যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুমকি খুবই হতাশাজনক : ইসরায়েল
-
-
|

ছবি : সংগৃহীত
জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, গাজার জনাকীর্ণ রাফাহ শহরে হামলা চালানো হলে ইসরায়েলকে কিছু অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের যে হুমকি যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে, তা খুবই হতাশাজনক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হুমকির পর ইসরায়েলের এই প্রথম প্রতিক্রিয়ায় গিলাদ এরদান ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারকেন্দ্র কান রেডিওকে বলেন, ‘এরকম কথা এমন একজন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে শোনা কঠিন ও হতাশাজনক। তিনি সেই ব্যক্তি যার কাছে আমরা যুদ্ধের শুরু থেকে কৃতজ্ঞ ছিলাম।’
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রকাশ্যে সতর্ক করে বলেছেন, রাফাহতে হামলা চালানো হলে তিনি ইসরায়েলকে কামানের গোলা ও ভারী বোমা সরবরাহ বন্ধ করে দেবেন।
সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বুধবার (৮ মে) বাইডেন বলেছেন, যদি ‘ইসরায়েল রাফাহতে অভিযান চালাতে যায়, তাহলে সেখানে ব্যবহারের জন্যে আমি অস্ত্র সরবরাহ করতে পারি না।’
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মঙ্গলবার (৭ মে) রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা গত সপ্তাহে অস্ত্রের একটি চালান স্থগিত করেছি। ওই চালানে ২,০০০ পাউন্ড ওজনের ১,৮০০টি এবং ৫০০-পাউন্ড ওজনের ১,৭০০টি বোমা রয়েছে।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা কীভাবে এই চালান নিয়ে এগিয়ে যাবো সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি।’
ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তবে ওই আলোচনা এখনো চলছে এবং আমাদের উদ্বেগগুলো পুরোপুরি সমাধান করেনি তেল আবিব।’
তিনি বলেন,‘যেহেতু ইসরায়েলি নেতারা এই ধরনের অভিযানের বিষয়ে সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, সে কারণে আমরা বিশেষ অস্ত্রের প্রস্তাবিত চালান স্থানান্তরের বিষয়টি সাবধানে পর্যালোচনা করতে শুরু করেছি। এসব অস্ত্র ইসরায়েল রাফাহতে ব্যবহার করতে পারে।’
মার্কিন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সবচেয়ে ভারী ২,০০০-পাউন্ডের এসব বোমা ব্যবহারের উপর বিশেষভাবে সতর্ক ওয়াশিংটন এবং ব্যাপক জনঘনত্বের এই শহরে এসব বোমা ভয়ংকর প্রভাব ফেলতে পারে, যেমনটি আমরা গাজার অন্যান্য অংশে দেখেছি।’
তিনি বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এখনও ‘জেডিএএম’ নামে পরিচিত নির্ভুল বোমা কিট ব্যবহারসহ অন্যান্য অস্ত্র হস্তান্তর পর্যালোচনা করছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাফাহ শহরে ট্যাংক পাঠিয়ে মিশরের সঙ্গে সীমান্ত ক্রসিং দখল করে নিয়েছে ইসরায়েল। তবে হোয়াইট হাউস এর আগে বলেছিল, ‘ইসরায়েল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, এটি হবে একটি সীমিত অভিযান।’