ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টার ৪০ মাসের জেল
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা রজার স্টোনকে ৪০ মাসের জেল দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটন ডিসি আদালতে তাকে এ সাজা দেওয়া হয়।
২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের তদন্তে কংগ্রেসকে মিথ্যা তথ্য দেয়া, কাজে বাধা দেওয়া ও সাক্ষীদের প্রভাবিত করার দায়ে রজারকে এ দণ্ড দেয়া হয়। গত বছরের নভেম্বরে অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়। ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের তদন্তে অভিযুক্ত রজার ট্রাম্প প্রশাসনের ষষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে দোষী হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছেন।
বিচারক অ্যামি বারম্যান জ্যাকসন রায়ে, রজারকে ৪০ মাসের জেল ও বিশ হাজার ডলার জরিমানা করেন। এছাড়া সাজার মেয়াদ শেষে তিনি দুই বছর নজরদারি ও ২৫০ ঘণ্টার কমিউনিটি সার্ভিসের মধ্যে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
রায় দেওয়ার সময় বিচারক বলেন, স্টোন তাকে হুমকি দিয়েছিলেন ও ভীতি প্রদর্শন করেছিলেন। তার বিচার মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য হয়নি, বিচার হয়েছে প্রেসিডেন্টের কাজকর্ম ঢেকে ফেলার জন্য।
তবে এখনি জেলে যেতে হচ্ছে না রজারের। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন তিনি।
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে বলে জানিয়ে আসছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। আর নির্বাচনের আগ মুহুর্ত্বে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলার ক্লিনটনের ই-মেইল ফাঁস করে উইকিলিকস। এসব ই-মেইল হ্যাকড করেছিল রাশিয়ান হ্যাকাররা বলে জানিয়ে জানায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা।
রজার স্টোনের বিচার নিয়ে অনেকদিন থেকে কথা বলে আসছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এমনকি ফৌজদারি মামলা প্রসঙ্গে ট্রাম্পকে টুইট করা বন্ধ করতে বলেন আমেরিকার অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। আদালতের রায়ের পরেও রজারের পক্ষে কথা বলেছেন ট্রাম্প। লাস ভেগাসে তিনি বলেন, রজারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ থেকে তাকে মুক্তি দেওয়ার পক্ষে আমি। যদি তা হয় তাহলে আমি খুশি হব। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তার সঙ্গে খুব অন্যায় আচরণ করা হয়েছে।