দুবাইয়ের ‘এক্সপো ২০২০’ রূপ নিতে শুরু করেছে



খুররম জামান, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
‘এক্সপো-২০২০ দুবাই’এটি আরব দেশগুলোর মধ্যেও প্রথম আয়োজন। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

‘এক্সপো-২০২০ দুবাই’এটি আরব দেশগুলোর মধ্যেও প্রথম আয়োজন। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এক বছর পরেই শুরু হতে যাচ্ছে দুবাইয়ের ‘এক্সপো ২০২০’। আর এক বছর আগেই এর সাইটের আশেপাশে আকর্ষণগুলো রূপ নিতে শুরু করেছে।

এক্সপো ২০২০ সাইটে দুবাইয়ের দক্ষিণের দিকে যাওয়ার জন্য বিশাল রাস্তা এবং অবকাঠামো সম্পূর্ণ। পুরোটা যেন ‘পাপড়ি’ বিছানো হাঁটাপথ যা বিশাল সেন্ট্রাল ওয়াসাল প্লাজা গম্বুজ থেকে বিশাল বিশাল স্টিলের খিলানের প্রবেশদ্বারগুলো বাইরে মোড়ক ছাড়িয়ে অপেক্ষা করছে। রঙ্গিন জলের ফোয়ারা বৈশিষ্ট্য এবং মরুভূমির গাবগাছ দিয়ে সম্পূর্ণ সজ্জিত হয়ে রয়েছে পর্ণরাজি।

আসন্ন দুবাই এক্সপো ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ২০২১ সালের ১০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। ১৯২টি দেশ ২০২০ দুবাইয়ে এক্সপোতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেছে। এই মেলায় সবুজ এবং হাওয়া হাওয়ায় উড়ে যাওয়া পথগুলো দর্শকদের তিনটি থিমযুক্ত পার্কে (টেকসইযোগ্যতা, গতিশীলতা এবং সুযোগ) সংযুক্ত করবে। যেখানে এই প্রতিটি পার্কের মধ্যে প্রধান কাঠামো রূপ নিচ্ছে।

সামনের বছরের জুলাই পর্যন্ত আরও সাত মাস সময় লাগবে ১৯২টি দেশকে তাদের নিজস্ব প্যাভেলিয়ানগুলো সমাপ্ত করার জন্য। যা প্রতিটি দেশের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি তুলে ধরে এই এক্সপোকে সত্যিকার অর্থে একটি বিশ্বব্যাপী আয়োজন হিসাবে পরিণত করবে। কারণ এই বিশ্ব মেলায় ১৬৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতিটি দেশ নিজস্ব প্যাভেলিয়ান পাচ্ছে।

২৫ মিলিয়ন দর্শনার্থীর প্রত্যাশা দুবাই এক্সপোতে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। যার মধ্যে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাইরে থেকেই আসতে পারে ৭০ শতাংশ।

দুবাই এক্সপো ২০২০ প্রকল্পগুলো বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা স্মৃতিস্তম্ভের আদলে তৈরি হচ্ছে।

১. আলাদিন শহর

আলাদিন এবং সিনবাদের পৌরাণিক কাহিনী থেকে সূত্রপাত নিয়ে দুবাই এক্সপোতে মাঝখানে নতুন আলাদিন সিটি প্রকল্পে কাজ শুরু করেছে! স্বপ্নের মতো প্রকল্পটিতে বাণিজ্যিক ও হোটেলের স্থান সমন্বিত তিনটি টাওয়ার ৪৫০ মিটার দূরত্বে ছড়িয়ে রয়েছে। চলন্ত মেঝেসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সেতুগুলি ট্রিপল টাওয়ার, ড্রাইভওয়ে এবং পার্কিংগুলোর আন্তঃসংযোগ করবে।

