গরমে কি কমবে করোনার প্রাদুর্ভাব?



মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে রয়েছে সারা বিশ্ব। এশিয়ার বিভিন্ন দেশের বাইরেও সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। তবে অনেকেই ধারণা করছেন— আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমবে।

তাহলে কেমন আবহাওয়ায় করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি মিলবে; গরমে কি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে নাকি তাপমাত্রা বাড়লে ভাইরাসটি দুর্বল হয়ে পড়বে? এমন অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে আতঙ্কিত মানুষের মনে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলা, সচেতনতা এবং এ ভাইরাসের ধরন সংক্রান্ত বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। প্রতিবেদনগুলোতে চিকিৎসক ও গবেষকরা নানান তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেছেন। জার্মানি ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলেতে ভাইরাস বিশেষজ্ঞ থমাস পিটসম্যান কোভিড-১৯ ভাইরাসটির সঙ্গে আবহাওয়ার সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেছেন। তার ব্যাখ্যাসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত বিভিন্ন তথ্য বার্তা২৪.কমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

গরমকালে করোনাভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জা ও সার্স-কোভি ২ ভাইরাসের মতো আচরণ করতে পারে। বসন্তের পর আস্তে আস্তে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে তখন করোনাভাইরাসেরও বিস্তার বন্ধ হয়ে যেতে পারে। গ্রীষ্মের তাপমাত্রার সঙ্গে যেসব ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া বন্ধ হয় সেগুলো সাধারণত সংক্রমিত হয় শীতের শুরু থেকে।

থমাস পিটারসন বলেন, বসন্ত শেষ না হলে আমরা বলতে পারছি না করোনাভাইরাস সার্স ও ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো কিনা। কারণ, ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা এখনও এটা সম্পর্কে ভালো করে জানতে পারেন নি। আমরা জানি করোনাভাইরাস চীন থেকে ছড়িয়েছে, যা একটি প্রাণী থেকে মানবদেহে ছড়িয়ে পড়েছে।

এই মুহূর্তে উত্তর গোলার্ধে করোনাভাইরাস বিস্তারের জন্য উৎকৃষ্ট আবহাওয়া বিরাজ করছে। শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস অর্থাৎ যা শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে— এসব ভাইরাস শীতল আবহাওয়ায় দীর্ঘদিন থাকে। ভাইরাসগুলো কম তাপমাত্রায় স্থিতিশীল, অনেকটা ফ্রিজে খাবার রাখার মতো।

এমন ভাইরাসের সাধারণত উষ্ণ আবহাওয়ায় টিকে থাকা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। পিটসম্যান ব্যাখ্যা দিয়ে জানান, করোনাভাইরাস একটি লিপিড স্তর দ্বারা বেষ্টিত। এক কথায় বলা যায় চর্বিযুক্ত একটি স্তর। এই স্তরটি কঠিন কোনো আবরণ নয়, এজন্য তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্তরটি ভেঙে যেতে পারে। অন্য ভাইরাস যেমন নোরোভাইরাস বেশি স্থিতিশীল হয়, এতে প্রোটিন এবং জিনগত উপাদান থাকে।

কিছু রোগ-জীবাণু আছে তাপমাত্রা বাড়লে নিচের দিকে নামতে থাকে। অন্যদিকে ডেঙ্গু ভাইরাস মূলত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়।

পিটসম্যান বলেন, বায়ুর আর্দ্রতা শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। সাধারণত রোগ-জীবাণু হাঁচি দিলে বাতাসে ঝুলে থাকে। শীতকাল শুষ্ক দিন হওয়ায় আর্দ্রতায় রোগ-জীবাণু দীর্ঘ সময় বাতাসে ভাসতে থাকে। এ কারণে শীতে রোগ-জীবাণু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এসব ভাইরাসের লক্ষণ ছড়াতে বেশ কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে।

ভাইরাসজনিত রোগের লক্ষণগুলো হলো—জ্বর, ব্যথা ও কাশি। এ রোগের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নির্ভর করে রোগীর বয়স ও লিঙ্গের ওপর। বিশেষ করে করোনাভাইরাসে পুরুষের মৃত্যু হার ২ দশমিক ৮ শতাংশ, নারীদের ১ দশমিক ৭ শতাংশ।

পিটসম্যানের মতে, এই পার্থক্যটি জিনগত। কিছু প্রতিরোধ-প্রাসঙ্গিক জিন, প্যাথোজেনগুলো শনাক্ত করার জন্য দায়ী এক্স ক্রোমোজোম। কারণ, মহিলাদের দুটি এক্স ক্রোমোজোম রয়েছে এবং পুরুষদের একটি মাত্র আছে, এখানে নারীদের সুবিধা।

