ নেওয়ার ষড়যন্ত্র, পরিষেবা জালিয়াতির ষড়যন্ত্র এবং সরকারি অধিকারের আড়ালে চাঁদাবাজি।

অভিযোগগুলো প্রকাশ্যে আসার পরে এক বিবৃতিতে, মেনেনডেজ বলেছেন, তিনি মিথ্যা এবং অপপ্রচারের শিকার।

তিনি প্রসিকিউটরদেরকে তার এবং তার স্ত্রী সম্পর্কে মিথ্যা দাবির জন্য অভিযুক্ত করে বলেন, বিরোধীরা প্রথম প্রজন্মের ল্যাটিনো আমেরিকান, যারা মার্কিন আইনসভায় সততার সঙ্গে কাজ করতে পারাটা মেনে নিতে পারে না।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অভিযোগকারীরা কংগ্রেসনাল অফিসের স্বাভাবিক কাজকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে। এ ছাড়াও, তারা শুধুমাত্র আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা দাবি করে সন্তুষ্ট নয়, তারা আমার স্ত্রীকেও আক্রমণ করেছে।’

প্রভাবশালী ইউএস সিনেট কমিটির পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক প্রধান ৬৯ বছর বয়সি সিনেটর মেনেনডেজের বিরুদ্ধে এর আগেও নিউ জার্সিতে সরকারি সুবিধার বিনিময়ে একজন ধনী পৃষ্ঠপোষকের কাছ থেকে ব্যক্তিগত ফ্লাইট, প্রচারাভিযানে অবদান এবং অন্যান্য ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছিল।

২০০৬ সাল থেকে মার্কিন সিনেটে থাকা মেনেনডেজ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম সিনেটর হিসেবে দেখা হচ্ছে, যাকে দুটি ফৌজদারি অপরাধমূলক অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

মেনেনডেজ প্রথম প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন যে, তিনি গত অক্টোবরে একটি নতুন ফেডারেল তদন্তের মুখোমুখি হয়েছিলেন।

ঘুষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রসিকিউটররা মেনেনডেজের নিউ জার্সির বাড়ি, একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ, নগদ প্রায় ৫ লাখ ৬৬ হাজার মার্কিন ডলার, স্বর্ণের বার এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থ বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা করছেন৷

ব্যবসায়ী ওয়ায়েল হানা, হোসে উরিবে এবং ফ্রেড ডাইবসকেও ঘুষ প্রদানের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

প্রসিকিউটররা বলেন, হানা, যিনি মূলত মিশর থেকে ২০১৮ সালে মেনেনডেজ এবং মিশরীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে নৈশভোজ এবং বৈঠকের ব্যবস্থা করেছিলেন। ওই বৈঠকে মিশরের কর্মকর্তারা মার্কিন সামরিক সহায়তার অবস্থা সম্পর্কে জানতে সিনেটরকে চাপ দিয়েছিলেন।

মিশর ওই সময় মার্কিন সামরিক সাহায্যের বৃহত্তম প্রাপকদের মধ্যে একটি ছিল। কিন্তু, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ২০১৭ সালে দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণতন্ত্রের উন্নতি না করা পর্যন্ত ওই সাহায্য বাতিল করে।

প্রসিকিউটররা বলেন, ২০১৮ সালে একটি সভায় মেনেনডেজ হানাকে সাহায্যের অবস্থা সম্পর্কে অপ্রকাশ্য তথ্য জানান। তারপরে হানা একজন মিশরীয় কর্মকর্তাকে টেক্সট করেছিলেন যে, মিশরে ছোট অস্ত্র ও গোলাবারুদের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।

নৈতিকতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিটিজেনস ফর রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড এথিক্সের প্রেসিডেন্ট শুক্রবার এক বিবৃতিতে, মেনেনডেজের প্রতি পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন।

;

মুসলিম সাংসদকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে তোপের মুখে বিজেপির সাংসদ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
বিজেপির সাংসদ রমেশ বিধুরি। ছবি : সংগৃহীত

