চীনের সঙ্গে পানির নিচে তলিয়ে যাবে বাংলাদেশও!



ফাতিমা তুজ জোহরা, আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলাদেশের প্রায় ৩০ শতাংশ ভূমি পানির তলায় নিমজ্জিত হবে, ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের প্রায় ৩০ শতাংশ ভূমি পানির তলায় নিমজ্জিত হবে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলস্বরূপ বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় সুমেরু অঞ্চলের বরফ গলতে শুরু করেছে। চলতি মাসে আগস্ট মাসের এক পরিসংখ্যানে উঠে আসে এর ভয়াবহ চিত্র। যেখানে এক দিনেই বরফ খণ্ড গলেছে ১ হাজার ১০০ কোটি টন (১১ বিলিয়ন)।

এর ফলে সমুদ্র পৃষ্টের পানির উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে আর হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে সমুদ্রের উপকূলবর্তী দেশগুলো। শুধু হুমকির সম্মুখীন নয়, তলিয়ে যেতে পারে এসব দেশের গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল শহর। এতে গোটা বিশ্বের মানুষ ও প্রাণির অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়বে বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বরফ ও হিমবাহ গলে বেড়ে যাচ্ছে সমুদ্রের পানি

সম্প্রতি দ্যা নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এই দেশগুলোর তালিকা যেখানে নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। আর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় আছে চীন। এছাড়া- ইন্ডিয়া তৃতীয় অবস্থানে, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড রয়েছে এই তালিকায়।

কেন হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন

জলবায়ু এবং আবহাওয়া এই দুইটি পরিবর্তন ভিন্ন। জলবায়ু হচ্ছে কোনো অঞ্চলের আবহাওয়া বা বায়ুমণ্ডলের উপাদান সমূহের দীর্ঘদিনের (কমপক্ষে ৩০ বছরের) গড়। সৌর বিকিরণের মাত্রা, পৃথিবীর অক্ষরেখার দিক পরিবর্তনের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হয়।

এছাড়াও জলবায়ুর পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে কার্বন নিঃসরণ ও বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা বৃদ্ধি। কার্বন নিঃসরণের কারণ হলো- জীবাশ্ম জ্বালানি (কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস) পোড়ানোর ফলে। এছাড়াও বন উজাড়, কল-কারখানা, গাড়ির কালো ধোঁয়া, এসি থেকে নির্গত এসএফসিক্স গ্যাস ইত্যাদি কারণে নির্গত কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ বাড়িয়ে দিচ্ছে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা। ২০১৩ সালের এক গবেষণায় বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকর কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের উপস্থিতি প্রথমবারের মতো বিপজ্জনক প্রতীকী মাত্রা ‘৪০০ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন)’ ছাড়িয়ে গেছে বলে সতর্ক করেন মার্কিন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।

কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের উপস্থিতি ৪০০ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন)’ ছাড়িয়ে গেছে

এ তথ্য জানিয়ে বিশ্বে গ্রীনহাউস গ্যাসের রেকর্ড ছোঁয়ারও আভাস দিয়ে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব কার্বন ডাই অক্সাইডের বৃদ্ধি কমাতে হবে। না হলে ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে বিশ্ববাসী। গ্রানথাম রিসার্চ ইনস্টিটিউট অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ও এনভায়রনমেন্ট অ্যাট লন্ডন স্কুল অবইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সের পরিচালক বব ওয়ার্ড বলেন, লাখ লাখ বছরেও এ পৃথিবীতে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছায়নি।

১৭৫০ সালে শিল্প বিপ্লবের পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত করা এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বায়ুমণ্ডলে ৪০ শতাংশ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানানো হয়। কার্বন ডাইঅক্সাইড অক্সিজেন থেকে ভারী হওয়ায় বায়ুমণ্ডলে এই গ্যাসের স্থায়িত্ব বেশি। কার্বনডাই অক্সাইডের মূলত সূর্যের তাপ শোষণ করে। ফলে মারাত্মক হারে কার্বন ডাই অক্সাইড বেড়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত তাপ শোষণ করায় বেড়ে যাচ্ছে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা।

