রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারে পশ্চিমা পর্যটক কমেছে



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মিয়ানমারে পশ্চিমা পর্যটক কমেছে

মিয়ানমারে পশ্চিমা পর্যটক কমেছে

  • Font increase
  • Font Decrease

রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা মিয়ানমারের পর্যটন শিল্পে সংকট সৃষ্টি করেছে। কারণ চলতি বছর দেশটিতে কমেছে পশ্চিমা পর্যটকদের সংখ্যা। বিশেষ করে দেশটির উত্তর রাখাইনে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সরকার ব্যর্থ হওয়ায় পশ্চিমা পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এতে দেশটির পর্যটন শিল্পে বিশাল অর্থনৈতিক ঘাটতি হতে যাচ্ছে।

মিয়ানমারের হোটেল ও পর্যটন মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের আগস্টে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির ওপর সামরিক অভিযানের পর থেকে পশ্চিমা পর্যটকদের সংখ্যা কমতে শুরু করে। পরবর্তীতে সরকারি বাহিনীর নিয়মিত নির্যাতনে উত্তর রাখাইনের সাত লাখ মুসলিম রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। এটা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মিয়ানমারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দিয়েছে।

মিয়ানমারের হোটেল ও পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত মিয়ানমারে মাত্র এক লাখ ১০ হাজার পশ্চিমা পর্যটক (ইউরোপীয়) এসেছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ শতাংশ কম। ফলে মিয়ানমারের পর্যটনকে জনপ্রিয় করতে ভিসার নিয়ম শিথিল করার পাশাপাশি আরও অনেক কিছুই করতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, দেশটির সরকার মিয়ানমারকে বিশ্বের কাছে উন্মুক্ত করতে এবং পর্যটন শিল্প উন্নয়নে পর্যটকদের সহজ প্রবেশাধিকার বিধি প্রবর্তন করেছে। অক্টোবরের শুরু থেকে অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ইতালি, রাশিয়া, স্পেন এবং সুইজারল্যান্ডের পর্যটকরা ইয়াঙ্গুন, মান্ডলে ও নেপিডো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে অন এরাইভাল ভিসা নিয়ে মিয়ানমারে প্রবেশ করতে পারছেন।

এছাড়া জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং ও ম্যাকাও থেকে আগত পর্যটকদের গত বছর ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছিল। এর আগে ভারতীয় ও মূল ভূখণ্ডের চীনা নাগরিকদের অন এরাইভাল ভিসা দেওয়া হয়।

মিয়ানমারে পশ্চিমা পর্যটক

মিয়ানমার ট্যুরিজম মার্কেটিংয়ের চেয়ারপারসন মায়াট সোম উইন এ সস্পর্কে দেশটির গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমরা আশা করি, নতুন আইন পর্যটকদের মিয়ানমারের সংস্কৃতি ও সর্বপরি জনগণের আতিথেয়তা গ্রহণে উৎসাহিত করবে।’

মিয়ানমার ট্যুরিজম মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-সচিব ফিউ ফিউ মারো বলেন, ‘ভিসা সহজলভ্য হওয়ায় পর্যটকদের কিছুটা আকর্ষণ করতে পারে। তবে এটি পর্যাপ্ত নয়। এক সময় মিয়ানমার পশ্চিমা পর্যটকদের কাছে প্রিয় গন্তব্য ছিল। বিশেষ করে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ইতিহাসের জন্য। পাশাপাশি বাগানের মন্দির, ইয়াঙ্গুন ও মান্ডল শহরগুলোর মতো প্রাচীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাদের আকৃষ্ট করতো।’

তিনি আরও বলেন, ‘পর্যটন বিকাশে আরও নতুন গন্তব্য তৈরি করতে হবে। তার সঙ্গে ভালো পরিবহন ব্যবস্থা ও সুন্দর আবাসন পরিকাঠামো তৈরি করা দরকার।’

মান্ডলভিত্তিক ট্যুর অপারেটর ইউ ময়ো ইয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, যে সময় ছয় পশ্চিমা দেশের ভিসা বিধি সহজ করা হয়েছে তার অনেক আগেই পর্যটন মৌসুম শুরু হয়েছে। ফলে ট্রাভেল অপারেটররা প্রস্তুতির জন্য বেশি সময় পাননি।

হোটেল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপ-মহাপরিচালক কিন থান উইন জানিয়েছেন, এই বছর ভ্রমণে পর্যটকদের বিশেষ সুযোগ দিতে বিলম্ব হয়েছে। ইতোমধ্যে মৌসুম শুরু হওয়ায় এখন আর প্রদর্শনী আয়োজনের পরিকল্পনা নেই। আমাদের চীন যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া বাজার প্রসারের প্রয়াস হিসাবে মন্ত্রণালয় ডিজিটাল বিপণন নিয়ে কাজ করছে।

মিয়ানমারের আকর্ষণীয় স্থান

তিনি আরও জানান, চীনা পর্যটক বেশি আসায় পশ্চিমা পর্যটকদের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করছে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত মোট ১২ লাখের বেশি বিদেশি পর্যটক মিয়ানমার সফর করেছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তিন লাখ বা ৩৯ শতাংশ বেশি। এখানে প্রতিবেশী জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীন থেকে আগত পর্যটকদের ভূমিকা বেশি।

