রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ঘরে-বাইরে প্রচণ্ড চাপে মিয়ানমার



খুররম জামান,স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
অং সান সু চি লড়বেন তার সরকারের পক্ষে/ ছবি: রয়টার্স

অং সান সু চি লড়বেন তার সরকারের পক্ষে/ ছবি: রয়টার্স

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত (আইসিজে) ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) দায়ের করা রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ঘরে বাইরে প্রচণ্ড চাপে পড়েছে মিয়ানমার। এই চাপে ২১ নভেম্বর মিয়ানমারের নেতা অং সান সু চি ব্যক্তিগতভাবে তার সরকারের পক্ষে লড়বেন বলে তার অফিস থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। সু চি নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে একটি আইনি দলকে নেতৃত্ব দেবেন।

গত ১১ নভেম্বর পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মিয়ানমার গণহত্যা, ধর্ষণ এবং সম্প্রদায় ধ্বংসের মাধ্যমে ‘রোহিঙ্গাদের একটি দল হিসাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে গণহত্যামূলক কাজ’ করেছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলার শুনানির জন্য ১০ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে ১০ ডিসেম্বর শুনানি করবে গাম্বিয়া। আর ১১ ডিসেম্বর শুনানি করবে মিয়ানমার।

অন্যদিকে, ১৪ নভেম্বর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কি না তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)৷ তবে মিয়ানমার বলছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের এই উদ্যোগ কোনভাবেই আইনসংগত নয়৷ কারণ, মিয়ানমার এখনও আইসিসি সনদে স্বাক্ষর করেনি, তাই দেশটি এই ট্রাইব্যুনালের সদস্যও নয়৷ কিন্তু আইসিসি বলছেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া বাংলাদেশ সংস্থাটির সদস্য হওয়ায় এই তদন্তের এখতিয়ার তাদের রয়েছে৷

এ সম্পর্কে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, মিয়ানমার এ ইস্যুতে চাপে রয়েছে। তারা আইসিজে’ কে কোনোভাবে এড়াতে পারছে না। যদিও মিয়ানমার বলছে তারা আইসিসির সদস্য নয়। আইসিজে’র রায়ে যদি প্রমাণিত হয় গণহত্যা হয়েছে, তাহলে মিয়ানমার বিপদে পড়তে পারে। কারণ আইসিজে’তে মিয়ানমার স্বাক্ষর করেছে।

তিনি বলেন, আমার ধারণা মিয়ানমার আইসিজে’তে গিয়ে দুটি কথাই বলবে। এক মিয়ানমারে কোনো গণহত্যা হয়নি। অন্যদিকে নিজ দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমন করতে গিয়ে বেশ কিছু অবৈধ বাংলাদেশি পালিয়ে গেছে।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমরা মিয়ানমারের অনুরোধে তাদের সরকারিভাবে রোহিঙ্গা বলছি না, কিন্তু মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের অবৈধ বাংলাদেশি বলা বন্ধ করেনি। প্রথম এক বছর আমরা মিয়ানমারের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারিনি। এখন যে চাপ মিয়ানমারের ওপর পড়েছে, তা ক্রমেই বাড়াতে হবে। হাল ছাড়লে চলবে না।

মিয়ানমারের রোমান ক্যাথলিক চার্চের সর্বোচ্চ প্রতিনিধি কার্ডিনাল চার্লস বোরের বিবৃতিতে চাপ লক্ষ করা যাচ্ছে। তিনি এ মানবিক সংকটের জন্য দায়ীদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে মিয়ানমারের সমস্ত মানুষকে এ বিষয়ে শাস্তি না দেওয়ার জন্য আরও বেশি সতর্ক হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি রোববার (১ ডিসেম্বর) মিয়ানমারের জনগণের কল্যাণকে বিবেচনায় নেওয়ার জন্য সত্য সন্ধান করার জন্য বিশ্বকে অনুরোধ করেন।

