চীন মিয়ানমারে ‘সড়ক’ ছেড়ে পানিতে নামছে



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইরাবতী নদী

ইরাবতী নদী

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ নিয়ে উচ্চ-গতির রেল পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় চীন বিকল্প ব্যবসায়িক রুট হিসাবে ইরাবতী নদীকে ব্যবহার করার চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিগত গৃহযুদ্ধ ও নিরাপত্তা হুমকি চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) স্বপ্নের ওপর বাধা সৃষ্টি করছে। চীন চেয়েছিল মিয়ানমারের দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে দেশটির অস্থির উত্তরাঞ্চল হয়ে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত একটি উচ্চ গতির রেলপথ নির্মাণ করার। কিন্তু স্থলে বেইজিংয়ের এই পরিকল্পনা ভেস্তে গেলেও বিকল্প পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির। মিয়ানমারের ইরাবতী নদী হয়ে একটি নিরাপদ বাণিজ্য রুট তৈরি করতে চীন নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

এই জলপথ ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ। মিয়ানমারের আধুনিক রাস্তা এবং রেল যোগাযোগের অভাব পূরণের সঙ্গে সঙ্গে দেশটিকে উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে বিভক্ত করেছে।

মিয়ানমারে ৭০ বছর ধরে জাতিগত সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলন চলে আসছে। মিয়ানমারের শাসকদল আর সেনাবাহিনীতে বর্মীদের সংখ্যা বেশী। দেশটিতে বর্মীদের সংখ্যা মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ৬৮ শতাংশ। আর বাকী ৩২ শতাংশের মানুষ ১৩৫ টি জাতিগোষ্ঠী থেকে এসেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ বর্মীরাই দেশটির ১৩৫টি জাতিগোষ্ঠীর অধিকার দিতে বাধা সৃষ্টি করার জন্য বর্তমানে মিয়ানমারে ৫৩টি বিদ্রোহী গোষ্ঠী সৃষ্টি হয়েছে যারা গৃহযুদ্ধে লিপ্ত।

ইরাবতী নদীতে ঔপনিবেশিক আমলের নৌযান

মিয়ানমার ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের এক বছর পরই ঐ দেশের অসংখ্য নৃগোষ্ঠী সশস্ত্র প্রতিরোধে উঠেছিল, মূলত বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করে। কেরেন, কাচিন, পা-ওহ, শান, সোম, কেরেনি, আখা, কোকাং, পালাং, ওয়া, মংলা, লাহু, আরাকান, চিন, কায়ান এবং নাগা গোষ্ঠীগুলির মধ্যে কমপক্ষে ৫৩ টি বিদ্রোহী বাহিনী  এবং  দল গঠন করে যারা তাদের অধিকার দাবি করেছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠ বর্মী সরকার তাদের অধিকার  পুরোপুরি দিতে চায়নি।

১৯৫৮, ১৯৬৩, ১৯৮০, ১৯৮৯, ১৯৯০ এবং ২০১১ সাল থেকে বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন  এবং কেন্দ্রীয় সরকার বাহিনীর মধ্যে লড়াই শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া সত্ত্বেও, শান্তি আসেনি মিয়ানমারে।  উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এবং গৃহযুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। ২০১১ সালে মিয়ানমারের পশ্চিমে ২ লাখ মানুষ বর্তমানে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। থাইল্যান্ড-মিয়ানমার সীমান্তে প্রায় এক লাখ মানুষ শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৭ সালে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে দেশটির সেনার হাত থেকে বাঁচতে।

চীন-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর (সিএমইসি) রেল, সড়ক ও বন্দর নির্মাণের  মাধ্যমে সংযুক্ত করার জন্য একটি পরিকল্পনার নিয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরের বিকল্প পথ হিসেবে বেইজিংকে জ্বালানি ও অন্যান্য রসদ জোগানোর দায়িত্ব নিত এ স্থলপথ। এখানে চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংঘাতের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। এটি মিয়ানমারকে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের স্বাক্ষর করা মহাপ্রকল্প বিআরআই-তে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনার করেছে। এজন্য চীন নতুন বৈশ্বিক বাণিজ্য ও সুরক্ষা শৃঙ্খলার কেন্দ্রবিন্দুতে নিজেকে রেখে  এক ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করছে বৈশ্বিক অবকাঠামো-নির্মাণ প্রকল্পে।