আরও জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর মিয়ানমারে চীনা পর্যটক বেড়েছে সর্বোচ্চ ১৬০ শতাংশ। তবে তাদের বেশিরভাগ পর্যটকের বাজেট কম হওয়ায় মুনাফা প্রত্যাশার চেয়ে কম হয়েছে। তবে জার্মানি, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, সুইজারল্যান্ড এবং স্পেনের পর্যটকরা সাধারণত মিয়ানমারে প্রায় দুই সপ্তাহ থাকেন এবং প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন। তারা চীনাদের চেয়ে ৪-৫ গুণ অর্থ খরচ করেন।

ইতালীয় ভাষী ট্যুর গাইড ইউ অং টুন লিন আশা প্রকাশ করে জানান, পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য ভিসা শিথিল করায় এখন বেশি পর্যটক আসবে। তবে এ পর্যন্ত ট্যুর গাইডগুলো গত বছরের তুলনায় কম পর্যটক পেয়েছে।

মিয়ানমারের স্থানীয় পর্যটন বিশেষজ্ঞ ইউ থ্যাট লুইন টো বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য ভিসা সহজ করা নিয়ে এক বছর ধরে টানাটানি চলেছে। দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে শুধু ইস্ট নীতি যথেষ্ট নয়, ওয়েস্ট নীতিও থাকতে হবে। অন্যথায় পর্যটনের মূল বাজার অদৃশ্য হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের পর্যটন শিল্প এখন শুধুমাত্র ভলিউমের ওপর ভিত্তি করে টিকে আছে, মানের ওপর নয়।

পর্যটন অঞ্চল বাগান-ভিত্তিক একটি হোটেলের পরিচালক ও উপদেষ্টা ইউ মো ওয়াই ইয়ান বলেন, যখনই দেশের কোনও স্থান অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে তখনও সরকারকে কথা বলা উচিৎ। তাহলেই বিদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় যেতে তাদের বাধা দেওয়া যেতে পারে। সুরক্ষা নিশ্চিত করা গেলে পর্যটকদের আকর্ষণ করা সম্ভব। সরকার তাৎক্ষণিকভাবে এটা কেন করে না সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত না। তবে কোনও ঘটনা ঘটার সাথে সাথে মার্কিন দূতাবাস পর্যটকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

   

গণকবরের বিষয়ে ইসরায়েলের কাছে জবাব চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের অবরোধে ধ্বংস হওয়া গাজার দুটি হাসপাতালে গণকবর আবিষ্কারের পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে জবাব চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

খবরটি বুধবার (২৪ এপ্রিল) রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।

গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, ২৪ এপ্রিল স্বাস্থ্যকর্মীরা খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যার শিকার এবং গণকবরে প্রায় ৩৪০ জনের মরদেহের সন্ধান পেয়েছেন।

গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের চত্বরেও দুটি গণকবরে প্রায় ৩০টি মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জবাব চাই। আমরা এটি পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত দেখতে চাই।’

গণকবরগুলো আবিষ্কারের ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থনে পরিস্থিতির স্বাধীন তদন্তে জাতিসংঘের দাবি জোরালো হচ্ছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর নাদাভ শোশানি বলেছেন, ‘নাসেরের কবরটি কয়েক মাস আগে গাজাবাসীরা খনন করেছিল।’

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে, ফিলিস্তিনিদের দেওয়া কবরের মরদেহগুলো জিম্মিদের সন্ধানকারী সেনারা পরীক্ষা করেছিল। তবে এই হত্যাকান্ডের পেছনে ইসরায়েলের সেনারা ছিল এমন অভিযোগের ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি তিনি।

গাজায় ছয় মাসেরও বেশি সময় চলমান যুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে সুরক্ষা পাওয়া হাসপাতালগুলো বারবার ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের শিকার হয়েছে।

উল্লেখ্য, হামাস পরিচালিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক নির্বিচার এই হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৩৪,২৬২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।

;

তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। অবস্থার অবনতি হয়ে বিপজ্জনক মাত্রায় তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি হয়েছে বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ। জাতিসংঘ সংস্থা এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ সুদান, বুর্কিনা ফাসো, সোমালিয়া এবং মালির লোকেরা সম্ভবত ২০২৩ সালে তীব্রভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে।

২০১৯ সালের শেষের দিকে যখন করোনাভাইরাস আঘাত হানে, তখন ৫৫টি দেশের ওপর বৈশ্বিক খাদ্য সংকট নিয়ে করা গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন উদ্বেগজনক হারে খাদ্য সংকটে ভুগছিল। ঠিক পরের বছরই এ সংখ্যা পাঁচজনের মধ্যে একজনে চলে আসে।

