দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্দোনেশিয়ার অষ্টম প্রসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর সংসদে ভাষণ দিয়েছেন প্রবোও সুবিয়ান্তো। ছবি: সংগৃহীত/রয়টার্স

ইন্দোনেশিয়ার অষ্টম প্রসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর সংসদে ভাষণ দিয়েছেন প্রবোও সুবিয়ান্তো। ছবি: সংগৃহীত/রয়টার্স

বিশ্বের চতুর্থ জনবহুল দেশ ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রবোও সুবিয়ান্তো (৭৩)। শপথ অনুষ্ঠানেই তিনি দেশটির দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর আগে তিনি দেশটির সাবেক জেনারেল পদে দায়িত্বে ছিলেন।  

রোববার (২০ অক্টোবর) কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞাপন

শপথ অনুষ্ঠানে প্রবোও সুবিয়ান্তো বলেন, 'আমার সর্বোচ্চ সক্ষমতার বিচারে ন্যায়সঙ্গতভাবে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন, সংবিধান সমুন্নত রাখা ও সব ধরনের আইন ও নীতিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করছি।'

উদ্বোধনী ভাষণে দেশটির অষ্টম প্রেসিডেন্ট ইন্দোনেশিয়াকে আরও স্বয়ংসম্পূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, "আমি গণতন্ত্রে থাকতে চাই তবে এটি অবশ্যই "সুশৃঙ্খল" হতে হবে। এখানে মতের পার্থক্য থাকবে। তবে তা নিয়ে কোন শত্রুতা থাকা যাবে না। সমালোচনা করলেও কারো ওপরই কোনো ঘৃণা না রাখা যাবে না।"

বিজ্ঞাপন

"আমাদের সর্বদা উপলব্ধি করতে হবে আমরা একটি স্বাধীন জাতি। এখানকার জনগণ মুক্ত। তাদেরকে অবশ্যই দুর্নীতি, ভয়, দারিদ্র্য, ক্ষুধা, অজ্ঞতা, নিপীড়ন, দুর্ভোগের মতো বাধাগ্রস্ত বিষয়গুলো থেকে মুক্ত করতে হবে।"- বলেছেন প্রবোও সুবিয়ান্তো।

ইন্দোনেশিয়া নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি বজায় রাখতে আগ্রহী। তবে তার নেতৃত্বে বিশ্ব মঞ্চে ইন্দোনেশিয়া আরো সরব থাকবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

ফেব্রুয়ারিতে প্রথম ধাপের ভোটে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশ শাসনের দায়ভার গ্রহণ করেছেন জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ধারক হিসেবে পরিচিত সুবিয়ান্তো।

সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ছিলেন উইদোদোর ছেলে জিবরান রাকাবুমিং রাকা (৩৭)। নির্বাচনী ইশতেহারে শিশুদের জন্য দুই হাজার ৮০০ কোটি ডলার মূল্যমানের খাবার বিনামূল্যে দেওয়ার উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন এই দুই নেতা।

সুবিয়ান্তোর শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে রাজধানী জাকার্তাকে নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয়েছে। এ সময় প্রায় এক লাখ পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়, যাদের মধ্যে ছিলেন দাঙ্গা পুলিশ, স্নাইপার ইউনিট ও ড্রোন-বিধ্বংসী ইউনিট।

১৯৪৫ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি হতে যাচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার অষ্টম প্রেসিডেন্ট।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লেমি ও চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং সহ ২০-৩০ জন বিদেশি কূটনীতিক অংশ নেন।

চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর নেতারাসহ ৩০টিরও বেশি দেশের নেতা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

আমেরিকান প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টে জো বাইডেনের পক্ষে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের মার্কিন কমান্ডার অ্যাডমিরাল স্যামুয়েল পাপারোও।