রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর অংশগ্রহণ মিয়ানমারে স্থিতিশীলতা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সেনাবাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেইং, ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেইং, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মিয়ানমারের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক এবং প্রতিরক্ষার ভবিষ্যৎ নির্মাণ করার কথা জানিয়েছেন দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেইং।

তিনি বলেছেন, ‘রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর অংশগ্রহণ মিয়ানমারে স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে।’

মিয়ানমারের স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ৩০ নভেম্বর কমান্ডার-ইন-চিফ এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজের কার্যালয় থেকে কর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে সেনাবাহিনীর প্রধান এসব কথা বলেন।

সেনাবাহিনী প্রধান রাষ্ট্রপতি হতে চান বলে মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অনুমান করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে মিয়ানমারের সাবেক সংসদ সদস্য ইউ ই হান্টুন বলেন, ‘আমার বিশ্বাস সেনাবাহিনীর প্রধান হ্লাইং ভবিষ্যতে রাষ্ট্রপতি হতে চান। তিনি রাজনীতির উপর হতাশ হয়ে এ কথা বলছেন। আমি মাঝে মাঝে একইরকম অনুভব করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি ইউ উইন মিন্ট এবং ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) স্ট্যাট কাউন্সিলের অং সান সু চি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক এবং প্রতিরক্ষাকে সঠিক মার্গ দর্শন দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা যে অক্ষম তা মিয়ানমারের বিস্তৃত বর্তমান পরিস্থিতির চিত্র দেখলেই বুঝা যায়। সঠিক নীতি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পক্ষে সকল দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

সাবেক এই এমপি বলেন, ‘যদি সেনাবাহিনী সত্যিই বেসামরিক সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে তবে আমি মনে করি না যে, তিনি (সিনিয়র জেনারেল) এই বিষয়গুলো বলার সাহস করবেন।’

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন বলেন, ‘সিনিয়র জেনারেল যা বলেছেন, তা কেবল প্রচলিত বক্তব্য। কারণ, সশস্ত্র বাহিনী দিবসে তার বক্তব্যে বিষয়গুলো আগেও বলেছিলেন। জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজে প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর কমান্ডার-ইন-চিফ একই বছরে একবার বা দু'বার একই বক্তব্য দেন।’

সামরিক মুখপাত্র বলেন, ‘প্রশাসনের উচিত নির্দিষ্ট দলের চেয়ে জাতীয় স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া। দলগুলো কেবল ক্ষমতার পক্ষে লড়াই করে এবং জাতীয় স্বার্থের জন্য সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে ব্যর্থ হয়। দেশের উন্নয়নের জন্য দলগুলোর সহযোগিতা করা উচিত।’

২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল সেনাবাহিনী মেনে চলবে বলেও জানান তিনি।

২০১৫ সালে নির্বাচনের পর সেনাপ্রধান এবং অং সান সু চি-র মধ্যে ব্যক্তিগত আলোচনা হয়েছিল। তবে সেই আলোচনা ব্যর্থ বলে প্রমাণিত হয়েছিল। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি থেকে দুজনের আর দেখা সাক্ষাৎ হয়নি।

সংবিধান সংশোধন করার জন্য এনএলডির প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সামরিক বিরোধিতা ইঙ্গিত দেয় যে সামরিক- বেসামরিক সম্পর্কের মধ্যে চাপ রয়েছে। সম্প্রতি গাম্বিয়া রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ২০১৭ সালে উত্তর রাখাইন রাজ্যে আর্মির হামলায় রোহিঙ্গা গণহত্যা ঘটতে পারে বলে বিশ্বাস করে।

গণহত্যার অভিযোগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দু'জন সামরিক কর্মকর্তা অং সান সু চি'র আইনি প্রতিরক্ষা দলে দ্য হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার বিভাগে যোগ দেবেন।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে রাখাইন রাজ্যে সামরিক অভিযানের কারণে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।

রোহিঙ্গারা নাগরিকত্বের দাবি করছে তবে মিয়ানমার তাদের স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, নাগরিকত্বের আবেদনগুলো ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনের অধীনে বিবেচিত হবে। মিয়ানমারের অনেক নাগরিক রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ বা বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করে।

সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেইং বলেন, ‘ঔপনিবেশিক আমলে ব্রিটিশরা বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক সস্তা শ্রমিককে মিয়ানমারে নিয়ে আসে। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর মিয়ানমারে রোহিঙ্গা বা বাঙালি উভয়কেই নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়নি। ১৯৭৪-৭৫ সালে মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে দিলে গণমাধ্যম তাদেরকে রোহিঙ্গা নয়, বাঙালি বলে আখ্যায়িত করেছিল।’

   

উৎসব-সহিংসতায় কাটলো ভারতের নির্বাচনের প্রথম দিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভার নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্বে ২১ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২ আসনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয়েছে সন্ধ্যা ৬টায়।

উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট শুরু হলেও বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি, সহিংসতা ছাড়া ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তেজনা হয়। সাধারণ ভোটারকে ভয় দেখানো এবং বাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল।

কোচবিহার জেলায় চান্দামারী এলাকায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ছোড়া পাথরের আঘাতে বিজেপি বুথ সভাপতি লব সরকার আহত হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। হাসপাতালে ভর্তি ওই বিজেপি নেতা। এছাড়াও নাটাবাড়ি এলাকায় তাদের আরও বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।


আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের বুথ এজেন্ট এর ওপর হামলা, তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের হরিরহাট এলাকায় দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, তৃণমূল নেতা এবং তৃণমূলের বেতাগুড়ি ব্লক প্রেসিডেন্ট অনন্ত বর্মনের ওপরও হামলার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। নির্বাচনী সহিংসতাসহ বিভিন্ন ঘটনায় দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্য মণিপুরেও। রাজ্যটির রাজধানী ইমফলে বেশ কিছু ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে বুথ দখল, ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট মেশিন নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও আরও বিভিন্ন যায়গায় বিক্ষিতপ সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, বিকেল ৫টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ভোট পড়েছে ৬৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং মেঘালয়ে পড়েছে ৬২ শতাংশ। কিছু যায়গায় ইভিএম ব্যাবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যার খবর পাওয়া গেলেও তা দ্রুত সমাধান করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।

ছত্তিশগড়ে নকশালবাদীদের প্রভাব থাকলেও ভোটগ্রহণ হয়েছে ৪২ শতাংশের বেশি। রাজ্যের বিজাপুর জেলায় আইইডি বিস্ফোরণে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের এক সহকারী কমান্ড্যান্ট আহত হন। তামিলনাড়ুতে জয়ের জন্য বিজেপি মরিয়া। এ রাজ্যে ৩৯ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। অরুণাচলে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সকালে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও, শেষ পর্যন্ত ৩৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিহারের চারটি আসনে ৭৫ লাখ ভোটারের মধ্যে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় ৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে অবিরাম বৃষ্টির মধ্যেও ৪৩ দশমিক ১১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে নির্বাচন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এদিকে পূর্ব নাগাল্যান্ডের ছয় জেলায় তেমন ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়নি। আলাদা রাজ্যের দাবিতে ওইসব এলাকার উপজাতিদের সংগঠনগুলোর ডাকে সেখানকার ভোটাররা বাড়ি থেকে বের হননিএছাড়া জাতিগত দ্বন্দ্ব থাকা স্বত্বেও মণিপুরে বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রায় ৪৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।

উল্লেখ্য, মোট সাত দফায় লোকসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে আর ছয়টি দফার ভোটগ্রহণ বাকি রয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল, তৃতীয় দফায় ৭ মে, চতুর্থ দফায় ১৩ মে, পঞ্চম দফায় ২০ মে, ষষ্ঠ দফায় ২৬ মে এবং সপ্তম শেষ দফার ভোট ১ জুন। ভোট গণনা আগামী ৪ জুন।

;

ইরানের ইস্পাহানকেই কেন টার্গেট করে হামলা চালালো ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরাইলি ভূখণ্ডে তেহরানের নজিরবিহীন হামলার ছয় দিনের মাথায় একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত করেছে বলে দাবি করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। মার্কিন কর্মকর্তারা বিবিসি’র যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী সিবিএস নিউজকে জানিয়েছে, একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত হেনছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ইরানের কেন্দ্রীয় শহর ইস্ফাহানের চারপাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে ইরানের গণমাধ্যমে এসেছে।

ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার মাধ্যমে তিনটি ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়েছে।

ইরানি গণমাধ্যম এবং দেশটির কর্মকর্তারা ইস্ফাহান এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তাবরিজ শহরে হামলার খবরটিকে হালকাভাবেই উপস্থাপন করছেন।

ইরানিয়ান স্পেস অ্যাজেন্সি একজন কর্মকর্তা হোসেইন দালিরিয়ানের দাবি, সীমান্তের বাইরে থেকে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।

এদিকে মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত হেনেছে।


বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে শুক্রবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে দেশটির মধ্যাঞ্চলের নগরী ইস্পাহানের বিমানঘাঁটির কাছে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করার কথা জানানো হয়েছে।

তবে ইরানের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ইরানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি। ইরানের আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার কারণে ইস্পাহান বিমানঘাঁটির কাছে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে।

ইরানের বার্তা সংস্থা ফারস বলেছে, মধ্যাঞ্চলের শহর ইস্পাহানের একটি সেনাঘাঁটির কাছাকাছি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইরানের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছে, এটা কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নয়। ইরানের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার কারণেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, মধ্যরাতের একটু পরেই ‘ইস্পাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে আকাশ নিরাপত্তাব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। আর এর ফলে ড্রোনগুলো আকাশেই ধ্বংস করে ফেলা হয়।