পিটসম্যানের মতে, উত্তর গোলার্ধে বসন্তেই করোনাভাইরাস সম্ভবত শেষ হয়ে যাবে। তবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) মতে শীত না এলেও দক্ষিণ গোলার্ধে অস্ট্রেলিয়ায় ২০টিরও বেশি এবং ব্রাজিলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের একটি ঘটনা রয়েছে।

এদিকে স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, এপ্রিলে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে করোনাভাইরাস চলে যাবে। তার মতে, বিভিন্ন তত্ত্ব ও অতীতের ইতিহাস বলে, গরম ভাইরাসকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।

বিশেষজ্ঞরা তার এই ধারণা মানতে পারছেন না। কারণ, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে সারা বছর গরম থাকলেও সেখানেও করোনভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। তবে তীব্রতা কম ছিল, এমনকি দ্রুত সুস্থও হয়েছেন। এছাড়া চীনের প্রতিবেশী ভারতসহ ১৪টি দেশ বেশিভাগই গরম প্রধান। আর এসব দেশে করোনাভাইরাস তেমন বড় আকার ধারণ করেনি। তবে সবকিছুর পর বিশেষজ্ঞদের মতে, আবহাওয়ার দ্বারা ভাইরাস প্রভাবিত হয় না, কারণ এর আগে সার্স ভাইরাস ২০০৩ সালের জুলাই পযর্ন্ত স্থায়ী ছিল।

ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাস আবহাওয়ার দ্বারা কতটা প্রভাবিত হবে তার জন্য গ্রীষ্মের অপেক্ষা করতে হবে। ততদিন এ ভাইরাস সম্পর্কে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।  

এখন পর্যন্ত চীনসহ ৭৭টি দেশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩০৯০ জন। এদের মধ্যে চীনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৮০৪২২ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ২৮৫ জন।   

   

দীর্ঘদিনের বান্ধবীকে বিয়ে করলেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিনের বান্ধবী সোফি অ্যালোয়াশেকে বিয়ে করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সমকামী নারী সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং (৫৫)। পেনির থেকে সাত বছরের ছোট সোফি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে বিয়ের পোশাকে এবং ফুলের তোড়া হাতে তার এবং সোফির একটি ছবি পোস্ট করে ওং লেখেন- ‘আমরা আনন্দিত যে আমাদের অনেক পরিবার এবং বন্ধুরা আমাদের সঙ্গে এ বিশেষ দিনটি ভাগ করে নিতে পেরেছে।’ 

দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পেনি এবং সোফি প্রায় দুই দশক ধরে একসঙ্গে রয়েছেন। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী অ্যাডিলেডের একটি ওয়াইনারিতে বিয়ে করেন তারা। ওং সেনেটে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন। সোফি ও পেনির দুই মেয়ে- অ্যালকজান্দ্রা (১১) এবং হানা (৮)। আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে দুই কন্যার জন্ম হয়।  ওং হলেন প্রথম এশীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি যিনি অস্ট্রেলিয়ান মন্ত্রিসভা পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।

;

৬২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে ব্রাজিল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরুতেই ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনেরিওতে সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে।আবহাওয়া দপ্তর বলছে, মানুষ যে উত্তাপ অনুভব করছে তার বিচারে ফিলস লাইক টেম্পারেচার ৬২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তীব্র গরমের কারণে রিও ডি জেনেরিওতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ পরিস্থিতিতে স্কুল, কলেজ ও বেশ কিছু অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একটু শীতলতার খোঁজে শত শত মানুষ ভিড় জমিয়েছে কোপাকাবানা ও ইপানেমা সমুদ্র সৈকতে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, শুধু আবহাওয়া অফিসের রেকর্ড করা তাপমাত্রা দিয়ে গরমের তীব্রতা বিচার করলে হবে না। এর সঙ্গে আদ্রতাসহ বেশ কিছু জিনিস বিবেচনায় নিতে হবে। সেসব জিনিস বিবেচনায় নিলে রিও ডি জেনেরিওর মানুষ এখন প্রায় সাড়ে ৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভব করছে। এটিকেই বলে ‘ফিলস লাইক টেম্পারেচার’।

গত এক দশকের মধ্যে মানুষ এত তাপমাত্রা অনুভব করেনি বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। ব্রাজিল আবহাওয়া অফিসের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আবহাওয়াবিদ রাকুয়েল কোরিয়ে বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বরে রিওতে ৫৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস অনুভূত হয়েছিল।’

অস্বাভাবিক মাত্রায় গরম বেড়ে যাওয়ার পেছনে নির্বিচারে গাছ কাটা, বন উজাড় করা, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা, রাস্তায় মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণ দায়ী বলে মনে করেন আবহাওয়াবিদেরা।

রাকুয়েল কোরিয়ে বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে বলেই আমাদের আশঙ্কা। কারণ যেভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, আবাসন বাড়ছে, বনভূমি উজাড় হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে তীব্র গরম–অতিবৃষ্টি–বন্যা–খরা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।’

