মিয়ানমারের বিচারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো মুখোমুখি অবস্থানে



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
এভাবে বাঁচার আশায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা, ছবি: সংগৃহীত

এভাবে বাঁচার আশায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের বিচারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো মুখোমুখি অবস্থানে চলে এসেছে। রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) লড়তে কোনো কোনো গোষ্ঠী অং সান সু চিকে সমর্থন দিচ্ছে। অন্যদিকে কোনো কোনো গোষ্ঠী আইসিজে তদন্তের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে।

মিয়ানমারকে রক্ষা করার জন্য আইনজীবীদের একটি দলের নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন স্টেট কাউন্সিলর সু চি। তার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মি (ইউডাব্লুএসএ)।

অন্যদিকে আরো একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী তাআং জাতীয় মুক্তি বাহিনী, আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমার জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের সেনা- যারা উত্তর জোটের সদস্য, তারাও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) উত্তরে রাখাইন রাজ্যে মুসলিম সংখ্যালঘু গণহত্যার অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী ইউডাব্লুএসএ শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের মর্যাদা রক্ষার জন্য সুচির হেগ সফরের পরিকল্পনার প্রশংসা করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে কোনও পক্ষপাত বা অবৈধ আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ রাখাইন রাজ্যে আরও অস্থিতিশীলতা ও বিভ্রান্তির কারণ হতে পারে। কারণ এ পরিস্থিতির সঙ্গে জড়িত আছে জমি, ধর্ম, সংস্কৃতি, রাজনীতি, ব্যবসা বাণিজ্য এবং সামরিক বাহিনী। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যে কোনও বিচারবহির্ভূত প্রস্তাবের বিরোধিতা করবে।

আর একটি নৃগোষ্ঠী সশস্ত্র দল, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি, যা মাইন লার স্পেশাল অঞ্চল ৪ নিয়ন্ত্রণ করে, তারাও সু চির পদক্ষেপকে সমর্থনও জানিয়েছে।

ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি এক বিবৃতিতে বলেছে, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এ মামলাটি উত্তর শান স্টেটের বিশেষ অঞ্চল ৪ কে প্রভাবিত করে। আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে মিয়ানমারের কণ্ঠ শোনার আহ্বান জানাই।

সম্প্রতি তিনটি জাতিগত সশস্ত্র দল যারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরাসরি সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত, তারা এ মামলার বিরুদ্ধে সু চির পক্ষে সমর্থন দিয়েছে।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এ গণহত্যার অভিযোগ তদন্তের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে সমর্থন দিয়েছে তাআং জাতীয় মুক্তি বাহিনী, আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমার জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের সেনারাও। তারা এ দু'টি আন্তর্জাতিক বিচারিক সংস্থাকে গণহত্যার অভিযোগের সত্যতা খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে এবং সরকারি বাহিনীর চালানো গণহত্যার প্রমাণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।

এ তিনটি গোষ্ঠী ১৯ থেকে ২১ নভেম্বর পিস প্রসেস স্টিয়ারিং টিমের সভা শেষে এক বিবৃতিতে বলেছে, গত ৭০ বছরের সশস্ত্র লড়াইয়ের সময় সামরিক
বাহিনী গণহত্যা, বিচার বহির্ভূত গ্রেফতার, নির্যাতন, অপহরণ এবং যুদ্ধের সরঞ্জাম হিসেবে গণধর্ষণকে ব্যবহার করেছে।

জোট জানায়, তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করতে এবং ২০০৯ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে উত্তর-পূর্ব শান এবং পশ্চিম রাখাইনে সামরিক বাহিনী যে যুদ্ধাপরাধ করেছে, তার প্রমাণ সংগ্রহ করতে প্রস্তুত রয়েছে।

গত মাসের শুরুতে দেশব্যাপী যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠী বলেছে যে তারা থাইল্যান্ডের চিয়াং মাইতে বৈঠককালে আইসিজে মামলা নিয়ে আলোচনা করেছে।

শান স্টেটের পুনরুদ্ধার কাউন্সিলের মুখপাত্র কর্নেল সাই এনগেন বলেছেন, আমরা অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক আক্রমণগুলো প্রতিরোধের উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি, যা মিয়ানমারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করে। মিয়ানমারের যে কোনও সমস্যা আমাদের বিষয়। আলোচনা ধীর গতিতে চলার কারণে গত বছর জাতীয় শান্তি প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছিল।

আরেকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ক্যারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন মিয়ানমার সরকারকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতি ও মান মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।

ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার পক্ষে গাম্বিয়া কর্তৃক দায়ের করা গণহত্যা মামলার প্রথম পাবলিক শুনানি ১০-১২ ডিসেম্বর নেদারল্যান্ডসের হেগে অনুষ্ঠিত হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মুসলমানদের গণহত্যা করার অভিযোগ এনেছে।

