শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত জাপান, নিহত ৩০
জাপানে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৩০ ছুঁয়েছে এবং ধসে পড়েছে বহু বাড়িঘর। এ ঘটনায় দেশটিতে জারি করা হয়েছে সুনামির সতর্কতাও।
সোমবার (১ জানুয়ারি) সর্বোচ্চ মাত্রার এই ভূমিকম্পের পাশাপাশি ১ দিনে দেশটিতে ১৫৫টি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াজিমা শহরে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। সুজু ওনোটো উপদ্বীপে ৬ জন মারা গেছে এবং আরও দক্ষিণে নানাওতে পাঁচজন মারা গেছে। এছাড়া ইশিকাওয়া অঞ্চলের এলাকাতেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
জাপানের কয়েক হাজার সেনাকর্মী, দমকলকর্মী এবং পুলিশ অফিসারদের প্রত্যন্ত নোটো উপদ্বীপের ইশিকাওয়া অঞ্চলের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠানো হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভূমিকম্পে এই অঞ্চলটিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে। এই এলাকায় রানওয়েতে ফাটলের কারণে একটি বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভূমিকম্পের কারণে যাদের বাড়ি ছাড়তে হয়েছে তাদের জন্য খাবার, পানি এবং কম্বল সরবরাহ করছে জাপানের সামরিক বাহিনী।
ইশিকাওয়া প্রিফেকচার কর্মকর্তাদের মতে, সোমবারের ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল এই অঞ্চল। এছাড়াও, কানাজাওয়াতে উপর থেকে ধসে পড়া বাড়ি, গাড়ি এবং রাস্তা দেখা গেছে। নানাওতে একটি বাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে গাড়ির উপরে৷ ওয়াজিমায় ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনগুলোর ওপর দিয়ে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা দুর্যোগ নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন। এ সময় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত ভাষণে কিশিদা বলেন, ‘এই ভূমিকম্পে বহু প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তল্লাশি আর উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে আমাদের সময়ের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা সবাইকে উদ্ধার করব। বিশেষ করে, যারা এখনো ধসে পড়া স্থাপনার নিচে চাপা পড়ে আছেন, তাদের উদ্ধার করা হবে।’