এ দিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরেও বেশ কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর চাপ লক্ষ করা যাচ্ছে। কারেন বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিজে ও আইসিসি’র মামলাকে স্বাগত জানিয়ে ৩ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে বলেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত অর্থনৈতিক অনুমোদনসহ আরও বেশি চাপ দেওয়া, যাতে সারাদেশে মিয়ানমার সেনাবাহিনী তার আক্রমণ বন্ধ করে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী তা’আং জাতীয় মুক্তি বাহিনী, আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমার জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের সেনা - যারা উত্তর জোটের সদস্য- তারাও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) উত্তরে রাখাইন রাজ্যে মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।

এই চাপের ফলেই মিয়ানমারে সু চির পক্ষে প্রচারণা করতেও দেখা গেছে। গণহত্যার অভিযোগের মুখোমুখি হওয়া অং সান সু চি-র জন্য ভক্তরা তার সফরের ভ্রমণ খরচ তুলছে। নৈতিক সমর্থন দিতে দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে সু চির সঙ্গে সেনাবাহিনীর নেতাদের ছবি সম্মেলিত বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায়
সমর্থক সমাবেশ, বিলবোর্ড এবং অনলাইনে পাশে থাকার কথা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক বলেছেন, আমরা অনেক আগে থেকে মিয়ানমারকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছি। তারা রোহিঙ্গাদের এ দেশে ঠেলে দিয়ে ধারণা করেছিল আমরা এদের নিয়ে নেবো। এটি একবিংশ শতাব্দী। এখন একটি দেশ চাইলেই যা খুশি তা করতে পারে না। বসনিয়া গণহত্যা মামলা আন্তর্জাতিক আদালতে উঠতে ৬ বছর লেগেছিল। কিন্তু রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা মাত্র ২ বছরের মধ্যেই ফাইল হয়ে গেছে।

   

সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগে ভারতের সমালোচনা 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুরে রাজ্য ২০২৩ সালে সংঘটিত দাঙ্গায় হয়রানির শিকার হয়েছে সাংবাদিক ও সংখ্যালঘুরা। এছাড়া ভারতজুড়ে সাংবাদিক ও ভিন্নমতাবলম্বীরা মোদি সরকার ও তার সমর্থকদের চাপ প্রয়োগ ও হয়রানির শিকার হয়েছে। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত বার্ষিক মানবাধিকার মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। তবে প্রতিবেদনের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি ওয়াশিংটনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মণিপুরে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ ও সাংবাদিক-ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে। 

দেশটির একটি আদালতের আদেশকে কেন্দ্র করে গত বছরের মাঝামাঝি মণিপুরে দুই উপজাতি কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাতের শুরু হয়। সেই সংঘাত সহিংসতায় অন্তত ২০০ জনের মৃত্যু হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সংঘটিত দাঙ্গায় অন্তত ৬০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতের অন্যান্য অংশেও সরকার ও এর সমর্থকরা গণমাধ্যম ও সরকারের সমালোচকদের ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি ও হয়রানি করেছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, ২০২৩ সালে ভারতের বিবিসি কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর বিভাগ। হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনামূলক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রকাশের পর এই তল্লাশি চালানো হয়।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস ২০২৩ সালে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতকে ১৬১তম স্থানে রেখেছিল, যা দেশটির ইতিহাসে সর্বনিম্ন অবস্থান।

মার্কিন মূল্যায়ন প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা তাদের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়িয়ে সহিংসতার আহ্বান জানানোসহ নানা অভিযোগ করেছেন। তবে মোদি সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, তার নীতিমালা সব ভারতীয়র উপকারের লক্ষ্যেই প্রণীত। 

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ, মোদির শাসনামলে জলবায়ু পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এছাড়া তার আমলে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রয়োগ এবং অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নামে মুসলিম স্থাপনা ভেঙে ফেলার মতো কাজ করা হয়েছে।

তারপরও চলতি বছরের নির্বাচনে রেকর্ড আসন নিয়ে মোদির দলের তৃতীয়বারের মতো জয় পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচনী জরিপ সংস্থাগুলো।

;

২০২৩ ছিল এশিয়ার জন্য চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগের বছর: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৩ সাল ছিল এশিয়া মহাদেশের জন্য চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগের বছর। জলবায়ু পরিবর্তন, চরম আবহাওয়া এবং নিরাপদ পানির জন্য বছরটি ছিল খুবই নাজুক।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জাতিসংঘের সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যার কারণে সর্বোচ্চ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এ বছর। এছাড়া অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং তাপদাহের (হিট ওয়েভ) ঘটনাও ঘটেছে।

