মিয়ানমারের সংসদে সেনাবাহিনীর আসন না কমানোর হুমকি সেনাপ্রধানের



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেইং

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেইং

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারে ২০২০ সালের শেষে দেশটির সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশটি সংসদে ২৫ শতাংশ আসন সামরিক বাহিনীর জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। আগামী নির্বাচনগুলোতে পর্যায়ক্রমে এ আসন সংখ্যা কমিয়ে আনতে চায় ক্ষমতাসীন সুচির দল।

কিন্তু দেশটির সেনাবাহিনী তথা সেনাপ্রধান এখনই তা মানতে নারাজ।

সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেইং দেশটির বাইরের এক সংবাদ মাধ্যমকে  বলেছেন, ২০০৮ সালের সংবিধানের অধীনে যে কেউ দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে ব্যাহত করার চেষ্টা করলে তাকে প্রতিহত করা হবে।

সামরিক বাহিনী নিয়মতান্ত্রিক ধারায় মিয়ানমারে  স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছে যাতে গণতন্ত্রায়ন অব্যাহত রাখতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা প্রায়শই পরিবর্তন করতে পারি না। অতীতে এই ধরনের পরিবর্তন করতে গিয়ে অভিজ্ঞতা হয়েছে জাতীয় উন্নয়নের গতি কমে গিয়েছিল।আমরা নিয়মতান্ত্রিক স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছি।

তিনি সতর্ক করে বলেন, যে কেউ এটিকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা করে আমরা প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া জানাব।

সংবিধানের অধীনে সামরিক বাহিনীকে সংসদে ২৫ শতাংশ আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই সনদে সংশোধন করার জন্য কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ সাংসদ সদস্যের অনুমোদনের দরকার রয়েছে। সেনাবাহিনী প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সমস্ত সুরক্ষা সম্পর্কিত মন্ত্রকও নিয়ন্ত্রণ করে। এ দুটি ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে সেনাবাহিনী মিয়ানমারের বেসামরিক তথা বর্তমান সরকারের ধার ধারে না।

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি

সেনাবাহিনীর জন্য পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসনের সাংবিধানিক গ্যারান্টি সরিয়ে নেওয়ার সময় এসেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "রাজনৈতিক ও সুরক্ষা  স্থিতিশীলতা ছাড়া এ দেশে আরও গুরুতর পরিবর্তন নেওয়া এই সময়ে অনুচিত।"

সংবিধান পরিবর্তন করার নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি রাখার চেষ্টা করে সূচির দল ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) জানুয়ারিতে সংসদে একটি জরুরি প্রস্তাব জমা দিয়েছে।

এটি প্রস্তাবিত ১১৪ টি সংবিধান সংশোধনীর মধ্যে একটি হ'ল সংসদ ও বেসামরিক সরকারে সামরিক ভূমিকা হ্রাস পাবে।

এনএলডি-র প্রস্তাবগুলো সামরিক সাংসদ সদস্যদের সংখ্যা পরবর্তী সংসদে মোট ২০২০ সালে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। তারপর ২০২৫ সালের সংসদে ১০ শতাংশ এবং ২০৩০ সালে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এটি কার্যকরভাবে সংবিধান সংশোধনসহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর ভেটো দেওয়ার সামরিক ক্ষমতা সরিয়ে ফেলবে।

জেনারেল মিন অং হ্লেইং সতর্ক করে বলেন, এই জাতীয় সংশোধনীগুলো কেবল রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাবে। সামরিক এবং বেসামরিক সরকারের মধ্যে সম্পর্ক ভাল রয়েছে।সেনাবাহিনীর নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার এমন কিছু বিষয় রয়েছে। অন্যদিকে  সরকার বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।  আমরা সরকার কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি যাতে তারা সফল হতে পারে, তবে কিছু কিছু করা যায় না।

মিয়ানমারের ২০২০ সালে সাধারণ নির্বাচনের পরে দেশটি রাষ্ট্রপতি হতে চান সেনাবাহিনী প্রধান।

রাষ্ট্রপতি হওয়ার মনস্কামনা থেকে তাকে ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জনসংযোগ করতে দেখা যাচ্ছে। যদিও মিয়ানমারের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নির্মূলে তার ভূমিকা বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হয়েছে। দেশটির কমান্ডার-ইন-চিফ তিনিই।  এখন তার বয়স ৬৩ বছর।  ২০১৬ সালের জুলাই মাসে তার অবসর নেওয়ার কথা ছিল। মিয়ানমারে সরকারি কর্মচারীদের অবসরের সময়সীমা ৬০ বছর।