বায়ুমণ্ডলে ৪০ শতাংশ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস বৃদ্ধি পেয়েছে

সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণে বর্তমান নিঃসরণ হার অব্যাহত থাকলে ২০৩৬ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ °C (ডিগ্রী সেলসিয়াস) পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর ফলশ্রুতিতে বরফ ও হিমবাহ গলে বেড়ে যাচ্ছে সমুদ্রের পানি। সমুদ্র পৃষ্টের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি ঝুঁকিতে বাংলাদেশের ১০ কোটি মানুষ বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাম্প্রতিক তথ্য মতে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে ২০৫০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশের চার কোটি মানুষ সমুদ্রের নোনা পানির ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে। আর এই শতাব্দীর শেষে ক্ষতির শিকার মানুষের সংখ্যা সাত কোটিতে পৌঁছাবে।

চলতি বছর সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যানেল আইপিসিসি থেকে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলে হয়, যা আশঙ্কা করা হচ্ছে তার থেকে দ্রুত গতিতে সমুদ্রপৃষ্ঠে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ বিপদে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

এর আগের পরিসংখ্যান মতে, ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা দুই মিটার বাড়বে বলে দেখানো হয়। কিন্তু সম্প্রতি এ তথ্য বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যেই একই পরিমাণ সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে। অর্থাৎ হিসেব অনুযায়ী দ্বিগুণ হারে সমুদ্রপৃষ্ঠে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোটা বিশ্বে ২৫ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছ ৬৪ কোটিতে। বাংলাদেশে বৈশ্বিকগ্যাস নিঃসরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হার ০.৩ শতাংশ। কিন্তু তা স্বত্তেও বাংলাদেশকে চূড়ান্ত মাশুল দিতে হবে।

বাংলাদেশে বৈশ্বিকগ্যাস নিঃসরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হার ০.৩ শতাংশ

এক গবেষণায় দেখা যায়, গত তিন বছরে বিশ্বে যে অতিরিক্ত গরমের তাপ ভোগ করতে হয়েছে  তা বিগত ১২ বছর আগে নির্গত গ্যাসের কারণে হচ্ছে। ফলে আরও ১২ বছর পর নির্গত গ্যাসের পরিমাণ এর দ্বিগুণ হবে। তখন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। আর এই দুর্যোগের শুরু হবে ২০৫০ সাল থেকেই। বিশ্বের সার্বিক মারাত্মক জলবায়ু দুর্যোগ হবে অপরিবর্তনীয়; মানুষসহ সকল জীব-গাছপালা হবে মৃত্যুমুখী। ২১০০ সালে নয়, মহা দুর্যোগ স্থায়ী হবে ২০৫০ সাল থেকেই। বাংলাদেশের প্রায় ৩০ শতাংশ ভূমি পানির তলায় নিমজ্জিত হবে, দক্ষিণাঞ্চল থেকে উৎখাত হবে ৫-৭ কোটি মানুষ। ফলে ধ্বংস হবে আমাদের পরিবেশ, প্রকৃতি, ফসল ও সকল সম্পদ।

এর আগে ২০০৭ সালের জাতিসংঘের বিজ্ঞানীদের প্যানেলের (আইপিসিসি) তথ্য মতে,  বিশ্বের গড় উষ্ণতা ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সমুদ্র স্ফীতি ১৮ সেন্টিমিটার থেকে ৫৯ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে যাবে৷ চলতি বছর ৩০ অক্টোবর বিবিসি'র এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সমুদ্র পরিবর্তনের ভয়াবহতা নিয়ে। যার ফলে বেশ বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে উপকূলবর্তী দেশগুলো।

নতুন পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার চিত্র

যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত এক সংস্থার নতুন এক প্রতিবেদনে দেখানো হয়, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ২০৫০ সাল অর্থাৎ আগামী ৩০ বছরের মধ্যে তলিয়ে যাবে ভারত, চীন, বাংলাদেশ, ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও জাপান। এসব দেশ সমূহে উপকূলে বসবাস করে ৩০ কোটি মানুষ।

