'তাইওয়ানকে চীনের সম্মান জানানো উচিত'
চীনকে বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়া উচিত এবং দ্বীপ বেষ্টিত তাইওয়ানকে সম্মান জানানো উচিত বলে জানিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাতকারে সাই ইং ওয়েন বলেন, তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো আলোচনার দরকার নেই। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করার দরকার নেই। আমরা ইতোমধ্যে একটি স্বতন্ত্র দেশ এবং আমরা নিজেদেরকে রিপাবলিক অফ চায়না, তাইওয়ান বলে থাকি।
শনিবারের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাইওয়ানের জনগণ নির্বাচনে তাদের যে মতামত দিয়েছে তা দেখে চীন আমাদের মতামত বুঝতে পারবে বলে আমি আশাবাদী এবং তারা তাদের বর্তমান নীতি পর্যালোচনা করবে।
তাইওয়ানের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চীনাপন্থী প্রার্থীকে হারিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে সাই ইং ওয়েন। দ্যা ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়েন তিনি। নির্বাচনে ৫৭ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন সাই। আর চীনাপন্থী হান কুও-ইউ পেয়েছিলেন ৩৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট।
তাইওয়ানকে নিজস্ব ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে আসছে বেইজিং। চীন আগে থেকে জানিয়ে আসছে, প্রয়োজনে সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে জোর করে দেশটিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি।
সাই ইং ওয়েন বলেন, অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। অস্পষ্টতা আর যে উদ্দেশ্যে এটি পরিবেশন করা হয়েছিলো তা এখন হতে পারে না।
চীনের হুমকির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে বেইজিং আমাদের হুমকি দিয়ে আসছে। তারা আমাদের চারপাশে রণতরী ও যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করে রেখেছে।
প্রতিরোধের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের একটি স্বাধীন পরিচয় আছে। স্বতন্ত্র একটি দেশ আমরা। কেউ যদি আমাদের বিপরীতে কোনো কিছু আনে তাহলে তাইওয়ানের জনগণ উঠে দাঁড়াবে। তাদেরকে আমরা জানিয়ে দেবো, এ ধরনের কর্মকাণ্ড গ্রহণযোগ্য নয়।
সাই ইং ওয়েন আরও বলেন, আমরা সফল গণতন্ত্রের অধিকারী। আমাদের একটি সুন্দর অর্থনীতি রয়েছে, আমরা চীন থেকে সম্মান পাওয়ার যোগ্য।