বিজেপির সাংসদ রমেশ বিধুরি। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের রাজনৈতিক দল বিজেপির সাংসদ রমেশ বিধুরি কর্তৃক সংসদে দাঁড়িয়ে মুসলিম এক সাংসদের প্রতি করা সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের ঘটনা দেশটির রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

রমেশ বিধুরি তার বিতর্কিত ওই মন্তব্যের জন্য লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছ থেকে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) কঠোর পদক্ষেপের একটি সতর্ক বার্তা পেয়েছেন৷

বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হয়ে রমেশকে ১৫ দিনের মধ্যে তার অসংসদীয় ভাষার ব্যবহারের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে বিজেপিও।

লোকসভার কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, স্পিকার চন্দ্রযানের সাফল্য নিয়ে আলোচনার সময় মুসলিম সাংসদ দানিশ আলীর (বিএসপি) প্রতি রমেশ বিধুরির দ্বারা ব্যবহৃত আপত্তিকর শব্দগুলোর গুরুতর নোট নেওয়া হয়েছে এবং এই ধরনের আচরণের পুনরাবৃত্তি হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

এনডিটিভি জানিয়েছে লোকসভার একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রমেশ বারবার দানিশ আলীকে ইসলামোফোবিক এবং সন্ত্রাসী বলে গালিগালাজ করছেন।

ওই ঘটনায় দানিশ আলী স্পিকারকে এক চিঠিতে লিখেছেন, ‘আপনার নেতৃত্বে একটি নতুন সংসদ ভবনে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা এই মহান জাতির একজন সংখ্যালঘু সদস্য এবং একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসাবে আমার জন্য হৃদয়বিদারক।’

ওই চিঠিতে তিনি ঘটনাটি বিশেষাধিকার কমিটির কাছে উল্লেখ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এনডিটিভির সঙ্গে কথা বলার সময় দানিশ আলী জানান, তিনি অপমানে সারা রাত ঘুমাতে পারেননি।

বিরোধী নেতারা বিজেপি সাংসদকে নিন্দা জানিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানোর পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং দুঃখ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘সদস্যের মন্তব্যে বিরোধীরা আঘাত পেয়ে থাকলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’

কিন্তু বিরোধীদের দাবি হলো, রমেশকে বরখাস্ত বা গ্রেপ্তার করা উচিত।

বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘এটি একটি চরম লজ্জা। রাজনাথ সিংয়ের ক্ষমা গ্রহণযোগ্য নয়। এটি সংসদের অপমান, প্রতিটি ভারতীয়ের জন্য অপমান।’

কংগ্রেস বলেছে, আগের অধিবেশনে তাদের লোকসভার নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে মন্ত্রীদের অপমান করার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু, একজন বিজেপি সাংসদের জন্য আরও খারাপ কথা বললেও তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

আম আদমি পার্টি (এএপি) ভিডিওটি শেয়ার করে একটি পোস্টে প্রশ্ন করে বলেছে ‘বিজেপির দিল্লির সাংসদ সংসদে স্পিকারের সামনে এই শব্দগুলো দিয়ে অন্য একজন মুসলিম এমপিকে ফোন করছেন এটি কি বিজেপির সংস্কৃতি?’

ওই ঘটনাকে সংসদের ইতিহাসে কালো দিন বলে অভিহিত করেছে আপ।

আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা বলেছেন, তিনি সংসদে বিজেপি সাংসদ দ্বারা ব্যবহৃত সাম্প্রদায়িক অপবাদে দুঃখিত।

তিনি বলেন, ‘আমি দুঃখ পেয়েছিলাম, কিন্তু অবাক হইনি। এটাই প্রধানমন্ত্রীর বসুধৈব কুটুম্বকমের সত্য। আমাদের ভাবতে হবে যে সংসদে একজন সাংসদের জন্য যদি এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করা হয়, তাহলে মুসলিম, দলিতদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ভাষাকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে? এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী রমেশ বিধুরির বিষয়ে একটি কথাও বলেননি।’

ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লাহ রমেশের ব্যবহৃত অপমানজনক শব্দগুলো তুলে ধরে একটি পোস্ট করেছেন। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এই ঘৃণ্য মাননীয় সাংসদের জিহ্বা কত সহজে গুটিয়ে যায়! বিজেপি কি এই ঘৃণ্য বিদ্বেষের সঙ্গেই সহাবস্থান করে?’