দুবাই এক্সপোতে নতুন আলাদিন সিটি প্রকল্পে কাজ শুরু করেছে

 ২. ক্রিক জুয়েল

আল মাকতুম ব্রিজ, বানিয়াস রোড এবং ভাসমান ব্রিজের মধ্যে অবস্থিত একটি নতুন প্রকল্পে উচ্চ জীবনধারণের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য আপনার মন ঠিক করুন। ক্রিকের জুয়েল হিসাবে খ্যাত, এই উজ্জ্বল প্রকল্পটি ১৯ তলা অ্যাপার্টমেন্ট ভবন, তিনটি অফিস টাওয়ার, দুটি বিলাসবহুল হোটেল, একটি বিনোদন কেন্দ্র এবং একটি বলরুম সহ একটি কনভেনশন সেন্টার, পাশাপাশি একটি মেরিন ড্রাইভ। রেস্তোঁরাগুলোতে যেখানে তরুণ অতিথি এবং দর্শনার্থীরা চূড়ান্ত বিলাসবহুল অভিজ্ঞতা পাবেন। এই প্রকল্পটির জন্য ব্যয় হয়েছে ৮১৬ মিলিয়ন ডলার।

ক্রিক জুয়েল প্রকল্পটির জন্য ব্যয় হয়েছে ৮১৬ মিলিয়ন ডলার

৩. আল হাব্তুর শহর

দুবাইয়ে বিলাসিতার একটি নতুন ঠিকানা। দুবাইয়ে পাশাপাশি তিনটি বিলাসবহুল আবাসিক টাওয়ার পরিচালিত তিনটি হাই-অকটেন হোটেল তৈরি করা হচ্ছে যাতে তিন বিলিয়ন সংযুক্ত আরব আমিরাত দিরহাম লাগতে পারে। প্রকল্পে ব্যয় করা অর্থ এত বড় হয়, তবে নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত অঞ্চলটিও কম নয়।

শেখ জায়েদ রোডের ১০ মিলিয়ন বর্গফুটের প্লটটি ডাইনিং ভেন্যু, একটি ফরাসি উদ্যান, লাস ভেগাস স্টাইলের একুয়া থিয়েটার এবং বিশ্বের প্রথম বেন্টলে ক্যাফে থাকবে।

আল হাব্তুর শহর, দুবাইয়ে বিলাসিতার একটি নতুন ঠিকানা

৪. ডেইরা দ্বীপপুঞ্জ

১৫.৩ বর্গকিলোমিটার জলের সম্মুখভাগের শহর, ডেইরা দ্বীপপুঞ্জ। বড় বড় ইয়টকে জায়গা দেওয়ার জন্য কয়েক’শ নতুন হোটেল, অ্যাপার্টমেন্ট, মেরিনাস, একটি বড় শপিংমল, আরবি স্যুক-স্টাইলের নাইট মার্কেট ৩০ হাজার লোকের জন্য একটি অ্যাম্পিথিয়েটার নির্মাণ করা হচ্ছে।

ডেইরা দ্বীপপুঞ্জ, ১৫.৩  বর্গকিলোমিটার জলের সম্মুখভাগের শহর

৫. বলিউড থিম পার্ক

বলিউডের প্রতি এক উচ্চতর ভালবাসা নিয়ে দুবাই পার্কস এবং রিসর্ট দর্শকদের এবং চলচ্চিত্র প্রেমীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হবে থিম পার্কটি। ৬০ হাজার বর্গফুট স্টেজের এমন একটি মঞ্চ যা বলিউড-থিমযুক্ত পারফরম্যান্স করবে। রিসর্টটি মোশনগেট দুবাই এবং লেগোল্যান্ড দুবাইয়ের সঙ্গে যুক্ত করে যেখানে বিনোদনের বিকল্পগুলো প্রচুর পরিমাণে থাকবে।

চলচ্চিত্র প্রেমীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হবে থিম পার্কটি