মিয়ানমারের জীবন্তসত্তা হিসেবে ও জাতির জলজ প্রাণ হিসাবে বিবেচিত ইরাবতী নদী এখন স্পষ্টতই বেইজিংয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান পেয়েছে।  বাণিজ্যিক জাহাজগুলো ইতোমধ্যে সমুদ্র সীমানা থেকে ইরাবতী নদীর ভিতরে এক হাজার ৩০০ কিলোমিটার বা অর্ধেক পথ ধরে নিয়মিত যাতায়াত করে। কাচিন রাজ্য ভামোতে এ যাত্রা শুরু হয় এবং নীচে যেখানে বেঁকে জলপথটি ভারত মহাসাগরের দিকে গিয়ে পড়ে।

বিশ্ব মানচিত্রে চীন মিয়ানমার জলপথ

সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চীনা ঠিকাদাররা এখন ভামোতে বিদ্যমান স্থলে সুবিধার নেওয়ার চেয়ে নতুন বড় বড় নদী বন্দর নির্মাণের জন্য সম্ভাব্য সাইটগুলো জরিপ করা শুরু করেছে।

বহু বছর আগে থেকেই  দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনান প্রদেশের রুইলির বাণিজ্যিক কেন্দ্রটিকে লুয়েজে একই প্রদেশের সীমান্ত-ক্রসিংয়ের সাথে সংযুক্ত করতে নতুন হাইওয়েগুলো নির্মিত হয়েছিল। যেখানে আগে থেকেই বৃহত্তর বাণিজ্য প্রবাহকে কাজে লাগানোর নতুন সুবিধা রয়েছে। বাণিজ্য রুট হিসেবে ইরাবতী ব্যবহারের জন্য চীনের দৃষ্টিভঙ্গি নতুন নয়। ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বরে সরকারি  পর্যালোচনার একটি নিবন্ধে যুক্তিযুক্তভাবে প্রথম এই বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছিল।

উত্তরে জাতিগত গুহযুদ্ধের বিক্ষোভ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই পরিকল্পনাটিকে আতুর ঘরেই রেখেছে।

১৯৯৭  সালে চীন ও মিয়ানমার ইউনান থেকে ইরাবতী ও পাশ দিয়ে স্থল ও জল পরিবহন রুটের সম্ভাবতা নিয়ে প্রথম যৌথ সমীক্ষা চালিয়েছিল।

২০০১ সালের ডিসেম্বরে চীনের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াং জেমিন মিয়ানমার সফরকালে আরও অগ্রগতি অর্জন করেছিল। ১৯৮০ এর দশকের পর এই জাতীয় উচ্চপদস্থ চীনা আধিকারিকের এটি প্রথম সফর ছিল। জিয়াংয়ের পরিদর্শনকালে আরও সীমান্ত বাণিজ্য সহজ করার জন্য উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে সই করেছে।

এরপরই ২০০২ সালের মার্চ মাসে চীন মিয়ানমারকে ‘হাইওয়ে-জলপথ সম্মিলিত পরিবহন সংক্রান্ত খসড়া চুক্তি’ শিরোনামে একটি প্রস্তাব দেয়। কয়েক মাস পরে, চীন ইরাবতী নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে মিয়ানমারকে দুটি ড্রেজার সরবরাহ করেছিল যাতে বড় বড় বার্জগুলো চীনা পণ্য নিয়ে নদীতে চলাচল করতে পারে। তবে এখন চীন আরও আধুনিক ও ভবিষ্যৎ  পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে।

চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মিয়ানমারের সফরের মূল বিষয় ছিল ৩৩ টি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও সমঝোতার স্মারক স্বাক্ষর করা। যার মধ্যে নতুন নদী বন্দর ও সংযোগ মহাসড়কসহ ইরাবতীর পাশে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো প্রধান্য পেয়েছে। চীনের এ দৃষ্টিভঙ্গি কোনও অভিনব ধারণা নয়। প্রকৃতপক্ষে, নদী পরিবহন মিয়ানমারের বাণিজ্য প্রসারিত হওয়ার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগে, বৃটিশ জলযান সংস্থা ৬শ'র  বেশি জাহাজ পরিচালনা করেছিল। বেশিরভাগ প্যাডেল স্টিমার ছিল, যা ইরাবতী এবং এর বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় চলাচল করত।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিয়ানমারে আক্রমণ করার সময় জাপানিরা ইরাবতীর এ জলপথে ব্যবহৃত জাহাজগুলো ব্যবহার করতে বাধা দেওয়ার জন্য সেই বহর গোটাই ধ্বংস করা হয়েছিল।

মিয়ানমারের স্বাধীনতার পরে ১৯৪৮ সালে 'বৃটিশ জলযান সংস্থা' জাতীয়করণ করা হয় এবং আরও অনেক ছোট নতুন বহর নিয়ে সরকারি অভ্যন্তরীণ পরিবহন বোর্ড হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল।

এখন, চীন সিএমইসি এবং বিআরআই নিয়ে এবার ইরাবতীর একসময়ের সমৃদ্ধ বাণিজ্য পথটি শীঘ্রই পুনরুদ্ধার করার দিকে ধাবিত হচ্ছে। মিয়ানমারের জীবনযাত্রাকে চীনের সাথে এক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও রসদ সংযোগে পরিণত করার উচ্চ প্রত্যাশা রয়েছে। ’

এদিকে, জানুয়ারিতে ইয়াঙ্গুনে অনুষ্ঠিত একটি ফোরামে কুনমিং-ভিত্তিক ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান লিউ জিনসিন বলেন,  ইরাবতীর উপর নতুন করে পুনর্গঠন ও নতুন বন্দর নির্মাণের সম্ভাবনা বেড়ে চলেছে।

লিউ বলেন,  ইরাবতীর পাশের অবকাঠামো ‘এখনও দুর্বল’ এবং বন্দরগুলো ‘সাহায্য ব্যতীত নির্মাণ করা একটি চ্যালেঞ্জ’ হতে পারে, সম্ভবত চীনা সহায়তা এটির সমাধান আনতে যাচ্ছে।

   

ইরানে ইসরায়েলের হামলায় লাফিয়ে বাড়ল তেল-স্বর্ণের দাম



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ ইরানে ইসরায়েলি সামরিক হামলার পর বিশ্বব্যাপী লাফিয়ে বেড়েছে তেল ও স্বর্ণের দাম এবং শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে  জানানো হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এই হামলা চালানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার সকালে এশিয়ার বাণিজ্যে ব্রেন্ট ক্রুড ব্যারেল প্রতি ৩ শতাংশের বেশি বেড়ে প্রায় ৯০ ডলারে পৌঁছেছে, এ সময় সোনা প্রতি আউন্স ২৪০০ ডলারের ওপরে নতুন রেকর্ড উচ্চতার কাছাকাছি লেনদেন করছে। বৃহস্পতিবার প্রতি আউন্স স্বর্ণ কেনাবেচা হয়েছে ২ হাজার ৩৭৭ দশমিক ৪০ ডলারে।

এদিকে হামলার পর জাপান, হংকং ও দক্ষিণ কোরিয়ার বেঞ্চমার্ক স্টক সূচকও কমেছে। গত সপ্তাহে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন বিনিয়োগকারীরা।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ইরানের ইসফাহান শহরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে ইরান জানিয়েছে, ইসপাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করে ভূপাতিত করা হয়েছে।

ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, এয়ার ডিফেন্সের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ড্রোন সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে। আপাতত কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর নেই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ এখন পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

;

ইরানে ইসরায়েলের হামলা, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে ‘সামরিক অভিযান’ চালিয়েছে তা নিশ্চিত করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তারা।

