ফিলিপাইনে 'ট্রামি'র আঘাতে নিহত বেড়ে ১২০, বাস্তুচ্যুত ৩ লাখ ২০ হাজার

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ট্রামি'র আঘাতে ফিলিপাইনে বন্যা ও ভূমিধসের পর এখন পর্যন্ত ১২০ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। দেশটিতে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক শতাধিক মানুষ। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার।

রোববার (২৭ অক্টোবর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

দেশটির দুর্যোগ প্রশমন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে চলতি বছরের সবচেয়ে মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক ঝড় হয়েছে এটি। এর প্রভাবে অনেক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ভূমিধসে আটকা পড়েছেন কয়েক শতাধিক বাসিন্দা। এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১২০ জন।

ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ মার্কোস বলেছেন, আটকে থাকা বাসিন্দাদের উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে উদ্ধারকর্মীরা। কিছু এলাকায় মাত্র দুই দিনে দুই মাসের সমপরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঝড়টি আজ ভোরে ফিলিপাইন ছেড়ে দক্ষিণ চীন সাগরের উপর দিয়ে পশ্চিমে যাত্রা করেছে।

বিজ্ঞাপন

"পানি বেশি থাকায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম এখনো চলমান।"- সাংবাদিকদের বলছিলেন মার্কোস। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ৪২ লাখ মানুষ এই ঝড়ের কবলে পড়েছিল। এদের বেশিরভাগই বিভিন্ন প্রদেশের ৬ হাজার ৪০০টিরও বেশি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর প্রায় ২০টি বড় ঝড় ও টাইফুন ফিলিপাইন বা এর আশেপাশের সমুদ্রে আঘাত হেনে বাড়িঘর, অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান ঝড়গুলো উপকূলরেখার কাছাকাছি আরো দ্রুত তীব্র আকারে আঘাত হানছে এবং অঞ্চলের স্থলভাগের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলছে।

এর আগে ২০১৩ সালে টাইফুন হাইয়ান'র প্রভাবে ৭ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হয়েছিল।