৬. দুবাই ফ্রেম

আপনি যদি বুর্জ খলিফা এবং বুর্জ আল আরবে উঠে থাকেন তবে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি পরের ভ্রমণে রাজী দুবাই ফ্রেমেও উঠেছেন। দুবাইয়ের অন্যতম প্রধান পর্যটন আকর্ষণ হিসাবে চিহ্নিত, এটি একটি ১৫০ মিটার উঁচু এবং ৯৩মিটার প্রশস্ত টাওয়ারটি বিশাল ফটো / উইন্ডো ফ্রেমের মতো দেখতে তৈরি করা হয়েছে!
পুরানো দুবাইকে এক পাশ থেকে এবং অন্য দিক থেকে নিউ দুবাই স্কাইলাইন দেখতে এই জাবিল পার্কের সৌন্দর্যে ১০০ বর্গ মিটার ব্রিজের সাহায্যে দুটি ১৫০ মিটার উঁচু টাওয়ার যুক্ত রয়েছে। এই প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে মোট ব্যয় হয়েছে ৪৩.৫ মিলিয়ন ডলার।

দুবাই ফ্রেম, ১৫০ মিটার উঁচু এবং ৯৩মিটার প্রশস্ত টাওয়ার

৭.ব্লুওয়াটার দ্বীপ

এখানে রয়েছে ২০০ খাওয়ার দোকান পাশাপাশি আবাসিক, আতিথেয়তা, বিনোদন অঞ্চল এবং একটি বুটিক পাঁচতারা হোটেল। যদি আপনি এখনও এমন কোনও আশ্চর্যজনক বিষয় প্রত্যক্ষ না করে থাকেন তবে দুবাইতে আপনার জন্য আরো কিছু রয়েছে। ব্লুওয়াটারগুলো হল একটি মানব-নির্মিত মাল্টি পারপার্স- দ্বীপ যা জুমিরাহ বিচ রেসিডেন্সের উপকূলে অবস্থিত। এখানে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম পর্যবেক্ষণ চাকা, এই প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে। ব্লুওয়াটারে বিনোদন অঞ্চল এবং মেট্রো স্টেশনে যেতে একটি মনো রেল সিস্টেম চালবে।

ব্লুওয়াটার দ্বীপে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম পর্যবেক্ষণ চাকা

৮. দুবাই ক্রিক হারবার

খুব শিগগিরই, দুবাই বিশ্বের দীর্ঘতম টাওয়ারের আবাসনের সম্মানজনক খেতাবটি লাভ করবে। ইমার প্রপার্টি এবং দুবাই হোল্ডিং দুবাই ক্রিক হাবুর নামে একটি ছয়-টাওয়ারের আবাসন নিয়ে আসছে।

ডাউনটাউন দুবাইয়ের মতো প্রায় তিনগুণ বড়, দুবাই ক্রিক হারবারকে বিশ্বের দীর্ঘতম দু'টি টাওয়ার। এই প্রকল্পে ৩৬৬৪টি অফিস ইউনিট, ৮০ লাখ বর্গফুট খোলা জায়গা, ৩৯ হাজার আবাসিক ইউনিট এবং ৪৪০০ কক্ষসহ ২২টি হোটেল থাকবে।

দুবাই ক্রিক হারবার বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা টাওয়ার হয়ে উঠবে

আরও পড়ুন: ‘এক্সপো-২০২০ দুবাই’ দিন গণনা শুরু

 

   

দুর্নীতি মামলায় তদন্তের মুখোমুখি মাহাথির ও তার ছেলেরা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বলেছেন, তারা এমন একটি দুর্নীতি মামলার তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছেন যে মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ ও তার ছেলেদের নাম রয়েছে।

মিডিয়া সংস্থাগুলোর দ্বারা প্রকাশিত অফশোর আর্থিক এবং ব্যবসায়িক রেকর্ডগুলোর তদন্তের অংশ হিসাবে গত জানুয়ারিতে মাহাথিরের ব্যবসায়ী পুত্র মিরজান এবং মোখজানিকে তাদের সম্পদের পরিমান ঘোষণা করার নোটিশ দিয়েছিল দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন।