অং সান সু চির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সরকার মনে করেছিল যে তিনি স্বেচ্ছায় অবসর নেবেন। কিন্তু সেনাপ্রধান তার মেয়াদ বাড়িয়েছে নিয়েছেন। সু চির নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন এনএলডি ৫৯ শতাংশ আসন এবং ২৫ শতাংশ সেনা প্রতিনিধিদের হাতে রয়েছে। অন্যান্য দলগুলো ৯ শতাংশের বেশি রয়েছে।

তবে জেনারেল মিন অং হেলইং রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দরকার নেই।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে গেলে সরাসরি ভোটে নয় নিম্নকক্ষের নির্বাচিত সদস্য, উচ্চকক্ষের নির্বাচিত সদস্য এবং সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমর্থন প্রয়োজন পড়ে।

   

হিজাব না পরা নারীদের প্রতি কঠোর হচ্ছে ইরান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হিজাব না পরে রাস্তায় বের হওয়া নারী ও তরুণীদের প্রতি কঠোর হচ্ছে ইরান। গত ১৩ এপ্রিল থেকে ‘নুর’ নামের একটি নতুন ক্যাম্পেইন শুরু করে দেশটি। এরপরই থেকেই হিজাব আইন কার্যকরে কঠোরতা শুরু হয়েছে।

ইরানে হিজাব পরিধানে কঠোর আইন রয়েছে। যারা এই আইন ভঙ্গ করেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

নারীদের ওপর চালানো ধরপাকড়ের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেগুলোতে দেখা যাচ্ছে, হিজাব ছাড়া বাইরে বের হওয়া নারীদের ‘নৈতিকতা পুলিশের’ সদস্যরা জোরপূর্বক গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রাজধানী তেহরানের ব্যস্ততম তেহরান স্কয়ার দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক মা ও মেয়ে। ওই সময় তাদের ঘিরে ধরেন পুলিশের পাঁচ নারী ও দুই পুরুষ সদস্য। যখন তারা গ্রেফতার এড়ানোর চেষ্টা করেন তখন তাদের সজোরে ধাক্কা মেরে গাড়িতে তোলা হয়।

তেহরানের শহীদী বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনা গালিবাফ নামের এক নারী শিক্ষার্থী মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে লেখেন, তাকে মেট্রোতে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। যখন তিনি জোরাজুরি করেন তখন তাকে একটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মারধর ও যৌন হেনস্তা করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।  

এমন পোস্ট দেওয়ার একদিন পরই এই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাকে ইভিন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান গ্রেফতার হওয়া কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের একজন সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, গত শনিবার পুলিশের আট সদস্য তাকে ঘিরে ধরে। ওই সময় ‘বেশ্যা’, ‘নগ্ন আমেরিকার বেশ্যাপ্রেমী’ বলে তাকে গালাগালি করে। এছাড়া নারী পুলিশ সদস্য ছাড়াও পুরুষরাও গ্রেফতার করা সময় তাকে স্পর্শ করেছে বলে দাবি করেছেন এই তরুণী।




;

ফিলিপাইনে তীব্র তাপদাহে নিঃশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে না



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিপাইনে তীব্র তাপদাহে সবকিছু ঝলসে যাচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশটির কর্তৃপক্ষ বুধবার (২৪ এপ্রিল) কিছু এলাকার স্কুল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে এবং লোকজনকে বাইরে থাকার বিষয় সতর্কতা জারি করেছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, মার্চ, এপ্রিল ও মে সাধারণত ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে উষ্ণ ও শুষ্কতম মাস। তবে এই বছর এল নিনোর আবহাওয়ার প্রভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

ম্যানিলার দক্ষিণে ক্যাভিট প্রদেশের একটি সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে কাজ করেন ৬০ বছর বয়সি এরলিন তুমারন।

তিনি বলেন, ‘এত গরম যে, আপনি নিশ্বাস নিতে পারবেন না।’ রিসোর্টটিতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তাপ সূচক ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

এরলিন তুমারন বলেন, ‘এটা আশ্চর্যজনক যে, আমাদের পুলগুলো এখনও খালি। এই গরমে আপনি আশা করতে পারেন যে, লোকেরা এসে পুলগুলোতে সাঁতার কাটবে। কিন্তু মনে হচ্ছে তারা গরমের কারণে বাড়ির বাইরে যেতে নারাজ।’