যে কারণে ইস্পাহানই ইসরায়েলের লক্ষবস্তু-


বিবিসিকে একজন পারমাণবিক এবং রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, সম্ভাব্য লক্ষ্য হিসেবে ইরানের দ্বিতীয় শহর ইস্ফাহানকে বেছে নেয়া ‘অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ’।

যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর পারমাণবিক বাহিনীর সাবেক কমান্ডার হামিশ ডি ব্রেটন গর্ডন উল্লেখ করেছেন, শহরটির আশপাশে অনেকগুলো সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। সেগুলোরই একটি ছিল লক্ষ্যবস্তু। যেখানে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে বলে ধারণা করা হয় সেই স্থানটির খুব কাছেই আলোচিত আক্রমণটি করা হয়েছে। সুতরাং এটা তাদের জন্য একটা ঝাঁকুনি,’ বিবিসিকে বলেন তিনি।


এছাড়াও, ইস্পাহান ইরানের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ও প্রধান পর্যটন নগরী। সমৃদ্ধ মুসলিম ঐতিহ্য ও নান্দনিক স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত এটি। একসময় শহরটিকে ‘ইস্পাহান নিসফে জানান’ বলা হতো, যার অর্থ ইস্পাহান পৃথিবীর অর্ধেক। ছন্দোবদ্ধ এই প্রবাদ আসলেই সত্য। এটি পৃথিবীর অন্যতম বড় শহর ছিল এবং দুবার ইরানের রাজধানী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিল। মুসলিম ঐতিহ্যের শহর ইস্পাহানকে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে। ব্রিটিশ পর্যটক রবার্ট বায়রন এথেন্স বা রোমের মতো বিরল স্থানগুলোর সঙ্গে ইস্পাহানকে তুলনা করেছেন। ইস্পাহানের ইতিহাস ও চিত্তাকর্ষক স্থাপত্যের কারণে শহরটিকে ‘ইরানের লুকানো রত্ন’ও বলা হয়।

;

ভারতে গরম নিয়ে সতর্কতা, তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪৩ ডিগ্রি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের দক্ষিণের জেলাগুলোতে বাড়ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ইতোমধ্যেই তাপমাত্রার পারদ পেরিয়েছে ৪০ এর কোঠা। এতে জনজীবনে বাড়ছে অস্বস্তি। এমন পরিস্থিতিতে একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। 

এদিকে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দেশটির আবহাওয়া বিভাগ এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী দু থেকে তিন দিনে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বাড়বে। ২১ এপ্রিলের পর থেকে আরও ভয়ঙ্কর হবে পরিস্থিতি।  

পশ্চিমবঙ্গে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে স্কুলের গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছে।   

এছাড়া পশ্চিমের কিছু কিছু জেলায় সিভিয়ার হিট ওয়েভ বা তীব্র তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান এই ৮ জেলায় তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। 

জেলা পুরুলিয়াও রয়েছে সেই তালিকায়। এদিন জেলাটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই। তবে আগামী সপ্তাহে কিছুটা গরম কমতে পারে। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।

এর মধ্যেই উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলেছে আবহাওয়া অফিস। বিশেষ করে ‌উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

;

বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন মালিকায়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের রাজ্য কর্নাটকে লোকসভা নির্বাচনের আগে ধাক্কা খেল বিজেপি। এনডিটিভি জানিয়েছে, পদ্মশিবির ছেড়ে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী মালিকায়া গুট্টেদার।

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি।

উল্লেখ্য, কর্নাটকে লোকসভা আসনের সংখ্যা ২৮। সেখানে দ্বিতীয় দফায় ১৪টি আসনে ভোটগ্রহণ আগামী ২৬ এপ্রিল। ৭ মে তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে বাকি ১৪টি আসনে।

ভোটপর্ব শুরুর আগে প্রভাবশালী এই নেতার দলত্যাগে হায়দরাবাদ-কর্নাটক অঞ্চলে বিজেপি ধাক্কা খেল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের জেলা কলবুর্গির (সাবেক গুলবর্গা) আফজলপুর বিধানসভা থেকে ছয় বার জিতেছেন গুট্টেদার।

২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে অবশ্য হেরে গিয়েছিলেন তিনি। কলবুর্গির রাজনীতিতে গুট্টেদারের ‘কট্টর বিরোধী’ হিসাবে পরিচিত তারই ভাই নিতিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট কাটায় ওই আসনে জিতেছিল কংগ্রেস।

সম্প্রতি নিতিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তারই জেরে বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পার একদা ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন মন্ত্রী পদ্ম ছেড়ে হাত ধরলেন বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে।

খড়্গে নিজে কলবুর্গি লোকসভা কেন্দ্র থেকে ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে সাংসদ হয়েছিলেন। তার ছেলে প্রিয়ঙ্ক কলবুর্গি লোকসভার অন্তর্গত চিত্তপুরের বিধায়ক। এবার ওই লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী কংগ্রেস সভাপতির জামাই রাধাকৃষ্ণ দোদ্দামণি।

;