রয়টার্স জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন প্রধান কমিশনার আজম বাকি বৃহস্পতিবার মাহাথির বা তার ছেলেদের বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেছেন।

তিনি এক মন্তব্যে টেলিভিশন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগে তদন্ত শেষ হতে দিন। একটি উপযুক্ত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, যখন আমরা মামলার ফলাফল প্রকাশ করতে পারবো।’

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের দীর্ঘদিনের শত্রু ৯৮ বছর বয়সি মাহাথিরের সঙ্গে মিত্রতা রয়েছে এমন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে কমিশন বেশ কয়েকটি দুর্নীতি মামলা চালু করেছে।

তবে, আনোয়ার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের টার্গেট করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, ‘তদন্তগুলো উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি মোকাবেলায় সরকারের প্রচেষ্টার অংশ।’

;

মোদি এবং রাহুলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধিভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।

এ ছাড়াও এ বিষয়ে কংগ্রেস এবং বিজেপির সভাপতিকে নোটিশ পাঠিয়ে দুই দলের দুই তারকা প্রচারককে সাবধান করার জন্যও বলেছে কমিশন।

শুধু তাই নয়, মোদি এবং রাহুলকে কী বলে সাবধান করা হলো, সেটা চিঠি লিখে জানানোর নির্দেশও দিয়েছে কমিশন। একই সঙ্গে ওই চিঠিতে বিজেপি এবং কংগ্রেসকে দল এবং দলের তারকা প্রচারকদের দায়িত্বও মনে করিয়ে দিয়েছে নির্বাচনী সংস্থাটি।

এনডিটিভি জানিয়েছে, মোদি এবং রাহুল-উভয়ের বিরুদ্ধেই ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশও জমা পড়েছে।

গত রবিবার (২১ এপ্রিল) ভোটপ্রচারের জন্য রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় একটি জনসমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন মোদি। সেখানে গিয়ে তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন যে, কংগ্রেস তার ইস্তাহারে দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

তিনি বলেছিলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং অতীতে বলেছিলেন, দেশের সম্পদে সর্বাগ্রে অধিকার মুসলিমদের। সেই কারণেই সমীক্ষা করার পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। যাতে দেশবাসীর কষ্টার্জিত অর্থ মুসলিম এবং অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া যায়।’

এর পরে সোমবার উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে গিয়ে মোদি বলেছিলেন, ‘কংগ্রেসের নজর আপনার সম্পত্তির উপরে। ক্ষমতায় এলে এরা মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে।’

এদিকে, সম্প্রতি হায়দরাবাদে কংগ্রেস নেতা রাহুল মন্তব্য করেন যে, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কোন শ্রেণির হাতে কত সম্পদ আছে, তা আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা করে দেখবে। সেই মন্তব্যের রেশ ধরেই বাঁশওয়াড়া এবং আলিগড়ে ওই মন্তব্য করেন মোদি। মোদির সেই মন্তব্যের নিন্দায় সরব হয় কংগ্রেস এবং বামেরা। কমিশনের কাছে অভিযোগও জমা দেন তারা।

অন্যদিকে, রাহুলের বিরুদ্ধে ভাষা এবং অঞ্চলের ভিত্তিতে ঘৃণা ও বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপিও। পদ্মশিবিরের অভিযোগ, দেশের দারিদ্র বৃদ্ধি নিয়ে রাহুল যে দাবি করে চলেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাহুলের বিরুদ্ধে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করার অভিযোগও তোলে বিজেপি।

;

গণকবরের বিষয়ে ইসরায়েলের কাছে জবাব চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের অবরোধে ধ্বংস হওয়া গাজার দুটি হাসপাতালে গণকবর আবিষ্কারের পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে জবাব চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

