তদন্তের দ্বিতীয় প্রতিবেদন
ইরানের প্রেসিডেন্টবাহী হেলিকপ্টারে অন্তর্ঘাতের প্রমাণ নেই
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারে অন্তর্ঘাতের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সেইসঙ্গে হেলিকপ্টারে কোনো ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেনি। এমন কী এতে ‘সাইবার’ হামলার প্রমাণ মেলেনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ইরানের বার্তাসংস্থা ইসলামি রিপাবলিক নিউজ এজেন্সি (আইআরএনএ) দ্য জেনারেল স্টাফ অব দ্য ইরানিয়ান আর্মড ফোর্সেস বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়, দ্য জেনারেল স্টাফ অব দ্য ইরানিয়ান আর্মড ফোর্সেস বুধবার (২৯ মে) এ বিষয়ে দ্বিতীয় প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এর আগে ২৪ মে প্রকাশিত প্রথম প্রতিবেদনেও একই ধরনের তথ্য জানানো হয়েছিল।
১৯ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেই আমির আব্দুল্লাহেসহ মোট নয়জন হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।
তদন্তকারী দল বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের মূল অংশসহ বিভিন্ন অংশ সংগ্রহ করে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান। এসময় তারা হেলিকপ্টারে কোনো ধাতব পদার্থের আঘাত বা বুলেটের চিহ্নের প্রমাণ পাননি। এছাড়া অন্তর্ঘাতের ফলে হেলিকপ্টারে বিস্ফোরণের কোনো প্রামাণ্য তথ্য পাওয়া যায়নি।
এবাদেও সাইবার হামলা চালিয়েও এর হেলিকপ্টারটির রুট পরিবর্তন করা হয়নি। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, হেলিকপ্টারের পাইলটের সঙ্গে সর্বশেষ ৬৯ সেকেন্ড আগের কল রেকর্ড থেকে জানা গেছে, হেলিকপ্টারটি তার নির্ধারিত রুটেই চলছিল।
তদন্তকারী দল আরো জানিয়েছেন, হেলিকপ্টারটির সঙ্গে শেষমুহূর্ত পর্যন্ত রেডিও সিগন্যালের কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।
প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর জানানো হয়েছিল, হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার মূল কারণ উদঘাটনের আগপর্যন্ত অনুসন্ধান চলবে এবং তা সবাইকে জানানো হবে।
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার প্রাথমিক কারণ সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, খারাপ আবহাওয়ার কারণে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্টমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধস্ত হওয়ার মূল কারণ।
১৯ মে আজারবাইজান সীমান্তবর্তী ইরানের একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বহনকারী হেলিকপ্টারটি ফারজাকান এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এর ফলে হেলিকপ্টারে থাকা সবাই নিহত হন।
সফরসঙ্গী হিসেবে ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালিক রহমাটি, তাবরিজের শুক্রবারের প্রার্থনার নেতা হোজ্জাতুলেসলাম আল হাশেম এবং আরো কয়েকজন।