২০২৩ সালে ৫৯টি দেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন তীব্র খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল, যেখানে ২০১৬ সালে ৪৮টি দেশে ১০ জনের মধ্যে একজন খাদ্য সংকটে ভুগছিল।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) পরিচালক ডমিনিক বারজিন বলেছেন, ‘তীব্র খাদ্য সংকটের ফলে তীব্র ক্ষুধার সৃষ্টি হয়। এটি মানুষের জীবিকা ও জীবনের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকির সৃষ্টি করে। এমন খাদ্য সংকটের কারণে বিভিন্ন দেশে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হতে পারে এবং এতে ব্যাপক মৃত্যু হতে পারে।’

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লওিএফপি) এবং জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর ১.২ শতাংশ বেশি মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছিল। করোনা মহামারির পর থেকে এ সংকট উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে খাদ্য সংকট উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পরিচালক জিয়ান কার্লো সিরি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজা এবং সুদানে খাদ্য সংকট চরমে পৌঁছেছে। এসব এলাকার মানুষ তীব্র ক্ষুধার কারণে ঘাস খাচ্ছে, ভিক্ষা করছে। যেখানে মানুষ স্পষ্টতই ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে। তাদের বেশিরভাগই এখন নিঃস্ব।

ডব্লিউএফপির এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা দিনে দিনে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির কাছাকাছি চলে আসছি। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা অনুমান করছি, দুই বছরের কম বয়সী ৩০ শতাংশ শিশু এখন তীব্রভাবে অপুষ্টি এবং উত্তরাঞ্চলের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন হয়েছে। দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় এখন প্রয়োজন খুব স্বল্প সময়ে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা।

;

তিউনিসিয়া উপকূলে ১৪ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশটির জেরবা উপকূল থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য তিউনিসিয়া এবং এর প্রতিবেশী লিবিয়া অভিবাসীদের কাছে গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় রুট হয়ে উঠেছে। ইউরোপে উন্নত জীবন যাপনের আশায় বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। তিউনিসিয়ার জেরবার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গত দুই দিনে তিউনিসিয়ার উপকূলে মৃত অভিবাসীর সংখ্যা আরও বাড়ল।

নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে এসেছিল। এদের মধ্যে একজন মিশরীয় ব্যক্তিও ছিলেন। তার কাছে থাকা পাসপোর্টটি থেকে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির মেডেনাইনের আদালতের প্রসিকিউটর ফেথি বাককুচে।

এদিকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় পথ অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় প্রায় ২ হাজার ৪৯৮ জন মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৭৫ শতাংশ বেশি।

 

;

আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা

বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে বকেয়া রাজস্ব পরিশোধে আয়াটার আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর জোট ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আয়াটা) বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কাছ থেকে মোট ৭২ কোটি ডলার রাজস্ব পাওনা রয়েছে বলে দাবি করেছে। দ্রুত এ রাজস্ব পরিশোধের জন্য উভয় দেশকে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

আয়াটার মতে, বাংলাদেশের কাছে ৩২ কোটি ৩০ লাখ ডলার এবং পাকিস্তানের কাছে ৩৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার বকেয়া রয়েছে এই জোট ভুক্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা সংস্থার। এই রাজস্ব থেকেই সংস্থার বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ হয়ে থাকে, তাই রাজস্ব বকেয়া থাকায় পরিস্থিতি বর্তমানে গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে । এ অবস্থায় দ্রুত এই বকেয়া অর্থ পরিশোধে দুই দেশের সরকারকে তাগাদাও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়াটা।

আয়াটার এশিয়া-প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিলিপ গোহ বলেছেন, পরিষেবা সংস্থাগুলোকে বিমান, ইঞ্জিন, খুচরা যন্ত্রাংশ, জ্বালানী খরচ, ওভারফ্লাইট ফি এর জন্য ইজারা সহ ডলার-নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। তাই দীর্ঘদিন ধরে রাজস্ব বকেয়া থাকলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় বিমান পরিষেবা কোম্পানিগুলোকে। এছাড়া রাজস্ব পেতে বিলম্ব হলে মুদ্রা বিনিময় হারের ওঠানামার কারণে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বুঝতে পারি যে করোনা মহামারির পর থেকে বিভিন্ন দেশ বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের কারণে ব্যাপক চাপে রয়েছে। বাংলাদেশ-পাকিস্তানও রয়েছে সেসব দেশের তালিকায়। কিন্তু আমরা নিরুপায়। কারণ চুক্তি অনুযায়ী রাজস্ব প্রদানে মাত্রাতিরিক্ত বিলম্ব করা (চুক্তির) প্রাথমিক শর্তের লঙ্ঘণ। যদি শিগগিরই রাজস্ব পরিশোধ না করা হয়, তাহলে এ দুটি দেশে পরিষেবা প্রদান সংকুচিত করতে বাধ্য হবে সংস্থাগুলো।

উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আয়াটা। সংস্থাটির সদর দপ্তর কানাডার মন্ট্রিয়ালে। এর অন্তর্ভূক্ত সংস্থাগুলো প্রতিদিন বিশ্বের মোট বিমানযাত্রীর ৮৩ শতাংশকে পরিবহন পরিষেবা দেয়। এই পরিষেবা বাবদ এই সংস্থাটিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব দিতে হয় দেশগুলোকে। রাজস্বের অর্থ দিয়ে পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ করে সংস্থাটি।

;