খবরটি বুধবার (২৪ এপ্রিল) রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।

গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, ২৪ এপ্রিল স্বাস্থ্যকর্মীরা খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যার শিকার এবং গণকবরে প্রায় ৩৪০ জনের মরদেহের সন্ধান পেয়েছেন।

গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের চত্বরেও দুটি গণকবরে প্রায় ৩০টি মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জবাব চাই। আমরা এটি পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত দেখতে চাই।’

গণকবরগুলো আবিষ্কারের ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থনে পরিস্থিতির স্বাধীন তদন্তে জাতিসংঘের দাবি জোরালো হচ্ছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর নাদাভ শোশানি বলেছেন, ‘নাসেরের কবরটি কয়েক মাস আগে গাজাবাসীরা খনন করেছিল।’

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে, ফিলিস্তিনিদের দেওয়া কবরের মরদেহগুলো জিম্মিদের সন্ধানকারী সেনারা পরীক্ষা করেছিল। তবে এই হত্যাকান্ডের পেছনে ইসরায়েলের সেনারা ছিল এমন অভিযোগের ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি তিনি।

গাজায় ছয় মাসেরও বেশি সময় চলমান যুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে সুরক্ষা পাওয়া হাসপাতালগুলো বারবার ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের শিকার হয়েছে।

উল্লেখ্য, হামাস পরিচালিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক নির্বিচার এই হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৩৪,২৬২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।

;

তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। অবস্থার অবনতি হয়ে বিপজ্জনক মাত্রায় তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি হয়েছে বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ। জাতিসংঘ সংস্থা এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ সুদান, বুর্কিনা ফাসো, সোমালিয়া এবং মালির লোকেরা সম্ভবত ২০২৩ সালে তীব্রভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে।

২০১৯ সালের শেষের দিকে যখন করোনাভাইরাস আঘাত হানে, তখন ৫৫টি দেশের ওপর বৈশ্বিক খাদ্য সংকট নিয়ে করা গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন উদ্বেগজনক হারে খাদ্য সংকটে ভুগছিল। ঠিক পরের বছরই এ সংখ্যা পাঁচজনের মধ্যে একজনে চলে আসে।

২০২৩ সালে ৫৯টি দেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন তীব্র খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল, যেখানে ২০১৬ সালে ৪৮টি দেশে ১০ জনের মধ্যে একজন খাদ্য সংকটে ভুগছিল।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) পরিচালক ডমিনিক বারজিন বলেছেন, ‘তীব্র খাদ্য সংকটের ফলে তীব্র ক্ষুধার সৃষ্টি হয়। এটি মানুষের জীবিকা ও জীবনের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকির সৃষ্টি করে। এমন খাদ্য সংকটের কারণে বিভিন্ন দেশে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হতে পারে এবং এতে ব্যাপক মৃত্যু হতে পারে।’

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লওিএফপি) এবং জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর ১.২ শতাংশ বেশি মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছিল। করোনা মহামারির পর থেকে এ সংকট উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে খাদ্য সংকট উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পরিচালক জিয়ান কার্লো সিরি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজা এবং সুদানে খাদ্য সংকট চরমে পৌঁছেছে। এসব এলাকার মানুষ তীব্র ক্ষুধার কারণে ঘাস খাচ্ছে, ভিক্ষা করছে। যেখানে মানুষ স্পষ্টতই ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে। তাদের বেশিরভাগই এখন নিঃস্ব।

ডব্লিউএফপির এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা দিনে দিনে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির কাছাকাছি চলে আসছি। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা অনুমান করছি, দুই বছরের কম বয়সী ৩০ শতাংশ শিশু এখন তীব্রভাবে অপুষ্টি এবং উত্তরাঞ্চলের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন হয়েছে। দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় এখন প্রয়োজন খুব স্বল্প সময়ে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা।

;