আজমিরের আনা সাগর



ড. মাহফুজ পারভেজ অ্যাসোসিয়েট এডিটর বার্তা২৪.কম
আজমিরের আনা সাগর

আজমিরের আনা সাগর

  • Font increase
  • Font Decrease

উপমহাদেশের আধ্যাত্মিক শহর আজমিরে প্রবেশের সময় চোখে পড়বে মানব-সৃষ্ট অতিকায় হ্রদ, যার নাম আনা সাগর। কাশ্মীরের আইকন যেমন ডাল লেক, আজমিরে তেমনি আনা সাগর।

মুসলিম ও মুঘল শাসক পূর্বকালে রাজপুত, জাট, শিখ, মারাঠাগণ আজমিরকে কেন্দ্র করে উত্তর ভারত শাসন করেন। রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক দিক থেকে আজমি হলো দিল্লি, আগ্রা বা উত্তর ভারতের অন্যন্য শহর থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাচীন।

প্রাচীন গুরুত্ববাহী বহু নিদর্শন আজমিরে এখনও রয়েছে। রাজধানী জয়পুর থেকে রাজস্থানের ঊষর ও টিলাময় ভূমি পেরিয়ে আজমিরে প্রবেশের পর থেকে বহু স্থাপনা ও নিদর্শন নজর কাড়ে।

দখলদার ইংরেজরাও আজমিরে বহু কিছু করেছে। এর মধ্যে মেয়ো কলেজ অন্যতম, যা ভারতের নবাব ও বাদশাহের সন্তানদের ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করার একটি এলিট কলেজ হিসাবে খ্যাত।

আজমিরের মূল আকর্ষণ হযরত খাজা মইনউদ্দিন চিশতি (রহ.)- এর মাজার ও দরগাহ জিয়ারত শেষে শহর দেখতে বের হই। খুবই ঐতিহ্যবাহী ও সাজানো শহর আজমির। হিন্দু, মুসলিম ও ব্রিটিশ আমলের বহু স্থাপনা চোখে পড়ে। বিশাল জায়গা নিয়ে সুপরিকল্পিত গলফ কোর্স, প্রাসাদ ইত্যাদির পাশাপাশি দেখা মেলে উট আর ময়ূর।

বিকালের দিকে এসে পৌঁছাই আজমিরের ‘আনা সাগর’ দেখতে। নৈসর্গিক পরিবেশ, মৃদুমন্দ হাওয়া ও স্থির নীলজলরাশি মন ভরে দেয়। লেকের চারপাশে বাহারি ফুলের বিন্যাস, ওয়াকওয়ে ও বসার বেঞ্চগুলো যেন দু'হাতে ডাকছে পর্যটকদের।

লেকের পানিতে উত্তর ভারতের মেঘমুক্ত খটখটে আকাশের নীল রঙ বিম্বিত হয়েছে অপূর্ব বিন্যাসে। পানিতে নানা প্রজাতির মাছের জলকেলি ও মুক্ত হাঁসের অবাধ বিচরণ হৃদয়ে দোলা দেয়, চোখ জুড়ায়।

কিছু মানুষ মাছকে আগ্রহভরে খাবার দিচ্ছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বহুজন। রাজস্থানের লোকগানের মরমী টানে মন উচাটন সুর ছড়িয়ে দিচ্ছেন অনামা গায়ক।

আমাদের রাজস্থানী ড্রাইভার সুখবিন্দর জানালেন, সাধারণ মানুষ নগর জীবনের কোলাহল ছেড়ে সকালে বিকেলে ব্যস্ততার ফাঁকে প্রাকৃতিক ছোঁয়ায় উৎফুল্ল হওয়ার বাসনায় আনা সাগর-এর তীরে এসে ভিড় জমায়। ছুটির দিনে লেকের চারপাশে হাজার মানুষের মেলা জমে। জোৎস্না আলোকিত রাতে লেকের জলতরঙ্গে আলোকজ্জ্বল শহরের প্রতিবিম্ব পুলক ও শিহরণ জাগায়।

আনা সাগরের সঙ্গেও মিশে আছে মুঘল ঐতিহ্যের রেশ। পর্যটকদের বিশ্রাম ও অবকাশ সুবিধা নিশ্চিত করতে মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির আনাসাগরের তীরে ‘দওলতবাগ’ নামে একটি সবুজ উদ্যান এবং ১৬৩৭ সালে সম্রাট শাহজাহান মর্মর পাথরের ৫টি পাকা প্যাভিলিয়ন তৈরি করেন। মূলত মুঘল সম্রাট শাহজাহানকে এই অনিন্দ্য সুন্দর প্রাচীন লেকের নব-নির্মাতা রূপে গণ্য করা হয়।

