বাংলাদেশকে আর সময় দিচ্ছে না মালয়েশিয়া
বাংলাদেশ থেকে অনেক কর্মীই টাকা দিয়ে, কাজের অনুমোদন নিয়েও গত ৩১ মে’র আগে মালয়েশিয়া পৌঁছাতে পারেননি। এই প্রেক্ষিতে মালয়েশিয়া সরকারের কাছে কর্মী গ্রহণের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিল বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। তবে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল বলেছেন, সময় বাড়ানোর আর সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার (৪ জুন) পেনাংয়ে এক সরকারি সফরকালে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে আসা বিদেশি কর্মীদের ৩১ মে’র পর আর সময় বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই। এমনকি বাংলাদেশ থেকে যে ১৭ হাজার কর্মীর ভিসা অনুমোদিত হয়েছিল, তাদেরকেও গ্রহণ করা যাচ্ছে না। এই ১৭ হাজার কর্মীকে প্রবেশ করতে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হলেও, সেটি রাখা যাচ্ছে না।
সাইফুদ্দিন বলেন, বেশ কিছু কারণ বিবেচনা করে ৩১ মে বিদেশি শ্রমিক প্রবেশের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আমরা অনেক আগেই এই সময়সীমার ঘোষণা দিয়েছিলাম।
মন্ত্রী বলেন, এই সময়সীমার সঙ্গে কোটা অনুমোদন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভিসা প্রক্রিয়া এবং ফ্লাইটসহ প্রয়োজনীয় সব বিষয় জড়িত।
তিনি বলেন, গত ২৮ মে থেকে ৩১ মে এর মধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি বিদেশি শ্রমিক প্রবেশ করেছে। এদের মধ্যে অনেকের ভিসা হয়েছে গত বছরের নভেম্বরের প্রথম দিকে।
সাইফুদ্দিন প্রশ্ন তোলেন, যদি কর্মী জরুরি প্রয়োজন হয়ে থাকে, তবে নিয়োগকর্তারা কেন তাদেরকে আনার ব্যবস্থা এতদিন করেননি?
বাংলাদেশ সরকার শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য বিশেষ আবেদন জানিয়েছে। তবে সাইফুদ্দিন বলেন, উৎপাদন, পরিষেবা এবং নির্মাণ খাতের জন্য আমরা বিদেশি কর্মীদের শূন্যস্থান অনেকটাই পূরণ করেছি। কৃষির জন্য অনুমোদন হওয়া কর্মীদের থেকেই পর্যায়ক্রমে আনা হবে শ্রমিক। সেক্ষেত্রে নতুন কোন আবেদন গ্রহণ করা হবে না।