বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল মেক্সিকো

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

প্রস্তাবিত বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে মেক্সিকো। এই সংস্কারের ফলে বিচারকদেরও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে হবে। এই ব্যবস্থা চালু হলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সঙ্গে সমঝোতা করা হতে পারে। এছাড়া বাণিজ্যিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রোববার দেশটির হাজারও শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে এই সংস্কারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, মেক্সিকোতে বর্তমানে বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেটদের ফেডারেল জুডিশিয়াল কাউন্সিল নিয়োগ করে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের প্রেসিডেন্ট মনোনীত করেন এবং সিনেট তা অনুমোদন করে। কিন্তু যদি এই সংস্কার চালু হয় তাহলে সাত হাজার বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেট মানুষের ভোটে নির্বাচিত হবেন। কারা প্রার্থী হবেন সেই প্রস্তাব সরকারি প্রশাসন, আইনসভা ও বিচারবিভাগ করবে।

প্রস্তাবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সংখ্যা ১১ থেকে কমিয়ে ৯ করা হয়েছে। তাদের কাজের মেয়াদও ১৫ বছর থেকে কমিয়ে ১২ বছর করা হয়েছে। এছাড়া বিচারকদের তত্ত্বাবধানের জন্য নতুন সংস্থা তৈরি করার কথা বলা হয়েছে।

এই সংস্কারের পক্ষে যারা আছেন, তাদের মত হলো- মেক্সিকোতে উচ্চ পর্যায়ের সহিংস অপরাধ থেকে মুক্তি পেতে গেলে এই সংস্কার জরুরি। দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতি আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর বলেছেন, বর্তমানে বিচারবিভাগ মানুষকে পরিষেবা দিতে পারছে না। তারা সংগঠিত অপরাধীদের স্বার্থ দেখছে।

তবেব এই সংস্কারের বিরোধীরা বলছেন, এই পরিকল্পনা বিচার ব্যবস্থাকে রাজনীতিকরণ করবে এবং এর স্বাধীনতার সাথে আপস করবে। বিচারবিভাগীয় কর্মীদের ইউনিয়ন বলেছে, এর ফলে শ্রম অধিকার সঙ্কুচিত হবে। এছাড়া অনেকে বলেছেন বিদেশি বিনিয়োগেও বড় ধাক্কা আসবে। ইতিমধ্যে আমেরিকার সঙ্গে মেক্সিকোর সম্পর্ক খারাপ হয়েছে।

মেক্সিকোর মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেন সালাজার বলেছেন, এর ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে মেক্সিকোর বাণিজ্যিক সম্পর্ক খারাপ হবে। কারণ, বিনিয়োগকারীদের বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে আস্থা থাকাটা জরুরি।

জানা যায়, মেক্সিকোর পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।