আনা সাগরের তিন দিক খোলা হলেও একদিকের তীর ঘেঁষে পাহাড় সারি। সেই পাহাড়চুড়ায় ব্রিটিশ অফিসারদের জন্য নির্মিত সার্কিট হাউসটি দেখার মতো। আনা সাগরের নানা পাশে বাগান আর ভাস্কর্যের সমাবেশে পুরো এলাকাটিই একটি মনোরম আবহ লাভ করেছে।

আনা সাগর নাম হলেও মূলত তা মানবসৃষ্ট বিশালায়তনের হ্রদ। তারাঘুর পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এ হৃদ তৈরি করেন দিল্লি ও রাজস্থানের রাজপুত শাসক মহারাজা পৃথ্বিরাজ চৌহানের (১১৩৫-১১৫০) বংশ। দ্বাদশ শতাব্দীতে ১৩ কিলোমিটার বিস্তৃত এ হৃদ তৈরি করা হয় লুনী নদীতে বাঁধ দিয়ে অভ্যন্তরীণ পানির চাহিদা মেটানোর জন্য। হ্রদের অববাহিকা অঞ্চল প্রায় ৫ কি.মি, গভীরতা ৪.৪মিটার এবং জমা পানির পরিমাণ ৫০ লাখ কিউবিক মিটার। তবে নানা পরিসংখ্যানে হ্রদের জায়গা ও জল-ধারণ ক্ষমতার সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্যে তারতম্য লক্ষ করা যায়। কয়েক শত বছরের সুপ্রাচীন স্থাপনার প্রকৃত তথ্য-পরিসংখ্যানও ইতিহাসের নানা ঘাত-প্রতিঘাতে অনেকাংশে বদলে গেছে।

জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র আনা সাগরের কোলঘেঁষে শতাধিক আবাসিক হোটেল ও আধুনিক স্থাপত্যশৈলীসমৃদ্ধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে, যা ঐতিহ্যের নান্দনিক বিন্যাসে ছন্দপতন ঘটিয়েছে। জানা গেলো, রাজস্থান হাইকোর্ট আনা সাগরের তীরে নতুন কোনও স্থাপনা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারি করার হ্রদটি অবক্ষয়ের কবল থেকে আপাতত রক্ষা পেয়েছে।

হ্রদের পাশে খানিক ঘুরাঘুরির পর মাঝে একটি ছোট্ট দ্বীপ-সদৃশ্য ভূমিতটে পৌঁছাই, সেখানে দেশি নৌকা ও স্পিডবোটে যাওয়ার সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে আরও আছে উত্তর ভারতীয় খাবারের রেস্তোরাঁ ও বিশ্রামাগার। লেকের চতুর্দিকের শান্ত জলের স্ফটিক-শুভ্র উপস্থিতিতে দ্বীপে বসে মন জুড়িয়ে যায়।

এতো প্রাচীন হলেও আনা সাগরের পানি এখনও স্বচ্ছ আর পরিচ্ছন্ন। হ্রদের ব্যবস্থাপনার মান ধরে রাখার জন্য কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ দিতেই হয়। কারণ হ্রদের সৌন্দর্য ও নিষ্কলুষ অবয়ব বজায় রাখতে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের কমতি নেই। শত শত বছর হাজার হাজার দর্শক এলেও হ্রদ যাতে নোংরা ও আবর্জনাময় না হয়, সেদিকে রয়েছে কর্তৃপক্ষের তীক্ষ্ণ নজর। আশেপাশের বর্জ্য ও ময়লা পানি যাতে হ্রদে না পড়ে সেজন্য ৮টি ছোট বড় ড্রেন নির্মিত হয়েছে।

