যুবদল মালয়েশিয়ার নতুন নেতৃত্ব আসবে যোগ্যতা, সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ত্যাগী নেতা কর্মীদের দিয়ে। স্বচ্ছতা ও নীতি-নৈতিকতার ভিত্তিতে। সুতরাং কোনো নেতার পিছনে ঘুরে লবিং করা এবং কাউকে প্রলুব্ধ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) কুয়ালালামপুরের আমপাং এর হোটেল ডি পালমাতে মালয়েশিয়া যুবদলের সাংগঠনিক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনে প্রবাসীদের অবদান বাংলার মানুষ মনে রেখেছে। যুবদল মালয়েশিয়ার নতুন নেতৃত্ব আসবে যোগ্যদের ভিতর সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ত্যাগী নেতাকর্মীদের থেকে বাছাই করে। কমিটি হবে স্বচ্ছতা ও নীতি-নৈতিকতার ভিত্তিতে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিচক্ষণতা তুলে ধরে মুন্না বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান বলেছিলেন ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের সকল দুর্নীতি, অন্যায় অত্যাচারের ফয়সালা জনগণ রাজপথে করবে। ৫ আগস্ট হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে তার প্রমাণ জনগণ করেছে।
এ সময় সভায় মালয়েশিয়া যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খানের সভাপতিত্বে রমজান আলি, নাজমুল হাসান ও বাদল কারারের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী বাদলুর রহমান খান।
মতবিনিময় সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিমুনিয়া যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো: সেলিম। বক্তব্য দেন মালয়েশিয়া যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ মন্ডল, যুবদলের সহ-সভাপতি মঞ্জু খাঁ,সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান বিন সিরাজ, যুবনেতা নূর এ সিদ্দিকী সুমন, ফারুক হোসেন, জাহাঙ্গীর হাওলাদার, খালিদ হাসান রিপন, শামীম রেজা, জালাল উদ্দীন, রাসেল রানা, মেহেদী হাসান, তুহিন শেখ, মোশাররফ হোসেন, শাহাদাত হোসেন সাগর, মারুফ শিকদার, কবির হোসেন, জহিরুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন মৃধা, মাসুদুল আলম কাজল, বাদল আহমেদ, মাঝি মিরাজ, হাসেম মোল্লা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি তালহা মাহমুদ, ড. এস রহমান তনু, আব্দুল জলিল লিটন,শাখাওয়াত হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি উল্লাহ জাহিদ, কাজী সালাহউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা সালাহউদ্দিন, প্রচার সম্পাদক এস এম বশির আলম, আরিফ হোসেন, মো: সালাহউদ্দিন ও মো: সবুজসহ প্রমুখ।
সভা শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, মরহুম আরফাত রহমান কোকোসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের সার্বিক মঙ্গল ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আবু তাহের।