দেশটির আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বুধবার অন্তত ৩০টি শহর ও পৌরসভায় তাপ সূচক ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি বিপদজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাজ্যের আবহাওয়া পূর্বাভাসের প্রধান জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আনা সোলিস বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে তাপ আরো তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সোলিস এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের বাইরে কাটানো সময় সীমিত করতে হবে, প্রচুর পানি পান করতে হবে, বাইরে যাওয়ার সময় ছাতা ও টুপি ব্যবহার করতে হবে।’

সোলিস বলেন, এল নিনোর কারণে ‘চরম তাপ’ দেশের বিভিন্ন অংশকে প্রভাবিত করছে। দেশটির প্রায় অর্ধেক প্রদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে খরায় রয়েছে।

অ্যাপাররি উত্তর পৌরসভায় মঙ্গলবার তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

;

ইউক্রেন-ইসরায়েল সহায়তা ও টিকটক নিষিদ্ধকরণ বিলে বাইডেনের স্বাক্ষর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাস হওয়া ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়া সহায়তা বিল এবং টিকটক নিষিদ্ধকরণ বিলে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশটির সিনেটে বিলগুলো অনুমোদনের পর এটি অপেক্ষায় ছিল বাইডেনের স্বাক্ষরের। অবশেষে তার স্বাক্ষরের পর বিলগুলো চূড়ান্ত আইনে পরিণত হলো।

অনুমোদিত টিকটক বিলের শর্তে বলা হয়েছে, টিকটকের চীনা মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে আগামী নয় মাসের মধ্যে তাদের শেয়ার বিক্রি করতে হবে। নয়তো এই অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে ব্লক করে দেওয়া হবে।

এর আগে মঙ্গলবার ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানের জন্য ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন দেয় মার্কিন সিনেট।

এক বিবৃতিতে বিলটি পাস করায় আইনপ্রণেতাদের প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই আইন আমাদের দেশ ও বিশ্বকে আরও বেশি সুরক্ষিত করবে। আমরা আমাদের সেই বন্ধুদের সহায়তা করছি, যারা সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও (রুশ প্রেসিডেন্ট) ভ্লাদিমির পুতিনের মতো স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষায় লড়াই করছে।

এদিকে সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদনের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এটি গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা এবং মুক্ত বিশ্বের নেতা হিসেবে আমেরিকার ভূমিকাকে শক্তিশালী মনে করে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাস হওয়া বিদেশি সহায়তা প্যাকেজে ইসরায়েলে সামরিক ও গাজায় মানবিক সহায়তা হিসেবে ২৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মার্কিন মিত্র তাইওয়ানের জন্য ৮ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কমিউনিস্ট শাসিত চীনকে মোকাবিলায় এই অর্থ সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

;

‘ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকির সম্মুখীন হবে’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করা দেশগুলো সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকির সম্মুখীন হবে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাকিস্তান সফরকে উদ্দেশ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ মন্তব্য করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

রয়টার্স জানিয়েছে, রাইসির সফরে ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য বাড়ানো নিয়ে আটটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২২ এপ্রিল) ইসলামাবাদে আকস্মিক সফরে আসেন রাইসি। এ বছরের শুরুতে পাকিস্তান ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলার পর সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগ হিসেবে রাইসি পাকিস্তান সফর করেন।

গত সপ্তাহে ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক উত্তেজনার মধ্যেই রাইসির এ সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে, ইসলামাবাদ সফরে এসে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন রাইসি। তিনি বাণিজ্য, জ্বালানি, যোগাযোগসহ নানা বিষয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

রাইসির পাকিস্তান সফর ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমঝোতা স্বাক্ষর সই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা ঝুঁকির কথা বলেন।

ভেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমরা ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি বিবেচনায় নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিই। তবে পাকিস্তান সরকার তাদের নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের কথা জানাতে পারে।’

গত সপ্তাহে চীন ও বেলারুশের তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে ক্ষেপণাস্ত্র যন্ত্রাংশ সরবরাহ করায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, কারণ সেসব এমন উপকরণ ছিল, যা গণবিধ্বংসী অস্ত্র বিস্তারে ভূমিকা রেখেছে।

;