ইরাকের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইরান সমর্থিত আসাদ
ইরাকের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ জোট দক্ষিণাঞ্চলীয় বশরা প্রদেশের গভর্নর আসাদ আল-ইদানিকে মনোনয়ন দিয়েছে। তবে, আসাদের মনোনয়নে ক্ষুব্ধ হয়েছেন বর্তমান সরকারবিরোধীরা।
ইরাকের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ জোট আল-বিনা। আল-বিনা ইরান সমর্থিত পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটস (পিএমএফ)-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা। আল-বিনা জোটের অন্যান্য শরিকের মধ্যে রয়েছে হাদি আল-আমরির ফাতাহ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নূরি আল-মালিকির স্টেট অব ল কোয়ালিশন।
আল বিনা জোটের মুখপাত্র আহমাদ আল-আসাদি আল-জাজিরাকে জানান, সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ জোট হিসেবে তারা বশরার গভর্নর আসাদ আল-ইদানিকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে।
তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে তারা প্রেসিডেন্ট বারহমা সালিহকে তাদের মনোনীত প্রার্থীর নাম পাঠিয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যে আল-ইদানি নতুন সরকার গঠনে কাজ শুরু করবেন।
অবাধ ও মুক্ত নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আসাদ অন্তবর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেবেন বলে জানান আহমাদ।
ইরাকের বিভিন্ন শহরে ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভ এক পর্যায়ে সহিংসতায় রূপ নেয়। এতে ৪৫০ জনের বেশি লোক নিহত হয় বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা। জনবিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে নভেম্বরে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন আদেল আব্দুল মাহদি। নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাধায়কের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
তবে, নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। কয়েক দফায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করতে ব্যর্থ হয় রাজনৈতিক দলগুলো। অবশেষে, আসাদ আল-ইদানিকে মনোনয়ন দেয়া হলো।
আসাদের মনোনয়নে ক্ষুব্ধ হয়েছেন সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। ইরাকের রাজধানী বাগদাদের কেন্দ্রে বিক্ষোভস্থল তাহরির স্কয়ার থেকে আসাদের মনোনয়নের জোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছে, আসাদ বর্তমান সরকারেরই অংশ। বর্তমান সরকারের যেকোনো প্রার্থীকে তারা প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চায় না।