একটি লোকপ্রিয় ঐতিহাসিক জনশ্রুতি অনুযায়ী, ভারতবর্ষে ইসলাম ধর্মপ্রচারক ও চিশতিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা হযরত শাহ সুফি খাজা মুইনউদ্দিন চিশতী রহ. (১১৪১-১২৩৬) ত্রয়োদশ শতাব্দীতে আজমির আসেন। স্থানীয় জনগণ তাঁকে এবং তাঁর অনুসারীদের হ্রদের পানি ব্যবহারে বারণ করেন। তিনি তখন হ্রদের মাত্র এক পেয়ালা পানি দিতে তাঁদের অনুরোধ করলে তাঁরা সম্মত হয়। অলৌকিক ঘটনা ঘটে পরদিন ভোরে। দেখা যায় হ্রদের সব পানি শুকিয়ে গেছে। এতে স্থানীয় জনগণের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও ভীতির সৃষ্টি হয়। তাঁরা বুঝতে পারেন হযরত খাজা সাহেব রহ. অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন দরবেশ ও আল্লাহর অলি। তাঁরা খাজা সাহেবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করেন এবং ওই পেয়ালার পানি হ্রদে ফেলে দেয়ার হুকুম দেন।

আল্লাহর অশেষ কৃপায় পরদিন হ্রদ আবার পানিতে ভর্তি হয়ে যায়। এটা হযরত খাজা সাহেবের কারামত। এর পর থেকে তাঁর শিষ্য ও অনুসারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। দলে দলে লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

আজমিরের অনন্য দর্শনীয় স্থান আনা সাগরের ইতিহাসেও মিশে আছে সুলতানুল হিন্দু খাজা মইনউদ্দিন চিশতি (রহ.)-এর অম্লান স্মৃতি।

আরও পড়ুন: আজমির শরিফ: উপমহাদেশের আধ্যাত্মিক কেন্দ্র

   

গাজায় ইসরায়েলি হামলা: নিহত বেড়ে ৩৪ হাজার ২৬২



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলা অব্যাহত রয়েছে। বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার হাজার ২৬২ জনে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা ও বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনাদোলু ও আল-জাজিরা জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও ৮৬ জন। এ নিয়ে মোট নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৪ হাজার ২৬২ জনে, আহতের সংখ্যা ৭৭ হাজার ২২৯ জনে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের পর গাজার হাসপাতালে দুটি গণকবর থেকে ৩০০ টিরও বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনা নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য জাতিসংঘের আহ্বানকে সমর্থন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

এদিকে বুধবার (২৪ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৯৫ বিলিয়ন ডলারের একটি নিরাপত্তা প্যাকেজ আইনে স্বাক্ষর করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা এবং গাজাকে ১ বিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা।

;

হিজাব না পরা নারীদের প্রতি কঠোর হচ্ছে ইরান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হিজাব না পরে রাস্তায় বের হওয়া নারী ও তরুণীদের প্রতি কঠোর হচ্ছে ইরান। গত ১৩ এপ্রিল থেকে ‘নুর’ নামের একটি নতুন ক্যাম্পেইন শুরু করে দেশটি। এরপরই থেকেই হিজাব আইন কার্যকরে কঠোরতা শুরু হয়েছে।

ইরানে হিজাব পরিধানে কঠোর আইন রয়েছে। যারা এই আইন ভঙ্গ করেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

নারীদের ওপর চালানো ধরপাকড়ের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেগুলোতে দেখা যাচ্ছে, হিজাব ছাড়া বাইরে বের হওয়া নারীদের ‘নৈতিকতা পুলিশের’ সদস্যরা জোরপূর্বক গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রাজধানী তেহরানের ব্যস্ততম তেহরান স্কয়ার দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক মা ও মেয়ে। ওই সময় তাদের ঘিরে ধরেন পুলিশের পাঁচ নারী ও দুই পুরুষ সদস্য। যখন তারা গ্রেফতার এড়ানোর চেষ্টা করেন তখন তাদের সজোরে ধাক্কা মেরে গাড়িতে তোলা হয়।

তেহরানের শহীদী বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনা গালিবাফ নামের এক নারী শিক্ষার্থী মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে লেখেন, তাকে মেট্রোতে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। যখন তিনি জোরাজুরি করেন তখন তাকে একটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মারধর ও যৌন হেনস্তা করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।  

এমন পোস্ট দেওয়ার একদিন পরই এই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাকে ইভিন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান গ্রেফতার হওয়া কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের একজন সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, গত শনিবার পুলিশের আট সদস্য তাকে ঘিরে ধরে। ওই সময় ‘বেশ্যা’, ‘নগ্ন আমেরিকার বেশ্যাপ্রেমী’ বলে তাকে গালাগালি করে। এছাড়া নারী পুলিশ সদস্য ছাড়াও পুরুষরাও গ্রেফতার করা সময় তাকে স্পর্শ করেছে বলে দাবি করেছেন এই তরুণী।