পরিসংখ্যান বলছে, ঝুঁকিতে রয়েছে ৬৪ কোটি মানুষ। প্রতি বছর তিন মিলিমিটার করে বৃদ্ধি পাচ্ছে সমুদ্রের পানি। সুতরাং শুধুমাত্র উপকূলে বসবাসের জন্য নয় এর বাইরেও বসবাস করা মানুষও ঝুঁকিতে রয়েছে।

পরিসংখ্যান মতে, ভারতের মুম্বাই শহরও দক্ষিণ ভিয়েতনাম পুরোপুরি সমুদ্রের গর্ভে চলে যেতে পারে এবং থাইল্যান্ডের ১০ শতাংশ এলাকাও আছে এই ঝুঁকিতে। প্রশ্ন থেকে যায় এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির কোনো উপায় আছে কিনা! যদিও এর আগে ৩০ বছরের বায়ু দূষণের মারাত্মক প্রভাব ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে।  

তবু গবেষকরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মুক্তি পেতে পারে বৈশ্বিক উষ্ণতার ভয়াবহতা থেকে।

   

ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়ারহেডের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর কোরিয়া কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য তৈরি করা একটি সুবৃহৎ আকারের ওয়ারহেড পরীক্ষা করেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ ছাড়াও একটি নতুন ধরনের বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও সম্পন্ন করেছে উত্তর কোরিয়া।

দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) শনিবার (২০ এপ্রিল) জানিয়েছে, ‘হাওয়াসাল-১ আরএ-৩' কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ডিজাইন করা একটি সুপার-লার্জ ওয়ারহেডের শক্তি পরীক্ষা করেছে পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র প্রশাসন।

এ ছাড়াও, শুক্রবার বিকেলে একটি ‘পিওলজি-১-২’ এর একটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণও করেছে উত্তর কোরিয়া। কেসিএনএ জানিয়েছে, পিওলজি-১-২ একটি নতুন ধরণের বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র।

কেসিএনএ আরও বিশদ বিবরণ না দিয়ে জানিয়েছে, এই পরীক্ষার মাধ্যমে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।

কেসিএনএ জানিয়েছে, ‘এই অস্ত্র পরীক্ষা ছিল প্রশাসন এবং এর অধিভুক্ত প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ।’

বিশ্লেষকরা বলেছেন, বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার সঙ্গে তার গভীর সামরিক সহযোগিতা থেকে উপকৃত হতে পারে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করেছে যে ইউক্রেনে তাদের যুদ্ধের ক্ষমতা প্রসারিত করতে রাশিয়াকে আর্টিলারি শেল এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে উত্তর কোরিয়া।

;

তুরস্কের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন হামাস প্রধান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ানের সঙ্গে শনিবার (২০ এপ্রিল) সাক্ষাত করতে যাচ্ছেন হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াহ।

ইরান এবং গাজায় নতুন করে ইসরায়েলের হামলার প্রস্তুতির কথা জানানোর পর মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার মধ্যেই তিনি এ সাক্ষাত করছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিন সংঘাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন এরদোয়ান। তবে, তিনি হামাস প্রধানের সাথে তার বৈঠকের বিষয়ে আন্তরিক রয়েছেন বলে জানিয়েছে এএফপি।

শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা আমাদের এবং হানিয়ার মধ্যে আলোচ্যসূচি রাখব।’

তবে কাতার বলেছে, তারা হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে তাদের ভূমিকা পুনর্বিবেচনা করবে।

এদিকে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে চেয়ে নতুন ইঙ্গিত দিয়ে বুধবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানকে দোহায় পাঠান এরদোয়ান।

২০১১ সাল থেকে হামাসের একটি কার্যালয় রয়েছে তুরস্কে। ওই সময় ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতকে মুক্ত করার জন্য হামাস গ্রুপের জন্য চুক্তিটি নিশ্চিত করতে সহায়তা করেছিল আঙ্কারা।

;