মিয়ানমারের বেশিরভাগ মানুষ রাখাইনের মুসলমানদের বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী বলে বিবেচনা করে, যদিও কেউ কেউ উত্তর রাখাইন বংশ পরম্পরায় বাস করে আসছিল।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের মুখপাত্র ইউ জাও এইচটি বলেছেন, মিয়ানমার সরকার আইসিজের কাছে দায়ের করা এ জালিয়াতির জবাব দেবে, কারণ
তারা জাতিসংঘের সদস্য। কিন্তু আইসিসির কাছে দায়ের করা মামলার প্রতিক্রিয়া জানাবে না, কারণ মিয়ানমার আন্তর্জাতিক এ সংস্থায় যোগ দেওয়ার বিষয়ে স্বাক্ষর করেনি।

   

তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। অবস্থার অবনতি হয়ে বিপজ্জনক মাত্রায় তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি হয়েছে বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ। জাতিসংঘ সংস্থা এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ সুদান, বুর্কিনা ফাসো, সোমালিয়া এবং মালির লোকেরা সম্ভবত ২০২৩ সালে তীব্রভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে।

২০১৯ সালের শেষের দিকে যখন করোনাভাইরাস আঘাত হানে, তখন ৫৫টি দেশের ওপর বৈশ্বিক খাদ্য সংকট নিয়ে করা গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন উদ্বেগজনক হারে খাদ্য সংকটে ভুগছিল। ঠিক পরের বছরই এ সংখ্যা পাঁচজনের মধ্যে একজনে চলে আসে।

২০২৩ সালে ৫৯টি দেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন তীব্র খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল, যেখানে ২০১৬ সালে ৪৮টি দেশে ১০ জনের মধ্যে একজন খাদ্য সংকটে ভুগছিল।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) পরিচালক ডমিনিক বারজিন বলেছেন, ‘তীব্র খাদ্য সংকটের ফলে তীব্র ক্ষুধার সৃষ্টি হয়। এটি মানুষের জীবিকা ও জীবনের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকির সৃষ্টি করে। এমন খাদ্য সংকটের কারণে বিভিন্ন দেশে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হতে পারে এবং এতে ব্যাপক মৃত্যু হতে পারে।’

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লওিএফপি) এবং জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর ১.২ শতাংশ বেশি মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছিল। করোনা মহামারির পর থেকে এ সংকট উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে খাদ্য সংকট উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পরিচালক জিয়ান কার্লো সিরি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজা এবং সুদানে খাদ্য সংকট চরমে পৌঁছেছে। এসব এলাকার মানুষ তীব্র ক্ষুধার কারণে ঘাস খাচ্ছে, ভিক্ষা করছে। যেখানে মানুষ স্পষ্টতই ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে। তাদের বেশিরভাগই এখন নিঃস্ব।

ডব্লিউএফপির এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা দিনে দিনে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির কাছাকাছি চলে আসছি। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা অনুমান করছি, দুই বছরের কম বয়সী ৩০ শতাংশ শিশু এখন তীব্রভাবে অপুষ্টি এবং উত্তরাঞ্চলের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন হয়েছে। দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় এখন প্রয়োজন খুব স্বল্প সময়ে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা।

;

তিউনিসিয়া উপকূলে ১৪ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশটির জেরবা উপকূল থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য তিউনিসিয়া এবং এর প্রতিবেশী লিবিয়া অভিবাসীদের কাছে গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় রুট হয়ে উঠেছে। ইউরোপে উন্নত জীবন যাপনের আশায় বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। তিউনিসিয়ার জেরবার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গত দুই দিনে তিউনিসিয়ার উপকূলে মৃত অভিবাসীর সংখ্যা আরও বাড়ল।

নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে এসেছিল। এদের মধ্যে একজন মিশরীয় ব্যক্তিও ছিলেন। তার কাছে থাকা পাসপোর্টটি থেকে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির মেডেনাইনের আদালতের প্রসিকিউটর ফেথি বাককুচে।

এদিকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় পথ অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় প্রায় ২ হাজার ৪৯৮ জন মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৭৫ শতাংশ বেশি।

 

;

আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা

বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে বকেয়া রাজস্ব পরিশোধে আয়াটার আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর জোট ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আয়াটা) বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কাছ থেকে মোট ৭২ কোটি ডলার রাজস্ব পাওনা রয়েছে বলে দাবি করেছে। দ্রুত এ রাজস্ব পরিশোধের জন্য উভয় দেশকে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