;

ফিলিপাইনে তীব্র তাপদাহে নিঃশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে না



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিপাইনে তীব্র তাপদাহে সবকিছু ঝলসে যাচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশটির কর্তৃপক্ষ বুধবার (২৪ এপ্রিল) কিছু এলাকার স্কুল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে এবং লোকজনকে বাইরে থাকার বিষয় সতর্কতা জারি করেছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, মার্চ, এপ্রিল ও মে সাধারণত ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে উষ্ণ ও শুষ্কতম মাস। তবে এই বছর এল নিনোর আবহাওয়ার প্রভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

ম্যানিলার দক্ষিণে ক্যাভিট প্রদেশের একটি সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে কাজ করেন ৬০ বছর বয়সি এরলিন তুমারন।

তিনি বলেন, ‘এত গরম যে, আপনি নিশ্বাস নিতে পারবেন না।’ রিসোর্টটিতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তাপ সূচক ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

এরলিন তুমারন বলেন, ‘এটা আশ্চর্যজনক যে, আমাদের পুলগুলো এখনও খালি। এই গরমে আপনি আশা করতে পারেন যে, লোকেরা এসে পুলগুলোতে সাঁতার কাটবে। কিন্তু মনে হচ্ছে তারা গরমের কারণে বাড়ির বাইরে যেতে নারাজ।’

দেশটির আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বুধবার অন্তত ৩০টি শহর ও পৌরসভায় তাপ সূচক ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি বিপদজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাজ্যের আবহাওয়া পূর্বাভাসের প্রধান জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আনা সোলিস বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে তাপ আরো তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সোলিস এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের বাইরে কাটানো সময় সীমিত করতে হবে, প্রচুর পানি পান করতে হবে, বাইরে যাওয়ার সময় ছাতা ও টুপি ব্যবহার করতে হবে।’

সোলিস বলেন, এল নিনোর কারণে ‘চরম তাপ’ দেশের বিভিন্ন অংশকে প্রভাবিত করছে। দেশটির প্রায় অর্ধেক প্রদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে খরায় রয়েছে।

অ্যাপাররি উত্তর পৌরসভায় মঙ্গলবার তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

;

ইউক্রেন-ইসরায়েল সহায়তা ও টিকটক নিষিদ্ধকরণ বিলে বাইডেনের স্বাক্ষর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাস হওয়া ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়া সহায়তা বিল এবং টিকটক নিষিদ্ধকরণ বিলে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশটির সিনেটে বিলগুলো অনুমোদনের পর এটি অপেক্ষায় ছিল বাইডেনের স্বাক্ষরের। অবশেষে তার স্বাক্ষরের পর বিলগুলো চূড়ান্ত আইনে পরিণত হলো।

অনুমোদিত টিকটক বিলের শর্তে বলা হয়েছে, টিকটকের চীনা মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে আগামী নয় মাসের মধ্যে তাদের শেয়ার বিক্রি করতে হবে। নয়তো এই অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে ব্লক করে দেওয়া হবে।

এর আগে মঙ্গলবার ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানের জন্য ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন দেয় মার্কিন সিনেট।

এক বিবৃতিতে বিলটি পাস করায় আইনপ্রণেতাদের প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই আইন আমাদের দেশ ও বিশ্বকে আরও বেশি সুরক্ষিত করবে। আমরা আমাদের সেই বন্ধুদের সহায়তা করছি, যারা সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও (রুশ প্রেসিডেন্ট) ভ্লাদিমির পুতিনের মতো স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষায় লড়াই করছে।

এদিকে সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদনের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এটি গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা এবং মুক্ত বিশ্বের নেতা হিসেবে আমেরিকার ভূমিকাকে শক্তিশালী মনে করে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাস হওয়া বিদেশি সহায়তা প্যাকেজে ইসরায়েলে সামরিক ও গাজায় মানবিক সহায়তা হিসেবে ২৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মার্কিন মিত্র তাইওয়ানের জন্য ৮ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কমিউনিস্ট শাসিত চীনকে মোকাবিলায় এই অর্থ সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

;