‘ইরাকে বিমান হামলা চালায়নি যুক্তরাষ্ট্র’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন সামরিক বাহিনী শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বলেছে, ইরাকের একটি সামরিক ঘাঁটিতে কথিত হামলার পেছনে তাদের বাহিনীর কোনো হাত নেই।

রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করা এক বার্তায় জানিয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে বিমান হামলা চালায়নি।’ এতে আরো বলা হয়, ‘দেশটিতে মার্কিন বাহিনী হামলা চালিয়েছে এমন কথা সত্য নয়।’

এর আগে ইরাকের মধ্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী এবং ইরানপন্থী আধাসামরিক বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটিতে শুক্রবার রাতে বোমা হামলা চালানোর খবর পাওয়া যায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এবং একজন সামরিক কর্মকর্তা শুক্রবার জানান, ক্যালসো ঘাঁটিতে ওই হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে সাবেক ইরানপন্থী আধাসামরিক গোষ্ঠী, বর্তমানে নিয়মিত সেনাবাহিনীতে একীভূত হাশেদ আল-শাবি’র অবস্থান।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই হামলায় একজন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছে। তবে দেশটির সামরিক সূত্র জানিয়েছে, হামলায় ইরাকের তিনজন সামরিক কর্মী আহত হয়েছে।

হামলায় আহতের সংখ্যা উল্লেখ না করে এক বিবৃতিতে হাশেদ আল-শাবি নিশ্চিত করেছেন যে, হামলায় অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

এএফপি’র প্রশ্নের জবাবে, সূত্রগুলো এই হামলার জন্য কে দায়ী বা এটি একটি ড্রোন হামলা ছিল কিনা তা শনাক্ত করতে পারেনি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি সরঞ্জাম, অস্ত্র এবং যানবাহনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ওই হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পক্ষ দায় স্বীকার করেনি।

বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই সামরিক কর্মকর্তা বলেন, ‘এগুলো ছিল সরঞ্জাম সংরক্ষণের গুদামে বিস্ফোরণ।এখনও আগুন জ্বলছে এবং আহতদের সন্ধান অব্যাহত রয়েছে।’

ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য গঠিত প্রধানত শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট এই হাশেদ আল-শাবি এখন ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি অংশ।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল এবং তেহরানের সমর্থিত ফিলিস্তিনি যোদ্ধা হামাসের মধ্যে যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে ইরানপন্থী আধাসামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে এই হামলার ঘটনা ঘটলো।

এদিকে, ইরানের ইসফাহানের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে শুক্রবারের হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে তেহরান।

;

যুক্তরাষ্ট্রে আদালতের বাইরে নিজেকে দগ্ধ করা ব্যক্তির মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালতের বাইরে নিজের গায়ে আগুন দেওয়া ম্যাক্সওয়েল অ্যাজারেলো মারা গেছেন।

ম্যানহাটনের ওই আদালতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিচারকাজ চলছিল।

এ সময় আদালতের বাইরে নিজের শরীরে আগুন দেন ৩৭ বছর বয়সি ম্যাক্সওয়েল।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ঘটনাটি ঘটে। এ সময় ট্রাম্প আদালতকক্ষে ছিলেন। ঘটনার পরপর ট্রাম্প আদালত ত্যাগ করেন।

ম্যাক্সওয়েল প্রথমে বাতাসে ‘ষড়যন্ত্র-তত্ত্বের’ প্রচারপত্র ছুড়ে দেন। এরপর নিজের শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।

গুরুতর অবস্থায় ম্যাক্সওয়েলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তিনি মারা যান।

তদন্তকারীরা বলছেন, পরিবারের সঙ্গে ফ্লোরিডায় থাকতেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি গত সপ্তাহে ফ্লোরিডার থেকে নিউইয়র্কে এসেছিলেন।

ম্যাক্সওয়েলের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার কোনো তথ্য নিউইয়র্ক পুলিশের কাছে নেই।

ম্যাক্সওয়েল যে ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্কে এসেছিলেন, তা তার পরিবারের সদস্যরা জানতেন না।

;