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আবদুল্লাহ বলেন, ‘তিনি যদি আমাদের সন্ত্রাসী বলে থাকেন, আমরা তাতে অভ্যস্ত। কিন্তু, তিনি সব মুসলমানদের বিরুদ্ধেই এই কথা বলেছেন। এটা আমাদের খুবই ক্ষুব্ধ করে। এটা শুধু মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদের মানসিকতা প্রকাশ করে। নতুন সংসদ, কিন্তু পুরনো মানসিকতা।’

;

ক্রিমিয়ার নৌবাহিনীর সদরদপ্তরে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমিয়ার সংযোগ স্থাপনকারী সেতু। ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমিয়ার সংযোগ স্থাপনকারী সেতু। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার নৌবাহিনীর সদরদপ্তরে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। ওই হামলায় অন্তত একজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

ইউক্রেন তার প্রতি আক্রমণের ক্ষেত্রে ক্রিমিয়াকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। সম্প্রতি উপদ্বীপটি পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতির কারণে সেখানকার সামরিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ তীব্র করেছে কিয়েভ, যা ২০১৪ সালে সংযুক্ত করেছিল মস্কো।

ক্রিমিয়ার বৃহত্তম শহর সেবাস্তোপলের গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, ‘শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র নৌবাহিনীর সদরদপ্তরে আঘাত হেনেছে।’

রাজভোজায়েভ বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরোগুলো একটি থিয়েটারের কাছে পড়েছে। তাই বাসিন্দাদের সাইটটি থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

দ্বিতীয় পোস্টে তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, আরেকটি হামলা আসন্ন হতে পারে। তাই শহরের বাসিন্দাদের তাদের বাড়ির ভেতরে থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

অনুরোধ বার্তায় তিনি বলেন, ‘সবাই মনোযোগ দিন! আরেকটি হামলা হতে পারে। দয়া করে শহরের কেন্দ্রে যাবেন না। ভবন ছেড়ে বের হবেন না।’

রাজভোজায়েভ আরও বলেন, ‘যারা নৌবাহিনীর সদরদফপ্তরে কাছে ছিলেন, তারা সাইরেনের শব্দ পেয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে এগিয়ে যান।’

তিনি বলেন, ‘অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব আগুন নেভানোর জন্য সব ব্যবস্থা নিচ্ছে।’

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ওই হামলায় এক সেনা নিহত হয়েছে। পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা গুলি করা হয়েছে।’

তিনটি ইউক্রেনীয় বন্দর থেকে বেসামরিক পণ্যবাহী জাহাজে নিরাপদ যাতায়াতের অনুমতি দেয়, এমন একটি চুক্তি থেকে মস্কো বেরিয়ে যাওয়ার পর কৃষ্ণসাগর এবং এর আশেপাশে ইউক্রেন ও রাশিয়ার হামলা বেড়েছে।

ইউক্রেন তার মিত্রদেরকে তার সশস্ত্র বাহিনীকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে তারা রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডের খুব ভেতরের অবস্থানগুলো লক্ষ্যবস্তু করতে পারে।

কিন্তু, পশ্চিমা নেতারা দ্বিধায় ছিলেন যে, ইউক্রেন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেলে রাশিয়ার ভূখণ্ডকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে এবং এর ফলে সংঘাত বাড়তে পারে।

যদিও, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য-উভয়ই কিয়েভ বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করেছিল।

ক্রিমিয়ার উপর ক্রমবর্ধমান হামলার অংশ হিসাবে ইউক্রেন চলতি সপ্তাহের শুরুতে বলেছিল যে, এটি সাকি শহরের কাছে একটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে।