এদিকে রিও যখন গরমে পুড়ছে, অন্যদিকে ভয়াবহ বৃষ্টি আবার ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

ব্রাজিলের আবহাওয়া তথ্য সংস্থা মেটসুল সতর্ক করে বলেছে, আগামী সপ্তাহটি দক্ষিণাঞ্চলের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ সপ্তাহজুড়েই তীব্র ঝড়–বৃষ্টি হতে পারে।

;

ভোরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার ২০ জনের মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের রাফাহ এবং গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় অংশে ভোরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও বহু ফিলিস্তিনি।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোরে ইসরাইল এই হামলা চালায় বলে নিশ্চিত করেছেন ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার ভোরে রাফাহ এবং গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় অংশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

কর্মকর্তারা জানান, মিশরীয় সীমান্তের কাছে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং অ্যাপার্টমেন্টে ইসরায়েল হামলা চালায়। এই ঘটনায় ১৪ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি বর্তমানে এই শহরটিতে আশ্রয় নিয়েছেন।

এছাড়া মধ্য গাজা উপত্যকার আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে পৃথক বিমান হামলায় আরও ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

অন্যদিকে গাজা শহর থেকে প্রায় ১৪ কিমি (৮.৬ মাইল) দক্ষিণে মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে বজ্রপাতের সঙ্গে বিস্ফোরণের মিশ্র শব্দ এবং বৃষ্টি তাঁবুর তৈরি ক্যাম্পে অবস্থানরত বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর দুর্দশাও আরও বাড়িয়ে দেয়।

দেইর আল-বালাহ শহর থেকে পাঁচ সন্তানের বাবা শাবান আবদেল-রউফ বলেছেন, ‘আমরা বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতাম এবং (বৃষ্টি হতে) দেরি হলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতাম। আজ আমরা প্রার্থনা করছি যেন বৃষ্টি না হয়। আমরা বজ্রপাত এবং বোমা হামলার শব্দের মধ্যে আর পার্থক্য করতে পারছি না। বাস্তুচ্যুত মানুষ যথেষ্ট দুর্দশার মধ্যে রয়েছে।’

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৪ হাজার মানুষ।

এছাড়া ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।  ইসরাইলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

;

অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে কিউবাজুড়ে বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: আল জাজিরা

ছবি: আল জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বীপরাষ্ট্রের কিউবায় অর্থনৈতিক সংকট অব্যাহত থাকায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) দেশটির রাষ্ট্রপতি মিগুয়েল ডিয়াজ-ক্যানেল বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। আগের দিন শত শত মানুষ বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং খাদ্য সংকটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জন্য সান্তিয়াগো শহরে জড়ো হয়ে বিক্ষাভ করেন।

সোশ্যাল মাধ্যমের ভিডিওতে দেখা যায়, কমিউনিস্ট-শাসিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে জনতা "শক্তি এবং খাদ্য" স্লোগান দিচ্ছে।

দেশটিতে সম্প্রতি এক দিনে ১৮ ঘণ্টা বা তার বেশি সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। এতে দেশে খাদ্য সরবরাহ এবং অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপকে বিপন্ন হয়।

মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা এবং সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতির সময় আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলির দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় কিউবা কয়েক দশকের মধ্যে তার সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের সাথে লড়াই করছে। করোনা মহামারী এ সংকটকে আরও প্রকট করে তুলেচে।

ডায়াজ-ক্যানেল সংলাপ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে এক্সে লিখেছেন, বেশ কিছু মানুষ বৈদ্যুতিক পরিষেবা এবং খাদ্য বিতরণের পরিস্থিতি নিয়ে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, দল, রাষ্ট্র এবং সরকারের কর্তৃপক্ষের স্বভাব হল আমাদের জনগণের অভিযোগের প্রতি মনোযোগ দেওয়া, শোনা, সংলাপ করা, পরিস্থিতির উন্নতির জন্য যে সমস্ত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে তা ব্যাখ্যা করা, সর্বদা প্রশান্তি এবং পরিবেশে।


হাভানায় মার্কিন দূতাবাস এক্স-এর একটি পোস্টে বলেছে, বায়ামো, গ্রানমা এবং অন্যান্য স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। সরকারকে "বিক্ষোভকারীদের মানবাধিকারকে সম্মান করতে এবং কিউবার জনগণের ন্যায্য চাহিদা মেটাতে" আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সান্তিয়াগোতে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল। এ সময় বিক্ষোভকারীরা চিৎকার করে বলেন, “কমিউনিজম চলে যাও, দিয়াজ-খাল চলে যাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওগুলিতে কোথাও সংঘর্ষ বা কাউকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি। বিক্ষোভগুলো বিপুল সংখ্যক রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা বাহিনী দ্বারা বেষ্টিত ছিলো।

;