ডব্লিউএমও প্রধান সেলেসটি সাওলো বলেন, ২০২৩ সালে এশিয়ার অনেক দেশ তীব্র গরমের মধ্য দিয়ে পার করেছে। এছাড়া খরা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং তীব্র তাপদাহের মতো ঘটনাও ঘটেছে অনেক দেশে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে ৭৯টি দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে। এর শতকরা ৮০ ভাগই ঘটেছে বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়ের কারণে। এ ঘটনায় ২ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর পশ্চিম সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া এবং পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

 

 

 

 

;

গাজায় গণহত্যাকে সুরক্ষা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযোগ এনে বলেছেন, গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে। এই গণহত্যাকে রাজনৈতিকভাবে সুরক্ষা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের  ভেটো কার্যকরভাবে তেল আবিবের কর্মকাণ্ডের রাজনৈতিক সুরক্ষা দিয়েছে। প্রায় সাত মাস ধরে কমপক্ষে ৩৪ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এসব হত্যায় ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র।

ইসমাইল হানিয়া আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রতারণামূলক। যদিও দেশটি বলে তারা বেসামরিক  লোকদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায় না- এটি তাদের একটি কৌশল। গাজায় নিহত সব বেসামরিক নাগরিক, হাজার হাজার শহীদ, মার্কিন অস্ত্র, মার্কিন রকেট, মার্কিন রাজনৈতিক সুরক্ষায় নিহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর অর্থ কী? এর মানে হলো গাজায় গণহত্যা ও হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্র পূর্ণ সুরক্ষা দিচ্ছে। জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পূর্ণ সদস্যপদে মার্কিন ভেটো এটাই দেখায় যে- ওয়াশিংটন ইসরায়েলি অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের বিরোধিতা করছে।

এদিকে হানিয়া রাফা শহরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেছেন, এটি ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমি সমস্ত ভ্রাতৃপ্রতিম দেশকে, আমাদের মিশর, তুরস্ক, এবং কাতারের ভাইদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে আহ্বান জানাচ্ছি। এর পাশাপাশি ইউরোপীয় দেশগুলোকে (ইসরায়েলি) আগ্রাসন দমন করতে এবং রাফাহ শহরে অভিযান প্রতিরোধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে এবং সেই সঙ্গে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং গাজায় হামলার সমাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধের কথা বলতে গিয়ে হানিয়া বলেন, যদি জায়নবাদী শত্রু রাফাতে প্রবেশ করে, ফিলিস্তিনি জনগণ সাদা পতাকা উত্তোলন করবে না। রাফাহ এর প্রতিরোধ যোদ্ধারা নিজেদের রক্ষা করতে এবং আক্রমণ প্রতিহত করতে প্রস্তুত।



;

মালয়েশিয়ায় মাঝ আকাশে দুই হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ, নিহত ১০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাঝ আকাশে মালয়েশিয়ার নৌবাহিনীর দুইটি হেলিকপ্টারের মধ্যকার সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। রাজকীয় মালয়েশিয়ান নৌবাহিনীর কুচকাওয়াজের জন্য মহড়া চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনীর কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণ নেয়ার সময় দুইটি হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। এতে ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে নৌবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগ জানিয়েছে, সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ঘটনাটি সম্পর্কে তাদের জানানো হয়। এ সময় একটি হেলিকপ্টার কমপ্লেক্সের স্টেডিয়ামের সিঁড়িতে বিধ্বস্ত হয় এবং অপরটি একটি সুইমিং পুলের কাছে পড়ে যায়।

স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, ওই দুইটি হেলিকপ্টারে অন্তত ১০ জন ক্রু ছিলেন। তাদের সবাই নিহত হয়েছেন।
রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনী জানিয়েছে, ‘সকল নিহতকে ঘটনাস্থলেই মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে এবং তাদেরকে লুমুত শহরের সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

এতে আরও বলা হয়, ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করা হবে।

;