আয়াটার মতে, বাংলাদেশের কাছে ৩২ কোটি ৩০ লাখ ডলার এবং পাকিস্তানের কাছে ৩৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার বকেয়া রয়েছে এই জোট ভুক্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা সংস্থার। এই রাজস্ব থেকেই সংস্থার বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ হয়ে থাকে, তাই রাজস্ব বকেয়া থাকায় পরিস্থিতি বর্তমানে গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে । এ অবস্থায় দ্রুত এই বকেয়া অর্থ পরিশোধে দুই দেশের সরকারকে তাগাদাও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়াটা।

আয়াটার এশিয়া-প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিলিপ গোহ বলেছেন, পরিষেবা সংস্থাগুলোকে বিমান, ইঞ্জিন, খুচরা যন্ত্রাংশ, জ্বালানী খরচ, ওভারফ্লাইট ফি এর জন্য ইজারা সহ ডলার-নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। তাই দীর্ঘদিন ধরে রাজস্ব বকেয়া থাকলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় বিমান পরিষেবা কোম্পানিগুলোকে। এছাড়া রাজস্ব পেতে বিলম্ব হলে মুদ্রা বিনিময় হারের ওঠানামার কারণে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বুঝতে পারি যে করোনা মহামারির পর থেকে বিভিন্ন দেশ বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের কারণে ব্যাপক চাপে রয়েছে। বাংলাদেশ-পাকিস্তানও রয়েছে সেসব দেশের তালিকায়। কিন্তু আমরা নিরুপায়। কারণ চুক্তি অনুযায়ী রাজস্ব প্রদানে মাত্রাতিরিক্ত বিলম্ব করা (চুক্তির) প্রাথমিক শর্তের লঙ্ঘণ। যদি শিগগিরই রাজস্ব পরিশোধ না করা হয়, তাহলে এ দুটি দেশে পরিষেবা প্রদান সংকুচিত করতে বাধ্য হবে সংস্থাগুলো।

উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আয়াটা। সংস্থাটির সদর দপ্তর কানাডার মন্ট্রিয়ালে। এর অন্তর্ভূক্ত সংস্থাগুলো প্রতিদিন বিশ্বের মোট বিমানযাত্রীর ৮৩ শতাংশকে পরিবহন পরিষেবা দেয়। এই পরিষেবা বাবদ এই সংস্থাটিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব দিতে হয় দেশগুলোকে। রাজস্বের অর্থ দিয়ে পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ করে সংস্থাটি।

;

১৯৯৪ সালের বোমা হামলা

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চায় আর্জেন্টিনা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৯৪ সালের বোমা হামলার জন্য ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চায় আর্জেন্টিনা। ৩০ বছর আগের সেই হামলায় ৮৫ জন নিহত হয়েছিল। এ বিষয়ে ইন্টারপোলকে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদির জন্য গ্রেফতারের নোটিশ জারি করতে বলেছে দেশটি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্জেন্টিনার একটি আদালত ১৯৯৪ সালে বুয়েনস আইরেসের একটি ইহুদি সম্প্রদায় কেন্দ্রে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করার দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এই অনুরোধ জানিয়েছে। এছড়া ওয়াহিদীকে গ্রেফতার করতে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকেও আহ্বান জানিয়েছে আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইন্টারপোল তথাকথিত ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে। যদিও একটি রেড নোটিশ সদস্য দেশগুলোতে পুলিশকে আন্তর্জাতিকভাবে ওয়ান্টেড পলাতকদের সম্পর্কে কেবল সতর্ক করে, এটি গ্রেফতারি পরোয়ানা গঠন করে না।

যার জন্য রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে তাকে গ্রেফতার করতে ইন্টারপোল পুলিশকে বাধ্য করতে পারে না, গ্রেফতার করা হবে কিনা তা সদস্য দেশের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।


বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি-সহ ইরানি প্রতিনিধিদল বুধবার শ্রীলঙ্কায় পৌঁছেছেন। তবে, বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কায় পৌঁছানোর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদীকে প্রেসিডেন্টের সাথে যেতে দেখা যায়নি।

ইরানের সরকারি বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, আহমেদ ওয়াহিদী মঙ্গলবার ইরানে ফিরে এসেছেন। তবে তাদের প্রতিবেদনে রেড নোটিশের কোনও উল্লেখ করা হয়নি।

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৯৯৪ সালে বুয়েনস আইরেসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বোমা হামলাটি ছিল আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। সেই সময় বিস্ফোরণে ৮৫ জন নিহত এবং তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিল। ইরান অবশ্য সবসময়ই এই হামলার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

তবে গত ১১ এপ্রিল আর্জেন্টিনার কোর্ট অব ক্যাসেশন দেশের সর্বোচ্চ ফৌজদারি আদালত রায় দেয়, ইরান এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল এবং ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ হামলাটি চালিয়েছিল।

আদালত এই হামলাকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলেও অভিহিত করেছেন। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই রায় প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, আদালত রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের জন্য ভিত্তিহীন এ বিষয়কে প্রমাণিত করার চেষ্টা করছে।

;