ভেনিসে পর্যটকবাহী বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২১



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: বিবিসি

ছবি: বিবিসি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতালির ভেনিস শহরে ফ্লাইওভার থেকে একটি পর্যটকবাহী বাস খাদে পড়ে শিশুসহ ২১জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সন্ধা ৭টা ৪৫মিনিটে উত্তর-পূর্ব ইতালির অঞ্চলের প্রধান শহর ভেনিসের সঙ্গে মেস্ত্রে জেলার সংযুক্ত ফ্লাইওভারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি ফ্লাইওভারের সেতুর রেলিং ভেঙে ১৫ মিটার নিচে পড়ে আগুন লেগে যায়।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে পাঁচজন ইউক্রেনীয়, একজন জার্মান এবং ইতালীয় চালক রয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির কতৃপক্ষ। বাসটিতে ৩৯ জন যাত্রী ছিল।

ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ভেনিসের মেয়র লুইগি ব্রুগনারো এ দুর্ঘটনাকে একটি "বিশাল ট্র্যাজেডি" হিসেবে উল্লেখ করে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেছেন, ‘এটি একটি ভয়াবহ দৃশ্য, আমি বাকরুদ্ধ।

স্থানীয় গভর্নর জানিয়েছেন, দুই ছোট শিশুসহ আহত ১৫ জনের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের মধ্যে ইউক্রেনীয়, অস্ট্রিয়ান, স্প্যানিয়ার্ড এবং অন্যান্য বিদেশী পর্যটকরা রয়েছে।

স্থানীয় ফায়ার ব্রিগেড কমান্ডার গণমাধ্যমকে বলেছেন, ভেনিসের ঐতিহাসিক কেন্দ্র থেকে নিকটবর্তী মারঘেরা জেলার একটি ক্যাম্পসাইটে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় কোম্পানি বাসটি ভাড়া করেছিল। গাড়িটি একটি বৈদ্যুতিক ব্যাটারি এবং মিথেন গ্যাস দ্বারা চালিত। গ্যাস ট্যাঙ্কটি বিস্ফোরিত হয়ে ব্যাটারিতে আগুন লেগে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

পুলিশ বলছে ঠিক কি কারণে বাসটি ফ্লাইওভার থেকে নিচে ছিটকে পড়ে তা এখনো স্পষ্ট নয়। টনাস্থলের কাছাকাছি সবগুলো সিসি ক্যামেরার থেকে ভিডিও দেখার চেষ্টা করছে পুলিশ।

স্থানীয় গনমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাড়ি চালানোর সময় বাসের ড্রাইভার অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে বাসটিকে সরিয়ে নিয়েছে।

এদিকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বাস দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি ‘গভীর শোক ও দুঃখ’ প্রকাশ করেছেন।

   

পানির নিচে চেন্নাই শহর, মৃত্যু ৮



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড়ের মিগজাউমের প্রভাবে দুইদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে ভারতের চেন্নাই শহর। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে প্রশাসন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিগগিরই উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। এর ফলে এক থেকে দেড় মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে। এতে প্লাবিত হবে দক্ষিণ উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের নিচু অঞ্চলগুলো। বাপটলা এবং কৃষ্ণা জেলাগুলোর ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ঝড়ের প্রকোপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি ব্যাপক শক্তি নিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে, যার সর্বোচ্চ স্থিতিশীল বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটার থেকে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার আটটি জেলার জন্য সতর্কতা জারি করেছে। জেলাগুলো হচ্ছে- তিরুপতি, নেলোর, প্রকাশম, বাপটলা, কৃষ্ণা, পশ্চিম গোদাবরী, কোনাসিমা এবং কাকিনাদা। পুদুচেরির উপকূলীয় অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেখানে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলাচল সীমিত করা হয়েছে।

;

থাইল্যান্ডে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৪



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: আল জাজিরা

ছবি: আল জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ থাইল্যান্ডে একটি ডাবল ডেকার বাস দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরোও ৩২ জন।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১টার দিকে দূরপাল্লার কোচটি ব্যাংকক থেকে দেশের সুদূর দক্ষিণে যাওয়ার পথে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

থাই মিডিয়ায় প্রকাশিত ফটোতে দেখা যায়, গাড়ির সামনের অংশ দুই ভাগ হয়ে গাছটি চেসিসে আটকে আছে।

পরিবহন কোম্পানি, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাস অপারেটর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, আহত সবাইকে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং কোম্পানিটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছে।

পুলিশ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে, গাড়িটির চালকের পর্যাপ্ত না ঘুমানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটটতে পারে। নিহতদের মধ্যে কোনো বিদেশি নাগরিক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, থাইল্যান্ডে বিশ্বের সর্বোচ্চ সড়ক দুর্ঘটনার হার রয়েছে। এখানে প্রতি বছর ট্রাফিক দুর্ঘটনায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ মারা যায়।