এদিকে, ইউক্রেনের এসবিইউ সিকিউরিটি সার্ভিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলার সময় বিমানঘাঁটিতে অন্তত এক ডজন যুদ্ধবিমান এবং প্যান্টসির ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল।

সেখানে এয়ারফিল্ডে ড্রোন অপারেটরদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও রয়েছে, যা ইউক্রেনে হামলা চালানোর জন্য ব্যবহার করে রাশিয়া।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের বাহিনী একটি গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র এবং দুটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

;

পেট ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে, এক্স-রে রিপোর্টে মিলল ছুরি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তলপেটে হালকা ব্যথা নিয়ে গিয়েছিল হাসপাতালে। ডাক্তাররা তাকে এক্স-রে করার নির্দেশ দেন। তাদের পরামর্শে এক্স-রে করার পর সেই রিপোর্টে আবিষ্কার হলো অদ্ভুত এক চিত্র! যা দেখে রীতিমতো চমকে গেলেন সবাই। রিপোর্টে উঠে আসলো পেটের ভিতর ৬ ইঞ্চি ধারালো এক ছুরির চিত্র।

গতকাল (২২ সেপ্টেম্বর) এমন ঘটনা ঘটেছে নেপালের ২২ বছর বয়সী এক তরুণের সাথে। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম নিউজ উইকের এক প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেপালের এক তরুণ পেট ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। ডাক্তারদের পরামর্শে এক্স-রে রিপোর্টে উঠে আসলো ৬ ইঞ্চি ধারালো এক ছুরির চিত্র। 

গণমাধ্যমটি আরও জানায়, ওই তরুণ হাসপাতালে আসার আগের দিন কয়েকজন তরুণ দ্বারা মারধরের শিকার হন। মারধরের একপর্যায়ে তার পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে স্থানীয় একটি ওষুধের দোকানে গেলে স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ক্ষত স্থানটি সেলাই করে দেন। কিন্তু, তার পেটের ভেতরে যে ধারালো ছুরি আছে, সেই বিষয়ে কারও কোনও ধারণাই ছিল না। কারণ ওই তরুণের শরীরের ভেতরে ছুরি ঢুকে যাওয়ার মতো বড় কোনও জখম দেখতে পাওয়া যায়নি। কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠার পর তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। 

কিউরিয়াস জার্নালের এক কেস রিপোর্ট অনুযায়ী, লোকটি বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ ছাড়াই বাম তলপেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিল। এক্স-রে নেওয়ার পরে ডাক্তাররা দেখতে পান যে বিশাল ধারালো ছুরিটি তার পেটের ডান দিক থেকে বাম দিক জুড়ে ছিল। তবে এতে তার অভ্যন্তরীণ কোন অঙ্গের ক্ষতি হয় নি।

রিপোর্টে আরও বলা হয়, ছুরিকাঘাতের ফলে শরীরের অভ্যন্তরে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে পারে এবং পেটের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। ছুরিকাঘাতের ফলে পেরিটোনাইটিস (পেটের আস্তরণের প্রদাহ) সংক্রমণও হতে পারে।

নিউজ উইককে চিকিৎসকরা জানান, এক্স-রে রিপোর্টে আমরা ওই তরুণের তলপেটের ভেতরে ছুরিটি ভাসমান অবস্থায় দেখতে পাই। পরবর্তীতে তলপেট থেকে ছুরি অপসারণের জন্য ওই তরুণের ল্যাপারোটোমি করা হয়। এ সময় তার তলপেটের টিস্যুতে মোড়ানো অবস্থায় ছুরিটি দেখা যায়। তবে পেটের ভিতরে ছুরির উপস্থিতিতে তার অভ্যন্তরীণ কোন অঙ্গের ক্ষতি হয়নি।

চিকিৎসকরা আরও জানান, তরুণের শরীর থেকে অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে ছুরিটি সরানো হয়েছে। পাঁচ দিন পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এক সপ্তাহ পর তার ফলো-আপের জন্য আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।

;