লিবিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব ও পশ্চিমে দুটি স্থান থেকে কমপক্ষে ২৯ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে দেশটির নিরাপত্তা অধিদফতর এবং লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, লিবিয়ার আলওয়াহাত জেলা নিরাপত্তা অধিদফতর এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজি থেকে প্রায় ৪৪১ কিলোমিটার দূরে জিখারা এলাকার একটি খামারের মধ্যে গণকবরে ১৯টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। নিহত অভিবাসীদের মৃত্যু চোরাচালান কার্যকলাপের সাথে সম্পর্কিত বলেও জানানো হয়েছে।
লিবিয়ার এই অধিদফতর মরদেহ উদ্ধারের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছে এবং সেখানে পুলিশ অফিসার ও জালু রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদের মৃতদেহগুলোকে কালো প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখতে দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার রাতে লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, তাদের স্বেচ্ছাসেবকরা রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে জাউইয়া শহরের দিলা বন্দর থেকে নৌকা ডুবে যাওয়ার পর ১০ অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
আলওয়াহাত জেলা নিরাপত্তা অধিদফতর বলেছে, খামারে মোট তিনটি কবরে মৃতদেহগুলো পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটিতে একজনের মৃতদেহ, দ্বিতীয় কবরে চারজনের মৃতদেহ এবং অবশিষ্ট কবরে ১৪টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মরদেহগুলো ফরেনসিক চিকিৎসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
গত জানুয়ারির শেষে আলওয়াহাত অপরাধ তদন্ত বিভাগ জানিয়েছিল, তারা সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের ২৬৩ জন অভিবাসীকে মুক্ত করেছে। তারা অত্যন্ত খারাপ মানসিক ও স্বাস্থ্যগত অবস্থায় একটি চোরাচালান দলের হাতে আটক ছিলেন।
সংঘাত ও দারিদ্র্যের কবল থেকে মুক্তি পেতে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যেতে অভিবাসীদের জন্য একটি ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়েছে লিবিয়া।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সামরিক জোট ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের পর থেকে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশে যুদ্ধ এবং দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে আসা লোকদের অভিবাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে লিবিয়া।