সিএনএনের বরাত দিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, এ হামলা বিশ্বের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর ফলে ওই অঞ্চলটি সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বাইডেন প্রশাসনকে জানিয়েছিল যে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইরানে আঘাত আসছে। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ওয়াশিংটনকে আশ্বস্ত করেছিল যে, হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে না। 

এদিকে ইসরায়েল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে ইরানে ‘ক্ষেপণাস্ত্র হামলা’ চালিয়েছে বলে খবর দিয়েছে আলজাজিরা, এবিসি নিউজসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম। তবে এমন খবরের পর তেহরান বলছে, তারা বেশ তিনটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে এবং দেশটিতে এখনও কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।




;

ইরানে ইসরায়েলি হামলার খবর আগেই পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে দেশটিতে আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েল। ইরানের ওপর ইসরায়েলের এই হামলার খবর আগেই পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই হামলাকে সমর্থন বা হামলায় কোনো ধরনের ভূমিকা পালন করেনি দেশটি। 

যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তার বরাতে মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসি এবং সিএনএন খবরটি দিয়েছে। বলা হয়েছে যে, হামলা চালানোর আগে ওয়াশিংটনকে জানিয়েছিল ইসরায়েল।

বিভিন্ন সম্প্রচারমাধ্যম মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করেছে যে, ইরানের ভূখণ্ডে ইসরায়েল হামলা করেছে এবং ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্য পারমাণবিক স্থাপনা ছিল না।

একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন, ইসরায়েল গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছিল যে, তারা সামনের দিনগুলোতে ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের এই প্রতিক্রিয়া সমর্থন করেনি বলেও জানান তিনি।

হামলার পর হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। হোয়াইট হাউসের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের কাছে এই মুহূর্তে দেওয়ার মতো কোনো খবর নেই।’

এর আগে, ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা হয়। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল-কুদস ফোর্সের দুই শীর্ষ জেনারেলসহ সব মিলিয়ে ১১ জন নিহত হন। ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরান ইসরায়েলকেই এর জন্য দায়ী করে আসছে।

জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। শনিবার রাতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। সেই হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করার দাবি করেছে ইরান।

;

নির্বাচনের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা, প্রাণহানি, অপহরণ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু হয়েছে। তবে ভোট গ্রহণ শুরুর আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের তিন লোকসভা আসন কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে বিশৃঙ্খলা, অগ্নিসংযোগ ও মারধরের খবর পাওয়া গেছে। নিরাপত্তাবাহিনীর এক সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বিজেপির পোলিং এজেন্টকে অপহরণের খবরও পাওয়া গেছে। 

ভারতের স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। প্রথম ধাপে আলিপুরদুয়ার (তফসিলি জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত), জলপাইগুড়ি (তফসিলি জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত) ও কোচবিহার (তফসিলি জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত) কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। তবে ভোটকেন্দ্র খোলার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জমা করতে শুরু করেছে। 

কোচবিহারের দিনহাটায় উদ্ধার করা হয়েছে তাজা বোমা। একই এলাকায় তৃণমূলের এক ব্লক সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁর ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলার চান্দামারিতে বিজেপির ব্লক সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। 

এদিকে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এমনকি আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগও উঠেছে দলটির বিরুদ্ধে। দিনহাটা থেকে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বুথ থেকে অপহরণের খবর পাওয়া গেছে। ভোটের আগের রাতে একই জেলার মাথাভাঙায় সিআরপিএফ জওয়ানের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। 

জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে বুথের মধ্যেই পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আহত ওই এজেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জেলার ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি কেন্দ্রের সিপাইপাড়া এলাকায় গতকাল রাতের বেলায় বিজেপির বুথ অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে কে বা কারা। 

এ ছাড়া বেশ কিছু জায়গা থেকে ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে ভোটাররা ঝামেলার শিকার হয়েছেন বলে খবর এসেছ। নির্বাচন কমিশনে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগও পাঠানো হয়েছে।

;