গত জুলাই মাসে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ফু সিং জেলায় একটি পাহাড়ি সড়ক থেকে বাস উল্টে গেলে চারজন নিহত এবং ৩৪ জন আহত হয়।

২০১৪ সালে পূর্বাঞ্চলীয় জেলা প্রচিনবুড়িতে একটি ১৮ চাকার ট্রাকের সাথে বাসের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়। যাদের অধিকাংশই স্কুল ছাত্র।

;

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডবে চেন্নাইয়ে মৃত বেড়ে ৮



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডবে চেন্নাইয়ে মৃত বেড়ে ৮

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডবে চেন্নাইয়ে মৃত বেড়ে ৮

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের ভূভাগে আছড়ে পড়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। এর আগে সোমবার চেন্নাই জুড়ে মিগজাউমের তাণ্ডব চলছে। এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের জেরে অস্বাভাবিক বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে চেন্নাইসহ ভারতের উত্তর তামিলনাড়ু উপকূলে। এখন পর্যন্ত চেন্নাই শহরে ৮ জনের মৃত্যুও হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ঘূর্ণিঝড়টি দেশটির অন্ধ্র প্রদশের উপকূলে আঘাত হানতে যাচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চেন্নাইয়ের বিভিন্ন প্রান্তে ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। মিগজাউমের প্রভাবে ভারী বর্ষণে ভাসছে চেন্নাই। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

চেন্নাইয়ের বাসিন্দা সূর্যনারায়ণ গণেশ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ফ্লাইট ধরতে পারেন নি তিনি। আর ফেরার পথে তিনি লিফটে আটকে পড়েন। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার জেরে থমকে গিয়েছিল লিফট। এই ভাবেই প্রায় ৩০ মিনিট কাটাতে হয়েছে তাকে। নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্ট করেন তিনি।

এদিকে বাংলাদেশের আকাশ  মেঘলা দেখা গেছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

;

মণিপুরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, নিহত ১৩



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের মণিপুর রাজ্যে মিয়ানমার ঘেঁষা টেংনুপাল জেলার লেইথু গ্রামে দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলিতে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে এই বন্দুকযুদ্ধ চলে। তখন নিরাপত্তা বাহিনী অন্তত ১০ কিলোমিটার দূরে ছিল বলে মনিপুরের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম জানিয়েছে। রাজ্যটির নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনডিটিভি। 

গণমাধ্যমটি জানায়, কেন্দ্রীয় ও মণিপুর সরকার রাজ্যের প্রাচীনতম সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফোর্সের (ইউএনএলএফ) সঙ্গে শান্তি চুক্তি সই করার চার দিনের মধ্যে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে গতকাল সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। পুলিশ ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। তবে তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।

তবে এই বন্দুকযুদ্ধ দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যেই হয়েছে কি না সে সম্পর্কে এখনো রাজ্য পুলিশ নিশ্চিত নয়। পুলিশ মনে করছে, এই সংঘর্ষের সঙ্গে গত সাত মাস ধরে চলা জাতিগত সংঘাতের কোনো সম্পর্ক নেই।

পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা যারা মারা গিয়েছেন তারা অন্য রাজ্য বা দেশ থেকে আসা সশস্ত্র যোদ্ধাও হতে পারে।

প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, টেংনুপালের সাইবোল নামক একটি জায়গায় লেইথু গ্রামে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে একটি লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। সেই লড়াইয়ের জেরেই ১৩ জন মারা গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

মণিপুর পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, জায়গাটি ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই ঘটনা কিভাবে ঘটলো।

সোমবার রাতে মণিরপুরের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণই রয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জাতিগত সংঘাতের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও ওই কর্মকর্তা জানান। 

গত রোববার থেকে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় রাজ্য সরকার। দীর্ঘ প্রায় সাত মাস পরে এই নিষেধাজ্ঞা প্রায় পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়। তবে পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল।

চলতি বছরের ৩ মে থেকে লাগাতার জাতিগত সংঘর্ষে মণিপুরে ১৭৫ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। বাড়িঘর হারিয়ে ত্রাণ শিবিরে এখনো রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। সহিংসতা চলাকালীন বাড়িঘর হারিয়েছিলেন অন্তত ৬০ হাজার মানুষ। দীর্ঘ ছয় মাস সংঘাত চলার পরে গত একমাস যাবত মোটামুটি শান্ত ছিল উত্তরপূর্ব ভারতের এই রাজ্য।

স্থানীয় পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছিল যে, রাজ্যে স্থায়ীভাবে শান্তি ফিরছে। একদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং অপরদিকে পার্বত্য জাতির মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে। এমন সময়ে হঠাৎ করেই সহিংসতার খবর পাওয়া গেলো।

;